ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

কম কর-রাজস্ব ও সংস্কার

ড. মো. আইনুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

কম কর-রাজস্ব ও সংস্কার

দিনকয়েক আগেই জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৬ মাস হলেও রাষ্ট্রের ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার মাত্র মাত্র ৩ ভাগের ১ ভাগ বা সাড়ে ৩২ শতাংশ পূরণ হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এই তথ্য নিয়েই এক আড্ডায় আমরা বেশ কয়েকজন কথা বলছিলাম। কর-রাজস্ব নিয়ে নানা কথার ফাঁকে একজন বলে উঠলেন, ‘ভাই, যা-ই বলেন, এনবিআরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’ ভ্রু কুঁচকে একজন বললেন, কেন? সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর ছিল, ‘এই করিৎকর্মা বিভাগটির ‘ছাগলকাণ্ড মতিউর’য়ের কল্যাণেই এখন আমরা নির্ভয়ে দু-চার কথা বলতে পারছি।’ হেসে উঠলাম। তবে হাসাহাসি করলেও পরে ভেবে দেখলাম, রাষ্ট্রের অতি প্রয়োজনীয় একটি অঙ্গে অবলা ছাগল যে দাগ রেখে গেছে, তা সংস্থাটির লোকজনকে আরও অনেক দিন তাড়িয়ে বেড়াবে। সে যাই হোক, কম কর-রাজস্ব আয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে সামনের দিনগুলোয় উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও সামাজিক সেবাখাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ সম্ভব হবে না, যা দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও বাধাগ্রস্ত করবে। কম কর-রাজস্বের ফলে বাজেট ঘাটতিও বেড়ে যাবে। ফলে ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়বে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হবে। দুর্বল কর ব্যবস্থাপনা কর ফাঁকির প্রবণতায় বৈষম্যও তীব্র হবে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতাকে নিশ্চিতভাবেই বড় ধরনের ঝুঁকিতে ফেলবে।
সাধারণ চোখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গত জুলাই-ডিসেম্বরে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়কে খুব খারাপ পারফরমেন্স মনে না। কারণ, এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। অর্থাৎ একবছর ব্যবধানে রাজস্ব আয় কমেছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বা ৬ শতাংশ। ছয় মাসের নানা ঘটনা-অঘটনের মধ্যেও এই টাকা সংস্থাটি আয় করতে পেরেছে, এ-ই বা কম কি। কিন্তু অর্থনীতির চোখে দেখলে বিষয়টি অন্যরকম। যেমনÑ চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে শুল্ক-কর আদায়ে লক্ষ্যের বিপরীতে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৫৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। লক্ষ্য ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। ভেবে দেখুন, পকেটে অর্ধ লাখ কোটি টাকার টান নিয়ে রাষ্ট্র কিভাবে তার সামনের দিনগুলো গুজরান করবে। মনে রাখতে হবে কর-রাজস্ব একটি সরকারের সবচেয়ে মৌলিক কাজ। কারণ, নাগরিকদের দেওয়া কর-রাজস্বেই সরকার পরিচালনা ও জনস্বার্থ পূরণের জন্য সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের কলকবজা চলে। অথচ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নকামী দেশগুলোর সরকার রাষ্ট্রের ব্যয় নিয়ে কিছুটা বললেও আয় নিয়ে জনগণকে কখনো তেমন কিছু জানায় না। কেবল কর বাড়ানোর সহজ পথ হিসেবে পরোক্ষ করের জাল সুবিস্তৃত করে। তাতেও না কুলোলে দেশী-বিদেশী উৎস থেকে ঋণ-ধার-কর্জ করে। সরকারের কর আয় নিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রাখার কারণ, আসলে উপনিবেশিক উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া শাসনধারা ও দুর্বৃত্ত পুঁজিবাদের কল্যাণে মুফতে লাভ করা শাসন-শোষণের অনাবিল আনন্দের মজা।
চিন্তা করে দেখুন, রাষ্ট্রের পকেটে টাকা নেই অথচ কর বিভাগসহ সরকারি প্রশাসনের সব অঙ্গের লোকজনেরা তেলেঝোল-শানশওকতের কমতি নেই। একজন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও সচিবেরই ব্যক্তিগত কার্যাবলী নির্বিঘ্ন রাখার জন্য পাইক-পেয়াদা-ব্যাটম্যানসহ বেশ কয়েকজন রয়েছে। ঝকঝকে গাড়ির সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা রক্ষণাবেক্ষণ, ড্রাইভার সরকারের। আর এসবই চলে জনগণের কষ্টার্জিত আয়ে কর-ভ্যাটের মাধ্যমে। অথচ রাষ্ট্রের চরম দুর্দিনেও তাদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে মহার্ঘ্য ভাতা (প্রণোদনা) দিয়ে অত্যাবশকীয় কিছু কাজ করে দেওয়ার জন্য তেলাতেলি করতে হয়। অনেকের মনে হতে পারে, এই যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম কর-রাজস্ব আদায় হলো, এতে কি সরকারের কর্তাব্যক্তিদের তেলঝোল অবস্থা কমবে? মোটেও না। কারণ, মহাজনরা ঋণ দিতে টাকা নিয়ে বসে আছে এবং অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের সরকারগুলো সেটাই করছে, দেশী-বিদেশী নানা ঋণ নিচ্ছে। ঋণ পাওয়া কষ্টকর হলে উচ্চ সুদের বাজারে বন্ড, স্পেশাল বন্ড ছেড়ে টাকাওয়ালা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থসংগ্রহ করছে। এই যেমন এখন দেশে দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বকেয়া। তাই বন্ড থেকে টাকা জোগাড় করে ভর্তুকির অর্থ শোধ করা হয়। এ যেন ‘টাকা দেবে গৌরী সেন’ অবস্থা। এভাবে তো দেশের প্রতিটি মানুষের ঘাড়ে ঋণের বোঝা নীরবে শুধু বেড়েই চলছে এবং সুদের অর্থের সিংহভাগ কেবলই শোধ করতে হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে।
রাষ্ট্রের গভীরে এতসব কিছু হতে থাকলেও কোনো সরকারই একবারও বলে না যে, দেশে ধনী-অতিধনীরা কত আয় করে আর কত আয়কর দেয়, দেশে বছরে কত ঘুষ লেনদেন হয়, দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ীরা বছরে কী পরিমাণ কর-শুল্ক ফাঁকি দেয়, কী পরিমাণ সম্পদ কর পাওয়ার কথাÑ কী পরিমাণ পায় কিংবা কালো টাকার পরিমাণই বা কত। এই অবস্থা চলছে গত ৫৩ বছর ধরেই। বাংলাদেশের কর-রাজস্ব আয়ের কাঠামো দেখলেই উল্লিখিত প্রশ্নে সরকারের চুপ থাকা খোলসা হবে। এনবিআর বলছে, ২০২৪-এর জুলাই-ডিসেম্বরে আমদানি-ভ্যাট-আয়কর, তিন খাতের কোনোটিতেই ছয় মাসের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। সবচেয়ে বেশি ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। যেখানে আয়ের লক্ষ্য ছিল ৭৬ হাজার ৬৭ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৫২ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। অন্যদিকে আমদানি খাতে ৬১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে ৪৯ হাজার ৮০ কোটি টাকা। ভ্যাট বাবদ আদায় হয়েছে ৫৫ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা, লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৬ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। খেয়াল করলে দেখবেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর অন্যায়ভাবে চাপানো ভ্যাটই সবচেয়ে ভালো খেলা দেখিয়েছে। কারণ, সরকারি দপ্তরে এসির মধ্যে বসে থাকলেও ভ্যাট নিজে নিজে কোষাগারে চলে গেছে। ভ্যাট আরও ভালো করত যদি দুর্নীতিটা কম হতো। অথচ দেশে সবচেয়ে গরিব প্রায় পৌনে ২০ লাখ পরিবার প্রতি মাসের গড় আয় মাত্র ৭৪৬ টাকা। সবচেয়ে গরিব ৫ শতাংশ পরিবার। একইভাবে সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশ বা ১৯ লাখ ৬৫ হাজার পরিবারের মাসিক গড় আয় ৮৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ দেশের সবচেয়ে হতদরিদ্র পরিবারের চেয়ে সবচেয়ে ধনীরা প্রায় ১১৯ গুণ বেশি আয় করে (এই পরিসংখ্যান কারচুপি করা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের, যা ২০১৮ সালে প্রাথমিকভাবে প্রকাশ করে গত ২৪ সেপ্টেম্বরে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়। এখানে লক্ষণীয়, ২০১৬ সালে করা ধনী-দরিদ্র প্রবণতার চিত্র জনগণকে জানানো হয় ২০২৪ সালে, অর্থাৎ ৮ বছর পর)। ৭৪৬ টাকা আয়কারী, আর ৮৯ হাজার টাকা আয়কারীÑদুজনেই ১টি অত্যাবশকীয় টয়লেট টিস্যু কিনলেই ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। ধনিক শ্রেণি বলবে, গরিবের টিস্যুর কি দরকার! টিস্যু ব্যবহার না করা মানে রোগবালাই। রোগবালাই হলে ডাক্তার। আর ডাক্তার মানে (স্বাস্থ্য খাত) মতিউরদের সৃষ্টি। এ এক দুর্ভেদ্য চক্র। চিন্তা করলেই মাথা নষ্ট!
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত রাজস্ব খাত সংস্কারের পরামর্শক কমিটির একজন সদস্য কম কর-রাজস্বের কারণ হিসেবে চলতি অর্থবছরের শুরুর দুই মাস (জুলাই-আগস্ট) দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত এবং আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট আদায় বিঘ্নিত হওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি তার পুরনো কর্মক্ষেত্রের আয়কর আদায়ে বরাবর কাঁচকলা দেখানো নিয়ে খুব একটা কিছু বলেননি। এনবিআর যে অক্ষম একটি সংস্থা এবং ধনিক শ্রেণি ও বিশ^ব্যাংক-আইএমফের কথায় চলে, তা অনেকেরই জানা। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করে, তা কোনো বছরই পূরণ করতে পারে না। এর অন্যতম কারণ, প্রত্যক্ষ করের চেয়ে ভ্যাটের মতো পরোক্ষ করের ওপর বেশি নির্ভরশীলতা। সরকারি রাজস্বের ৭০ শতাংশই আসে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও শুল্কের মতো পরোক্ষ খাত থেকে। প্রত্যক্ষ কর থেকে আসে মাত্র ৩০ শতাংশ। আবার প্রত্যক্ষ করের ৮৫ শতাংশই আসে উৎসে কর কর্তন ও অগ্রিম কর থেকে। মূলত কর প্রদানে সক্ষম দেশের মানুষের বড় একটা অংশ করজালের বাইরে থাকায় তাদের কাছ থেকে রিটার্নের ভিত্তিতে আয়কর নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া আয়কর নেওয়া-দেওয়ার পদ্ধতিটাই এমন জটিল যে, তা বোঝার জন্য কর বিভাগ না-হয় অন্য লোকজনের সাহায্য নিতে হয়। ঝামেলাপূর্ণ হওয়ায় করদাতারাও আয়করই দিতে চান না। যারাও বা দিতে চান, তারাও কর কর্মকর্তাদের চাপ-তাপ-প্রলোভনে কর ফাঁকির পথ বেছে নেন। এই ফাঁকেই তৈরি হয় ছাগলকাণ্ডের হোতারা। ফলে ব্যয় মেটাতে পরোক্ষ করের ওপর নির্ভর করতে হয় সরকারকে। অর্থনীতিবিদরা অনেক দিন ধরেই বলছেন, বাংলাদেশের কর-জিডিপির অনুপাত ১০ শতাংশের ওপরে নিয়ে গিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ টানতে হলে প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কর-জিডিপি অনুপাত কমের কারণে সরকার নাগরিকদের মৌলিক চাহিদাও পূরণ করতে পারছে না। যাও বা করছে, তাও বাজেট ঘাটতি মেটাতে ফি বছর কেবল ঋণই নিয়ে।
এই যখন অবস্থা, তখন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার রাজস্ব খাত সংস্কারের জন্যে একটি পরামর্শক কমিটি করে গত ১০ অক্টোবর। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কারে এই সংস্থারই সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ৫ সদস্যের পরামর্শক কমিটি ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কমিটির সুপারিশে আছে এনবিআর এখন থেকে আলাদা বিভাগ হবে, প্রধান হবেন সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা, এনবিআর কাজ করবে মাঠপর্যায়ে শুল্ক-কর আদায়ে। আয়কর থেকে শুরু করে ভ্যাট-কাস্টমস বিষয়ে নীতি গ্রহণ করবে রাজস্ব নীতি কমিশন, যার প্রধানও হবেন সচিবমর্যাদার কেউ। সুপারিশে আরও আছে অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বড় ব্যবসায়ী সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি স্থায়ী উপদেষ্টা পরিষদ গঠন। কমিশন যত ধরনের রাজস্ব সংক্রান্ত নীতি গ্রহণ করবে, তা স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করবে, একই সঙ্গে অনুমোদন নেবে। রাজস্ব সংক্রান্ত যত মামলা আছে তা সবই শুল্ক সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনালগুলো নিয়ে চলে যাবে কমিশনের অধীনে। কর পরিবর্তন সংক্রান্ত পরিবর্তনও সব চলে যাবে কমিশনে। কমিশন আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে। এমনকি কমিশন অর্থবিল তৈরির ক্ষমতাও পাবে। আর কী কী আছে কমিটির প্রতিবেদনে, তা স্পষ্ট করে জানা না গেলেও গত ১৬ জানুয়ারি এই কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেছেন, ‘এটা ঠিক, বৈপ্লবিক কিছু করা যাবে না। আমাদের সমাজে সেই অবস্থা নেই। তবে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের প্রস্তাবগুলো তৈরি করছি। সবার মধ্যে সংস্কার নিয়ে একধরনের চেতনা তৈরি হোক।’ কমিটি প্রধানের এই উদ্ধৃতিতে একটি জিনিস পরিষ্কার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মানুষের যে সীমাহীন চাওয়া ছিল, তার অনেকটাই আর কিছুদিনের মধ্যেই নেমে আসবে মাটিতে।

লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

×