বর্তমান সময়ের অতিপ্রয়োজনীয় যান মোটরসাইকেল। সহজ ব্যবহার আর দ্রুততার সঙ্গে ঝামেলাবিহীন যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল সকল শ্রেণির কাছে বেশ জনপ্রিয়। বালক বয়সে সাইকেল ও কিশের বয়সে মোটরসাইকেল যেন এক আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা। তবে অনেক কিশোর নতুন ব্র্যান্ডের নব্য মোটরসাইকেল হাতে পেয়ে যেন বেপরোয়া গতির মহোৎসবে মেতে ওঠে। কিছুতেই আর নিজ পরিধির মধ্যে থাকতে চায় না। ভ্রমণের নেশা, নতুনত্বকে দেখার আকুলতা যেন কিশোর মোটরবাইকারদের জন্য এক বিশেষ অনুষঙ্গ। অনেকেই দেখা যায় সাইলেন্সার পাইপের পেছনের অংশ খুলে ফেলে বিকট শব্দে নিজের উগ্রতা আর উচ্ছৃঙ্খলতাকে জানান দেয়। তাদের এমন আচরণে মনে হয় যেন তারা বিনয়কে ছুটিতে রেখে উচ্ছৃঙ্খলতাকে আপন করে নিয়েছে। রাস্তায় চলার সময় তাদের লাগে না মোটবাইকারদের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় হেলমেট। এরা তোয়াক্কা করে না ট্রাফিক আইনের, এরা মান্য করে না ট্রাফিক সিগন্যাল। সড়কে কিছু উগ্র কিশোর মোটরবাইকারদের দৌরাত্ম্যে প্রতিনিয়ত রাস্তার কালো পিচ রক্তে রক্তাক্ত হচ্ছে। অনেকেই নির্মমভাবে অকাল মৃত্যু কিংবা পঙ্গুত্ব বরণ করছে সেই সঙ্গে শখের মোটরসাইকেল ও দুমড়েমুচড়ে একাকার হয়ে যায়। কিশোর মোটরবাইকারদের উগ্র আচরণ নিয়ন্ত্রণে ও সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে বাইকারদের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় হেলমেট ব্যবহার সর্বস্তরে নিশ্চিত করতে হবে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মোটরসাইকেল চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ট্রাফিক আইন ও ট্রাফিক সিগন্যাল যথাসম্ভব মেনে চলতে হবে। মোটরসাইকেল চালানোর সময় সর্বদা সজাগ, সতর্ক ও সচেতনতার সহিত চলতে হবে। রাস্তায় বেপরোয়া গতির প্রতিযোগিতা পরিহার করতে হবে। রাস্তায় উগ্র কিশোরদের বেপরোয়া গতি রোধে এবং বাইকারদের উগ্র আচরণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ থেকে