ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১

বন্ধুত্ব হোক বইয়ের সঙ্গে

প্রকাশিত: ২০:১০, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

বন্ধুত্ব হোক বইয়ের সঙ্গে

বন্ধু বলতে সেই মানুষটিকে আমরা বুঝি, যে বিপদের সময় আমাদের পাশে থেকে সাহস যোগায়। জীবনের উত্থান-পতনে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করে। শত বিপদেও বন্ধু কখনো বন্ধুকে ছেড়ে যায় না। এমনই একটি বন্ধু হলো বই।বই যদিও কোনো মানুষ নয়, তবুও বইয়ের সাথে বন্ধুত্ব করা যায়। বই আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। পৃথিবীর অজানা জিনিসগুলো আমরা বইয়ের মাধ্যমে জানতে পারি। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসে বইয়ের জায়গা কেড়ে নিয়েছে ডিজিটাল স্ক্রিন।স্ক্রিন আমাদের সময় শুধু ধ্বংস করে না, বরং কাজের উৎপাদনশীলতাও নষ্ট করে দেয়। বর্তমান সময়ে দুশ্চিন্তা, হতাশা, একাকিত্বের মতো মানসিক রোগগুলো স্ক্রিন আসক্তির কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে স্ক্রিনে বইয়ের পিডিএফ পড়তে পছন্দ করে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখ দিয়ে পানি পড়া, মাথাব্যথার মতো সমস্যা দেখা যায়। স্ক্রিনের ক্ষতিকর আলো চোখের জন্য হুমকিস্বরূপ।তাই কাগজে মুদ্রিত বই-ই হোক আমাদের জ্ঞান আহরণের ভান্ডার। এর মাধ্যমে চোখের প্রশান্তি ও আত্মিক শান্তি—দুই-ই মেলে। আসুন, বইয়ের সাথে বন্ধুত্ব করি। বইপ্রেমী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলি।

কাজি সুমাইয়া
কবি নজরুল সরকারি কলেজ

×