ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:০৭, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

ঢাকার দিনরাত

কলম থেমে গেল কথাসাহিত্যিক ফয়জুল ইসলামের

 

 

সত্যি বিচিত্র এ দেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের লকারে তল্লাশি চালিয়ে ব্যাংকটির সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীর রাখা ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭০ লাখ টাকার এফডিআর ও প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের এক কেজি (প্রায় ৮৬ ভরি) সোনার অলংকার জব্দ করা হয়। এ দেখি মিস্টার সুরের অসুরধর্মী কাণ্ডকারখানা!

রাস্তা বন্ধের আকস্মিক ঘোষণা

ঢাকা মহানগরী যানবাহনের আধিক্যে এমন ফেটে পড়ছে যে সড়কে তার জায়গা হচ্ছে না। ফলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। তার একটি হলো সম্প্রতি সেনানিবাসের জাহাঙ্গীর গেট থেকে বিজয় সরণি হয়ে ডান দিকে মোড় নেওয়া বন্ধ করা। এতে নাকি রাজধানীজুড়ে যানজট কমবে! জনসংখ্যার তুলনায় ঢাকায় রাস্তাঘাট কম। যেহেতু ঢাকায় আসা মানুষের স্রোত কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়নি, তাই সীমিত রাস্তাগুলোয় ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যানবাহন চলতে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া অবশ্যকর্তব্য ছিল। এটা পরিষ্কার যে রিক্সা এবং প্রাইভেট গাড়ি (অবশ্যই অফিস-আদালতের গাড়িসহ) সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে সড়কসমূহে। অধুনা মোটর সাইকেলও বিপুল হারে বেড়েছে। এই তিনটি যান সীমিত রাখার সক্রিয় উদ্যোগ কি কর্তৃপক্ষ কখনো নিয়েছে? নেয়নি। আবার গণপরিবহনকেও শক্তিশালী ও সুগম করা হয়নি। ফলে রাস্তাগুলো উপচে পড়ছে যানবাহনে। এখন শহরের সবচাইতে ব্যস্ত ক্রসিং, বিজয় সরনি মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে চালু যান চলাচল সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে নিরুপায় হয়ে। ডান দিকে মোড় নেওয়া বন্ধ করায় ওই সড়কের পরের গুরুত্বপূর্ণ দুই মোড়ে চাপ পড়েছে; যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।

জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন দেশব্যাপী রবীন্দ্রসংগীত চর্চাকারীদের জন্য আনন্দময় পুনর্মিলনী
শনিবার ছুটির দিনে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের পরও ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজারের হোটেল সোনারগাঁও মোড়ে যানবাহনের লম্বা সারি দেখা যায়। বেলা ৩টায় দেখা যায়, কারওয়ান বাজার থেকে জাহাঙ্গীর গেটমুখী সড়কের ডেইলি স্টার ভবনের সামনে থেকে খামারবাড়ী পুলিশ বক্স পর্যন্ত যানবাহনের সারি। খামারবাড়ী হয়ে বিজয় সরণি যেতে ইউটার্নের কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে কারওয়ান বাজার থেকে জাহাঙ্গীর গেটমুখী যানবাহনকে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে এই ডানে মোড় বন্ধের পাশর্^প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি সুন্দরভাবে এসেছে। এ কলামের পাঠক নিচের অংশটুকু পাঠ করলে বুঝবেন রাজধানীর একটি ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যান চলাচল ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হলে কী ধরনের সংকট তৈরি হয়।
‘জাহাঙ্গীর গেটের দিক থেকে বিজয় সরণি সিগন্যালের সামনে এসে দাঁড়ানো সিএনজিচালিত অটোরিক্সার চালক মোজাম্মেল তখনো বুঝতে পারেননি ডানে মোড় নেওয়া বন্ধ। সিগন্যাল ছাড়তেই দড়ি টানিয়ে দেওয়া হলে বুঝতে পারেন তাকে ডানের রাস্তায় যেতে হলে ফার্মগেট হয়ে ঘুরে আসতে হবে। তাকে কেন যেতে দেওয়া হবে না এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির মধ্যেই তিনি বললেন, বনানী থেকে যাত্রী নিয়ে এসেছেন, যাবেন ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে।
মোজাম্মেল বলেন, ‘বিজয় সরণি সিগন্যালের মাথা পর্যন্ত আসতেই কত সময় লাগে বলেন। এখন যখন যাওয়ার সময় হইছে, তখন বলতেছে যাওয়া যাবে না। আমার ধানমন্ডি ২৭ যাইতে হইলে এই রাস্তা ছাড়া উপায়ও নাই। আমি ফার্মগেটে ইউটার্ন নিয়া আবার এই সিগন্যালেরই আরেক দিকে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা লাগবো আবার। আমার এই বাড়তি সময় লাগবে, বাড়তি গ্যাস পুড়ব, সেইটার হিসেব করবে কে?’
ডিএমপির ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-শেরেবাংলানগর জোন) উদয় কুমার সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যারা ধানমণ্ডি, নিউমার্কেট বা সে দিকে যাবেন তারা আগে বিজয় সরণি দিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং হয়ে খেজুরবাগান মোড় হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ দিয়ে মিরপুর রোডে উঠে গন্তব্যে পৌঁছতেন।
‘নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তারা এখন বিজয় সরণি মোড় দিয়ে যেতে পারবেন না। তারা হয় সরাসরি ফার্মগেটের দিকে চলে যাবেন অথবা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে ডানে মোড় নিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের মোড়ে গিয়ে বাম দিক দিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং হয়ে খেজুরবাগান দিয়ে মানিকমিয়া হয়ে গন্তব্যে যাবেন।’
এই সার্জেন্ট বলেন, ‘এক পাশের গাড়ি যদি তিন মিনিট করেও ছাড়া হয়, তাহলে প্রতি পাশের সুযোগ আসবে নয় মিনিট পর। নয় মিনিটে ফার্মগেটের দিক থেকে আসা গাড়ির চাপ কোথায় যাবে?’

রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন
 
এবারের ৪৩তম জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলনে দেশের নানা অঞ্চল থেকে আসা ৫০০ জনের বেশি শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠক অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে তিনদিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়। এই সম্মেলন দেশব্যাপী রবীন্দ্রসংগীত চর্চাকারীদের জন্য পুনর্মিলনীর মতো একটি উৎসব।
সম্মেলনের একটি পর্বের সভাপতির বক্তব্যে মফিদুল হক বলেন, ‘গত শতকের আশির দশকে এই পরিষদ (রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন) গঠনের সময়ই প্রত্যয় নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল, রবীন্দ্রনাথের গানকে আশ্রয় করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। কেননা গানই বাংলাকে বারবার প্রেরণা দিয়েছে।’ তিনি বলেন, বাউল লালন সম্প্রীতিকে আক্রমণ করা হয়েছে, তবু এর মধ্য দিয়ে তিন দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন হলো। মফিদুল হক বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এক মশাল থেকে একদিন অনেক মশালে আলো জ্বলবে। বিরুদ্ধবাদীরা যত আস্ফালনই করুক, মানবতার শক্তি দিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।’

রাতের ঢাকা কি অরক্ষিত

আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘অরক্ষিত মতিঝিল’ নাটকের কথা মনে পড়ে গেল। রাতের ঢাকা কি অরক্ষিত? রাতে ঢাকার রাস্তায় পুলিশ যেন অমাবস্যার চাঁদ। তাদের তল্লাশিচৌকি ও টহল দল কাগজে-কলমে রয়েছে, তবে সড়কে দেখা যায় খুবই কম। ওদিকে ছিনতাইয়ের আতঙ্কে বাস করছেন নগরবাসী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আটটি বিভাগ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো তথ্য বলছে, রাজধানীতে দিন ও রাত মিলিয়ে এক দিনে পুলিশের অন্তত ৫০০ থেকে ৫১০টি টহল দল কাজ করে। এর মধ্যে রাতে টহল দল থাকে অন্তত ২৫০টি। টহল দলগুলো এক দিনে ১২০টির (দিন ও রাত) মতো তল্লাশিচৌকি (চেকপোস্ট) পরিচালনা করে। বেশি পরিচালনা করা হয় রাতে।

কলম থেমে গেল কথাসাহিত্যিক ফয়জুল ইসলামের
আসলেই তল্লাশিচৌকি ও টহল দল সড়কে থাকে কি না, তা দেখতে ১৯ থেকে ২২ জানুয়ারি এবং গত শুক্রবার রাতে ঢাকার অন্তত ৭০ কিলোমিটার সড়ক ঘুরেছেন শীর্ষ জাতীয় দৈনিকের একজন প্রতিবেদক ও একজন ফটোসাংবাদিক। জায়গাগুলো হলো বিজয় সরণি, তেজগাঁও, মহাখালী, বনানী, গুলশান, সংসদ ভবনের দুই পাশ, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, আগারগাঁও, ধানমণ্ডি, হাতিরঝিল, মগবাজার, মধুবাগ, খিলগাঁও, বাসাবো, মতিঝিল, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ ও জাতীয় প্রেস ক্লাব। সড়কগুলো ঘোরা হয়েছে রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত। প্রতিবেদক ও ফটোসাংবাদিক যে সময়ে সংশ্লিষ্ট সড়ক দিয়ে গেছেন, সেই সময়ে শুধু একটি জায়গায় (বাসাবো) টহল পুলিশ দেখা গেছে। শুধু গুলশানে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুটি তল্লাশিচৌকি বা চেকপোস্টের পার্শ্ববর্তী পুলিশ বক্সে পুলিশ সদস্যের অবস্থান করতে দেখা গেছে। অথচ তাঁদের সড়কে অবস্থান নিয়ে তল্লাশিচৌকি পরিচালনা করার কথা। দুই জায়গায় (গুলশান ও মোহাম্মদপুর) পুলিশের দুটি টহল গাড়ি থামানো অবস্থায় দেখা গেছে। কিন্তু সেই গাড়িতে বা আশপাশে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারাও বলেছেন, রাতে ঢাকার সড়কে পুলিশের উপস্থিতি অনেক কম দেখা যায়।

সুমন স্মরণ

সদ্যপ্রয়াত গুণী কথাসাহিত্যিক ফয়জুল ইসলামের ডাক নাম সুমন। মাত্র ষাট পেরিয়েছিলেন তিনি, অকালপ্রয়াত হলেন ক্যান্সারে। তাঁর অনুজ ফাহিমুল ইসলাম (শোভন) ভাইকে নিয়ে যে লেখা প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সেটি হৃদয় স্পর্শ করে। নিচে তার অংশবিশেষ।
‘জীবন বড় মধুর/ জীবন বড় নিষ্ঠুর Ñ সন্তানহারা আমাদের মায়ের অন্তর্গত আর্তনাদ।
ফয়জুল ইসলাম সুমন আমাদের বড়ভাই। আমাদের ভাইয়া...  যে ডাক আর কোনোদিন ডাকতে পারব না আমরা। ভাইয়া আমাদের আদর, আমাদের মায়া, আমাদের বন্ধন।
ভাইয়া সচিব ছিল কিংবা কথাসাহিত্যিক... সে পরিচয়ের ঊর্ধ্বে  গভীরতম পরিচয় সে আমাদের ভাই।
একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি আমরা। সুখে দুঃখে কিংবা কর্মে কুকর্মে আমার সাথী।
ছোটবেলা থেকে ভাইয়া লেখে, আবৃত্তি করে, বিতর্ক করে, উপস্থাপনা করে, আরও কত কী! আব্বা আম্মার বকা খেয়েও ভাইয়া লুকিয়ে লিখত। লেখাপড়া নষ্ট হবে ভেবে আব্বা আম্মা সবসময়ই চিন্তায় থাকত।
মেধাবী ভাই আমার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের প্রেমে পড়ে বুয়েটের এডমিশন টেস্টে সাদা খাতা জমা দিয়ে এলো। কারণ চান্স পেলে তাকে আব্বা বুয়েটে ভর্তি করবে। ইকোনমিক্স পড়ার পাশাপাশি চলতে থাকে তার নিজস্ব পরিচয় গড়ার কাজ। স্বননের পরিচিত মুখ হয়ে উঠে সুমন।
প্রচণ্ড বন্ধুবৎসল ফয়জুল ইসলামের ব্যপ্তি বাড়তে থাকে।
রাজশাহীর পাট চুকিয়ে ঢাকায় এলো ভাইয়া। ব্র্যাক, আইএফআইসি, থাই এ্যালুমিনিয়ামে চাকরি করে বুঝতে পারে এসব কাজের জন্য তার জীবন নয়। সিদ্ধান্ত নেয় বিসিএস দেবে।
সরকারি চাকরিতে সে সফলভাবে কাজ করে সচিব পদমর্যাদায় থাকাকালীন সময়ে অবসরে যায়।
শরীরে বাসা বাঁধে কর্কট রোগ।
পূর্ণ সুস্থ হয়ে ইউএনডিপিতে যোগদান করে।
অবসরে হাত খুলে লিখবার কথা ছিল। ঘুরে বেড়ানোর কথা ছিল। লেখা তার জীবনের অংশ। কখনো তাড়াহুড়ো করে লেখেনি। লেখা তার সাধনা, লেখা তার ধ্যান। কথাসাহিত্যিক হিসেবে তাকে বরণ করেছে সাহিত্য অঙ্গন।
প্রচারবিমুখ ভাইয়া কোনোদিন কোনো পুরস্কার বা প্রাপ্তির জন্য লেখেনি। তার কাছে কোনো তেলের ডিব্বা ছিল না।
তার প্রাপ্তি তার অসংখ্য পাঠকের ভালোবাসা। তার প্রাপ্তি তার সৃষ্টিকে আলাদাভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
প্রাণবন্ত ফয়জুল ইসলাম সুমন অনেকের অনুপ্রেরণা আর ভালোবাসা। লেখক পরিচিতির এই পথ সে নিজে তৈরি করেছে একান্তে।
তার জন্য সারা বাংলাদেশের মাটি অবারিত। সে গণমানুষের অন্তর নিঃসৃত লেখা লিখেছে।
কোনো এক ব্রাহ্মণ প্রতিষ্ঠানের মাটিতে তার লেখক বন্ধুরা শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলেন।
তিনি মৃত এই মর্মে লিখিতভাবে জানিয়ে সেই মাটির জন্য দরখাস্ত করতে বলা হলো। এই দৈন্য, এই ক্ষুদ্রতা ফয়জুল ইসলামকে সম্মানিত করেছে ভিন্নভাবে। তিনি এমন কোনো সম্মান কখনো চাননি যা কিনা ভিক্ষাসম। তাদের যে সমসাময়িক লেখকদের সম্বন্ধে ধারণা নেই সেটাও প্রকটভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এবং তাদের অযোগ্যতা দৃশ্যমান হয়েছে।
পারিবারিক শিক্ষায় আমরা নির্মোহ হতে শিখেছি।  আব্বা কোনোদিন কোথাও ভাষাসৈনিক পরিচয়ে কোনো সুবিধা নেয়নি। ফয়জুল ইসলাম সুমন আব্বার সন্তান। আমরা সহোদর।
প্ল্যানিং কমিশনে ভাইয়া দীর্ঘদিন চাকরি করেছে। তারা পরিবারের কাছে ওখানে জানাজার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে এবং সেটা হয়েছে। সেখানের মাটির জন্য মৃত্যু সনদ লাগেনি, লাগেনি কোনো লিখিত কাগজ।
২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আব্বাকে নতুন ঠিকানা আজিমপুরে রেখে আসে ভাইয়া ও শোভন। একই কবরে আব্বার কোলের উত্তাপে গতকাল ভাইয়াকে রেখে এলো শোভন, সুদীপ, সৌম্য, সৌভিক, তীর্থ, মিনার; ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ভাইয়ার অনন্ত যাত্রা শুরু।’
২৬ জানুয়ারি ২০২৫
[email protected]

×