ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

ঢাকার দিনরাত

মানুষ আর মানুষ নেই। শিশু ধর্ষণের খবর মাঝেমধ্যেই কাগজে আসে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ফুল বিক্রি করা শিশুকে কিভাবে ধর্ষণ করে মানুষের মতো দেখতে কোনো পুরুষ? শাহবাগে ১৫ জানুয়ারি ফুল বিক্রেতা এক শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন। শুক্রবার বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে সমাবেশ থেকে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে টিএসসিতে এসে শেষ হয়। প্রতিবাদকারী বক্তা আবু সাদাত বলেন, ‘ফুল বিক্রেতা শিশুকে ধর্ষণ করলেও এ ব্যাপারে কেউ কোনো টু শব্দ করেনি। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সুশীল সমাজের এই নির্লিপ্ততাই প্রমাণ করে, এ দেশ সবার জন্য সমান নয়।’

প্রধান ঘাতক বায়ুদূষণ

সংক্রামক বা অসংক্রামক কোনো ব্যাধি নয়, দেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে বায়ুদূষণে। এই তথ্য আপনি বিশ^াস নাও করতে পারেন, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে প্রতি বছর ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৬ জনের মৃত্যু হচ্ছে। একই কারণে প্রতি বছর নয় লাখ মায়ের অকালপ্রসব হচ্ছে এবং প্রায় সাত লাখ শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। বায়ুদূষণজনিত সমস্যা নিয়ে প্রতি বছর ৬ লাখ ৭০ হাজার রোগী জরুরি বিভাগে ভর্তি হচ্ছে। এতে সম্মিলিতভাবে বছরে ২৬৩ মিলিয়ন কর্মদিবস হারিয়ে যাচ্ছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে সিআরইএ ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে সূক্ষ্মকণা বায়ুদূষণে জনস্বাস্থ্য প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনায় এ গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়।


বায়ু দূষণের কারণে হার্ট ডিজিস, স্ট্রোক, হাপানি-শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ও ফুসফুস ক্যান্সারের মতো মারণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সিআরইএ-এর নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। সিআরইএর গবেষণা বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দূষিত দেশের তালিকায় স্থান পায়। যেখানে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র বালু কণার বার্ষিক মান (পিএম ২.৫) ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। যা বার্ষিক জাতীয় মানদণ্ড ৩৫ মাইক্রোগ্রামের দ্বিগুণের বেশি। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড ৫ মাইক্রোগ্রামের ১৫ গুণ বেশি। বায়ুর এমন চরম দূষণ জনস্বাস্থ্যের ওপর অনিবার্য পরিণতি ডেকে আনছে। বিভিন্ন বয়সীরা নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি ৫ বছর কম বয়সী শিশুদের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

স্বাভাবিক প্রসবে উদ্বুদ্ধকরণ

ডাক্তার ও হাসপাতাল সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক কথা শোনা যায়্ সেজার করা দরকার নেই অথচ শুধু টাকা উপার্জনের জন্য সেটি করানো হচ্ছে, এমন কতা অহরহ শোনা যায়। কিন্তু স্বাভাবিক প্রসবের জন্যেও যে ভূমিকা রাখেন অনেক ডাক্তার ও হাসপাতাল, সেটি ফলাও করে গণমাধ্যমে আসে না। আরেকটি বিষয়, মানুষের ধারণা, সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি হলে পরবর্তী প্রতিটি প্রেগন্যান্সিতে সিজার করা দরকার। এটি ঠিক নয়। আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেশে লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়া সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সিজারিয়ান প্রেগন্যান্সি রোগীকেও নরমাল ডেলিভারিতে (স্বাভাবিক প্রসব) উদ্বুদ্ধ করছেÑ এমন খবর শুনলে ভালো লাগে।
আদ্-দ্বীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সিজারিয়ান ডেলিভারির পরও ৭০-৭৫ ভাগ মা পরবর্তী প্রেগন্যান্সিতে নরমাল ডেলিভারির জন্য উপযুক্ত থাকেন। প্রথমবার সিজারিয়ান হওয়ার পরও দ্বিতীয়বার নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব। তবে এটি মূলত ডাক্তার ও নার্সদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সম্ভব।

স্বাভাবিক উপায়েই নতুন শিশুর জন্মগ্রহণ প্রত্যাশিত
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আদ্-দ্বীন হাসপাতালে সিজারিয়ান ডেলিভারির জন্য আসা বেশ কয়েকজন রোগী নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করতে পেরে রোগী ও তাঁর পরিবারের সবাই খুশি। সিজারিয়ান ডেলিভারি নিয়ে বিভিন্ন চিন্তার মধ্যে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল আশার আলো দেখিয়েছে বলে আনন্দিত স্বজনেরা। আমেনা আক্তার নামের এক রোগী গণমাধ্যমকর্মীকে বলেন, জানান, ‘আমার প্রথম বাচ্চা সিজারের মাধ্যমে হয়েছে। এ জন্য আমার পরিবারের সবাই সিজার করতে বলেছে। তবে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা আমাকে নরমাল ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং সাহস জুগিয়েছেন। তাঁদের পরামর্শে আমি নরমাল ডেলিভারিতে সম্মতি দিই। নরমাল ডেলিভারি করাতে পেরে আমি অনেক খুশি।’
অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, ‘আদ্-দ্বীন হাসপাতাল শুরু থেকেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের আস্থা অর্জন করেছে। আমরা মূলত চেষ্টা করি নিরাপদ ডেলিভারি বা সেফ ডেলিভারির। সেফ ডেলিভারির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে থাকি।’

রেস্টুরেন্টে বাড়তি বিল

এক বাটি সিফুড ক্লিয়ার সুপের দাম মেনুতে লেখা থাকবে ৭৪৫ টাকা। কিন্তু আপনাকে পে করতে হবে ৯০৯ টাকা। কিভাবে? হিসাবটা দিচ্ছি। সুপের দামের সঙ্গে শতকরা ১৫ টাকা হারে ভ্যাট ও ৭ টাকা হারে সার্ভিস চার্জ যোগ করেই ওই গলাকাটা দাম নেওয়া হবে। এই অরাজকতা ঢাকায় চলছে। অন্তত একটি প্রমাণ হাতে আছে। সেটি হলো ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়কের কনকর্ড হেরিটেজ ভবনের একটি রেস্টুরেন্টের। ওই বহুতল ভবনের প্রতিটি ফ্লোরেই একটি করে বড় রেস্টুরেন্ট রয়েছে। কোনো কোনোটিতে বসার জায়গা পাওয়াই কঠিন। এত ভিড়।
আমার বন্ধু সাংবাদিক আনিস আলমগীর লিখেছেন: রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে বিল যতই হোক তাতে আমার মনোকষ্ট না হলেও (যেহেতু জেনেশুনেই যাচ্ছি) রেস্তোরাঁয় ১০ ভাগ সার্ভিস চার্জ দেখলে মেজাজ গরম হয়ে যায়। আমি যে খাদ্য নিচ্ছি সেটা তো সার্ভিসসহ নিচ্ছি তার জন্য আবার আলাদা বিল দিতে হবে কেন। বিক্রি করবে তুমি সার্ভিস কি অন্য জনে দেবে? আর সার্ভিস পেয়ে সন্তুষ্ট হয়ে আমি টিপস দিই না এমন কোনো নজির নেই, মেজাজটা আমার এজন্যই গরম হয়। আইনি দিক থেকে দেখলে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০১৩-স্পষ্টভাবে বলা হয়নি যে রেস্তোরাঁগুলো সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে কি না। বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) ২০২২ সালে একটি নির্দেশিকা জারি করে যেখানে বলা হয়েছে যে, রেস্তোরাঁগুলো সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে, তবে এটি ঐচ্ছিক হতে হবে এবং গ্রাহকদের স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। বাস্তবতা হচ্ছে অনেক রেস্তোরাঁয় বিলের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ যুক্ত করা হয়। কিছু রেস্তোরাঁয় কোনো সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয় না। এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার যৌক্তিকতা কী জানতে চাইলে রেস্টুরেন্টের ওয়েটাররা বলবে, রেস্তোরাঁ কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়। রেস্তোরাঁর পরিবেশ ও পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য অর্থ ব্যবহার করা হয়।
এই টাকা তারা সবাই নির্দিষ্ট হারে ভাগ করে পায়। বাস্তবতা হচ্ছে, মালিক কর্তৃপক্ষ এই টাকা দিয়ে তাদের বেতন দেয়। অনেক ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ বাধ্যতামূলকভাবে নেওয়া হয়, যা ভোক্তাদের ওপর অপ্রয়োজনীয় আর্থিক বোঝা তৈরি করে। সার্ভিস চার্জের পরিমাণ নির্ধারণে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যার ফলে অনৈতিকভাবে বেশি চার্জ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। কর্মীদের বেতন ও সুবিধা উন্নত করার জন্য রেস্তোরাঁ মালিকদের নীতিগত দায়িত্ব রয়েছে, যার জন্য গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হবে কেন। সবচেয়ে বড় কথা এই সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয় প্রতারণার মাধ্যমে।’
আসা যাক ভ্যাটের প্রসঙ্গে। রেস্টুরেন্টে খাবারের বিলের ওপর শতকরা ৫ ভাগ ভ্যাট আদায় বিধিসম্মত। এর বেশি আদায় করলেই অনিয়ম। ৫ টাকা হারে আদায় করলেও সেটি যে সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে তার প্রমাণ কি? ভ্যাট আদায়ের কর্মচারীর সঙ্গে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের লেনদেনের বিশেষ সম্পর্ক থাকে, এমন অভিযোগ রয়েছে। তাই দুর্নীতি রোধে হঠাৎ হঠাৎ মেজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালানো জরুরি। রেস্টুরেন্টে খেতে আসা নাগরিককে যেন বাড়তি বিল পে করতে না হয়, এবং তিনি বিধি অনুযায়ী যে পরিমাণ ভ্যাট দিচ্ছেন সেটি সত্যিই আদায় ও জমা হচ্ছে, এটি নিশ্চিত করা চাই।

স্থাপত্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ

শনিবার সন্ধ্যায় বেঙ্গলে পৌঁছে দেখি সাততলায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। সামনে ভাষার মাস, বইমেলার মাস। এ সময়ে নতুন বইয়ের প্রকাশনা উৎসব হয় ঘটা করে। কিন্তু আলোচ্য বইটি তেমন নয়। এটি ইংরেজিতে লেখা, এবং বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও সাহিত্যিক-অনুবাদক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মতে, অত্যন্ত উঁচুমানের ইংরেজিতে লেখা এই ঢাউশ গ্রন্থ। ফলে এটির ক্রেতা ও পাঠক সত্যি বলতে কি দেশের বাইরের ইংরেজি ভাষায় লেখা গ্রন্থেরই পাঠক এবং বাংলাদেশের কিছু স্থপতি হবেন বলেই আমার ধারণা। যাহোক, মোড়ক উন্মোচন হলো দ্য মাদার টাং অব আর্কিটেকচার বইয়ের। ৪৩টি প্রবন্ধ ও সাক্ষাৎকারের এ সংকলনে স্থাপত্যকে তুলে ধরা হয়েছে ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করে। বইটি স্থপতি কাজী খালিদ আশরাফের তিন দশকের স্থাপত্যবিষয়ক ভাবনা ও দর্শনের সারাংশ। দ্য মাদার টাং অব আর্কিটেকচার বইয়ের প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করে বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপ অ্যান্ড সেটেলমেন্ট।
অনুষ্ঠানে ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের বক্তব্যে উঠে আসে স্থাপত্যের মাধ্যমে মানুষের জন্য পরিসর তৈরির প্রসঙ্গ। দ্য মাদার টাং অব আর্কিটেকচার বইয়ের সূত্র ধরে তিনি বলেন, ‘জলময়তাই ছিল এই বদ্বীপের জীবনের নিবিষ্টতা। আমাদের স্থাপত্যের ইতিহাস অনেক দিনের। খনার বচন থেকে থেকে শুরু করে সূর্যদীঘল বাড়ি চলচ্চিত্রে আছে স্থাপত্যের সম্পর্ক। কিন্তু বর্তমানে সাহিত্যে স্থাপত্য বহুদূরের একটি বিষয়। সেখানে কাজী খালিদ আশরাফের কাজটি ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ বইয়ের স্থাপত্যভাবনায় গুরুত্ব পেয়েছে মানুষের জন্য পরিসর তৈরির প্রসঙ্গটি।
স্বাগত বক্তব্যে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘বদ্বীপের সক্রিয় প্রক্রিয়া চলছেÑ এ কথা আমরা খেয়াল রাখি না। আর সেটাই আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেন স্থপতি কাজী খালিদ আশরাফ। সেই কথাগুলো নিয়েই দ্য মাদার টাং অব আর্কিটেকচার বইটি।
কাজী খালিদ আশরাফ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মাদার টাং বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে আদি সম্পর্ক। ভাষার বড় স্থান আছে আমাদের জাতিসত্তা ও সংস্কৃতিতে। স্থাপত্যেও তাই। মুখের ভাষা, স্থাপত্যের ভাষা, ভৌগোলিক অবস্থান, সংস্কৃতিÑ এই চারটি উপাদানই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’

জন্মদিন উপলক্ষে একক বইমেলা

১৪ জানুয়ারি ছিল সাহিত্যিক আকিমুন রহমানের জন্মদিন (জ. ১৯৬০)। এ উপলক্ষে বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে তিনদিনব্যাপী লেখকের একক বইমেলার আয়োজন করা হয়। একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আকিমুন রহমান বাংলাদেশের প্রবন্ধ, গবেষণা ও কথাসাহিত্যে এক বিশিষ্ট নাম। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে : উপন্যাস : পুরুষের পৃথিবীতে এক মেয়ে রক্তপুঁজে গেঁথে যাওয়া মাছি, জীবনের রৌদ্রে উড়েছিল কয়েকটি ধূলিকণা, পাশে শুধু ছায়া ছিল, সাক্ষী কেবল  চৈত্রমাসের দিন, অচিন আলোকুমার ও নগণ্য মানবী, একদিন একটি বুনোপ্রেম ফুটেছিলো, নিত্য যে নদী বহে, যখন ঘাসেরা আমার চেয়ে বড়; গল্পগ্রন্থ : এইসব নিভৃত কুহক, জীবনের পুরনো বৃত্তান্ত, জলের সংসারের এই ভুল বুদবুদ; কিশোর সাহিত্য : সোনার খড়কুটো (গল্প সংকলন) ও পানিডাঙা গ্রামে যা কিছু ঘটেছিল। গবেষণা গ্রন্থ : আধুনিক বাংলা উপন্যাসে বাস্তবতার স্বরূপ (১৯২০-৫০), পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, বাংলা একাডেমি, বিবি থেকে বেগম : বাঙালি মুসলমান নারীর ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস, নিরন্তর পুরুষভাবনা, ইত্যাদি।

জন্মদিনে প্রবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক ড. আকিমুন রহমান
আকিমুন রহমান অনেকটা নিভৃতচারী, নিজের লেখার টেবিল ও কর্মস্থল বিশ^বিদ্যালয়ের পরিমণ্ডলেই স্বস্তি বোধ করেন। তাঁর অনুরাগী পাঠকের সংখ্যা প্রচুর। একক বইমেলার আয়োজকেরা ভক্ত-পাঠকদের সুযোগ করে দিয়েছিলেন প্রিয় লেখকের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলাপনের। নতুন প্রজন্মের বহু ক্রেতা ও বইপ্রেমীরাও লেখক আকিমুন রহমানের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে ধারণালাভের সুযোগ পেলেন। একক বইমেলা তাই একইসঙ্গে আনন্দদায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ।  

১৯ জানুয়ারি ২০২৫
[email protected]

×