ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

প্রাত্যহিক জীবনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা

ড. আলা উদ্দিন

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

প্রাত্যহিক জীবনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা

স্বাস্থ্যবিধি হলো এমন একটি বিষয়, যা মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। এটি শুধু কোনো মহামারি বা রোগ প্রতিরোধের জন্য নয়, বরং একটি পরিচ্ছন্ন, সুশৃঙ্খল এবং স্বাস্থ্যবান সমাজ গঠনের পূর্বশর্ত। কিন্তু আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবিধি পালন অনেকাংশে সংকটকালীন পরিস্থিতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। মহামারির সম্ভাবনা দেখা দিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়, কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে এই অভ্যাসগুলো চর্চিত হয় না। এর ফলে মহামারির সময়ও জনগণ তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়। এই অভ্যাসের অভাব কেবল জনস্বাস্থ্যের জন্যই নয়, বরং সামাজিক পরিবেশের জন্যও হুমকিস্বরূপ। তাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।
যত্রতত্র থুতু বা কফ ফেলার অভ্যাস আমাদের সমাজে একটি বড় সমস্যা। এটি শুধু অস্বাস্থ্যকর নয়, বরং জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশ উভয়ের জন্য হুমকি। থুতু বা কফ ফেলার মাধ্যমে নানা ধরনের রোগজীবাণু বাতাস বা মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। যেমনÑ যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং সাম্প্রতিককালে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস। গবেষণায় দেখা গেছে, যত্রতত্র থুতু ফেলার মাধ্যমে যক্ষ্মার মতো মারাত্মক রোগ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনাভাইরাস, রিওভাইরাস কিংবা এইচএমপিভি ভাইরাসও ছড়ায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশে একজন এইচএমপিভি ভাইরাসে শনাক্ত মানুষ ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। রাস্তা বা পাবলিক স্থানে থুতু ফেলার ফলে পরিবেশ নোংরা হয় এবং পথচারীদের জন্য হাঁটাচলার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এটি সামাজিক শিষ্টাচারেরও লঙ্ঘন। অনেকেই এর ফলে বিরক্ত হন এবং সমাজে এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অথচ এই অভ্যাসটি দূর করতে ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সামাজিক উদ্যোগের প্রয়োজন।
ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। এটি শুধু ধূমপায়ীর জন্য নয়, বরং আশপাশের মানুষের জন্যও ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডঐঙ) তথ্য অনুযায়ী, প্যাসিভ স্মোকিং বা পরোক্ষ ধূমপানের কারণে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। জনসমাগমস্থলে ধূমপানের মাধ্যমে শুধু পরিবেশ দূষণ হয় না, বরং আশপাশের মানুষদের স্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশে পাবলিক স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ থাকলেও এর বাস্তবায়ন এখনো অসম্পূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রেই আইন ভঙ্গ করে জনসমাগমস্থলে ধূমপান করা হয়, যা কেবল পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না, বরং জনস্বাস্থ্য নীতিমালার প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করে। ধূমপানের এই অভ্যাস বন্ধ করতে হলে কেবল আইন প্রয়োগই যথেষ্ট নয়; বরং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করাও জরুরি।
বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভাবের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো সচেতনতার অভাব। অনেক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জানলেও তা চর্চায় আগ্রহী নয়। ফলে স্বাভাবিক সময়ে স্বাস্থ্যবিধি চর্চার অভ্যাস গড়ে না ওঠায় সংকটময় মুহূর্তে এটি যথাযথভাবে অনুসরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের শিক্ষা দিয়েছে যে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কতটা জরুরি। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা, নিয়মিত হাত ধোয়া, এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাÑ এসব অভ্যাস অসংখ্য মানুষের জীবন রক্ষা করেছে। তবে মহামারি শেষ হওয়ার পর দেখা গেছে, অনেকেই এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করেছেন। এটি শুধু ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য নয়, সামগ্রিক জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়, যা চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ডেঙ্গু, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য রোগের প্রকোপ বাড়ে, যা ব্যক্তি ও পরিবারে আর্থিক সংকট তৈরি করে। এর পাশাপাশি, অসুস্থতার কারণে কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া শ্রমশক্তির ক্ষতির অন্যতম কারণ। এই সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন জনসচেতনতা বৃদ্ধি, যা স্কুল, গণমাধ্যম এবং স্থানীয় পর্যায়ে প্রচারণার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। স্বাস্থ্যবিধি চর্চা করতে প্রণোদনা এবং নিয়মিত নজরদারি বাড়ানোও গুরুত্বপূর্ণ। সচেতনতা, অভ্যাস এবং দায়িত্বশীলতার সমন্বয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তোলা সম্ভব। এটি শুধু ব্যক্তি ও সমাজের সুস্থতা নিশ্চিত করবে না, বরং একটি উন্নত, উৎপাদনশীল এবং সচ্ছল জাতি গঠনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
স্বাস্থ্যবিধি চর্চার অভ্যাস গড়ে তোলার সামাজিক এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, যেমনÑ নিয়মিত হাত ধোয়া, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাÑ এসব অভ্যাস রোগবালাইয়ের ঝুঁকি হ্রাস করে। এর ফলে স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসা ব্যয় কমানো সম্ভব হয়, যা ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের আর্থিক সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব অনেক। রোগবালাই কম থাকলে শ্রমশক্তি আরও কর্মক্ষম হয়, যা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। বিশেষ করে একটি উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিকে ত্বরান্বিত করে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী একটি জাতির উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি এবং এটি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অপরিহার্য।
সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। এটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তোলে, যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, এটি মানুষের মধ্যে দায়িত্বশীলতার বোধ তৈরি করে, যা সামাজিক বন্ধনকে করে মজবুত। সামগ্রিকভাবে, স্বাস্থ্যবিধি চর্চার অভ্যাস শুধু ব্যক্তিগত সুস্থতা নয়, বরং একটি সুস্থ, উৎপাদনশীল এবং উন্নত সমাজ গড়ার ভিত্তি। এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করা জরুরি।

স্বাস্থ্যবিধি চর্চা নিশ্চিত করার উপায়

স্বাস্থ্যবিধি চর্চা নিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে একত্রে কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে নিম্নোক্ত উদ্যোগগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সচেতনতা ও প্রচারÑ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রথম শর্ত হলো জনসচেতনতা বৃদ্ধি। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরা যেতে পারে। টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত তথ্য প্রচার এবং কার্যকর বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা সম্ভব।  
নীতিমালা প্রণয়ন এবং কার্যকর প্রয়োগÑ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন অপরিহার্য। ধূমপানমুক্ত এলাকা বা থুতু ফেলা নিষিদ্ধ স্থানগুলোতে নিয়মিত নজরদারি চালানো উচিত। আইন ভঙ্গকারীদের জরিমানা করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস তৈরি করা সম্ভব। আইন কার্যকর থাকলে জনসাধারণ বাধ্য হবে নিয়মগুলো মেনে চলতে।  শিক্ষার মাধ্যমে অভ্যাস গড়ে তোলাÑ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে শিশুদের স্কুল পর্যায় থেকে সচেতন করা জরুরি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক ক্লাস এবং কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে।  
প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নিশ্চিত করাÑ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সহজ করতে সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনকে পাবলিক স্থানে স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। হ্যান্ডওয়াশ স্টেশন, ডাস্টবিন এবং টয়লেট সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে জনসাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুপ্রাণিত হবে। সামাজিক আন্দোলনÑ স্বাস্থ্যবিধি চর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এনজিও, সিভিল সোসাইটি এবং কমিউনিটি সংগঠনগুলোর মাধ্যমে জনসম্পৃক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম, সেমিনার, সমাবেশ এবং শোভাযাত্রা আয়োজনের মাধ্যমে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা সম্ভব।  
বিভিন্ন উন্নত দেশ স্বাস্থ্যবিধি চর্চার মাধ্যমে কিভাবে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছে, তা আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। উদাহরণস্বরূপ, জাপানে যেখানে সেখানে থুতু ফেলা, জনসমক্ষে বা পাবলিক স্থানে ধূমপান করা সামাজিকভাবে গৃহীত নয়। এই অভ্যাস গড়ে তুলতে তারা সামাজিক আন্দোলন এবং শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করেছে। সিঙ্গাপুরে যত্রতত্র থুতু ফেলা বা পাবলিক স্থানে ধূমপান করার ক্ষেত্রে কঠোর বিধিমালা রয়েছে। জনগণ তা সহজাতভাবে মান্য করে। কারণ, এতে সবার মঙ্গল। এর ফলে সেখানকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন এবং জনস্বাস্থ্য উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশেও এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শুধু রাষ্ট্র বা সমাজের নয়, এটি প্রত্যেক ব্যক্তিরও দায়িত্ব। ব্যক্তি পর্যায়ে যদি আমরা সাধারণ শিষ্টাচার মেনে চলি, তবে সমাজে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব। যেমনÑ পাবলিক স্থানে ধূমপান না করা, যেখানে-সেখানে থুতু বা কফ না ফেলা, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। এসব ছোট অভ্যাস কেবল ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্যই নয়, বরং একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ গড়ে তুলতেও সহায়ক।  
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আমাদের সামাজিক দায়িত্বও। এটি শুধু মহামারি প্রতিরোধের জন্য নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনে সুস্থতা ও সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই অভ্যাস প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। প্রত্যেকেরই উচিত সচেতন হওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। স্বাস্থ্যবান ও পরিচ্ছন্ন জাতি গড়ে  তোলা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। তাই এখনই সময় সঠিক উদ্যোগ নেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার অভ্যাস গড়ে তোলার। এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করবে এবং জাতীয় উন্নয়নের পথে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।  
সর্বস্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি, সঠিক নীতিমালা প্রয়োগ, শিক্ষার মাধ্যমে অভ্যাস তৈরি, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যবান ও সচেতন সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। এটি জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং সামগ্রিক জাতীয় উন্নয়নের জন্য আবশ্যক।

লেখক : অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

×