ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

জাস্টিন ট্রুডোর বিদায়ে কানাডার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

জাস্টিন ট্রুডোর বিদায়ে কানাডার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ

.

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগ করেছেন। এই পদত্যাগ কার্যকরী হবে যখন তার দল লিবারেল পার্টি নতুন নেতা নির্বাচন করবে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ততদিন পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন ট্রুডো। একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা  গেছে, এই মুহূর্তে নির্বাচন দিলে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি নির্বাচনে তো হারবেই, তারা সংসদে চতুর্থ দলের অবস্থানে নেমে যাবে। পিয়েরে পলিয়েভের কনজারভেটিভ পার্টি নিশ্চিতভাবেই ক্ষমতায় আসবে, যাদের সঙ্গে ট্রুডোর দলের জনপ্রিয়তার ব্যবধান এখন ২০ পয়েন্টের বেশি। অন্যদিকে উগ্র জাতীয়তাবাদী কুইবেক কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল Bloc Quebecois- ব্লক কেবেকোয় (ফ্রেঞ্চ উচ্চারণ) সংসদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন নিয়ে প্রধান বিরোধী দল, জাগমিৎ সিংয়ের NDP– এনডিপি তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পাবে। নিরপেক্ষ জরিপ বলছে, এই মুহূর্তে নির্বাচন দিলে পুরো কানাডায় ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি সর্বোচ্চ ৬টি আসন পেতে পারত, যা ভরাডুবিই কেবল নয়, লজ্জাস্করও বটে।

লিবারেল পার্টির বর্তমান গ্রহণযোগ্যতা ১৬%, এত কম জনপ্রিয়তা তাদের শেষ কবে ছিল, তা কোনো কানাডিয়ানই মনে করতে পারছেন না। 
এমতাবস্থায় দলকে বাঁচানোর জন্য জাস্টিন ট্রুডো একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থা করেছেন, যাকে বলে Progogation, যাকে বাংলায় বলা চলে মুলতবি করা বা প্রলম্বিত করা। অর্থাৎ ট্রুডো পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেও সংসদকে Dissolution বা বিলুপ্ত করলেন না। কারণ, বিলুপ্ত করলেই নির্বাচন দিতে হতো এবং নির্বাচন দিলেই লিবারেল রাজনৈতিক দল হিসেবে কানাডায় অস্তিত্ব হারানোর সম্মুখীন হতো। আমি টরন্টোর যে এলাকায় বাস করি, Yonge-Eglinton এখানকার আসনটি দীর্ঘদিন ধরে লিবারেল পার্টির নিশ্চিত একটি আসন হিসেবে গণ্য করা হয়। অনেকটা গোপালগঞ্জের আসনগুলো যেমন আওয়ামী লীগের জন্য সুনিশ্চিত জয়ী হওয়ার আসন। গত বছরের মাঝামাঝি একটি উপনির্বাচনে সেই নির্বাচনে সবাইকে বিস্মিত করে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী জয়ী হন, যাকে এমনকি এলাকার ভোটাররা তেমন চিনতেন না। সেই নির্বাচনের ফলে লিবারেল পার্টি তো বিস্মিত হয়ই, তার চেয়েও একটা পুনর্জাগরণের সংকেত পায় কনজারভেটিভ পার্টি, যে লিবারেল পার্টির সময় ঘনিয়ে এসেছে কানাডায়। যাই হোক, পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পর সংসদকে মার্চ ২৪, ২০২৫ পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করে জাস্টিন ট্রুডো মূলত দলকে ভরাডুবি থেকে বাঁচিয়েছেন। সংসদ মুলতবি হয়ে যাওয়ায় চলমান সকল বিল, আইন নিয়ে যে অগ্রগতি হয়েছিল, তা বাতিল বলে গণ্য হবে। সংসদ আবার শুরু হলে নতুন করে সেই সব আলোচনা শুরু করতে হবে। বিশেষত বাজেট সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত এখন নতুন সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। 
ট্রুডো আদতে গত নির্বাচনেও পরাজয়ের সম্মুখীন হতেন। সেটি বুঝতে পেরে তিনি ৪৪তম জাতীয় নির্বাচন সময়ের বেশ আগেই ঘোষণা করেন এবং সংসদে একচ্ছত্র আধিপত্য করার মতো জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যর্থ হন। কিন্তু মূলত ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বা এনডিপির সমর্থন নিয়ে একটি মাইনরিটি সরকার গঠন করতে সমর্থ হন।

এবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর থেকেই ট্রুডো বুঝতে পারছিলেন তার সময় ফুরিয়ে এসেছে। গত কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া, চীন এবং ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কের ক্রমানবতি ঘটছিল। কেবল বাইডেন-কামালা প্রশাসনের আন্তর্জাতিক সমর্থন ছিল ট্রুডোর প্রতি। ট্রুডো নানা সময়ে ট্রাম্পের বিভিন্ন বক্তব্যে তার অসন্তোষের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যা ট্রাম্প ভালোভাবে নেননি এবং নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কানাডার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করার হুমকি দেন। এই ঘোষণার পরপরই ট্রুডো দেখা করতে যান ট্রাম্পের সঙ্গে, দুই নেতা একসঙ্গে খাবার খান এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসার পরই ট্রুডো তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী, অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং নিজের উত্তরসূরি হিসেবে তৈরি করা অর্থ এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে তার পদ থেকে বহিস্কারের কথা জানিয়ে দেন। কিন্তু ট্রুডো ভাবেননি যে, ফ্রিল্যান্ড এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে তার পদত্যাগপত্রে কানাডার বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য ট্রুডোর দুর্বল নেতৃত্বকে দায়ী করবেন।

ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগপত্র মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পরপর এটি নিশ্চিত হয়ে যায় ট্রুডোর পদত্যাগ করা সময়ের বিষয় মাত্র। ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ আমি আমার একটি লেখায় বিষয়টি উল্লেখ করেছিলাম। এরপরও ট্রুডো চেষ্টা করেছিলেন ক্ষমতায় থাকতে। কিন্তু তার দীর্ঘদিনের সহযোগী এনডিপি, বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি এমনকি ব্লক কেবেকোয় জানিয়ে দেয় যে, আসন্ন সংসদ অধিবেশনে তারা ট্রুডোর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে। এছাড়া দলের ভেতর একের পর এক সংসদ সদস্য ট্রুডোর নেতৃত্বে অনাস্থা প্রকাশ করা শুরু করেন। এক পর্যায়ে দলের ৭০ শতাংশের বেশি সংসদ সদস্য তার বিষয়ে অনাস্থা প্রকাশ করেন। যার ধারাবাহিকতায় ৬ জানুয়ারি ২০২৫ দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে কানাডিয়ানদের জানান যে, তিনি তার পরিবার, মূলত সন্তানদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে অধিকাংশ কানাডিয়ানই স্বাগত জানিয়েছেন। খুব কম সংখ্যক তার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।

তবে এটিও সত্য, ট্রুডোকে সবাই একজন ভদ্র, সৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই জানতেন। কিন্তু কানাডার মতো শক্তিশালী অর্থনীতির দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ায় তিনি ব্যর্থ ছিলেন এই অভিমত প্রায় সবার। বিশেষত কোভিড-১৯ প্যানডেমিকের সময় তার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত ভঙ্গুর এবং অপরিকল্পিত বলে প্রমাণিত হয়। সে সময়ে তিনি খুবই নাটকীয়ভাবে অসংখ্য অভিবাসী প্রার্থীর আবেদন গ্রহণ করেন, যা মাত্র ২-৩ বছরের মধ্যে কানাডার জনসংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ বাড়িয়ে দেয়। অভিবাসীদের একটা বড় সংখ্যা ভারতীয়, যাদের কানাডার সংস্কৃতিতে নিজেদের আত্তীকরণের বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই বলে কানাডিয়ানরা মনে করেছেন। গত ৩-৪ বছর নিয়মিত টিভি, পত্রিকায় খবর এসেছে কীভাবে ভারতীয় অভিবাসীরা কানাডার নিয়মকানুন ভাঙছেন, যা পুরনো কানাডিয়ানরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পছন্দ করতে পারছিলেন না। অন্যদিকে অন্যান্য অঞ্চলের অভিবাসীরাও একচ্ছত্রভাবে ভারতীয় অভিবাসীদের কানাডায় আসা এবং অস্থিতিশীলতা তৈরির অভিযোগ করছিলেন। অন্যদিকে, এই নতুন আসা ভারতীয় অভিবাসী বা ভারত সরকারের সঙ্গেও ট্রাম্প সরকারের সম্পর্কের ক্রমানবতি হয়। ফলশ্রুতিতে অভিবাসন নীতির পুরোটাই তার জন্য আত্মঘাতী হিসেবে বিবেচিত হয়। 
২৪ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত স্থগিত হওয়া সংসদ আবার বসার আগেই লিবারেল পার্টি তাদের নেতা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আভ্যন্তরীণভাবে তারা ৯ মার্চের মধ্যেই তাদের পরবর্তী নেতা নির্বাচন করতে চান, যিনি সংসদ বসার পরপরই স্বল্পকালীন সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হবেন। তারপর তাকে নির্বাচনে দলকে প্রস্তুত করার কঠিন দায়িত্ব নিতে হবে, যেখানে তার দলের ভয়াবহ পরাজয় নিশ্চিত প্রায়। লিবারেল পার্টি যদি আগামী সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আসতে পারে, সেটি হবে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন। কিন্তু তারা যদি তৃতীয় এমনকি চতুর্থ স্থানেও নেমে যায়, তাতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দলটির সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, এখন এই অল্প সময়ে একজন গ্রহণযোগ্য নতুন নেতৃত্ব খুঁজে বের করা। ট্রুডোর সরকারের ক্যাবিনেটের কোনো সদস্যের ওপরেই কানাডিয়ানরা আস্থা রাখবেন না বলেই মনে হচ্ছে। যদি তারা নতুন কাউকে খুঁজে বের করতে পারে, যে ট্রাম্পের হুমকি-ধমকির সামনে দলকে এগিয়ে নিতে পারে, সেটি হবে সবচেয়ে ভাল।

যদিও উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের সময় বলেছেন, তিনি আর ক্যাবিনেট সদস্য হতে চান না। কিন্তু সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, যারা ট্রুডোকে চান না, তারা ফ্রিল্যান্ডকেই বরং দলের নেতা হিসেবে দেখতে চান। যেই আগামীর নেতা হন না কেন, তাদের ২৩ জানুয়ারির মধ্যে প্রার্থিতা ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া অল্প সময়ের নেতা নির্বাচনের বিবেচনায় লিবারেল পার্টি দুটো নিয়ম ঘোষণা করেছে। যেহেতু দলীয় নির্বাচনে নেতারা অনেক সময় পাবেন না খরচ জোগাড় করতে, যিনিই প্রার্থিতা ঘোষণা করবেন, তাকেই এন্ট্রি ফ্রি হিসেবে সাড়ে ৩ লক্ষ কানাডিয়ান ডলার দিতে হবে দলীয় নির্বাচনের ব্যয় মেটানোর স্বার্থে। আগে এই অর্থের পরিমাণ ছিল মাত্র ৭৫ হাজার কানাডিয়ান ডলার। অন্যদিকে অভিবাসীদের মাধ্যমে বিদেশী সরকার বা গোয়েন্দা সংস্থা যাতে নেতা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, তাই শুধু লিবারেল পার্টির রেজিস্টার্ড ভোটার, যাদের বয়স ন্যূনতম ১৪, যারা হয় কানাডিয়ান নাগরিক, স্থায়ী অধিবাসী অথবা আদিবাসী, তারাই কেবল নেতা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। এর আগে অনেক আন্তর্জাতিক ছাত্র কিংবা একাধিক দলের রেজিস্টার্ড ভোটাররাও নেতা নির্বাচনে ভোট দিয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ছাড়াও চন্দ্রা আইরা, ফ্র্যাংক বেইলিস, বর্তমান ক্যাবিনেট সদস্য ফিলিপ শ্যাম্পেইন, জোনাথন উইলকিনসন, স্টিভেন ম্যাককিনন, ক্যারিনা গোল্ডও প্রার্থিতা ঘোষণা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে লিবারেল দলের মধ্যে ব্যাংক অব কানাডার সাবেক গভর্নর মার্ক কারনির বেশ জনপ্রিয়তা আছে বলে মনে হচ্ছে। ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সাবেক প্রিমিয়ার ক্রিস্টি ক্লার্কও প্রাথিতা ঘোষণা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ট্রুডোর পরেই জনপ্রিয় মুখ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জো নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের চলমান হুমকি ধমকি সামলে দেশের পররাষ্ট্র বিষয়গুলো ঠিকঠাক রাখাই এখন তিনি তার প্রধান কাজ বলে মনে করছেন। যিনিই নতুন নেতা হোন না কেন, তিনি সম্ভবত কানাডার সবচেয়ে স্বল্পতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হবেন। এমনকি তিনি দায়িত্ব নেওয়ার দুই-একদিনের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়ে বিরোধী দলগুলো তার সরকারের পতন ঘটিয়ে দিতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করি। লিবারেল নতুন নেতার মূল কাজ হবে, ট্রুডোর শাসনামলে চরম অজনপ্রিয় হয়ে যাওয়া দলকে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আবার জনপ্রিয় করে তোলা। 
গতবছর এবং এই বছরের প্রথমার্ধে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক অঙ্গনে যে আমূল পরিবর্তন, তা আরেকবার প্রমাণ করেছে দিনের শেষে অর্থনীতি একটি মূল চালিকাশক্তি হিসেবেই কাজ করে। জাস্টিন ট্রুডো যত সৎ, স্পর্শকাতর, সহানুভূতিশীলই হোন না কেন, তার সময়ে কানাডার মানুষ দৈনন্দিন জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাড়ি কেনা এখন আর কারও স্বপ্নের মধ্যে নেই। বাড়ি ভাড়া দিতে গিয়ে মানুষ তার আয়ের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ আয় খরচ করে ফেলছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অবিশ্বাস্য মোড় নিয়েছে। অবিশ্বাস্য হারে অভিবাসী বৃদ্ধির কারণে আইনশৃঙ্খলার দ্রুত অবনতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় রাজনৈতিক লেখক জেইমস কার্ভিল দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে তার কলামে লিখেছেন, ‘it is and it always will be the economy, stupid.’ অর্থাৎ অর্থনীতিই সবসময় সব সরকার পতনের কারণ ছিল; আছে এবং থাকবে হে আহম্মক!” অনেক কারণই মানুষকে বিরক্ত করে, ক্ষিপ্ত করে, উদ্বিগ্ন করে- কিন্তু অর্থনীতি খারাপ হয়ে গেলে, টেবিলে খাবার বাড়াতে না পারলে মানুষ তখন যে কোনো সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। জাস্টিন ট্রুডোর প্রবল জনপ্রিয়তা থেকে এই চরম অজনপ্রিয়তার ১০ বছর পর এই বিষয়টিকে আবারও প্রমাণ করল। 
১২ জানুয়ারি ২০২৫

[email protected]

×