প্রায় পাঁচ বছর আগে চীনের উহানে যখন প্রথম কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল, তখন কেউ কল্পনাও করেনি যে, ভাইরাসটি সারা পৃথিবীকে এক ভয়াবহ মহামারির মুখোমুখি দাঁড় করাবে। কোভিড-১৯ শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলেনি, এটি অর্থনীতি, শিক্ষা, সামাজিক জীবন এবং মানসিক সুস্থতার ওপরেও গভীর ছাপ ফেলেছে। ২২৯টি দেশ ও অঞ্চলে মোট ৭০৪,৭৫৩,৮৯০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭,০১০,৬৮১ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এসময় অনেক দেশ তাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা প্রকটভাবে অনুধাবন করতে পেরেছে। আবার অনেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। একসময় যখন মনে হচ্ছিল মহামারি শেষের পথে, তখনই নতুন এক ভাইরাসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই নতুন ভাইরাসটি হলো এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস বা ঐঁসধহ গবঃধঢ়হবঁসড়ারৎঁং), যা কোভিডের মতোই মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করছে। এই ভাইরাসেরও আবির্ভাব চীনে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই নতুন ভাইরাসটি কি পৃথিবীকে আবারও এক গভীর সংকটে ফেলে দিতে পারে? করোনা মোকাবিলার উদাসীনতা ও অভিজ্ঞতা থেকে আমরা কী শিখেছি এবং এই নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?
এইচএমপিভি একটি শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস, যা মূলত শিশুদের মধ্যে প্রবণ। এটি সাধারণত হালকা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করে, যেমনÑ সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ। তবে, বয়স্ক মানুষ এবং কিছু ক্ষেত্রে, যারা আগে থেকেই শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক হতে পারে। বিশেষত, এই ভাইরাসের সংক্রমণ গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এইচএমপিভি ভাইরাসের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ, এটি করোনাভাইরাসের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এমনকি বিশ্বব্যাপী মহামারিও সৃষ্টি করতে পারে। অতীতে যখন এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে, তখন বিভিন্ন দেশে একাধিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল, তবে তখনই তা মহামারির আকারে পরিণত হয়নি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর পরবর্তী প্রভাব এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে।
কোভিড-১৯ মহামারির ফলে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে পৃথিবী উপলব্ধি করেছিল যে, কোনো পূর্বপ্রস্তুতি এবং সুনির্দিষ্ট কৌশল ছাড়া মহামারি মোকাবিলা করা কতটা কঠিন। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি ছিল এক বড় ধাক্কা। বাংলাদেশও করোনার প্রভাব সামলাতে বার বার চেষ্টা করেছে, কিন্তু উদাসীনতা, অজ্ঞতা ও সীমাবদ্ধতার নানা চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তখন। স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাব, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সরঞ্জামের ঘাটতি, ওষুধ এবং চিকিৎসা প্রযুক্তির অভাবÑ এসবই ছিল দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতার পরিচায়ক। এরপর, যখন ডেঙ্গু মহামারি আকারে দেখা দিল, তখনো বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গেছে এবং সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা উল্লেখযোগ্য কিছু শিক্ষা নিতে পেরেছে কিনা জানি না। কেননা ডেঙ্গুর অভিজ্ঞতা এর অনুকূলে সাক্ষ্য দেয় না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আমরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান বা মূলত সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহের অপেক্ষায় থাকি। তবে, পরিস্থিতি সব সময় এমন থাকবে না। এইচএমপিভি ভাইরাসের আগ্রাসন ঠেকাতে আমাদের অবশ্যই করোনার অভিজ্ঞতা থেকে সাবধান হতে হবে। সঠিক প্রস্তুতি, কার্যকর ব্যবস্থাপনা, এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। যদি আমরা এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ না নিই, তাহলে এই ভাইরাসের প্রভাব কোভিড-১৯ এর চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে এইচএমপিভি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভাইরাসটি মানুষের শ্বাসতন্ত্রের ওপর আক্রমণ করে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যক্তিদের জন্য এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ভাইরাসের বিস্তার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবকাঠামো এখনো কোভিড-১৯ এবং ডেঙ্গুর মতো পাবলিক স্বাস্থ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। যদি এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তবে তা দেশের স্বাস্থ্যখাতকে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে।
প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের এক্ষেত্রে করণীয় কী? জাতীয় পর্যায়ে আমাদের অবশ্যই নজর রাখতে হবে যে চীন, জাপান, হংকং, ভারত এবং অন্যান্য দেশ এই ভাইরাসের বিস্তার কিভাবে সামাল দিচ্ছে। বিশেষত, ভারতে ৮ বছরের একটি শিশুর দেহে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং জানা গেছে, এটি মালয়েশিয়াতেও শনাক্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আমাদের অবিলম্বে প্রস্তুতি এবং সতর্কতার উদ্যোগ নিতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য অবকাঠামো শক্তিশালী এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি কার্যকরী পরিকল্পনা তৈরি করা জরুরি। এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সময়, নয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
কোভিড-১৯ মহামারি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে রয়েছে। শুরুর দিকে ব্যবস্থাপনার অভাব এবং জনগণের সচেতনতার ঘাটতির কারণে করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে বাংলাদেশে প্রায় ২৯,৪৯৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ২,০৪৯,৩৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও দাবি করা হয় যে, মৃত্যুর হার তুলনামূলক কম ছিল। এটি আরও কমানো সম্ভব হতো যদি সঠিক সময়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেত।
আমাদের মনে রাখা উচিত, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার প্রথম তিন মাস পর বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটলেও মহামারি মোকাবিলায় সরকারের মধ্যে অপ্রস্তুতি এবং সমন্বয়ের অভাব ছিল স্পষ্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়। জনগণেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা ছিল অত্যন্ত কম। অন্যদিকে, কোভিড-১৯ থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরেও, ২০২৪ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গুতে অন্তত ৫৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অভাব আমাদের স্বাস্থ্যখাতকে বারবার চরম সংকটের মুখে ফেলছে।
কোভিড-১৯ এবং ডেঙ্গুর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের স্বাস্থ্যখাতের দ্রুত পুনর্গঠন করতে হবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি কার্যকর নীতি এবং পদক্ষেপমূলক কর্মসূচি প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি। এইচএমপিভির বিস্তার ঠেকাতে সরকারের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সংকট মোকাবিলায় নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যনীতির পুনর্মূল্যায়ন : কোভিড-১৯ পরবর্তী স্বাস্থ্যনীতি দ্রুত পর্যালোচনা করে টেকসই এবং সমন্বিত নীতি প্রণয়ন করতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধিÑ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস তৈরি করতে গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কমিউনিটির মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো জরুরি। স্বাস্থ্য অবকাঠামোর উন্নয়নÑ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ, শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ এবং সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। নিয়মিত নজরদারিÑ সংক্রমণ প্রাথমিক পর্যায়েই নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাইরাস পর্যবেক্ষণের জন্য নিয়মিত নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা দরকার। গবেষণায় বিনিয়োগÑ নতুন ভাইরাসের বিস্তার, প্রভাব এবং প্রতিরোধে কার্যকর সমাধান খুঁজতে গবেষণার জন্য আলাদা তহবিল বরাদ্দ করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগÑ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বেসরকারি সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা আবশ্যক। এই সচেতনতা বা সতর্কতা বা পদক্ষেপ কেবল কোনো মহামারীর শঙ্কায় নয়, সবসময়ের চর্চায় থাকাও স্বাস্থ্যকর। স্বাস্থ্যবিধি শিষ্টাচার সঠিকভাবে চর্চা না করলে অনেক রোগব্যাধি ও ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। যেমনÑ গত ১০ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো পাঁচজনের শরীরে হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে (আইইডিসিআর)। সঠিক প্রস্তুতি, কার্যকর ব্যবস্থাপনা এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা এই সংকট সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারি।
এইচএমপিভির বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে, তা দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা এবং সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। করোনা মহামারি দেখিয়েছে, স্বাস্থ্যখাতের দুর্বলতা কিভাবে একটি জাতিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। তাই, কোভিড এবং ডেঙ্গুর অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সতর্ক পরিকল্পনা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এইচএমপিভির প্রভাব সীমিত রাখা সম্ভব। একমাত্র সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং সচেতনতাই আমাদের ভবিষ্যতের মহামারি থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশে, সতর্ক ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে হবে। জনগণের কাছে স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য সরবরাহ এবং নতুন ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসনগুলোর সহযোগিতায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে। স্বাস্থ্য কর্মী এবং বিজ্ঞানীদের গবেষণার মাধ্যমে ভাইরাসটির কার্যকারিতা, প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং টিকার উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি নিতে হবে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। টিকাদান কর্মসূচি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দ্রুত নির্ণয়ের ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে এই ভাইরাসের বিস্তার কমানো সম্ভব।
এইচএমপিভি ভাইরাস একটি সম্ভাব্য মহামারি হিসেবে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক প্রস্তুতি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে, এটি জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অতীতের কোভিড-১৯ এবং ডেঙ্গু মহামারি মোকাবিলার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, এই ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে এখনই উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় দেখা গেছে যে, প্রাথমিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অভাবে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর আমাদের বোধোদয় হয়েছে যে, সচেতনতা এবং সময়োচিত পদক্ষেপ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
ডেঙ্গু পরিস্থিতিও আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা স্পষ্ট করে তুলেছে। ২০২৪ সালেই ডেঙ্গুতে অন্তত ৫৭৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, এইচএমপিভি মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। স্বাস্থ্য অবকাঠামোর উন্নয়ন, চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এই ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণ করলে, আমরা হয়তো এই ভাইরাসের সম্ভাব্য মহামারি ঠেকাতে সক্ষম হব। জনগণের জীবন এবং দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষায় এখনই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক।
লেখক : অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়