ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১

কর-শুল্ক বৃদ্ধিতে বাড়তে পারে মানুষের দুর্ভোগ

শহিদুজ্জামান শাকিল

প্রকাশিত: ১৮:৫১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

কর-শুল্ক বৃদ্ধিতে বাড়তে পারে মানুষের দুর্ভোগ

মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে কি আদৌও উন্নয়ন সম্ভব! দেশের উন্নয়ন মানে দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন। সরকারের সকল কাজের লক্ষ্য হওয়া উচিত কিভাবে দেশের উন্নতি হবে,মানুষের জীবনমানের উন্নতি হবে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রায়শই এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে সরকার নতুন করে প্রায় শতাধিক পণ্যের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), সম্পূরক শুল্ক কর্পোরেট কর বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা একেবারেই অযৌক্তিক এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সাথে সাংঘর্ষিক। বর্তমানে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলারের দাম বাড়া, ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় করের বোঝা বাড়ানো শুধু সাধারণ জনগণের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে, তা নয়, এটি ব্যবসা-বাণিজ্য এবং দেশীয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগেও বাধা সৃষ্টি করবে। গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশের অর্থনীতি প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে এবং জনগণের জন্য জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।

সরকার যদি সত্যিই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি করতে চায়, তাহলে সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা চাপানো উচিত নয়। এর পরিবর্তে, সরকারি বিভিন্ন খাতে ব্যয় কমানো যেতে পারে, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে। সরকারি খাতে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে কর আরোপের মাধ্যমে যে পরিমাণ রাজস্ব পেত তার প্রায় অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে এছাড়া, বাড়তি শুল্ক আরোপের ফলে ব্যবসায়ীদের জন্য খরচ বাড়বে, যা তাদের উৎপাদন খরচও বাড়িয়ে দিবে। এর প্রভাব পড়বে সাধারণ জনগণের উপর, যারা এই পণ্যের দাম বৃদ্ধি সহ্য করতে বাধ্য হবে। ফলে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক গতি ধীর করবে এবং জনগণের কষ্টের মাত্রা বাড়াবে। সুতরাং, সরকারের উচিত কর ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা এবং জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে খরচ কমিয়ে এই সংকটের মোকাবিলা করা।

 

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

×