গত অক্টোবরে সারা দেশে একযোগে উচ্চ মাধ্যমিক এবং সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে দশ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পাস করেছে। এসকল শিক্ষার্থী এইচ এস সি’তে সাত বিষয় পরীক্ষা দেওয়ার পর পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর দাবির মুখে অবশিষ্ট পরীক্ষা না নিয়ে গৃহীত পরীক্ষাগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং তাদের এসএসসি পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে সাবজেক্ট ম্যাপিং এর মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য, তারা সবাই এসএসসি পরীক্ষায়ও কনডেন্সড সিলেবাসে অংশ নিয়েছিল করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী হিসেবে। ফলে তাদের শিখণ ঘাটতি রয়েছে মর্মে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা একমত। এবার তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তির কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দেশে শতাধিক উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠ রয়েছে, যার মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ, সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কমবেশি ৫৫টি। বিগত বছরে পুরনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যতীত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। যদিও এটি সম্পূর্ণ ঐকমত্যের ভিত্তিতে করা যায়নি। এতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হয়েছিল বটে, তবে কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছায়নি। তবে অভিভাবকরা ছিলেন ক্ষাণিকটা স্বস্তিতে। যেমনÑ অনেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এদেশে। এগুলোতে একটি কমিটির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করাই সংগত বলেই আমাদের ধারণা। একই পদ্ধতি প্রকৌশল, কৃষি শিক্ষার জন্যও প্রযোজ্য হতে পারে। এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতি কার্যকর করার তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা বা সহযোগিতা মেলেনি বলেই প্রতীয়মান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের স্বায়ত্তশাসনের দোহাই দিয়ে নিজেদের স্বার্থে প্রত্যেকে আলাদা করে পরীক্ষা নেওয়ার পথে হাঁটছেন। যা একজন অভিভাবক হিসেবে আমাদের কাছে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়।
ইতোমধ্যে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মোতাবেক দেশের তিনটি বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় (জগন্নাথ, এমআইএসটি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) আগামী ফেব্রুয়ারিতে একই দিনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তিচ্ছুদের মানসিক অবস্থা সহজেই অনুমেয়। আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রায় তিনযুগ সরকারি কলেজে চাকরি করার পরও বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট নয়। সাধারণ মানুষের অবস্থা আরও শোচনীয়। প্রতিষ্ঠানটি কেন উদ্যোগ নিয়ে উচ্চশিক্ষার ভর্তি ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক বা স্বস্তিকর করতে পারেনি, তা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। দেশের সবগুলো উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান এক ছাতার নিচে এনে মঞ্জুরি কমিশনের নেতৃত্বে ক্ষমতায়ন করা যেতে পারে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য যা খুশি তাই করতে দেওয়া সমীচীন হবে না। গণমাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ বাণিজ্যের যে সকল চিত্র ফুটে ওঠে তার কোনোটিরই বিচার হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য (যিনি একজন প্রজ্ঞাবান শিক্ষকও বটে) কি করে চাকরির মেয়াদের শেষ দিন পর্যন্ত আত্মীয়স্বজনসহ শতাধিক নিয়োগ নিজ ক্ষমতায় দিয়ে দেন, সাধারণের তা বোধগম্য নয়। অবিলম্বে এ জাতীয় ক্ষমতার অবসান হোক। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সূচক বাড়তে থাকবে। ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কী অমানবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনুমানও করতে পারবেন না। তার অন্যতম কারণও তাদের নিজেদের সন্তানদের জন্য নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে পোষ্য কোটা। এ দেশের কৃষক-শ্রমিক-মজুরের পয়সায় পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যখন সারা দেশ চষে বেড়াতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের তখন সমাজের অন্যতম সুবিধাভোগী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারগুলোর নিশ্চিন্তে থাকাটাও বড্ড বেমানান। ফলে অবিলম্বে পোষ্য কোটা বাতিলের বিষয়টি বিবেচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সরকারি চাকরির সুবাদে নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে থাকাকালীন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের (সিন্ডিকেটের) সদস্য ছিলাম। খুব কাছ থেকে ভর্তিচ্ছুদের বিড়ম্বনা দেখেছি। ২০১৫ সালে নোয়াখালীতে ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ৮০০০০। দুই দিন চার বেলা পরীক্ষা হয়েছে সারা নোয়াখালী জুড়ে। পরীক্ষা উপলক্ষে অতিরিক্ত দুই লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে শহরটিতে। ফলে চরম আবাসিক এবং খাবার সংকট দেখা দেয়। আমার প্রতিষ্ঠানে বহু মেয়েকে রাতে থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তাদের অভিভাবকদের রাত কাটাতে হয়েছে স্টেশনে বসে। এটি একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের দশ বছর আগেকার চিত্র। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩ দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সারা শহর থমকে গেছে মানুষের পদভারে। থাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় আমাকে নাটোরে রাতযাপন করে সকালে রাজশাহী যেতে হয়েছে, তাও চারবার বাহন পরিবর্তন করে। এককথায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। সংশ্লিষ্ট সকল মহলের কাছে নিবেদনÑ এ শোচনীয় থেকে পরিত্রাণের পথ আপনারাই বের করুন। আমাদের পরামর্শ হলোÑ গুচ্ছ পদ্ধতি করে নিজ নিজ জেলায় ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করলে দুর্ভোগ অবশ্যই কমবে। সাধারণের ধারণা, আলাদা পরীক্ষা নেয়ার পেছনে বড় নিয়ামক হলো অর্থ বাণিজ্য। ভর্তি পরীক্ষার ফি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন। এ নিয়ে জনমনে অসন্তোষ রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফির পরিমাণ নিয়েও রয়েছে আপত্তি। পত্রিকায় দেখলাম, বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলে দুবার ভর্তি পরীক্ষার ফি দিতে হবে। তাও আবার ১৫০০ টাকার মতো। দেশের সবচেয়ে আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত বুয়েটের কাছ থেকে এটা প্রত্যাশিত নয়। যদিও আমাদের স্মৃতিপটে রয়েছে, এই বুয়েটেরই ছাত্র আবরারের মৃত্যুর মতো অমানবিক ঘটনা এখানেই ঘটেছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফলে নতুন সরকার গঠনের পর আমরা ভেবেছিলাম পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এখন দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি প্রশংসারযোগ্য। যদিও এক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ ফল প্রকাশের প্রক্রিয়াটি আরও গ্রহণযোগ্য করার জন্য কাজ করা যেতে পারে। উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে অনুষদভিত্তিক (যেমনÑ প্রকৌশল, কৃষি, সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হোক। কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও এক্ষেত্রে দেশের পুরনো বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য মহোদয় একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবেনÑ এটাই জাতির প্রত্যাশা।
এবার আসা যাক প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ভর্তির বিষয়ে। সারা দেশে একযোগে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল। কিছু প্রতিষ্ঠান নানা ফিকিরে এই প্রক্রিয়ার বাইরে ছিল। এদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কেন নমনীয় হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। যেমনÑ ভিকারুন্নেছা নুন স্কুলে লটারির মাধ্যমে যদি ভর্তি করানো যায়, তবে কেন হলিক্রস নয়। যা হোক পরবর্তীতে দৈব চয়নের মাধ্যমে ভর্তির বিষয়টি নিষ্পত্তি করে ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভর্তি পরীক্ষা এবং ভর্তি ফি-এ দুটো বিষয়ে আমরা নানা কথা শুনতে পাই। সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ থাকাকালে ভর্তির সময় আতঙ্কে থাকতাম। পরবর্তীতে অনলাইনে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হওয়ায় কলেজ প্রশাসন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। ইদানীং কেউ কেউ আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে ওকালতি করছেন। যেটা নতুন করে ঝামেলা পাকাবে। যেমনÑ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তার অধিভুক্ত কলেজগুলোতে আবার ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। তারা হয়তো ভেবেছে সব বিশ্ববিদ্যালয় যখন ভর্তি পরীক্ষা নেয়, তবে আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? এ সিদ্ধান্তটি আত্মঘাতী হবে কলেজগুলোর ক্ষেত্রে, যেমনটি হয়েছে ঢাকার সাত কলেজের ক্ষেত্রে। কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়া শুধু একজনকে খুশি করার জন্য রাতারাতি কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেওয়া হয়। যার কুফল জাতিকে ভোগ করতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্দশার মাধ্যমে। লটারির মাধ্যমে বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়টি আপাতত সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা বলে বিবেচিত। এতে অন্তত ভর্তি কোচিং বা ভর্তিবাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে বঞ্চিতদের গাত্রদাহ হওয়া স্বাভাবিক। অভিভাবকদেরও এক বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে দৌড়ানোর কষ্ট লাঘব হয়েছে। যদিও লটারির কারণে হয়ত কাক্সিক্ষত প্রতিষ্ঠান না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ভর্তি ফি’র বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে পরিপত্র জারি করে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে ঢাকা মহানগর, অন্যান্য বিভাগীয় শহর, জেলা সদর, উপজেলা ইত্যাদি ভাগে ভাগ করে ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়। ফলে শুধু ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ফি’র তারতম্য ঘটে। যা চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যতীত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর তোয়াক্কা না করে নিজেদের সুবিধামতো অভিভাবকদের পকেট কাটে। ব্যতিক্রম বাদে অতিরিক্ত ফি আদায়ের জন্য দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তি বা পদক্ষেপ আমাদের নজরে আসেনি। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ডসমূহ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে আরও কঠোর এবং বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির কার্যকর ভূমিকা দেখতে চাই।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। বহুল প্রচলিত কথাটি আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য কিনা ভাবা দরকার। গণমাধ্যমের খবর হলো, ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের বই পৌঁছাতে দেরি হবে।
কেউ কেউ বলছেন বিতরণ সম্পন্ন হতে এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অবশ্য কিছুটা যৌক্তিক কারণ থাকলেও জাতির প্রয়োজনে আরও ত্বরিৎ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা ভাবার অনুরোধ রইল। কারণ, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নিশ্চয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়গুলোর জন্য বার্ষিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করবে। জানা গেছে, এতে জুন মাসে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। সুতরাং বই পেতে দেরি হলে শিক্ষাসূচী ব্যাহত হবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এছাড়াও রয়েছে ক্ষমতা বহির্ভূত প্রাকৃতিক দুর্যোগের থাবা। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কার করার প্রত্যয়ে পনেরোটি কমিটি গঠন করেছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। কমিটিগুলো ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। কেউ কেউ রিপোর্টও তৈরি করে ফেলেছে। পক্ষান্তরে সংস্কার কার্যক্রমের পরিধিতে এখনো শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। শিক্ষক হিসেবে এতে আমরা মর্মাহত। অচিরেই শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের নিমিত্ত একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি অথবা কমিশন গঠন করা হবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক : অধ্যাপক (অব.) শিক্ষাবিদ