আমাদের দেশে সাধারণত মধ্যম আয়ের মানুষ চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য পরিবার নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বাসা ভাড়া থাকেন। আর মধ্যবিত্ত মানুষের আয় খুবই কম, যা পরিবার নিয়ে বসবাস করা খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। বর্তমানে জিনিসের দাম বাড়তি, তাছাড়া নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরেও। এমন অবস্থায় পরিবারের উপার্জনকারী ব্যক্তিকে সামান্য আয় দিয়ে বাসা ভাড়া, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, নিত্যপণ্যের বাজার, চিকিৎসা, সন্তানের লেখাপড়া খরচ, যাতায়াত খরচ ও অন্যান্য খরচাদি পূরণ করতে হিমশিম খেতে হয়। এমন অবস্থায় বছর বছর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি একটা জুলুম। অথচ স্বল্প আয়ের মানুষ যারা চাকরি করে তাদের উপার্জনও বাড়ে না। তার ওপর বাড়িওয়ালারা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বছর বছর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি যেন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যার ফলস্বরূপ ভাড়াটিয়াকে বছর বছর বাসা পাল্টাতে হয়।
মধ্যবিত্ত মানুষ তার চাহিদা পূরণ করতে নিচে নামতে যেমন পারে না, তেমনি অর্থের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করে বা ভালো কোনো চাকরি করে পরিবারের চাহিদা পূরণ করতেও ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ, বেকারত্বের দেশে চাকরির বাজার খুবই কঠিন। এমতাবস্থায় সাধারণ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের আয়ের কথা চিন্তা করে মানবাধিকার সমুন্নত রাখার মাধ্যমে বছর বছর বাসা ভাড়া বৃদ্ধির প্রবণতা রোধে সরকারকে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যেমন- ছোট বাসার ক্ষেত্রে ৫ বছর বা ১০ বছর পর বাড়ি ভাড়া ৫০০ (পাঁচশত) টাকা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ভাড়াটিয়াকে বছর বছর সরকারের নিয়মনীতি অনুসারে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল বাড়তি গুনতে হয়। যা বাড়িওয়ালার ওপর বর্তায় না। শুধু তাই নয়, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের সামান্য আয়ের পাশে আয় বৃদ্ধিতে যেখানে সরকারের কোনো ভূমিকা থাকে না, এমতাবস্থায় সরকারকে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের আয়ের কথা চিন্তা করে বছর বছর বাসা ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধ করে আইনের মাধ্যমে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
মোহাম্মদ আলী