একটি সফল রাষ্ট্র কিংবা একটি উন্নত রাষ্ট্রের ব্যাক স্টেইজে থাকে মেধাবী ও সৃজনশীল মানুষদের ভূমিকা। কিন্ত যখন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে অযোগ্য ব্যক্তিরা স্থান পায় তখন নেতিবাচক গোলযোগ এবং রাষ্ট্রের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রের ক্ষতি হতে থাকে এবং স্বভাবতই উন্নয়ন ব্যহত হয়।
ঠিক তেমনটা হয়েছে দেশের সরকারি চাকুরীতে। কোটা এবং দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অনেক বিত্তশালী সরকারি চাকুরী বাগিয়ে নিয়েছেন। তার মধ্যে প্রাইমারি স্কুল টিচার, রেলওয়ে, খাদ্য অধিদপ্তরের চাকুরি অন্যতম। কমবেশি প্রায় প্রতিটা সেক্টরেই দুর্নীতি ও কোটায় ভর দিয়ে এগিয়ে গেছে অযোগ্য ব্যক্তিরা। এভাবে চলতে থাকলে পুরো দেশটাই একসময় তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। আর এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি, কৃষি, শেয়ার মার্কেট, রাষ্ট্রীয় আইন এবং গনতন্ত্র। সরকারের উচিত এসব ভালোভাবে নিরীক্ষা করা এবং অসদুপায় অবলম্বন করে যাদের চাকরি হয়েছে তাদের চাকুরী থেকে পুনরায় উৎখাত করা দরকার বলে মনে করি।
মেধার যোগ্যতার উপর আর কিছুই গ্রহনযোগ্য নয়। মেধার প্রমাণই নিশ্চিত করে যোগ্য ব্যক্তির অবস্থান। একজন যোগ্য এবং মেধাবী মানুষ জাতির কর্ণধার। তারা জাতিকে সত্যের পথে অধিষ্ঠিত করবে এবং আলোর দিশারী হাতে সুন্দর, সহজ পথের সন্ধানে এগিয়ে যেতেই থাকবে। আর এমনটিই তো সকলের প্রত্যাশা । বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা আজ বঞ্চিত এবং অবহেলিত, কতো শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না, অথচ মামা-খালু নামক ভাইরাসের হাতে অমেধাবীরা দেশকে শাসন করার দায়িত্ব পায়। মামা-খালু নামক এই ভাইরাসকে নির্মূল করতে হবে। ঘুষ আদায়কারী কর্মকর্তাদের উৎখাত করা এখন সময়ের দাবি। মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশের রাজনীতি, মেগা প্রকল্প, বৈদেশিক বানিজ্য এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষার্থে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই মেধাবী শিক্ষার্থীদের অবমূল্যায়ন করা যাবে না। বরং তাদের যথাযথ ভাবে মর্যাদা এবং সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ
ই-মেইল: [email protected]
মোহাম্মদ আলী