ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১

শিশু ও কিশোরদের জন্য প্রয়োজন বাড়তি গুরুত্ব

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শিশু ও কিশোরদের জন্য প্রয়োজন বাড়তি গুরুত্ব

কালের বির্বতনে সমাজটা কেমন জানি বেপরোয়া হয়ে উঠলো। আমি জানি প্রত্যেকেই তার চারপাশের সমাজকে এখন আর নৈতিক ভাবে দেখতে পায় না।
কিন্তু কেন? পাঁচ-ছয় বছর  আগেও তো স্বাভাবিক ছিলো সবকিছু। এই প্রশ্নটা হয়তো সবার মনে ঘুরপাক খায়। রোজ পত্রিকায়, টিভি খুললে, ফেসবুকের স্ক্রলে  দেখতে পাই কিশোর গ্যাংদের সীমাহীন রাজত্বের দাপুটে পদচারণা। সমাজের হঠাৎ এই রঙ-রুপ বদল কিন্তু একদিনে হয় নি। এটি দিনে দিনে এমন নেতিবাচক রুপ ধারণ করছে। তবে এমন বেপরোয়া সমাজ, এমন ভারসাম্যহীন সমাজ আমরা কেউ চাই নি কখনো। আর এমনটি প্রত্যাশিত ও নয়। শিশু-কিশোরদের ভেতর থেকে আদব-কায়দা, শালীনতা ব্যাপারাটা উঠে যাচ্ছে। বিশেষ করে কিশোরদের আচরণ আমাদের আগামী সমাজের দিনগুলো কে প্রশ্নবিদ্ধ করে। অধিকাংশ কিশোর ভুগছে মাদকদ্রব্যের আ্যডিকশনে। এভাবে তাদের মানসিক ও শারীরিক  স্বাস্থ্যের হানি ঘটছে প্রতিনিয়ত। যার ফলে প্রকাশ্যেই আমরা দেখি তাদের রুঢ় আচরণ এবং অশ্লীল গালিগালাজ সহ আজেবাজে অঙ্গভঙ্গি।  শিশু-কিশোরদের প্রতি আমাদের খুবই যত্নবান এবং খেয়াল রাখতে হবে। একটু অপতৎপরতা কিংবা অপ্রয়োজনীয় স্বাধীনতা কিশোদের গ্যাং কর্মকাণ্ডের সম্পৃক্ততার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেক শিশু কে আমরা অল্প বয়সেই অনমনীয় এবং রুক্ষ হতে দেখি। পারিবারিক অসাবধানতা ও সামাজিকীকরণ শিক্ষার অনেক বড়  অভাব থেকে এইসকল  কিশোরদের সাইকোলজিতে আগ্রাসী মনোভাব তৈরি হয়। যার ফলে তারা হিংস্র হয়ে উঠে এবং সামাজিক অবক্ষয়ের সৃষ্টি করে। বর্তমান সময়ে সমাজের ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং আগামী প্রজন্মের মানসিক সুস্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটাতে শিশু ও কিশোরদের প্রতি অবশ্যই সযত্নবান করে তুলতে হবে। লক্ষ্যভ্রষ্ট ও পথভ্রষ্ট শিশু কিশোরদের সংখ্যা যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। সমাজের চালচিত্রে ভয়াবহ পরির্বতন চলে এসেছে। এমন ধারাবাহিকতা অব্যহত  থাকলে  আগামী  প্রজন্মের কাছ থেকে আমরা কেউই সুস্থ, সুরক্ষিত, স্বাভাবিক ও মানবিক থাকবো না।


শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ

মোহাম্মদ আলী

×