বিগত সরকারের আমলে এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই বছর পরই সংস্কার করতে হচ্ছে। এজন্য আবার নিতে হচ্ছে আলাদা প্রকল্প। নবীনগর-চন্দ্রা ফোর লেন সড়ক এক বছর না যেতেই ছেঁড়া কাঁথার মতো জোড়াতালি অবস্থা। এত অর্থ ব্যয় করে ফোর লেন রাস্তা করার পর দুই বছরের মধ্যেই তা সংস্কার করতে হচ্ছে। তাহলে আর এই রাস্তা করে লাভ কী?’ মন্ত্রীর এই বক্তব্য শুনে বিস্মিত হয়েছিলাম। তখনই একটি উপ-সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন করেছিলাম, যে প্রশ্নের জবাব মন্ত্রীর নিজের দেওয়ার কথাÑ এই প্রশ্ন তিনি কার কাছে করছেন? তাহলে মন্ত্রী মহোদয়ের দায়িত্ব কি? মন্ত্রীর এই প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণের পর সড়ক মহাসড়কের অবস্থা, রাস্তার স্থায়িত্ব নির্ধারণে আর সাক্ষী প্রমাণের দরকার হয় না।
কী কারণে এত দ্রুত নষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তাÑ এই প্রশ্নের উত্তর মন্ত্রীর জানা না থাকলেও সাধারণ মানুষের কাছে অজানা নয়। নিম্নমানের রাস্তা কখনো টেকসই হবে না। সরকারি দপ্তরগুলো কি তাহলে নিম্নমানের রাস্তা তৈরি করার মতো করেই দরপত্র তৈরি করেছিল? কাগজে কলমে এটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। একজন সার্টিফিকেটধারী প্রকৌশলী কোনোভাবেই নিম্নমানের রাস্তা তৈরির দরপত্র তৈরি করতে পারবেন না। যদি না বুঝে কেউ করেন, তবে তার লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। চাকরি চলে যাবে সরকারি দপ্তর থেকে। স্বাভাবিকভাবেই বুঝা যায়, নিম্নমানের রাস্তা তৈরির জন্য দরপত্র তৈরি করা হয় না। টেকসই রাস্তা তৈরির জন্যই একটি মানসম্মত দরপত্র তৈরি করা হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জেনে বুঝে, লাভ-লোকসান হিসাব নিকাশ করেই দরপত্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তাব দাখিল করেন। তারপরও কি কারণে নিম্নমানের ভঙ্গুর রাস্তা তৈরি হয়? এই প্রশ্নের উত্তর ওপেন সিক্রেট। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষেরও এর কারণ অজানা নয়। তবু বছরের পর বছর নির্মিত হচ্ছে নিম্নমানের সড়ক।
ঠিকাদারের কাজ নিশ্চিত হওয়ার পর শুরু হয় কারসাজি। দরপত্রের চাহিদার ধারে কাছেও থাকে না রাস্তার মান। নিম্নমান এবং চাহিদার তুলনায় অনেক কম নির্মাণ সামগ্রীতে তৈরি হয়ে যায় রাস্তা। পুরো কাজটি চলে একজন বা একটি প্রাতিষ্ঠানিক পরিদর্শক টিমের চোখের সামনে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার এই দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক টিমের চোখ এড়িয়ে কোনোভাবেই ঠিকাদার রাস্তার কাজ শেষ করতে পারেন না। শেষ করতে পারলেও বিল নেওয়া সহজ হবে না। চূড়ান্ত বিল পাসের আগে সার্টিফিকেট লাগবে আরও ওপরের একটি পরিদর্শক টিমের। এমন সার্টিফিকেট পেলেই কেবল ঠিকাদার রাস্তা নির্মাণের বিল উঠাতে পারবেন। বিষয়টি এমন দাঁড়াল যে, নিম্নমানের রাস্তাটি নির্মাণ সম্পর্কে ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সবাই অবগত থাকেন।
প্রকাশ্যে মন্ত্রী সাহেব যে দুটি রাস্তা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেণ্ড তার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই দুটি রাস্তার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কোন্টি, সড়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে ছিলেন, তা খুঁজে বের করতে তার এক মিনিটও লাগার কথা নয়। তিনি নিজে তাদের ডাকতে পারতেন, না হলে মন্ত্রণালয়ের সচিব কিংবা ঊর্ধ্বতন কাউকে দায়িত্ব দিতে পরতেন। প্রয়োজনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠিত করে তদন্তের মাধ্যমে একটি অফিসিয়াল রিপোর্ট তৈরি করতে পারতেন। রিপোর্টের ভিত্তিতে দেশের প্রচলিত আইনে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত। অভিযোগ খুব স্পষ্ট এবং সাক্ষী মন্ত্রী নিজে। অথচ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের কথা দেশবাসী জানতে পারেনি।
শুধু মহাসড়ক নয়, গ্রামের ভেতরে প্রচুর রাস্তা তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে নির্মিত রাস্তগুলোরও অবস্থা আরও নাজুক। এগুলোর মান ও স্থায়িত্ব আরও কম। নির্মাণের এক বছরের মধ্যেই রাস্তাগুলো ভাঙতে শুরু করে। কোথাও দেবে যায়, কোথাও পিচ সরে গিয়ে লাল ইট উঁকি দেয়। একটি বর্ষাকাল পার হলে রাস্তা হয়ে যায় অকেজো। এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ঠিকাদার কিংবা সরকারকে গালাগাল করেন। এই পর্যন্তই। ভাঙা রাস্তা দিয়েই তাদের চলাচল করতে হয় পরবর্তী সময় মেরামত না হওয়া পর্যন্ত। রাস্তা নির্মাণের পর ঠিকাদারকে খুঁজে পাওয়া যায় না। সরকার তো সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সারাদেশে এমন অসংখ্য ভাঙা রাস্তাকে নিয়তি মেনে দুর্ভোগের সঙ্গেই চলাচল করছেন কোটি কোটি মানুষ। দ্রুত আয়ু কমে যাচ্ছে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের। স্বাস্থ্যগত ক্ষতির মুখোমুখি হন এলাকার মানুষ। একটি গোষ্ঠীর অতি মুনাফার লোভ একদিকে যেমন কষ্ট দিচ্ছে দেশের মানুষকে, অন্যদিকে রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে বিপুল অঙ্কের অর্থ।
নিম্নমান ছাড়াও গ্রামগঞ্জের সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আরও একটি কারণ হচ্ছে ‘যন্ত্র দানব’। কৃষিকাজে ব্যবহার করার জন্য বিদেশ থেকে ভারী ট্রাক্টর আমদানি করা হয়। এগুলো কৃষি কাজের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় পণ্য পরিবহনে। বিশেষ করে এগুলোর মাধ্যমে বালি, মাটি কিংবা নির্মাণসমগ্রী পরিবহন করা হয়। ট্রাক্টরের পিছনে একটি দেশের তৈরি ভ্যান জুড়ে দেওয়া হয়। ভ্যানটির নির্মাণ প্রক্রিয়া কিছুতেই বিজ্ঞানসম্মত নয় এবং পিচঢালা পথে চলাচলের অনুপযোগী। এগুলোতে কোনো ধরনের শক এবজরভার থাকে না। রাস্তার ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ পণ্য নিয়ে এগুলো চলতে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে। এসব যান চলাচলকারী রাস্তা কোনোভাবেই টিকে থাকা সম্ভব নয়। দেশের অনেক স্থানে প্রশাসন এ ধরনের যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। অনেক রাস্তায় সচেতন কর্তৃপক্ষ কিংবা এলাকাবাসী নিজেরা উদ্যোগী হয়ে খুঁটি দিয়ে এগুলো আটকানোর চেষ্টা করছে। পত্রপত্রিকায় এসব যানবাহনের অবৈধ ব্যবহার এবং ক্ষতির বিষয় নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। অধিকাংশ এলাকাতেই এসব যন্ত্রদানব চলছে নির্বিঘ্নে। এদের কে ঠেকাবে তা দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ জানে না।
মহাসড়কে ব্যাটারি রিক্সা, নছিমন-করিমনসহ অটোরিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব যানবাহন মহাসড়কে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও মহাসড়কে এই যানবাহন দুর্ঘনার শিকার হচ্ছে। প্রাণ যাচ্ছে শত শত মানুষের। পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার লোক। এছাড়া এ ধরনের যানবাহন কমিয়ে দিচ্ছে মহাসড়কের গতি। দূরপাল্লার বাস-ট্রাক চলতে পারছে না স্বাভাবিক গতিতে। চার ঘণ্টার রাস্তা পার হতে লেগে যাচ্ছে ৭/৮ ঘণ্টা। আইন কার্যকরের জন্য পরিবহন মালিকরা একাধিকবার ধর্মঘট করেছেন। অচল করে দিয়েছে গোটা দেশ। আইন আর কার্যকর হচ্ছে না। সমস্যার সমাধানও হচ্ছে না। আইন কার্যকরের দায়িত্ব কার তা সবাই জানে। কেন আইন কার্যকর হচ্ছে না তা শুধু জানে না কেউ।
সড়ক-মহাসড়কের আরও একটি প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, রাস্তার পাশে অপরিকল্পিত শিল্প কারখানা, হাট-বাজার এবং বাসস্ট্যান্ড। দেশের প্রায় সব মহাসড়কের পাশেই রাতারাতি গড়ে উঠেছে শিল্প-কারখানা, হাট-বাজার। রাস্তা তৈরি হতে সময় লাগে কিন্তু হাট-বাজার বসতে বিলম্ব হয় না। রাস্তার পাশেই গড়ে উঠছে বহুতল বিপণি বিতান, আধুনিক মার্কেট। রাস্তার ওপর গাড়ি থামিয়ে এসব মার্কেট কিংবা মিল-কারখানার পণ্য ওঠানামা করছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এছাড়া হাট-বাজার কেন্দ্রিক বাসস্ট্যান্ড প্রতিনিয়ত রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি করছে। যানজট ছাড়াও রাস্তার পাশে অপরিকল্পিত স্থাপনায় পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। স্থাপনার কারণে রাস্তা থেকে বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার জায়গা থাকে না। পানি জমে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় রাস্তা। সড়কের পাশে হাট-বাজার দেশের প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ রয়েছে। এরপরও প্রতিদিনই বসছে নতুন নতুন হাট-বাজার। এগুলো দেখার কোনো কর্তৃপক্ষ আদৌ রয়েছে কিনা কেউ জানে না।
সরকার চায় দেশের টেকসই উন্নয়ন। দুর্বল-ভঙ্গুর রাস্তা যেন তৈরি না হয় এই প্রত্যাশা সকলের। বিগত সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ভঙ্গুর রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাস্তবে প্রতিকারের জন্য কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। অকালে রাস্তা ভেঙে যাওয়ার দায়ে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা শোনা যায়নি। অর্থাৎ সমস্যা অন্য জায়গায়। রাস্তা নির্মাণের অনুমোদনদাতা, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং দেখভালের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করা কঠিন কোনো কাজ নয়। নির্মাণ কাজে অনুমোদনকারীর কাছে জানতে চাইলে ঠিকাদার এবং দেখভালকারীকে পাওয়া যায়। ঠিকাদার তার লভ্যাংশ নিশ্চিত করেই দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন। এরপরও কি কারণে নিম্নমানের রাস্তা তৈরি হয় এর জবাব তার কাছে চাওয়া যেতেই পারে। উপযুক্ত জবাব দিতে না পারলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের শর্ত দরপত্রেই দেওয়া থাকে। এর বাইরেও রয়েছে দেশের প্রচলিত আইন। রাস্তা তৈরির সময় যিনি নজরদারির দায়িত্বে থাকেন তিনি সরকারি কর্মকর্তা। প্রজাতন্ত্রের টাকায় তাদের বেতন হয়। রাস্তা দেখভাল করাই তাদের চাকরি। যেখান থেকে রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়, সেই জায়গাতেই এত অবহেলা শুধু অপরাধ নয়, নীতি নৈতিকতার দিক থেকেও অনুচিত কাজ। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চাইবে কম বা নিম্নমানের কাজ করে লাভ বেশি করতে। নজরদারির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার দায়িত্ব এগুলো দেখভাল করার। পছন্দ না হলে তিনি কাজ বন্ধ করে দিতে পারেন। দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তার সৎ সিদ্ধান্তে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে গেছে এমন নজির খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যদি ঠিকমতো তার দায়িত্ব পালন না করেন, কাজে অবহেলা করেন, তবে তাকেও জাবাদিহিতার আওতায় আনা যায়। সংশ্লিষ্ট বিভাগকেই পালন করতে হবে এই দায়িত্ব। যদি মন্ত্রী নিজে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে এমন অভিযোগ করেন, তবে আর সাক্ষী প্রমাণের দরকার হয় না। বিভাগীয় অনুসন্ধান শুরু করা যায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে। দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
সঠিক দায়িত্ব পালন না করা এবং অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার কারণেই বিগত সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই ক্ষোভ পরিণত হয়েছে জনরোষে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণে দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। বর্তমান সরকার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। এমন উদ্যোগে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প থেকে অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। ঠিকাদারদের অনিয়ম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলায় যেসব সড়ক-মহাসড়ক সময়ের আগেই ভেঙে যাচ্ছে, এগুলো তদন্ত করা উচিত। দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া গেলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা মোকদ্দমার সময় এবং অর্থের অপচয় হয়। দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ায় ফল লাভ হয় খুবই কম। অনিয়ম অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে এদের অর্থদণ্ড করা যায়। যে ঠিকাদার নির্মাণ কাজে জড়িত ছিলেন, তাকে দিয়েই আবার নতুনভাবে রাস্তা নির্মাণ করা উচিত। এমন উদাহরণ তৈরি হলে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপকর্মে জড়িত হওয়ার সাহস পাবে না। বন্ধ হবে নিম্নমানের রাস্তা নির্মাণ।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, জনকণ্ঠ
মোহাম্মদ আলী