ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বানিজ্যমুক্ত হোক স্যান্ধকালীন কোর্স

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

প্রকাশিত: ১৯:১৯, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

বানিজ্যমুক্ত হোক স্যান্ধকালীন কোর্স

বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থীর একটি বৃহ অংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় না তাই বলে এই বৃহ সংখ্যক শিক্ষার্থী এবং কর্মরত জনগণকে কোনোভাবেই তাদের কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার প্রশ্ন বা যুক্তি আসে না তবে অনেকেই বলবেন, এক্ষেত্রে দিবাকোর্সের শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় ক্ষতি পূরণের দায়িত্ব কে নেবে? এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরি কমিশনের একটি নায্য আইন প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই

একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি সামান্য অর্থের লোভ থেকে নিজেকে সামলাতে না পারেন, সান্ধকোর্সের পার্টটাইমকে ফুলটাইম করে তোলেন কিংবা এখানে সেখানে পড়ান তাহলে সেই শিক্ষক তার মানবিক জীবনে পঙ্গু এবং অকিঞ্চিকর মানসিকতায় উপবিষ্ট হবেন যা  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছ থেকে কখনই আশা করা কাম্য নয়

শিক্ষকরা যাতে কোনো ভাবেই সান্ধ্যকোর্সের অর্থের লোভে ঝুঁকতে না পারেন সেক্ষেত্রে একটি রাষ্ট্রীয় নীতিমালা এখন সময়ের দাবি আর সান্ধ্যকালীন কোর্সের নামে রমরমা বানিজ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর হাতে বন্ধ করা উচিত এই বানিজ্য শিক্ষাকে কলুষিত প্রশ্নবিদ্ধ করে দেশ যখন স্বাধীনতার জোয়ারে ভাসছে তখন কেন টাকা দিয়ে শিক্ষা কিনতে হবে? সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা অবশ্যই নামমাত্র মূল্যে ছড়িয়ে দিতে হবে

সকল শ্রেণির সকল শিক্ষার্থী তাদের কাঙ্ক্ষিত ডিগ্রি, উচ্চতর পড়াশোনা ভাষা শিক্ষা অর্জনের সুযোগ সুবিধা পাবে কারণ দেশে  বহু বিচিত্র বিষয়ের শিক্ষার্থী আছেন, তাদের প্রয়োজন  পেশাদারিত্বের তাগিদে  সান্ধ্যকোর্সের একটি ডিগ্রি রাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে কিন্তু সান্ধকোর্সে ভর্তির যে বিশাল টাকার অংক তা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য স্বপ্নভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাছাড়া সান্ধ্যকোর্স এখন বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নির্দিষ্ট ইন্সটিটিউট থাকবে সেখানে সান্ধ্যকোর্স চালু থাকবে যাতে দিবা কোর্সের শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি না হয় সান্ধ্যকোর্স বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই যৌক্তিক হতে পারে না কারণ, সান্ধ্যকোর্সের মাধ্যমে চাহিদাবান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্য গড়ে উঠছে

শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ

×