ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

দেশপ্রেম জাগ্রত হোক প্রতিটি হৃদয়ে

রবিউল হাসান সাগর

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশপ্রেম জাগ্রত হোক প্রতিটি হৃদয়ে

দেশপ্রেম হলো এক অবিচ্ছেদ্য অনুভূতি। যা মানুষের অন্তরে গভীরভাবে গেঁথে থাকে। এটি শুধু এককভাবে অনুভূতির বিষয় নয়। বরং এটি এক ধরনের দায়বদ্ধতা এবং দায়িত্ববোধের নাম। যা একটি জাতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং উদ্বেগের প্রকাশ করে। আমাদের প্রজন্মের কাছে দেশের প্রতি ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা এবং কর্তব্যবোধ জাগ্রত করা অত্যন্ত জরুরি। আর বিশেষ করে আজকের জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং বিশ্বে।

বাংলাদেশের ইতিহাস সংগ্রামী, গৌরবময় এবং আত্মত্যাগের। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য যে অকল্পনীয় ত্যাগ সংগ্রাম হয়েছিল, তা আজও আমাদের হৃদয়ে দৃঢ়ভাবে বসবাস করে। এমনকি এবারের ২৪-এর আন্দোলনও। তবুও সময়ের সাথে সাথে আমাদের মধ্যে এই দেশপ্রেমের অনুভূতি কিছুটা ম্লান হতে শুরু করেছে। যেমন- ব্যক্তিস্বার্থ, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিভাজন এবং পরিসরে আধুনিক জীবনের চাপ মাঝে মাঝে আমাদের দেশপ্রেমের মানসিকতা ক্ষুণ্ন করে।

তবে সত্যিকার দেশপ্রেম কখনোই সীমাবদ্ধ নয়। এটি শুধু পতাকা বা জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন নয়। বরং এটি আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্মের মধ্যে অন্তরভুক্ত। এটি দেশের উন্নয়ন, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, সাংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দেশপ্রেমের শিকড় মজবুত করতে হবে। যেন পরবর্তী প্রজন্ম এই দেশের প্রতি যে ভালোবাসা শ্রদ্ধা অনুভব করে তা কখনোই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

দেশপ্রেমের অর্থ কেবল গর্বিতভাবে জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানানো নয়। এটি হলো দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা, জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করা এবং আমাদের সম্পদ মানবসম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে দেশের কল্যাণে কাজ করা। দেশের জন্য ভালো কিছু করার উদ্যোগ একে অপরকে প্রভাবিত করে এবং সামগ্রিকভাবে এটি জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন আনতে সক্ষম।

পাশাপাশি একটি সমাজে পরিবর্তন আনতে সবার মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেমের অনুভূতি সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষার মাধ্যমে দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করা সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। এটা জাতির জন্য, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এবং আমাদের পৃথিবীকে একটি উন্নত শান্তিপূর্ণ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে অপরিহার্য।

অতএব দেশের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং দায়িত্ববোধের বীজ প্রতিটি হৃদয়ে রোপণ করতে হবে। এটি আমাদের সবার কর্তব্য। যাতে করে আগামী দিনে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে আমাদের বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে।

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

 

×