ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সরকারি শূন্যপদ

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারি শূন্যপদ

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিসংখ্যান-২০২৩ অনুসারে বর্তমানে সরকারি চাকরিতে শূন্যপদের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১টি। এসব পদে নিয়োগ দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও মাঠপর্যায়ের অফিসগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এসব শূন্যপদ পূরণে ইতোমধ্যে কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব তথ্য ওয়ার্ড ফাইলসহ পত্রপ্রাপ্তির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নির্দেশনার চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) ৪৭তম বিসিএস নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে ৩ হাজার ৬৮৮টি শূন্যপদ পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) শুধু প্রথম শ্রেণি, নন-ক্যাডার এবং সীমিত পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগ করে থাকে। সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অন্য পদগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধীন দপ্তর/ সংস্থা/করপোরেশন ও কোম্পানি কর্তৃক পূরণ করা হয়ে থাকে।
জনবল যে কোনো প্রতিষ্ঠানের সচলতার পূর্বশর্ত। এর উল্লেখযোগ্য ঘাটতি হলে প্রতিষ্ঠানে স্থবিরতা তৈরি হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের বেলায় শূন্যপদ পূরণের গুরুত্ব অনেক। কেননা, এর ওপর দেশের অগ্রগতি নির্ভর করে। অনেকদিন যাবৎ আটকে আছে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া। কয়েক লাখ পদ শূন্য থাকলেও প্রকাশ করা হয়নি বড় কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। অথচ সরকারি অফিসগুলোতে কয়েক লাখ পদ শূন্য রয়েছে, যা সরকারের সার্বিক কাজে গতি বাড়ানোয় অন্তরায় হয়ে উঠেছে। আশার কথা হলো, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ এবং শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্ব লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
 বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু সরকারি খাতে কয়েক লাখ শূন্যপদে নিয়োগ দান সম্পন্ন করে দেশের বিশাল বেকারত্বের ভার কমানো সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতেও কর্মসংস্থান বাড়ানো জরুরি। সেই সঙ্গে দেশের বাইরে চাকরির বাজার ধরতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। বাজার বিবেচনা করে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করলে আমাদের দেশে যেসব কাজ বিদেশীরা করছেন, সেখানে বাংলাদেশের তরুণরা কাজ পেতে পারেন। বিদেশেও কাজের বাজার তৈরি হবে, যা  শ্রমবাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরাবে। তাছাড়াও সরকারি চাকরির জন্য আবেদন প্রক্রিয়ায় উচ্চ আবেদন ফি বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এখন পর্যন্ত একটি বড় বাধা। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারের প্রার্থীদের জন্য এই ফি পরিশোধ করা দুঃসাধ্য, যা তাদের জন্য চাকরির আবেদন প্রক্রিয়াকে সীমাবদ্ধ করে দিচ্ছে। বিষয়টির সুরাহা জরুরি। এর পাশাপাশি কালবিলম্ব না করে পিএসসি পুনর্গঠন করতে হবে। সরকারি চাকরিতে কয়েক লাখ শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বাঞ্ছনীয়।

×