মাহবুব নাহিদ
গতকাল ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যা শুধু দুঃখজনকই নয়, তা আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের জন্য গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। হামলাকারীরা বাংলাদেশের পতাকা ছিঁড়ে অগ্নিসংযোগ করেছে, যা একটি স্বাধীন জাতির প্রতি অসম্মান এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতির প্রতি অবজ্ঞা। এই সহিংসতা শুধু একটি চিহ্নিত হামলা নয়, বরং তা আমাদের মানবিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের ওপর আঘাত।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সেখানকার অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। মমতার এই মন্তব্য, যদিও রাজনৈতিক আলোচনার অংশ, তবে তা নিয়ে উদ্বেগও তৈরি করেছে, বিশেষত বাংলাদেশ ও ভারতীয় জনগণের মধ্যে সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপির সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে, মমতার এমন বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান একটি রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে, যার মাধ্যমে তিনি বিজেপির সমর্থন ও জনমত পেতে চাইছেন। তবে, এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু রাজনৈতিক লাভের জন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত উত্তেজনা তৈরি করতে সক্ষম। ইতিমধ্যেই দেশের মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে, চারিদিকে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হচ্ছে দিল্লি না ঢাকা? দিল্লি না ঢাকা?
কিছুদিন ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতি নদীর উপর অবস্থিত ডুম্বুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি গেট খুলে দেয় ভারত। সেজন্য ফেনীর মুহুরি নদী প্লাবিত হয়ে অবস্থা বিপদসীমা পার হয়ে যায়। ভেসে যায় পুরো ফেনী। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট, নোয়াখালী, ব্রাহ্মনবাড়িয়াও। ১৯৯৩ সালে এই বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছিল, ৩১ বছর পর আবার এই কাজ করেছে তারা। দুই দেশের সংযোগ থাকলে বাঁধ দেওয়াই যুক্তিযুক্ত না। তার উপরে তারা তাদের প্রয়োজনে ছাড়ে আবার খোলে, এমনকি কিছু জানায়ও না! যেটা কখনোই কাম্য না। আবার তাদের টিভি চ্যানেল সেটা নিয়ে উস্কানিও দেয়।
বাংলাদেশের ভূ সীমানার তিন দিকে ভারত। আমাদের সাথে আর কোনো দেশের এত বড় সম্পর্ক নেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক মধুর থাকার কথা। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলেও এটা সত্য যে বাংলাদেশের মানুষ ভারত এবং ভারতের সরকার কোনোটাকেই পছন্দ করে না। বাংলাদেশের মানুষ দিনদিন ভারত বিদ্বেষী হয়ে উঠছে। এই বিদ্বেষী হওয়ার মাত্রা বেড়েই চলছে।
কিন্তু কেন এই বৈরিতা? একটা দেশ মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সহায়তা করলো, আমাদের পাশে দাঁড়ালো, তাদের সাথে আমাদের এমন বৈরি সম্পর্ক কেন থাকবে! এটা তো উচিত নয়।
প্রথমেই আসি মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে। মুক্তিযুদ্ধের আগে যখন দেশ ভাগ হয়, তখনই তো বুদ্ধি করে একটা বৈষম্য ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাকে ছোট করে তারা বেশি জায়গা নিয়ে নেয়। আর যারা দেশভাগের দায়িত্বে ছিল তারা একটা দেশের দুইটা অংশ দুই পাশে রেখে ভাগ করে। এই কারণটাই আসলে পাকিস্তানের সাথে আমাদের যুদ্ধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ ছিল। আর সেই ঘটনার সুযোগ নেয় ভারত। তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা ঠিকই করে কিন্তু তারা তখনই চিন্তা করে নেয় যে বাংলাদেশকে তাদেরই তাবেদার একটা দেশে পরিণত করবে। তাই দেশ গঠনের শুরু থেকেই আমাদের দেশের সকল অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা নাক গলাতে থাকে। আমাদের দেশের রাজনীতিকে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।
সেই নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে বড় সুযোগ পায় সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে। শেখ হাসিনা তিন তিনটি নির্বাচন করে নিজের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য, যেই নির্বাচন ছিল ভোটারবিহীন কিংবা ডামি কিংবা নিশিরাতের নির্বাচন। শেখ হাসিনার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যত ধরনের সহযোগিতা লাগে তা ভারত সরকার করে যায়।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” সরাসরি কাজ করে আমাদের দেশে। তারা সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করে শেখ হাসিনাকে সাহায্য করা চালিয়ে যায়। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার মসনদে টিকিয়ে রাখার জন্য বেশি উথালপাথাল হয়ে যান বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছিলো যেন ভারত বাংলাদেশ হয়ে সরাসরি এই অঞ্চলে পণ্য পরিবহন করতে পারে। একটা দেশের মধ্য দিয়ে আরেকটা দেশের ট্রেন চলাচল করবে কিন্তু আদতে পাবে না তারা তেমন কিছুই। জুলাই মাসেই এই ট্রেন পরীক্ষামুলকভাবে চালানোর ইচ্ছা ছিল ভারতের। কিন্তু সেগুলো হওয়ার আগেই তাদের পরম বন্ধু পালিয়ে গেল তাদেরই দেশে।
বাণিজ্যিকভাবে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিল ভারত । তাতে তাদের সময় ও অর্থ দুটি ই বাঁচতো । এক দিক থেকে ছিলো ট্রানজিট ও ট্রান্সপোর্টেশন এর সুবিধা অন্যদিকে রমরমা ব্যবসা বাণিজ্যের দিকটিও। এর মধ্যেই মংলা বন্দরের দায়িত্ব কিন্তু ভারতের হাতে দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও ভারতের ক্ষতি হয়ে গেল।
আমাদের একটু ফিরে যেতে হয় আবরার ফাহাদের ঘটনায়। আবরার লিখেছিলেন,‘১. ৪৭-এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোনো সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ছয় মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিল। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
২. কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চায় না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউসেক মিটার পানি দেব।’
৩. ভারতকে গ্যাস দেয়ার সমালোচনা করে বুয়েটের এই শিক্ষার্থী লেখেন, কয়েক বছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তর ভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দেব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।
এই পোস্ট করার জন্য ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ।
ফেনী নদীর পানি নিয়েও ভারতের সাথে চলে অনেক কথা চালাচালি। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম অঞ্চলে খাবার পানির সংকট দূর করতে এই ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ২০১৯ সালের ৫ই অক্টোবর সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।
এই সমঝোতা বাস্তবায়নে গত ১২ই জুন দুই দেশের টেকনিক্যাল কমিটি কূপ খননের স্থান নির্ধারণ ও পানি উত্তোলনের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে নদীর সম্ভাব্য কিছু স্পটে যৌথ পরিদর্শন করেন। কিন্তু পানি উত্তোলনের পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধের কারণে কোন সিদ্ধান্তে পৌছুতে পারেননি কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ থেকে ভারতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হতো ভারতে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে! কিন্তু আমাদের দেশে কিনতে হতো অনেক দামে।
তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে কখনোই ভারত আমাদের প্রতি সহনশীল হয়নি। তিস্তা বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ একটা নদী। কিন্তু কখনোই ভারত বাংলাদেশকে তিস্তা নদীর সুবিধা নিতে দেয়নি। তিস্তা নদীতে ভারত বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ব্যারেজ জলবিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন প্রকল্প করেছে যা তিস্তা নদীর পানি বাংলাদেশের অংশে আসার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। উজানের সময় মোটামুটি পানি পাওয়া গেলেও ভাটির সময় সঠিকভাবে পানি পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের একটা বড় অঞ্চলজুড়ে মানুষের সেচকাজ তিস্তা নদীর উপর নির্ভরশীল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বরাবরই তিস্তা চুক্তি নিয়ে বিরোধিতা করেছেন। তিনি বারবার বলেছেন যে রাজ্যকে বাদ দিয়ে তিস্তা চুক্তি করা যাবে না। আর তিনি তিস্তা চুক্তি করতে দিবেন না বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বারবার।
তিস্তার মতোই আরেকটা ইস্যু হচ্ছে ফারাক্কা বাঁধ। ভারত যখন তাদের পানি বেশি হয়ে যায় তখন ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়, আমরা তখন বন্যায় ভেসে যাই। আবার যখন আমরা খরায় ভুগি তখন ফারাক্কা বাঁধ থাকে বন্ধ। প্রয়োজনে যে পাশে থাকে তাকেই যদি বন্ধু বলা হয়, তাহলে ভারত আমাদের কিসের বন্ধু?
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ করে কোলকাতা হচ্ছে মাদকের একটা বিশাল আঁখরা, তারা বিএসএফের মাধ্যমে দেশে প্রচুর মাদক ঢুকায়। বিভিন্ন বন্দর এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা চালায় তারা।
আর সীমান্ত নিয়ে যখন কথা উঠেছেই তাই একটা কথা বলতে হয়ই। সীমান্তে অযথা মানুষ খুন করা বিএসএফের একটা নেশায় পরিণত হয়ে গিয়েছিল। তারা ইচ্ছামতো মানুষ খুন করতেই থাকে। তাদের এই আচরণের বিপরীতে আমাদের বিজিবি থাকে নীরব ভূমিকায়। বিজিবির ভূমিকা যেন শুধুমাত্র লাশ গ্রহণ করা।
দুই দেশের মধ্যে আমদানি এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কের মাত্রা সহনশীল থাকা প্রয়োজন, কিন্তু বিভিন্ন পণ্য আমদানী করার ক্ষেত্রে অযথা শুল্ক বসিয়ে আমাদেরকে নির্যাতন করে।
ভারতের বাংলাদেশের প্রতি বিরুপ আচরনের একটা বড় উদাহরণ হচ্ছে চিকেন নেক। চিকেন নেক এর মাত্র ২০ থেকে ২২ কিলোমিটার রাস্তা আমরা ব্যবহার করতে পারলে নেপালের সাথে সরাসরি স্থলপথে অনেক কম খরচে বানিজ্য করতে পারতাম। কিন্তু বারবার চেয়েও এটা কখনোই পাওয়া যায়নি। অথচ আমরা আমাদের বন্দর দিয়ে দিয়েছি, প্রায় বিনামূল্যে আমাদের টাকায় বানানো রাস্তা দিয়ে দিয়েছিলাম। একেবারে সব উজাড় করে দিয়ে দিলাম সব।
শিলিগুড়ি করিডোর , যা চিকেনস নেক নামেও পরিচিত, এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরের চারপাশে একটি প্রসারিত ভূমি। ২০-২২ কিলোমিটার (১২-১৪ মাইল) সংকীর্ণ অংশে, এই ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-অর্থনৈতিক করিডোরটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যকে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের বাকি অংশের সাথে সংযুক্ত করে। এখন কথা হচ্ছে, এই জায়গাটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ন।
নেপাল বারবারই চিকেন নেকটা তাদের করে দিতে বলেছে, তার পরিবর্তে তারা অন্য জমিও দিতে চেয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু ট্রানজিট সুবিধা আমরা তাদেরকে দিয়েছিলাম, তাই জমি নিয়ে নিতে চাওয়ার দরকার নেই। আমাদেরকে তো ট্রানজিট দেওয়া উচিত ছিল তাদের।
ভারত সবচেয়ে বড় অসাধু কাজ করেছে হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে সাহায্য করে। এই বিষয়টা বাংলাদেশের মানুষকে ভারত বিদ্বেষী বানিয়েছে। ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ, কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করার তিন তিনটা নির্বাচনে সহায়তা করেছে যা মানুষের কাছে কাম্য নয়। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তারা আশ্রয় দিয়েছে।
তাদের দেশে বসে হাসিনা নতুন ষড়যন্ত্রের ফন্দি আটছে, তারা হয়তো সাহায্যও করছে। মিডিয়াতে হিন্দুদের উপর হামলা হচ্ছে বলে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, এমনকি নরেন্দ্র মোদী নিজে টুইটারে পোস্ট পর্যন্ত করেছেন। মাশরাফির বাড়ি পোড়ানোর ছবি দেখিয়ে তারা বলছে লিটন দাসের বাড়ি পোড়ানো হয়েছে।
এমন কি তাদের দেশের এক বিধায়ক বাংলাদেশে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। দেশাদ্রোহীতার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়েও উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভারত। তারা এটাকে সংখ্যালঘু নির্যাতন বলতে চায়। এখন নরেন্দ্র মোদী নিজে টুইটারে পোস্ট করে! বাংলাদেশ নিয়ে তাদের এখন এত চিন্তা!
অথচ হাসিনা সরকার যখন নির্বিচারে মানুষ মারছিল তখন তারা বলেছে যে এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশের মানুষ অনেক কাজেই ভারতে যায়, মানুষ যেতে চায়, যাবে না কেন! আমাদের পাশের দেশ! বন্ধু দেশ! আপনারা সত্যিই বন্ধু হয়ে উঠুন, আমাদের সুবিধাগুলোও দেখুন, বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই আপনাদের ভালোবাসবে।
লেখক: মাহবুব নাহিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক
এসআর