দেশ গড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হলো একতা। ইতিহাস সাক্ষী যে, যখন একটি জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকে,তখন তারা সব বাধা অতিক্রম করে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। একতা আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূল ভিত্তি। একটু পিছনে তাকালে দেখা যায়- বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একতার ভ‚মিকা অনস্বীকার্য। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ -এই সকল আন্দোলনের মূল শক্তি ছিল বাঙালির ঐক্য। এমনকি ২৪-এর আন্দোলনেও ছিল বিশাল একতা। একতা থাকার কারণে আমরা একত্রিত হয়ে শত্রæর মোকাবিলা করেছি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
কিন্তু স্বাধীনতার পরেও আমাদের সামনে রয়েছে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। যেমন- দারিদ্র্য, দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ, বেকারত্ব, এবং সামাজিক বৈষম্য ইত্যাদি। এগুলো দূর করতে হলে জাতি হিসেবে আমাদের একতাবদ্ধ হতে হবে। ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশকে ভালোবাসা এবং দেশের কল্যাণে কাজ করা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। একতা শুধু রাজনৈতিক বা সামাজিক দিকেই নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও অনেক জরুরি। দেশের প্রতিটি নাগরিক যদি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে। তাহলে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, রপ্তানি বাড়বে এবং আমরা একটি স্বনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারব খুবই সহজে।
তবে একতার জন্য সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতার মনোভাব থাকা অত্যন্ত জরুরি। আমরা যদি ভিন্নমতকে সম্মান জানাতে শিখি এবং দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একে অপরের পাশে দাঁড়াই, তবেই সত্যিকারের একতা সম্ভব। এইতো কিছুদিন আগেও কিন্তু আমরা বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের সকল মানুষ একত্র হয়ে তা মোকাবিলা করেছি। সুতরাং, আসুন আমরা একতার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে দেশের উন্নয়নে ব্রতী হই। একতার ভিত্তিতে গড়ে তুলি এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে প্রতিটি নাগরিক গর্বিত হতে পারে। আর "দেশ গড়ার জন্য চাই একতা"--এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ