গ্রামীণ অর্থনীতি হলো বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি। বিষয়টি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিককে নির্দেশ করে। বাংলাদেশে গ্রামীণ অর্থনীতি মূলত কৃষি এবং কৃষি-ভিত্তিক কার্যক্রমের উপর নির্ভরশীল। দেশের প্রায় ৬০% জনসংখ্যা গ্রামে বসবাস করে এবং তাদের জীবিকা প্রধানত কৃষি, মৎস্য চাষ, পশুপালন এবং অন্যান্য গ্রামীণ ব্যবসার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।দেশটি শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশের মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে, যা দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাত।২০১৮ সালের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্যমতে, এটি মোট শ্রমশক্তির ৪০.৬ ভাগ যোগান দিয়ে থাকে এবং দেশের জিডিপিতে এর অবদান ১৪.১০ শতাংশ। কিন্তু শিল্প কেন্দ্রিক বাজেটে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হয়ে পরছে গ্রামীণ অর্থনীতি উপর । ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ এবং কৃষি অর্থায়ন। যা আর্থিক ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়নে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।গ্রামীণ অর্থায়ন বলতে অর্থ সংগ্রহ করা এবং গ্রামীণ অঞ্চলে তাদের আর্থসামাজিক কাজ এবং কার্য সম্পাদনের জন্য গ্রামীণ এলাকায় ক্ষুদ্র ঋণ দেয়াকে বোঝায়। এর লক্ষ্য হলো, গ্রামীণ পরিবেশের পুরুষ ও সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করা যাতে তারা আয়-উৎপাদনমূলক কর্মকাÐে জড়িত হতে পারেন। গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নে নি¤œলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
১/ আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করা।
২/কৃষকদের ও ক্ষুদ্র বা মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা।
৩/গ্রামীণ এলাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের প্রসার করতে সাহায্য করা।
৪/কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা স¤প্রসারণ করা।কৃষি ও ক্ষুদ্র উদ্যোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা । যেখানে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ।
৫/ মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা ।নারীদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালু করা ।নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করা ।মহিলাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা।
গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে এই পদক্ষেপগুলো কার্যকরীভাবে বাস্তবায়ন করা হলে গ্রামীণ অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়