অদ্ভুত একটা পরিস্থিতি ও পরিবেশ! ঘরে ঘরে জ¦র, সর্দি-কাশি। ডেঙ্গু রোগটি এখনও চোখ রাঙাচ্ছে। জনকণ্ঠের সম্পাদকীয় বিভাগে আমার সিনিয়র সহকর্মী আজ ১০ দিন হলো ঘরে শয্যাশায়ী; ফোন করলে জানালেন চিকিৎসক স্যালাইন নিতে বলেছেন। আমিও সম্পূর্ণ সুস্থ নই। বাম চোখে সার্জারি হয়েছে। ১৪ দিন চোখের বিশ্রাম জরুরি। সহকর্মী শয্যাশায়ী বলে চিকিৎসকের পরামর্শ উপেক্ষা করে অফিসে যোগ দিয়েছি সাত দিন বিশ্রাম নিয়েই। চোখের ওপর চাপ পড়ছে, কিন্তু নিরুপায়। গত সপ্তাহে লিখতে পারিনি। তাই এ সপ্তাহে পাঠকদের আর বঞ্চিত রাখতে ইচ্ছে হলো না।
নিত্য অবরুদ্ধ মহানগরী
প্রতিদিনই ঢাকায় কোনো না কোনো আশ্চর্য ঘটনা ঘটে চরেছে। এতে জনদুর্ভোগও বাড়ছে। কী যে একটা অবস্থা! প্রায় সোয়া দুই কোটি জনঅধ্যুষিত ঢাকা শহরে নিত্য যানজটে নাকাল মানুষ। কর্মদিবস তো বটেই, সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও যানজট লেগে থাকে। এর ওপর প্রায় প্রতিদিনই শহরের কোথাও না কোথাও বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ সড়ক বন্ধ করে যদি কর্মসূচি পালন করেন তাহলে ঢাকার জনজীবন নিশ্চল হওয়া ছাড়া উপায় কী।
গত সপ্তাহের শুরতে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক-রেললাইন অবরোধ করলে শহরে দুর্বিষহ যানজট তৈরি ছাড়াও ঢাকার সঙ্গে বাইরের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকে। বুধ ও বৃহস্পতিবার নগরবাসী একই রকম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন ব্যাটারিচালিত রিক্সাচালকদের অবরোধে।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঢাকার মহাখালীতে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন ব্যাটারিচালিত রিক্সাচালকরা। অবরোধের এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিক্সাচালকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও আশপাশের কয়েকটি জায়গায় ভাঙচুর করা হয়। আগারগাঁওয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। বছিলা, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, ডেমরাসহ বিভিন্ন জায়গায় রিক্সাচালকরা অবস্থান নেওয়ায় নগরজুড়ে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়।
গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই দিন রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় আফসানা করিম নামের এক ছাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। অন্যদিকে বুধবার ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষের কারণে পুরো এলাকা হয়ে পড়ে স্থবির।
এই যে প্রায় প্রতিদিন ঢাকা শহরের কোথাও না কোথাও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটছে, এর কি কোনো প্রতিকার নেই? সড়ক অবরোধ করলে যে লাখ লাখ মানুষ মহাভোগান্তিতে পড়েন, সেটা নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষের অজানা নয়। তাহলে পরিস্থিরি উন্নতি হচ্ছে না কেন?
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে
প্রাণবন্ত সেনাকুঞ্জ
খালেদা জিয়াকে ঘিরে সেনাকুঞ্জে উচ্ছ্বাসÑ এমন একটা প্রকিবেদন পড়লাম একটি জাতীয় দৈনিকে। কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি:
‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে এক যুগ পর ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কারামুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঘরের বাইরে বের হন তিনি। তাঁকে দেখতে অতিথিদের অনেকেই সেখানে ভিড় করেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন তিনি। এ সময় তাঁদের পাশাপাশি চেয়ারে বসে কথা বলতেও হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান খালেদা জিয়া। সেখানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত। আজকে আমরা বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান এবং সম্মানিত যে, বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন। এক যুগ ধরে তিনি এই মহাসম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি।
তিনি আরও বলেন, আজকে সুযোগ পেয়েছেন, আমরা সবাই আনন্দিত এবং গর্বিত। আমরা এই সুযোগ দিতে পেরেছি আপনাকে। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও এই বিশেষ দিবসে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আমরা আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা হন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তাঁর প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন অনুষ্ঠানে আসেন।
খালেদা জিয়ার গাড়ির সামনে ছিল মিলিটারি পুলিশের পাইলট কার। আর পেছনে সেনাবাহিনীর একটি অ্যাম্বুলেন্স। বাসা থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় রাস্তায় জড়ো হওয়া বিএনপি কর্মীরা পুরো এলাকা স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন।’
জাপান গার্ডেন সিটিতে
বিষ প্রয়োগে কুকুর হত্যা
ঢাকার জনবহুল আবাসিক কলোনি জাপান গার্ডেন সিটিতে বিষ প্রয়োগে কিছুসংখ্যক কুকুর ও বিড়াল হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরগরম। কয়েকটি পোস্টের অংশবিশেষ তুলে দিচ্ছি।
মো. আফজাল হোসেন খান লিখেছেন: জাপান গার্ডেন সিটিতে যারা এই কুকুর বিড়ালকে নির্মমভাবে বিষ প্রয়োগ করল আল্লাহ তাদের কোনো দিন ক্ষমা করবে না। এই পৃথিবীতে তাদের শাস্তি ভোগ করে যেতে হবে। বোবা প্রাণীকে হত্যা করা অন্যায়। এরা কি মানুষ! এদের কি জ্ঞান বুদ্ধি আল্লাহতায়ালা দেননি। যারা আমরা বিড়াল ও কুকুর লালন-পালন করি তারা তো এটা মেনে নিতেই পারি না। এদের কঠিন শাস্তি হওয়া প্রয়োজন অতিবিলম্বে। যে দেশে বিড়াল কুকুর নিরাপদ নয় সেখানে মানুষ কোন ছার। দুরন্ত শ্যামের বক্তব্য: যে কয়বার জাপান সিটি গার্ডেনের ভিতরে গিয়েছি একবারও কুকুরদের কোনো উৎপাত দেখিনি। তাহলে মিথ্যা রটনা রটিয়ে কেন তাদের হত্যা করা হলো, আর যদি তারা উৎপাত করত কিন্তু কারোর ক্ষতি তো করেনি কাউকে কামড় তো দেয়নি। এই হত্যার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অভিনয়শিল্পী নওশাবা আহমেদ লিখেছেন: এই পৃথিবী সবার...! এই ধরনীকে গড়ার কাজ আমরা খুব ভালো মতো না করলেও, ভাঙ্গা বা ধ্বংসের কাজটা নৈপুণ্যের সঙ্গে করার দৃষ্টান্ত অগণিত! একটা কাজ কখনোই একা করা সম্ভব নয়, ভালো কাজ কোনোমতেই একা করা সম্ভব নয়! যে কোনো গঠনমূলক কাজ সকলের সঙ্গে সমন্বয় করেই করতে হয়, হবে! তাহলেই যে উদ্দেশ্য পথটা চলা শুরু হয়, লক্ষ্যে না পৌঁছালেও, টানেলের শেষ আলো দৃশ্যমান হয়। মনটা ভার হয়েছে আমাদের সকলের। জাপান গার্ডেন সিটিতে যা ঘটেছে, এই ব্যথাটাকে শক্তি বানাতে হবে, সামনে সবাই মিলে একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে! নিজেদের আয়নার সামনে দাঁড় করাতে চাইলে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হতেই হবে! বন্ধুরা সামনে সবাইকে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে! সাড়া দিবেন তো?
লেখক-অধ্যাপক উম্মে ফারহানা লিখেছেন: কুকুর আমার পছন্দের প্রাণী। আমি যখন বাজারে যাই, কয়েকজন আমার পিছু নেয়। তারা খাবার চায় না, সামান্য আদর চায়। বিশ্বাস করেন, তারা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসা বোঝে। ক্যাম্পাসেও কয়েকজন আছে যাদের সঙ্গে নিয়মিত হাই হ্যালো হয় আমার। এই পৃথিবীতে সকলের অধিকার সমান। নিজেকে আশরাফুল মাখলুকাতের আসনে বসার আগে ভাবা দরকার আমরা এই তকমার যোগ্য কিনা। শ্রেষ্ঠ হলে আপনি নিকৃষ্টের বাঁচার অধিকার কেড়ে নিতেন না। সে আক্রমণ করার আগে আপনিই তাকে আক্রমণ করতেন না।
জাপান গার্ডেন সিটিতে বিষ প্রয়োগে কুকুর হত্যার বিষয়টি একদিকে যেমন পশুরও অধম কতিপয় নিষ্ঠুর মানুষের পরিচয় সমাজে তুলে ধরেছে, তেমনি আবার পশুপ্রেমী বহু মানুষের প্রতিবাদের বিষয়টিও উচ্চকিত হয়ে উঠেছে। ওই প্রাণিহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ হয়েছে। শুক্রবার অল্পসময়ের ব্যবধানে সাতটি কুকুর ও একটি বিড়ালের মৃত্যুর অভিযোগের পর গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে বিক্ষোভের জের হিসেবে পরদিন শনিবার জাপান গার্ডেন সিটির প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু বের হওয়ার মূল গেট খোলা রেখে যাওয়া আসার ব্যবস্থা করা হয়। বিষয়টি এতটাই আলোচিত হয়েছে যে, ঢাকা সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ শনিবার দুপুরে জাপান গার্ডেন সিটিতে লোক পাঠায়। তারা ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতির নেতাদের পাশাপাশি প্রাণী-প্রেমীদের সঙ্গেও কথা বলেন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আদাবর থানায় পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৃদয়স্পর্শী পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক’জন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, করপোরেট ব্যক্তিত্বসহ লেখক-শিল্পী।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, দুপক্ষের সঙ্গেই আমাদের কথা হয়েছে। এসব কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যমান আইনানুযায়ী কুকুর নিধন করা যায় না জানিয়ে তিনি বলেন, তবে সিটি করপোরেশন ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে পারে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে জাপান গার্ডেন সিটিতে বসবাসকারী কয়েকজন ‘জেজিজি লাইফ সেফটি’ নামের ব্যানার ব্যবহার করে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। জাপান গার্ডেন সিটির ভেতরে এ সংক্রান্ত কিছু ব্যানার-ফেস্টুনও পাওয়া গেছে। সেসব ব্যানারে পশুপ্রেমীদের কটাক্ষ করা হয়েছে। প্রাণিপ্রেমীরা জাপান গার্ডেন সিটির প্রাণিহত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করেছেন। আইনি পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছে পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে এ সংগঠনের পক্ষে আদাবর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
প্রাণিহত্যা বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। জাপান গার্ডেন সিটির প্রাণী হত্যাকারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হোক।
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়
সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়গুলোর ভেতর আন্তঃ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের জীবন বোধ জাগাতে এবং সৃষ্টিশীলতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর ভেতর দিয় বিভিন্ন বিশ^বিদ্যারয়ের ভেতর সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুস্থ প্রতিযোগিতাও গড়ে ওঠে। এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হওয়া চাই। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রণে তাদের ক্যাম্পাসে এমন এক অসাধারণ আয়োজন প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছিল।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সংশ্লিষ্ট ক্লাবটি তাদের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। জানা ছিল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণ মুখরিত করে রাখে বিভিন্ন ক্লাব। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাব রয়েছে ২২টি। এদের মাঝে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্লাব হলো ঊঈচঅ বা ঊধংঃ ডবংঃ টহরাবৎংরঃু ঈষঁন ভড়ৎ চবৎভড়ৎসরহম অৎঃং। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে বলেই তাদের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি এ বছর নভেম্বরে ১৫ বছর পূর্ণ করল। এ উপলক্ষে তারা আয়োজন করল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। ইসিপিএর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিযোগিতা হলো সংস্কৃতির তিনটি শাখায়- সংগীত, নৃত্য ও নাটক। নাচ ও গান পরিবেশনা ছিল কমবেশি উপভোগ্য। নাট্যাভিনয় খুব একটা মানসম্পন্ন না হলেও এর ভেতর দিয়ে সমাজবাস্তবতা ফুটে ওঠে। প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অর্জন করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন তিন গুণী শিল্পী - লায়েকা বশীর, ওয়ার্দা রিহাব ও ছন্দা চক্রবর্তী। প্রথম দুজন ছায়ানটের শিক্ষক। লায়েকা বশীর শেখান গান আর ওয়ার্দা রিহাব শেখান নাচ। লায়েকা বশীর ও ওয়ার্দা রিহাব দুটি ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ান, ছন্দা চক্রবর্তী শিক্ষকতা করেন সরকারি মিউজিক কলেজে।
২৪ নভেম্বর ২০২৪
সধৎঁভৎধরযধহ৭১@মসধরষ.পড়স