শহরে গাছপালার সংখ্যা খুবই কম। যেগুলো রয়েছে সেগুলোও উন্নয়নের নাম করে প্রতিনিয়তই কেটে ফেলা হচ্ছে, কিন্তু হচ্ছে না উন্নয়ন। ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি। যার ফলে শহরে পাখির আনাগোনাও কমেছে। তাদের জন্য নেই পর্যাপ্ত বাসস্থান। এছাড়াও ৫-জি নেটওয়ার্কও পাখিদের অনুপস্থিতির অন্যতম এক কারণ। গাছপালা না থাকায় প্রকৃতি দূষিত হচ্ছে, দিন দিন বিষাক্ত হয়ে উঠছে বায়ু। কল-কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া বাতাসকে ভারি করে তুলছে। নিঃস্বাসের সাথে ঢুকছে দূষিত বায়ু। ফলে শারীরিক ক্ষতিও হচ্ছে। উঁচু উঁচু দালানের ভিড়ে গাছ লাগানোর জন্যও পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক বৃক্ষরোপন কর্মসূচি গ্রহন করা হলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে কম, বাস্তবায়িত হলেও তা প্রয়োজনের তুলনার অতি নগণ্য। পর্যাপ্ত গাছপালা না থাকায় মানুষ কিংবা পশুপাখি কোনোকিছুই প্রখর রৌদ্রতাপে দু-দন্ড ছায়া খুঁজে পাচ্ছে না কোথাও। গাছপালা না থাকায় বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা।
এমতাবস্থায় যেহেতু শহরে গাছ লাগানোর পর্যাপ্ত জায়গা নেই, সেহেতু দালানের ছাদগুলোই একমাত্র ভরসা। অনেকেই ইতিমধ্যে নিজ উদ্যোগে ছাদবাগান করে প্রকৃতিতে বিশাল অবদান রাখছে। ছাদে ফুল-ফল, শাক-সবজি রোপন করে নিজের শখ পূরণ করছে। ফুল যেমন ছাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে, তেমনি ফল, শাক-সবজির দ্বারা তারা তাদের দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হয়। এতে করে তৈরি হচ্ছে পাখিদের বাসস্থানও। বাতাস পরিশুদ্ধিতেও ভ‚মিকা রাখছে এসব গাছপালা। তবে শহরে ছাদবাগানের পরিমাণ খুবই কম। সকলেরই উচিত নিজ নিজ উদ্যোগে ছোট কিংবা বড় পরিসরে ছাদবাগান করা। অনেকেই তাদের বারান্দায়ও ছোট পরিসরে গাছ লাগিয়ে থাকেন এতে বৃদ্ধি পায় বারান্দার সৌন্দর্য। অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে ছাদে শাক-সবজি, ফলমূল চাষ করে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছে। তাই আসুন আমরা সকলেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সুযোগ থাকা সাপেক্ষে বৃক্ষরোপন করে প্রকৃতিতে অবদান রাখি।
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ