বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি নদী বুড়িগঙ্গা। এই বুড়িগঙ্গার তীরেই প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে গড়ে উঠেছিল ঢাকা শহর যা এখন বাংলাদেশের রাজধানী। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৯ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৩০২ মিটার, গড় গভিরতা প্রায় ৪০ মিটার এবং এটির গতিপথ সর্পিলাকার। বাংলাদেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক বুড়িগঙ্গা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং-৪৭। বুড়িগঙ্গা নদীটি ঢাকা শহরের দক্ষিন এবং পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবাহিত জোয়ারভাটা প্রভাবিত একটি নদী। ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীটিকে ঢাকার প্রাণ বলা হয়ে থাকে। টেমসের তীরে যেমন লন্ডন, সেইনের তীরে যেমন প্যারিস, দানিয়ুবের তীরে বুদাপেস্ট, তেমনই বুড়িগঙ্গার তীরে ঢাকা। ইতিহাস থেকে পাওয়া যায় যে, গঙ্গা নদীর একটি ধারা প্রাচীনকালে ধলেশ্বরী হয়ে সোজা দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে পতিত হত। কিন্তু পরবর্তীতে সেই ধারাটির গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার ফলে গঙ্গার সাথে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। প্রাচীন গঙ্গা সেই পথে প্রবাহিত হতো বলেই গঙ্গার সাথে মিল রেখে ধারাটির নামকরণ করা হয় বুড়িগঙ্গা। পরবর্তীতে ব্রহ্মপুত্র এবং শীতলক্ষ্যার পানি এক স্রোতে মিশে বুড়িগঙ্গা নদী প্রবাহিত হয়েছিল। বর্তমানে এটি ধলেশ্বরীর শাখাবিশেষ অর্থাৎ মূলত ধলেশ্বরী থেকে বুড়িগঙ্গার উৎপত্তি এবং এর উৎপত্তিস্থল হল কলাতিয়া। বর্তমানে যেহেতু উৎসমুখটি ভরাট হয়ে গিয়েছে তাই পুরনো কোন চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না।
পৃথিবীতে যত নগর ও সভ্যতা গড়ে উঠেছে তার প্রায় সবগুলোয় পানি কেন্দ্রীক। হয় নদীর তীর কেন্দ্র করে নাহয় সমুদ্রের তীরকে। ১৬১০ সালে রাজধানী ঢাকার রুপকার ইসলাম খান বুড়িগঙ্গা দিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। বাংলার সুবাদার মুকাররম খাঁ বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছিলেন। তার শাসনামলে বুড়িগঙ্গার তীরে প্রতি রাতে আলোকসজ্জা করা হতো এবং নদীর বুকে অসংখ্য নৌকাতে ফানুস বাতি জ্বলতো যা তখন অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি করতো। মোঘলদের যুগেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল বুড়িগঙ্গা। বুড়িগঙ্গা নদীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে টেইলর ১৮০০ সালে লিখেছিলেন- বর্ষাকালে যখন বুড়িগঙ্গা পানিতে ভরপুর থাকে তখন দূর থেকে ঢাকাকে দেখায় ভেনিসের মতো। এ নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এ বাংলার জীবন-জীবিকা, ব্যবসা, কৃষ্টি, শিল্প, সভ্যতা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন। একসময় এ নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ আসত, চলত পালতোলা নৌকা। নদীর মাছকে কেন্দ্র করে চলত আশেপাশের মানুষের জীবিকা। এ নদী দিয়েই সওদাগর, পরিব্রাজক ও ব্যবসায়ীরা বিশাল বিশাল বাণিজ্য জাহাজে চড়ে ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসত। ফলে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠে বুড়িগঙ্গার বুক। বর্তমানে বুড়িগঙ্গার সেই জৌলুস আর নেই। কালের বিবর্তনে দখল হয়ে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গার নদী তীর। এছাড়াও বিশ শতকে পলিথিন, কলকারখানার বর্জ্য এবং নদীর তীরে অবস্থিত ভবনগুলো ভেঙে ফেলার ফলে এই নদী দূষিত হয়।
১৯৮৪ সালে বুড়িগঙ্গার পানি প্রবাহের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯০২ কিউসেক। তবে বর্তমানে বুড়িগঙ্গার পানি প্রবাহের পরিমাণ প্রায় অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করেই ঢাকা কালক্রমে হয়ে উঠেছে বৃহৎ বাণিজ্যিক নগরী। সময়ের সাথে সাথে পণ্য আদান-প্রদান, যাত্রী পরিবহন, ঢাকার জনসংখ্যা ইত্যাদি বাড়ছেই। যার ফলে জলযান আর গৃহস্থালি থেকে প্রতিদিন প্রায় ২১,৬০০ ঘনমিটার কঠিন বর্জ্য বুড়িগঙ্গায় এসে পড়ে। সা¤প্রতিক এক হিসাব অনুযায়ী, ঢাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক ট্যানারীর ৪.৭৫ মিলিয়ন লিটার বিষাক্ত বর্জ্য বুড়িগঙ্গায় এসে পড়ছে। সুইজারল্যান্ডের গ্রীনক্রস এন্ড বø্যাকস্মিথ ইন্সটিটিউটের (২০১৩) দেওয়া এক তথ্য অনুসারে হাজারীবাগ পৃথিবীর দূষিত স্থানগুলোর মাঝে পঞ্চম। ট্যানারি জাতীয় বর্জ্যের কারনে এসব এলাকার প্রায় ১,৬০,০০০ জন মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। সেই বর্জ্যগুলো সব ফেলা হয়েছে বুড়িগঙ্গায়। অতীতকাল থেকেই বুড়িগঙ্গা বিভিন্নভাবে দূষিত হয়ে আসছে। শুুধু দখলের কারনে ইতোমধ্যেই বুড়িগঙ্গা মরা গাঙে পরিনত হয়ে গেছে। পূর্বে শুধু ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদীটি দূষিত হতো আর বর্তমানে এর সাথে যুক্ত হয়েছে অপরিশোধিত শিল্প ও পয়ঃবর্জ্য, সিটি কর্পোরেশনের কঠিন বর্জ্য, ওয়াসার তরল বর্জ্য ইত্যাদি যা নদীটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। দখল-দূষনের কবলে পড়ে এক সময়ের জৌলুসে পরিপূর্ণ বুড়িগঙ্গার আজ বেহাল দশা।
বুড়িগঙ্গার দূষণের ইতিহাস থেকে জানা যায়, বুড়িগঙ্গা ভিত্তিক ঢাকা শহরের বিকাশ যখন থেকে শুরু তখন থেকে দূষণের ইতিহাসও শুরু। ১৮৬৬ সালে বুড়িগঙ্গা দূষণের কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টে বুড়িগঙ্গা দূষণের দুইটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছিল।প্রথমটি হল, বুড়িগঙ্গার মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর প্রবাহ হ্রাস পাচ্ছে; ফলে বিভিন্ন স্থান থেকে আবর্জনা ও গলিত পদার্থ মিশে দূষিত করছে বুড়িগঙ্গাকে। দ্বিতীয় কারণে বলা হয়, বুড়িগঙ্গার সঙ্গে আরেকটি নাম সংযুক্ত আর তা হচ্ছে- ‘সদরঘাট’।
বাংলাদেশের আদি ঢাকা শহরের একটি নদীবন্দর যাকে ঘিরে উনিশ শতকে একটি ব্যবসায়িক জনপদ গড়ে ওঠে। এই নদীবন্দরটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। একবিংশ শতকের শুরুতেও এটির গুরুত্ব অক্ষুণœ রয়েছে। এর সন্নিহিত এলাকা পুরান ঢাকা নামে প্রসিদ্ধ। এর অতি নিকটে রয়েছে পুস্তক প্রকাশনার ঘাঁটি বাংলাবাজার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বলধা গার্ডেন এবং আহসান মঞ্জিল, রুপলাল হাউজ, আমিরুদ্দিন দারোগার বাড়ি ও মসজিদ ইত্যাদি তা ছাড়া অন্য পাড়ে রয়েছে সারা দেশে সরবরাহ উপোযোগী তৈরি পোশাকের বিশাল পাইকারি বাজার জিঞ্জিরা ও কামরাঙ্গীরচর ও তার আশপাশে ক্ষুদ্র শিল্পের বিভিন্ন রকম পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমাহার। আশপাশের সব কলকারখানার মাধ্যমে বর্জ্য ও কেমিক্যাল নিঃসরণ হয়। ১৮৬৬ সালে ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. বিটসন ও তৎকালীন ঢাকার কমিশনার বুড়িগঙ্গা দূষণের কারণ অনুসন্ধান করেছিলেন। বুড়িগঙ্গার দূষণ এবং প্রবাহ কমে যাওয়া রোধে স্বয়ং নবাব আহসানউল্লাহ ১৮৯৬ সালে বুড়িগঙ্গা থেকে তুরাগ পর্যন্ত নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ড্রেজিং করিয়েছিলেন। কারণ নবাব পরিবারের লোকেরা তখন তাদের স্টিমার নিয়ে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ হয়ে ঢাকার বাইগুণবাড়ির বিলাস ক্ষেত্রে যেতেন। তারা মুলত তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্যই ড্রেজিং করেছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন নদী দূষণের শতকরা ৮৮ ভাগ কারণ হল ঢাকার বর্জ্য নদীতে ফেলা। এছাড়া দুই পাড় চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের দখলে। শুধু তীর নয়, নদীর মাঝ পর্যন্ত দখল করা হয়েছে। নদীর তীরের দূষণ গত চার দশক ধরে তীব্র হয়েছে। এখন অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিশ্বের দূষিত নদীর তালিকায় এই বুড়িগঙ্গার নাম উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয় বিশ্বের যে ১০টি নদী এখন সবচেয়ে বেশি দুষিত তার মধ্যে বুড়িগঙ্গার অবস্থান ছয় নম্বরে। পরিবেশ ইস্যুতে কাজ করা কনজার্ভ এনার্জি ফিউচারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নদী গুলোর মধ্যে ঢাকার এ নদীটির অবস্থান পঞ্চম। দূষণের মাত্রা বিবেচনায় বুড়িগঙ্গা এখন সঙ্কটাপন্ন। নদীটির পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন পৌঁছেছে শূন্যের কোটায়। যদিও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০০৭ অনুযায়ী, মৎস্য ও জলজ প্রাণীর জন্য প্রতি লিটার পানিতে দ্রবীভ‚ত অক্সিজেন থাকা প্রয়োজন পাঁচ মিলিগ্রাম বা তার বেশি।
অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। আর বুড়িগঙ্গার তীড়ে গড়ে ওঠা টেক্সটাইল কারখানাসহ অন্যান্য শিল্প-কারখানার ৯০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য প্রতিদিন বুড়িগঙ্গায় ফেলা হচ্ছে। ১৭৮ নালামুখ দিয়ে এসব বর্জ্য বুড়িগঙ্গার পানিতে মিশছে। ২০১১ সালের ১ জুন হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছিল, বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এ পানিকে আর পানি বলা যাবে না। ওই সময় বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে যুক্ত সমস্ত পয়ঃপ্রনালি এবং শিল্প-কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন লাইন বন্ধ করতে ওয়াসার চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু নির্দেশ ওই পর্যন্তই। প্রতিরোধ তো দূরের কথা নদী দূষণ দিনে দিনে আরও ভয়াবহ হচ্ছে। বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণ রোধে আদালতের নির্দেশ, একাধিকবার জরিমানাসহ নানা ধরনের শাস্তি দেয়া হয়েছে নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা শিল্প-কলকারখানাগুলোকে। কিন্তু এত কিছু সত্তে¡ও নদীদূষণ বন্ধ করা যাচ্ছেনা।
রাজধানী ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদী এখন প্রাণহীন। স্বচ্ছ পানির কল কল ঢেউ আর নদীর বুকে দেখা যায় না। একসময় যে নদীতে ঝাকে ঝাকে মাছ পাওয়া যেত সে নদীতে আর মাছের দেখা নেই। ঢাকাবাসীকে দূষণমুক্ত বুড়িগঙ্গা উপহার দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বারবার ড্রেজিং, হাজারীবাগের ট্যানারি স্থানান্তর করা হয়েছে। এরপরও বুড়িগঙ্গার পানি নিয়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী। প্রবাহ না থাকায় পানি কালচে রঙ ধারণ করে ছড়াচ্ছে পঁচা দুর্গন্ধ। বুড়িগঙ্গার পাড় দিয়ে চলাচল করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, শীতকালে এর পানি থেকে প্রচÐ দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে সৃষ্টি হচ্ছে নানা রোগজীবাণু। নাব্যতা সংকট, বিভিন্ন কল-কারখানা ও ট্যানারির দূষিত বর্জ্য, কিছু মানুষের অবৈধ দখল, ঘর গৃহস্থালীসহ অন্যান্য ময়লা-আবর্জনা স্তুপ করে নদীতে ফেলা ইত্যাদি কারণে কালো দুর্গন্ধযুক্ত দূষিত পানির এক ‘নিথর মরা নদী’ বুড়িগঙ্গা।
বুড়িগঙ্গা রক্ষায় যেসকল উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে তার বাস্তবায়ন যে সফল হচ্ছেনা তা খালি চোখে দেখলেই বোঝা যায়। কারণ নদীটির পানি চরম মাত্রায় অস্বাস্থ্যকর ও ব্যবহার অনুপযোগী। তাই নদী রক্ষায় নির্ধারিত আইনসমূহ কঠোর ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে আরো কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন, গৃহস্থালি বর্জ্য পানি প্রবাহে ফেলা থেকে বিরত থাকা, বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন ও বর্জ্য পরিশোধন করা, শিল্পকারখানায় বর্জ্য পরিশোনাগার (ইটিপি) স্থাপন এবং নিয়মিত তা পরিচালনা করা, নৌযানের ডিজাইনে বর্জ্য সংরক্ষণ বা ধারণ করার স্থায়ী কাঠামো গড়ে তোলা, বিআইডবিøউটিএ কর্তৃক নৌযানের বর্জ্য সংগ্রহকরণ ও তা পরিশোধনপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ, নৌযানের বর্জ্য ও তেল নদীতে ফেলা থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি। সরকারের অতি দ্রæত বুড়িগঙ্গা ও তার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেসব কলকারখনা বা শিল্প প্রতিষ্ঠান আইন ভঙ্গ করে নদী ও তার পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ওইসব প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট আইন ও পরিবেশের ঝুঁকির দিকগুলো সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং খননের ব্যবস্থা করতে পারলে বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা ও এর পূর্বের জৌলূশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। নাহলে এভাবে চলতে থাকলে অতি দ্রæত বুড়িগঙ্গা দেশের জন্য অভিশাপে পরিণত হবে।
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়