ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১

যুদ্ধ বন্ধ ও বিশ্বশান্তির প্রত্যাশা

ড. আলা উদ্দিন

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ১০ নভেম্বর ২০২৪

যুদ্ধ বন্ধ ও বিশ্বশান্তির প্রত্যাশা

.

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, ভারতের গত লোকসভা নির্বাচনের ন্যায় অধিকাংশ গণমাধ্যম জরিপকে মিথ্যা প্রমাণ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ১৮৯২ সালের (১৩২ বছর পর) পর ডোনাল্ড ট্রাম্প সফল পুনরাবৃত্তি ঘটালেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে এক মেয়াদ দায়িত্ব পালনের পর, ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হন তিনি। ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট  প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়ে ২০২৪ সালে পুনরায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন ট্রাম্প। ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত করেছে মার্কিন জনগণের পরিবর্তনের প্রত্যাশা, যারা চার বছরব্যাপী ডেমোক্র্যাট শাসনের পর রিপাবলিকান শাসনের প্রতি আস্থা রেখেছেন।  এর ফলে বিশ্বময় সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন, আশা উৎকণ্ঠা।

মার্কিন নির্বাচন শুধু দেশটির জনগণের জন্য নয়, বরং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য। যারা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল নির্বাচন তাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়া এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।

এই অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন সরাসরি প্রভাব ফেলবে। বিশেষত ট্রাম্পের শাসনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে কিছু বড় পরিবর্তন আসতে পারে, যেমনÑ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান অথবা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি। বিশ্বের শান্তি এবং সমৃদ্ধির পথে ট্রাম্পের নেতৃত্ব একটি নতুন দিশা দেখাতে পারে। তবে তার শাসন কিভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে সেটি সময়ের সঙ্গে পরিষ্কার হবে।  

মার্কিন নির্বাচন সাধারণত অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোকেই প্রধানত গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং এবারের নির্বাচনেও এটি প্রতিফলিত হয়েছে। ট্রাম্পের বিজয় শুধু দেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে তা নয়, এটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তবে তার নির্বাচিত হওয়া সে দেশের জনগণের একান্ত সিদ্ধান্ত। এর পেছনে নিশ্চয়ই অনেক কারণ নিহিত। তার ঐতিহাসিক জয় নিয়ে নানা বিশ্লেষণ এবং মতামত প্রকাশ হচ্ছে। তার মধ্যে বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভ্যন্তরীণ বিশ্বময় নানা নীতি যুদ্ধংদেহী পদক্ষেপ অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচ্য। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের জনগণ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং তার নেতৃত্বে যুদ্ধ বন্ধসহ বিশ্বের শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করছে। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে অভিবাসীবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংখ্যালঘু জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল। একই কারণে বিশেষ করে মুসলিম, কৃষ্ণাঙ্গ এবং মেক্সিকান অভিবাসীরা তার দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশী বসবাস করছেন। অবৈধভাবে বসবাসকারী কিছুসংখ্যক মানুষ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। তবে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম ভাষণে সবার জন্য ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিই প্রকাশ করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে, সব জাতি, ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। তার এই প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি তার প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা এবং সবার জন্য ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার আশা জাগায়। আমরা আশা করি ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে এবং তার প্রশাসন অভিবাসী সম্প্রদায়ের অবদানকে মূল্যায়ন করবে।

অভিবাসী সংস্কৃতি এবং তাদের অবদানের গুরুত্ব বোঝা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। যদি ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসীদের সংস্কৃতি এবং তাদের অবদান মূল্যায়ন করে তবে তারা একদিকে যেমন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করবে, তেমনি দেশের সামাজিক সমৃদ্ধি এবং ঐক্যবদ্ধতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অভিবাসী জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করলে তারা নিরাপদ এবং সমান অধিকারভুক্ত জীবনযাপন করতে সক্ষম হবে। আশা করা যায়, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের অবদানকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে একটি ঐক্যবদ্ধ সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলবে, যেখানে সকল নাগরিক তাদের অধিকারে সমান অংশীদার হতে পারবেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির প্রভাব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুস্পষ্ট এবং এর কার্যক্রমের ওপর বিভিন্ন বিশ্লেষণ রয়েছে। ট্রাম্পের শাসনকালে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি বেশ কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল, বিশেষত তার এককভাবে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর কারণে। তার একক নীতি গ্রহণের ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বিশ্ব রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও ট্রাম্পের শাসনে অনেক ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত এবং বিপরীতমুখী পদক্ষেপও দেখা গিয়েছিল। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে তেমন বড় পরিবর্তন আসবে না। কারণ, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া, যা শুধু প্রেসিডেন্টের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না, বরং এটি পররাষ্ট্র দপ্তর, পেন্টাগন, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এবং কংগ্রেসের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভাগের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়। সুতরাং একজন প্রেসিডেন্টের পরিবর্তন হলেও মূলনীতি বা দৃষ্টিভঙ্গি সহজে বদলাবে না।

তবে অনেকে মনে করছেন ট্রাম্পের শাসনে বিশেষভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। তার আগের কিছু একক এবং বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পাশাপাশি এবার তার দৃষ্টিভঙ্গি পদক্ষেপের ওপর বিশ্ববাসী বিশেষভাবে মনোযোগ দিচ্ছে। তিনি যদি এই যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হন তবে তা বিশ্বশান্তির জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে। ট্রাম্পের সম্ভাব্য পদক্ষেপ, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান অনুসরণের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নতুন আশার সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন ইস্যুতেও মার্কিন নীতির পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে যদি দুই রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয় তবে তা ফিলিস্তিন ইসরাইলের সম্পর্কের উন্নতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হতে পারে। দুই রাষ্ট্র সমাধান অনেকেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হিসেবে মনে করেন এবং ট্রাম্পের এই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করলে শান্তির পথে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে। তার ভাষণে আরব- আমেরিকানদের প্রতি ধন্যবাদ জানানো থেকে আশা করা যায়, তিনি তাদের সমর্থনকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের স্বার্থরক্ষায় পদক্ষেপ নেবেন। তবে এটাও স্মর্তব্য যে, গত মেয়াদে ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

এই নির্বাচনের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট যে, বিশ্ববাসীর ন্যায় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ যুদ্ধ চায় না, প্রাণহানি চায় না, শত্রুতা চায় না এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানই তাদের কাম্য। মানুষ চায় একটি নিরাপদ, সুস্থ এবং সমৃদ্ধ জীবন, যেখানে তারা নিজস্ব মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে। ট্রাম্পের জন্য এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সুযোগ রয়েছে, বিশেষত যখন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে। তার নেতৃত্বে যদি বিশ্বেশান্তির পক্ষে একটি সুদৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া যায় তবে তা শুধু ওইসব অঞ্চলের জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হবে।

দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র এবং জনগণের নিরাপত্তা মানবাধিকার রক্ষায় ট্রাম্প প্রশাসনের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। স্বাধীনতার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ক্রমেই বন্ধুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্বমূলক ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। বিগত পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার সহায়ক শক্তি এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ অনেক আন্তর্জাতিক সমস্যায় বিশেষভাবে সহায়তাকারী দেশ হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসছে। একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য কার্যকর সহযোগিতা প্রদান করেছে, যা অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি উন্নত করতে সহায়ক হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা সংকটের মতো আন্তর্জাতিক সমস্যায় মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করেছে, যা দেশের জনগণের জন্য নিরাপত্তা এবং সমর্থন নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য মার্কিন প্রশাসনের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার প্রক্রিয়ায় কয়েক দশকজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পারে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অনেক কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন যদি বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়ক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অংশীদার থাকে তবে তা দক্ষিণ এশিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ দেশটির সার্বিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। বিশ্বকে প্রতিহিংসা থেকে সহমর্মিতা, পুনর্মিলন এবং শান্তির পথে ধাবিত করতে ট্রাম্পের ইতিবাচক মনোভাব পদক্ষেপ অপরিহার্য।

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এবং ভাষণ থেকে তার নতুনরূপে আবির্ভূত হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তিনি বিশ্বশান্তির পক্ষে কাজ করতে চান। এখন দেখার বিষয় তিনি তার কথামতো শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেন কি না। কিংবা কবে, কিভাবে নেবেন। তার নেতৃত্বের মাধ্যমে মানবতার পক্ষে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হোক। কারণ, যুদ্ধের কোনো অবস্থান নেই মানুষের জীবনে। শান্তি এবং সহমর্মিতার পথে একতা পুনর্মিলন প্রতিষ্ঠার জন্য তার কাক্সিক্ষত ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠুক- এটাই বিশ্ববাসীর একান্ত প্রত্যাশা।

লেখকঅধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

×