ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

কৃষিপণ্যের উৎপাদনে বাড়াতে হবে বিনিয়োগ

ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ৬ নভেম্বর ২০২৪

কৃষিপণ্যের উৎপাদনে বাড়াতে হবে বিনিয়োগ

খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও আমদানিতে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ

খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও আমদানিতে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ। চাল উৎপাদনে টানা পাঁচ বছর বিশ্বে তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে। ২২টি খাদ্যপণ্য উৎপাদনে রয়েছে শীর্ষ দশে। কৃষকরা ফসল আবাদে বৈচিত্র্য আনায় নানা পণ্য উৎপাদন বেড়েছে। সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক পরিসংখ্যান বর্ষপঞ্জি-২০২৩-এ এসব তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। দেশের মানুষের ভোগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা। এ কারণে আমদানিনির্ভর পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে।

২০২১ সালে বিশ্ববাজার থেকে এক কোটি ১৩ লাখ ৫১ হাজার টন খাদ্যপণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। খাদ্য আমদানিতে বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। তবে খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। অবশ্য আমদানিতে শীর্ষ পর্যায়ে থাকলেও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোয় খাদ্য বাণিজ্য কমছে।
২০২২ সালের হিসাবে দারিদ্র্য বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে করোনা মহামারি। একই বছর বৈশ্বিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অনেক পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় সরাসরি বাড়িয়ে দিয়েছে। চলতি বৈশ্বিক মন্দা দারিদ্র্য পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। শুধু বৈশ্বিক মন্দার কারণে বাড়তি ৫০ হাজার মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছে। সর্বাবস্থায় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যেতে পারে, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।
খাদ্য নিরাপত্তার সংজ্ঞা অনুযায়ী, তখনই খাদ্য নিরাপত্তা বিরাজমান, যখন সবার জন্য একটি কর্মক্ষম, স্বাস্থ্যকর ও উৎপাদনমুখী জীবনযাপনের জন্য সবসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্যের লভ্যতা ও প্রাপ্তির ক্ষমতা বিদ্যমান থাকে। বাংলাদেশের জাতীয় খাদ্যনীতি ২০০৬-এ বলা হয়েছে, খাদ্য নিরাপত্তার অন্যতম একটি উপাদান হলোÑ জাতীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যের লভ্যতা। অপর অপরিহার্য উপাদান হলোÑ ব্যক্তি ও পরিবার পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যপ্রাপ্তির ক্ষমতা। তৃতীয় উপাদান হচ্ছে খাদ্যের জৈবিক ব্যবহার।
দেশে খাদ্য লভ্যতার মূল উৎস হলোÑ কৃষি খাতে (শস্য উপখাত, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপখাত এবং বন উপখাত নিয়ে কৃষি খাত গঠিত) উৎপাদিত খাদ্যপণ্য। বিআইডিএসের উপর্যুক্ত সম্মেলনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি হলো জলবায়ু পরিবর্তন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ গঠিত জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসাবে ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বায়ুম-লীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং সাইক্লোন বা ঘূর্ণি-ঝড়ের পৌনঃপুনিকতা বৃদ্ধি অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মতো বাংলাদেশের কৃষি খাতের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।

হ্রাস পাচ্ছে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার। ২০০৯-১০ অর্থবছরে কৃষি খাতের ৬.৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে পরবর্তী এক দশকে গড়ে ৩.৭ শতাংশে দাঁড়ায় (অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা ২০১৯-২০)। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩-এ বলা হয়েছে, ‘২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.১৭ শতাংশ, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৩.০৫ শতাংশে। সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ২.৬১ শতাংশে।’ কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হ্রাসের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শস্য উপখাতের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফসল এবং আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য ধান তথা চাল এবং দ্বিতীয় খাদ্যশস্য গমের ওপর।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মোতাবেক, ২০১৯-২০ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত চাল উৎপাদনের গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) দেশে চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো ১ শতাংশ বা এর আশপাশে থাকবে বলে ধারণা করা যায়। এদিকে ২০২০ ও ২০২১ সালে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ১.৩৭ ও ১.৩ শতাংশ (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২ ও ২০২৩)। এর অর্থ দাঁড়ায়, চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে কম। এতে চাহিদার তুলনায় চালের ঘাটতি একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের দ্বিতীয় খাদ্যশস্য গমের উৎপাদন ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের ১৯ লাখ টনের তুলনায় সাম্প্রতিক ১১ লাখ থেকে ১২ লাখ টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। দেশে গমের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার জন্য যেসব বিষয়কে দায়ী করা হয়, সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে-ক. গম উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ ও তীব্র শীত, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যা কমে যাচ্ছে; খ. ব্লাস্ট ও অন্যান্য রোগে গমের ফলন হ্রাস; গ. গমের তুলনায় ভুট্টা, আলু এবং অন্যান্য স্বল্পমেয়াদি ফসল চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় চাষিরা এসব ফসলের দিকে ঝুঁকছেন। ফলে হ্রাস পাচ্ছে গম চাষের জমি।
শুধু খাদ্যশস্য (চাল, গম) নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে অন্যান্য খাদ্যপণ্য যেমনÑ ডাল, ভোজ্যতেল, দুধ, চিনি, ফল, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, আদা ইত্যাদি। চাহিদার তুলনায় এগুলোর উৎপাদন অনেক কম। প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, বছরে ২৫-২৬ লাখ টন ডালের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ৮-৯ লাখ টন। বছরে চিনির ১৪-১৫ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন কম-বেশি ১ লাখ টন। পেঁয়াজের বার্ষিক ২২ লাখ টন। চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন কমবেশি ১৯ লাখ টন। বছরে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টন আদার চাহিদার বিপরীতে উৎপাদনের পরিমাণ কমবেশি ২ থেকে আড়াই লাখ টন।
খাদ্য লভ্যতার অন্য উৎসটি হলো আমদানি। চাহিদার তুলনায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কম হওয়ায় বাংলাদেশকে খাদ্যশস্যসহ (ধান, গম) বিভিন্ন খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে বণিক-বার্তার ৫ সেপ্টেম্বরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার, ৯ লাখ ৮৭ হাজার এবং ১০ লাখ ৫৫ হাজার টন চাল আমদানি করতে হয়। গত মৌসুমে বোরোর আশানুরূপ উৎপাদন এবং চলতি আমন মৌসুমে ভালো ফলনের আশায় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল আমদানি না করার সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত কোনো চাল আমদানি করা হয়নি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে, এবার আমন উৎপাদন দাঁড়াবে ১ কোটি ৭৫ লাখ টনে, যা লক্ষ্যমাত্রার (১ কোটি ৭২ লাখ টন) চেয়ে ৩ লাখ টন বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিতব্য হিসাবে জানা যাবে এ বছর আমন উৎপাদনের প্রকৃত পরিমাণ। তবে অতীতের উদাহরণ থেকে অনেকটা জোর দিয়ে বলা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবের সঙ্গে বিবিএসের হিসাবের তারতম্য ঘটবে। অর্থাৎ বিবিএসের হিসাবে আমনের উৎপাদন হ্রাস পাবে। দেশে গমের চাহিদার (কমবেশি ৭০ লাখ টন) প্রায় ৮৫ শতাংশ আমদানির মাধ্যমে মেটাতে হচ্ছে।

এদিকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দামের যে ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়, তা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমবেশি ২৫ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় দেশে গমের দামে উল্লম্ফন ঘটেছে। ২০২১ সালের প্রথমদিকে বাজারে এক কেজি আটার দাম ছিল ৩০-৩২ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার বেশি।
খাদ্যশস্য ছাড়া অন্যান্য খাদ্যপণ্য যেমনÑ ডাল, ভোজ্যতেল, দুধ, চিনি, ফল, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, আদা ইত্যাদি চাহিদার বড় অংশটি মেটাতে হয় আমদানির মাধ্যমে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আলু, আদা ইত্যাদির দাম বেড়েছে দুই থেকে তিনগুণ। খাদ্যের লভ্যতা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন ব্যক্তি ও পরিবার পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যপ্রাপ্তির ক্ষমতা এবং এ জন্য যা দরকার তা হলো খাদ্য কেনার সামর্থ্য। সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় সোয়া ৩ কোটি দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

আইএলও-এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে প্রকৃত মজুরি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ঋণাত্মক। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে (অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৯৩ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২.৫৬ শতাংশ) প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দ্য স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২৩ মোতাবেক, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ছিল ৫ কোটি ২৭ লাখ মানুষ। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে এর সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৯ লাখ। অর্থাৎ দেশে তীব্র থেকে মাঝারি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের সংখ্যা ২০১৬ সালের পর গত ছয় বছরে প্রায় ১৮ লাখ বেড়েছে। এসব মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এটিকে দেশে খাদ্য নিরাপত্তার আরেকটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা হয়েছে বিআইডিএসের ওই সম্মেলনে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বা অন্য কোনো কারণে নিকট ভবিষ্যতে দেশে সম্ভাব্য খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বা ‘দুর্ভিক্ষ’ দেখা দেওয়ার বিষয়গুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। গ্রহণ করতে হবে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম। স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রমের অংশ হিসাবে আমাদের প্রথমে আসন্ন বোরো মৌসুমে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ ফলন নিশ্চিত করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে। কারণ, দেশের প্রধান খাদ্য চালের সর্বোচ্চ জোগান (৫৫ শতাংশ) দেয় বোরো। তাই দৃষ্টি রাখতে হবে মনুষ্যসৃষ্ট কোনো সংকট যেন বোরো আবাদে সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে। দুই. জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগামী দিনে আবহাওয়া-সহনশীল জাতের গম চাষে জোর দিতে হবে।

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের দীর্ঘতা ও তীব্রতা বেশি হওয়ায় ওই অঞ্চলে গম আবাদে জোর দিতে হবে। ব্লাস্ট ও অন্যান্য রোগে গমের উৎপাদন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তিন. জরুরি ভিত্তিতে একটি জরিপের মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে আগামী মার্চ ও এপ্রিলে কী পরিমাণ চাল আমদানি প্রয়োজন হতে পারে। তদনুযায়ী চাল আমদানির পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গম আমদানিতেও অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমের মধ্যে-১. জমি স্বল্পতার কারণে আমাদের চাল ও অন্যান্য খাদ্যপণ্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে; ২. চালসহ কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষিজমি অকৃষি খাতে চলে যাওয়া যথাসম্ভব বন্ধ করতে হবে; ৩. চালসহ কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কৃষি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে খাদ্যের উৎপাদন ও চাহিদার মাঝে সমন্বয় সাধন করতে হবে। 

লেখক : সাবেক কর কমিশনার ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান- ন্যাশনাল এফএফ ফাউন্ডেশন

×