.
রবিবার রাতে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনের উত্তরার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। অভিযানে তার বাসা থেকে কোটি টাকা ও ১১টি আইফোন উদ্ধার করা হয়। পরে ওই সচিব ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। আমাদের সচিবেরা সত্যিই গুণধর।
ছাদ খোলা বাসে ঋতুপর্ণা সাবিনারা
টানা দুইবার সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ ফুটবল দলের মেয়েরা দেশে ফেরার পর তাদের নিয়ে চলেছে উৎসব। বিমানবন্দরে তাদের বরণ করে নেওয়ার পর ছাদখোলা বাসে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে, সেখানে তাদের দেওয়া হয় সংবর্ধনা। মেয়ে ফুটবলাররা ছাদ খোলা বাসে করে বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার পর ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ; চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন’ স্লোগান দিয়ে তাদের স্বাগত জানায় উচ্ছ্বসিত জনতা।
বিজয়ী মেয়েদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের সামনের সড়কে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশ মানুষ। হাতে নেড়ে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। কেউ কেউ ছবিও তোলেন। সমর্থকরা লাল আর সবুজ রঙ ছুড়ে হল্লা করেন। নিচ থেকে ছুড়ে দেন ফুল। ছাদখোলা বাস থেকে ঋতুপর্ণা, সাবিনা, মনিকারাও পতাকা নেড়ে সাড়া দেন। নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বুধবার স্বাগতিক নেপালের ভক্ত-সমর্থকদের কাঁদিয়ে ২-১ গোলে তাদের হারায় বাংলাদেশ।
দুই বছর আগে গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরে এ মাঠেই নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম এই ট্রফির স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এ বছর পেটার জেমস বাটলারের অধীনে ফের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তাদের ছাদখোলা বাসে তাই ছিলেন কোচ। দুই বছর আগে ২০২২ সালেও সাফের শিরোপা জেতার পর ছাদখোলা বাসে নারী ফুটবলারদের অভ্যর্থনা জানিয়েছিল বাংলাদেশ।
যে ছাদখোলা বাসে চড়ে মেয়েরা বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনে যান, রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে সেটা আবার সাজানো হয়েছিল সরকারের বিভিন্ন নেতাদের ছবি দিয়ে। সেবার ছাদখোলা বাসে একপাশে বড় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অন্যদিকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের ছবি সাঁটানো হয়। ছিল বাফুফের হর্তা-কর্তাদেরও ছবিও। এ নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়। পালাবদলের ছোঁয়ায় এবার ছাদখোলা বাসে ছিল শুধুই চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের ছবি। বাসের পোস্টারে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সঙ্গে অফিসিয়াল ফটোসেশনের সবাইকে রাখা হয়েছে। শুরুর একাদশে থাকা দলের ছবিও আছে সেখানে। একপাশে আছে এ বছর টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল জেতা ঋতুপর্ণা চাকমার ট্রফি গ্রহণের ছবিও। ঋতুপর্ণার ছবির উপরে রয়েছে স্পন্সরদের লোগো। নারী ফুটবলে দীর্ঘদিনের স্পন্সর ঢাকা ব্যাংক। সেই ২০১৬ সাল থেকে নারী ফুটবলের সঙ্গে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে। উৎসবের এই উপলক্ষে বাফুফে স্মরণ রেখেছে তাদেরও। এছাড়া দলের বেভারেজ পার্টনার পুষ্টি, টেকনিক্যাল পার্টনার আমরাও বছরব্যাপী বাফুফেকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তাই তাদের লোগোও আছে বিশেষ এই স্থানে।
বিকাল সাড়ে ৪টায় বিমাবন্দর থেকে চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের বাসটি বের হয়ে যায়। এরপর তাদের নিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠে ছাদখোলা বাসটি। এফডিসি মোড়ে নেমে সাত রাস্তার মোড় হয়ে মগবাজার ফ্লাইওভার দিয়ে কাকরাইল হয়ে যায় পল্টনে। এরপর নটরডেম কলেজের সামনে দিয়ে শাপলা চত্বর পার হয়ে সাবিনা-ঋতুপর্ণারা সন্ধ্যায় পৌঁছান বাফুফে ভবনে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাত্রাপালা
শুক্র-শনিবার ছুটির দিনে কোনো বিনোদন আয়োজনে ভিড় হতেই পারে। কিন্তু রবিবার কর্মদিবসে সন্ধ্যায় সেখানে ভিড় হওয়া মানে মানুষ বিষয়টি উপভোগ করছে। রবিবারেই গিয়েছিলাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে মুক্তমঞ্চে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় সাত দিনব্যাপী যাত্রা উৎসব। ‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ’ এ স্লোগান নিয়ে আয়োজিত উৎসবের প্রথম দিনই দারুণ ভিড় হয়। একে তো শুক্রবার ছুটির দিন, তার ওপর টিকেট ছাড়া উপভোগের সুযোগ। তবে এ ধরনের গ্রামীণ ও হারাতে বসা সংস্কৃতির প্রদর্শন হলে নগরবাসী আগ্রহ বোধ করে এবং ভিড় জমায় এমনটা বরাবরই দেখে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র থেকে শ্রমিক, হকার সব পেশার মানুষ যেন একসঙ্গে মিশে গেছেন মুক্তমঞ্চে। হাজারের বেশি দর্শকের উপস্থিতিতে উৎসবের প্রথম দিনে প্রদর্শিত হয় সুরুভী অপেরার নাটক ‘নিহত গোলাপ’।
এ যাত্রাপালায় এক করুণ কাহিনী তুলে ধরা হয়। এতে উঠে আসে মাধবপুর জমিদারের চক্রান্তের বাস্তব কাহিনী। যে চক্রান্তের বলি হয় রাধারানী কলেজের মেধাবী ছাত্র গোকুল। জমিদারের আত্মীয়কে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার কারণে গোকুলের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। গোকুলকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয় ‘নিচু জাতের’ ছেলের অপবাদ দিয়ে। পরে সে সমাজবিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। আয়োজকরা জানান, এই উৎসবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিবন্ধিত সাতটি যাত্রাদল প্রতিদিন একটি করে ‘ঐতিহাসিক ও সামাজিক’ ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা পরিবেশন করবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত পালা পরিবেশিত হবে। আজ এ কলাম যারা পড়ছেন ঢাকাবাসী হলে আরও তিনদিন যাত্রাপালা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। শুধু বাদামই নয়, ঝালমুড়ি-চানাচুর ও হাওয়াই মিঠাই, পিঠা বিক্রেতারা গ্যালারিতে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছে। সব মিলিয়ে সেই পুরনো দিনের গ্রামীণ যাত্রাপালা উৎসব প্রাঙ্গণের মতোই মনে হলো উদ্যানের মুক্তমঞ্চটিকে।
যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী রিকশাচালক ইসরাফিল মজুমদার। এ পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাশিল্পী অনিমা দে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জামিল আহমেদ। দর্শকসারি থেকে যাত্রা উপভোগ করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
ঢাকা নগরের বয়স কত?
চার শ’ বছর বলেই আমরা জানতাম। নতুন গবেষণা বলছে আড়াই হাজার বছরের বেশি! মোগল সুবাদার ইসলাম খান ১৬১০ সালে নগর ঢাকার পত্তন করেন, এমনটাই ইতিহাসের প্রচলিত বিশ্বাস ছিল। কিন্তু বদলে যাচ্ছে সেই ইতিহাস। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে প্রত্নতত্ত্বিক খননে পাওয়া নিদর্শন ও প্রাচীন দুর্গের অস্তিত্ব প্রমাণ করছে, ১৪৩০ সালেই এখানে বিশাল প্রাসাদ দুর্গ নির্মিত হয়েছিল; অর্থাৎ সমৃদ্ধ রাজধানী শহর ছিল এখানে। শুধু তা-ই নয়, খননে এমন কিছু নিদর্শন পাওয়া গেছে, যা থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদরা অনুমান করছেন, ঢাকা নগরীতে মানববসতির শুরু যিশুখ্রিস্টের জন্মেরও আগে। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় শতকের মধ্যে। ফলে এই জনপদের বয়স আড়াই হাজার বছরের বেশি।
গত মঙ্গলবার বিকেলে এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘পুরাতন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন: ঢাকার গোড়াপত্তনের বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনায় খননে প্রাপ্ত নিদর্শন ও চমকে যাওয়ার মতো এ তথ্য তুলে ধরেন স্বনামখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও খননকাজের তত্ত্বাবধায়ক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। এশিয়াটিক সোসাইটি তাদের ‘ঐতিহ্য জাদুঘর’-এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করে।
সুফি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তাঁর নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রতœতত্ত্ব গবেষক ও শিক্ষার্থী ২০১৭-১৮ সালে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রতœতাত্ত্বিক খননকাজ করেন। তাঁরা কারাগারের প্রধান ফটকের সামনের অংশ, রজনীগন্ধা ভবনের আঙিনা, কারা হাসপাতালের সামনের অংশ, দশ সেল ও যমুনা ভবনের পশ্চিম এলাকা-এই পাঁচ স্থানে ১১টি খননকাজ করেন। এতে তাঁরা একটি প্রাচীন দুর্গের দেয়াল, কক্ষ, নর্দমা, কূপের সন্ধান পান। এ ছাড়া এখানে কড়ি, মোগল আমলের ধাতব মুদ্রা, বিভিন্ন ধরনের মৃৎপাত্র, পোড়ামাটির ভাস্কর্যসহ অনেক রকম প্রত্ননিদর্শন পেয়েছেন।
পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় এসব নিদর্শনের ছবি এবং তথ্যের বিশ্লেষণসহ আলোচনায় সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাপ্ত নিদর্শন থেকে প্রমাণিত হয়েছে, ইসলাম খানের আগমনের অনেক আগেই ঢাকায় একটি প্রাসাদ দুর্গ ছিল। সুবাদার ইসলাম খানের সেনাপতি ও লেখক মির্জা নাথান তাঁর ‘বাহারীস্তান-ই-গায়েবী’ বইতে ঢাকায় যে দুর্গের কথাটি উল্লেখ করেছিলেন, সেটিকে পরে ইতিহাসবিদরা ‘ঢাকাদুর্গ’ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। এই দুর্গে ইসলাম খান বসবাস করেছেন। কিন্তু প্রতুতাত্ত্বিক খনন থেকে পাওয়া নিদর্শন যুক্তরাষ্ট্রের বেটা ল্যাবরেটরিতে কার্বন-১৪ পরীক্ষা করার পর প্রমাণ পাওয়া গেছে, এগুলো ১৪৩০ খ্রিস্টাব্দের। ফলে এখন নিশ্চিতভাবেই বলা যাচ্ছে, এই দুর্গ ইসলাম খানের আসার আগেই নির্মিত হয়েছিল এবং এটিকে ‘ঢাকাদুর্গ’ নয়; বরং ‘ঢাকার দুর্গ’ বলা সংগত।
এ ছাড়া আরও তাৎপর্যপূর্ণ আবিষ্কার হলো, কয়েকটি ‘ গ্লেজেড মৃৎপাত্র’ (অনেকটা সিরামিকের মতো চকচকে) এবং ‘রোলেটেড মৃৎপাত্র’ (মসৃণ ও সূক্ষ্ম নকশা করা), যা থেকে অনুমান করা যাচ্ছে, ঢাকায় অন্তত পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দে জনবসতি ছিল। কারণ, একই ধরনের মৃৎপাত্র পাওয়া গেছে প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন (মহাস্থান) ও উয়ারী বটেশ্বরে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়ায়। এই মৃৎপাত্র পাওয়ায় প্রমাণিত হচ্ছে, এখানে একটি আদি ঐতিহাসিক যুগে সমৃদ্ধ জনপদ ছিল। প্রাচীন সিল্ক রুটের সঙ্গে এই জনপদের সংযোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সূত্রে এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল এবং এর বয়স আনুমানিক আড়াই হাজার বছর। এই হিসাবে ঢাকা শহর কেবল চারবার নয়, সাতবার রাজধানীর মর্যাদা পেয়েছে।
অল্প দামে একবেলা গরুর মাংস
ফেসবুকে গৃহিণীদের এ ধরনের পোস্ট দেখলাম অনেক। বুঝলাম গৃহিণীরা এটা পছন্দ করেছেন এবং নিজে থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। কমেন্টও আসছে প্রচুর। এক ভদ্রমহিলা লিখেছেন, ‘প্রথমে কিছু বুঝিনি। এরপর বুঝতে পেরে ভালো লাগল। কতটুকু মাংস আছে সেটাও দেখলাম। অসাধারণ অভিনব একটি উদ্যোগ, এতে করে বহু মানুষ মাংসের স্বাদ নিতে পারবে। ধন্যবাদ স্বপ্ন পরিবারকে। এভাবে বড় মাছের কয়েক পিস বিক্রি হলে খুশি হবো। একসময় বাজারে বড় মাছের ভাগা পাওয়া যেতো। এখন আস্ত মাছই কিনতে হয় যা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কষ্টের।’
বিষয়টি খুলেই বলি। স্বপ্ন সুপারশপ আপাতত ঢাকা ও কুমিল্লায় সব আউটলেটে মাসের ১ ও ২ তারিখে দশ টুকরো মাংস এবং আলুর কম্বো বিক্রি করছে মাত্র ১৬০ টাকায়!
এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে।
ছোট পরিবারের কেনার সুবিধার্থে গরুর মাংসের সঙ্গে আলুসহ একটি কম্বো প্যাক করা হয়েছে। যেখানে প্রথম কম্বো প্যাকটির নাম গরুর মংস+ আলু মিক্সড (লার্জ)। বড় এই প্যাকে ৩৭৫ গ্রাম মাংসের সাথে ২০০ গ্রাম আলু থাকবে, যার ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা। আর অন্য আরেকটি প্যাকের নাম গরুর মাংস+ আলুর মিক্সড (স্মল); ছোট এই প্যাকে থাকছে গরুর মাংস ২০০ গ্রাম এবং আলু ১০০ গ্রাম, যার ক্রয়মূল্য রাখা হয়েছে মাত্র ১৬০ টাকা। অল্প দামে মাসে অন্তত দুই দিন একবেলা গরুর মাংস খাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে স্বপ্ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে মন্তব্যের ফুলঝুরি বয়ে যাওয়ায় বোঝা যাচ্ছে এই অফারের চাহিদা বিপুল। সেক্ষেত্রে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি ছুটির দিনে সারা দেশের সব আউটলেটে এই অফার চালু করে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। বলাবাহুল্য এতে সুপার শপটির নতুন গ্রাহক বাড়বে এবং একইসঙ্গে স্বপ্ন-এর সুনামও বৃদ্ধি পাবে।
০৩ নভেম্বর, ২০২৪
সধৎঁভৎধরযধহ৭১@মসধরষ.পড়স