নিত্যপণ্যের বাজার যখন মানুষের নাগালের বাইরে
নিত্যপণ্যের বাজার যখন মানুষের নাগালের বাইরে তখন বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার মাঠে নেমে শুধু জরিমানা করে দায় সারছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের পিঠ ঠেকে গেছে দেওয়ালে। দিন যত যাচ্ছে একের পর এক পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। সাধারণ মানুষ যে কয়টি পণ্যের ওপর ভর করে বেঁচে থাকে তা হলো, ডিম, আলু, ডাল, পেঁয়াজ ও তেল এক কথায় গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন। আর কাঁচাবাজারে সবজির দাম ৭০-৮০ টাকা যেন ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’।
সত্যিকার অর্থে জরিমানা করে টাকা নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলে মনে করে সাধারণ মানুষ। কারণ ভোক্তা অধিকার জরিমানা করে চলে যাওয়ার পর আবার দাম বাড়িয়ে বিক্রয় করছে বিক্রেতারা। প্রবাদ আছে, যেই লাউ সেই কদু। এমন অবস্থায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আলু, পেঁয়াজ, ডিম আমদানি করবে, কিন্তু তাতে কার কি আসে যায়। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেছে। দেরিতে হলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাধারণ জনগণের কষ্টের কথা চিন্তা করে তিনটি পণ্যে আলু, ডিম, পেঁয়াজের দাম সরকারিভাবে বেঁধে দেয়।
কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, প্রবাদ থেকেই যায়, যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ। আবার কেউ বলে যার জন্য করি চুরি সে বলে চোর। এই যখন নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের অবস্থা তখন বাজারে গিয়ে দেখা যায় যে সরকারের বেঁধে দেওয়া পণ্যে আলু ৩৫ টাকা হতে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৬৫ টাকার পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আর ১২ টাকার ডিম ১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন কলার দাম ১৫০ টাকা।
এমন অবস্থায় সাধারণ জনগণের মনে প্রশ্ন নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে আর জরিমানা করে কি বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে? সাধারণ জনগণের মতে নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে কিংবা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে দাম বেঁধে দেওয়া আর জরিমানার পাশা-পাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মজুতকৃত পণ্য বাজেয়াপ্ত করতে হবে, করতে হবে আইনের প্রয়োগ।
রসুলপুর, কুমিল্লা থেকে