ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১

বিশ্ব রাজনীতির ছক পরিবর্তনে ব্রিকস সম্মেলন

রায়হান আহমেদ তপাদার

প্রকাশিত: ২০:৫১, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

বিশ্ব রাজনীতির ছক পরিবর্তনে ব্রিকস সম্মেলন

২২ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর ২০২৪ হয়ে গেল ব্রিকস সম্মেলন

রাশিয়ার পশ্চিমের নগর কাজানে ২২ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর ২০২৪ হয়ে গেল ব্রিকস সম্মেলন। তিন দিনের এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন নেতা। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর এই প্রথম রাশিয়ায় এত বৃহৎ কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। প্রায় আড়াই বছর আগে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনে আক্রমণের জেরে পশ্চিমা বিশ্ব নানা অর্থনৈতিক ও সামরিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়াকে বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চেয়েছে।

ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজন করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন দেখাতে চেয়েছেন পশ্চিমাদের সেই প্রচেষ্টা কতটা ব্যর্থ হয়েছে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন ও ভারত মিলে ১৫ বছর আগে ব্রিকস জোট গঠন করে। পরের বছর যোগ দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে যুক্ত করে এ জোটের সম্প্রসারণ ঘটানো হয়। রুশ সংবাদমাধ্যম প্রেসিডেন্ট পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার কাজান এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

এবারের সম্মেলনে আলোচনার প্রাধান বিষয় হচ্ছে সুইফটের (দ্য সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশনস) প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলা। পুতিন ব্রিকসের নেতৃত্বে এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। ইউক্রেনে হামলার জেরে ২০২২ সালে সুইফট থেকে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে বাদ দেওয়া হয়। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যে যুদ্ধ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে তা নিয়েও ব্রিকস নেতারা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনায় স্থান দিয়েছেন।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে মোদি পুতিনকে জানিয়েছেন ভারত বিশ্বাস করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পুতিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন,‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সব পক্ষের সঙ্গে আমরা যুক্ত আছি। সবসময় আমাদের অবস্থান হলো সব ধরনের দ্বন্দ্বের অবসান আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করি দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত। শান্তি ফিরিয়ে আনতে ভারত সবসময় প্রস্তুত।’ এদিকে এবারের সম্মেলন থেকে একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যা ‘কাজান ঘোষণা’ নামে পরিচিতি পাবে।

এতে নতুন পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রকে ব্রিকসের অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের সম্মেলনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই জোটটি পাশ্চাত্যের আধিপত্যবাদ মোকাবিলায় নানাভাবে চেষ্টা করে চলেছে। অর্থনৈতিকভাবে সদস্য দেশগুলোর মধ্যকার সুসম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। এবারের সম্মেলনটি যে কারণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে তা হচ্ছে, রাশিয়া ও চীনের নেতৃত্বে ব্রিকসের অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক পরিসর অনেক বিস্তৃত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জি-৭ভুক্ত দেশগুলোর আধিপত্যকে খর্ব করতে নানা রকম উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের এক সংবাদ বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে যে ব্রিকস মনে করছে, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন সম্পৃক্ততা তাদের জন্য বর্তমানে একটি বাড়তি বোঝার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় ব্রিকসের নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে এবং বিশ্বব্যবস্থার কাক্সিক্ষত পরিবর্তন ঘটিয়ে আগামী দিনের বিশ্বের নেতৃত্বে চীন ও রাশিয়াকে অধিষ্ঠিত করার এখনই প্রকৃষ্ট সময়। ব্রিকসের যে ভৌগোলিক বিস্তৃতির কথা বলা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে কিছুদিন আগে এর অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ব্রিকসের সদস্য হতে ইচ্ছুক এমন রাষ্ট্রের সংখ্যা বর্তমানে ৪০এ দাঁড়িয়েছে। 
২০০৬ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন-এই চারটি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত ব্রিক ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার যোগদানের মধ্য দিয়ে ব্রিকসে পরিণত হয়। পরবর্তী সময়ে অনেক ইচ্ছুক রাষ্ট্রের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর এ বছর জানুয়ারি মাসে মিসর, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও ইথিওপিয়া-এই পাঁচটি নতুন রাষ্ট্রের যোগদানের মধ্য দিয়ে এর পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা বর্তমানে ১০। সংগত কারণেই এবার এই সংস্থাটির সভাপতির দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে রাশিয়া। এবারের ব্রিকস সম্মেলনের কর্মসূচিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি হলো ন্যায়ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বহুপাক্ষিকতাকে আরও সম্প্রসারিত করা।

অন্যটি হলো ব্রিকস প্লাস, যার অর্থ এই সংস্থার ভেতর অংশীজন বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বিষয়ে ব্যাপক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। ব্রিকসের এবারের সম্মেলনে যে সুস্পষ্টভাবে বর্তমান বিশ্বরাজনীতিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখা হচ্ছে, এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। আগামী দিনে ব্রিকসের ছায়ায় বহুপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্য দিয়ে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যকার কৌশলগত সম্পর্ককে নির্দিষ্ট করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট পুতিন সম্মতি দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের পক্ষ থেকে এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলে আবারও পুতিনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়। এর আগে ইরান অর্থ পরিশোধ করার পরও রাশিয়া তাদের কাক্সিক্ষত অস্ত্র সরবরাহ করতে দেরি করছিল, যার জেরে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে চার বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা ঠুকে দেয়। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়টি পরিষ্কার, তা হলো ভূরাজনৈতিক চাপে তারা ইরানকে সরাসরি সমর্থন থেকে বিরত থেকেছে, বিশেষ করে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপে। এই সময়ে এসে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া যেহেতু সরাসরি পক্ষ এবং এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য, এমন অবস্থায় রাশিয়ার দিক থেকে সরাসরি অবস্থান নেওয়ার সময় এসেছে। এই জায়গায় তারা তাদের সহযোগী হিসেবে পেতে চাইছে ব্রিকসকে।
ইউক্রেন যুদ্ধে তারা ব্রিকসের কাছ থেকে নিঃশর্ত সমর্থন পেতে সমস্যায় পড়লেও মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে গাজা ও লেবাননে যেভাবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে মানবিক নিধনযজ্ঞ চালানো হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাট্টা হওয়ার অনেক জোরালো যুক্তি রয়েছে। তার পরও কিছু স্বার্থসংশ্লিষ্ট কারণে রাশিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সুসম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। সোভিয়েত সময়ে তারা বুঝল যে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে আর কেউ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রক্সি মাত্র।

তবে সোভিয়েত পতনের পর রাশিয়ায় থেকে যাওয়া প্রায় ১০ লাখ ইসরাইলির প্রতি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অনেকটাই নমনীয় হতে দেখা যায়। কারণ তারা রাশিয়ার প্রতি তাদের সমর্থন বজায় রেখেছিল এবং রুশ ভাষায় কথা বলত। এসব কারণে পুতিনকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের বিরুদ্ধে খুব একটা সরব হতে দেখা যায়নি। কারণ রাশিয়া একক রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলবিরোধী হওয়ার চেয়ে একটি জোটের মাধ্যমে জোটগত ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে বেশি আগ্রহী। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও তারা তাদের জিঘাংসাকে চরিতার্থ করতে পারবে।

এদিকে চীনের বেলায় হিসাবটা একটু ভিন্ন, যদিও রাশিয়া ও চীন উভয়ের অভিন্ন শত্রু যুক্তরাষ্ট্র, এর বাইরেও চীন এককভাবে বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ হয়ে উঠেছে, যার একটি বড় সরবরাহ হয় মধ্যপ্রাচ্য ও পারস্যের দেশগুলো থেকে। এটি চীনকে মধ্যপ্রাচ্যমুখী করেছে এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে আরও সরব করে তুলেছে। ব্রিকস নিয়ে চীন ও রাশিয়ার সম্ভাব্য ভূমিকা থেকে এটি অনুমান করা যায় যে, ব্রিকস জোটে তাদের ইচ্ছার প্রভাব কোনো না কোনোভাবে অপরাপর দেশগুলোতে পড়বে।

চীনের ব্যাপক উৎপাদন সক্ষমতা ও বিশ্বব্যাপী চীনা পণ্যের আমদানিনির্ভরতা, বৈশ্বিক জ্বালানি এবং খাদ্যসংকটের এই সময়ে এসে রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও খাদ্যসম্পদের প্রাচুর্য অনেক দেশকে ব্রিকসমুখী করেছে ও এর সদস্যরা স্পষ্টভাবেই তাদের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। বর্তমানে বৈশ্বিক জিডিপিতে ব্রিকস দেশগুলোর অবদান এক-তৃতীয়াংশ ছাড়িয়ে গেছে, যা একসময় জি-৭ভুক্ত দেশগুলোর পেছনে ছিল। বৈশ্বিক জনসংখ্যার বিচারে ব্রিকস দেশগুলোর জনসংখ্যা বিশ্বজনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি। 
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো কর্তৃক রাশিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করেছে, যা ব্রিকস জোটকে আরও শক্তিশালী করেছে। যার জেরে এর পূর্ণ সদস্যসংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আরও সম্প্রসারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমা জোটগুলো, বিশেষত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর মধ্যে বিরাজ করছে আস্থাহীনতা। পশ্চিমা জোটগুলোর সমন্বিত পরিকল্পনার সীমাহীন ব্যর্থতা ও এর বিপরীতে ব্রিকসের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়া বিশ্বরাজনীতির ছককে পরিবর্তন করে দিতে পারে। তাই তারা পশ্চিমা আধিপত্যবাদকে মোকাবেলা করার লক্ষ্যে আরও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

সত্যি বলতে কী, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ব্রিকসের প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি ছিল, ডলারের বিকল্প একটি মুদ্রা ব্যবস্থা তৈরি করা। বর্তমানে যেকোনো আন্ত-রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ও ঋণের ক্ষেত্রে মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার ব্যবহার করা হয়। বিশ্বব্যাংক নিয়ন্ত্রিত বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার মূল মুদ্রাও মার্কিন ডলার। এই কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের জন্য যেকোনো দেশকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। এসব নিষেধাজ্ঞায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, ইরান ও চীন। বিশ্লেষকরা বলেন, শুধু ডলারের জন্য বৈশ্বিক বাণিজ্যের ওপর বিশাল প্রভাব বিস্তার করতে পারে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ। কারণ ডলার দিয়েই হয় সব বাণিজ্য। ডলারের এই আধিপত্য ভাঙতে চায় রাশিয়া।

ব্রিকস দেশগুলোকে নিয়ে একটি বিকল্প বাণিজ্যব্যবস্থা তৈরি করতে চায় তারা, যেখানে ডলার, ইউরো বা জি-৭ দেশগুলোর মুদ্রার প্রয়োজন পড়বে না। তখন আর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা খুব একটা কাজে আসবে না। পশ্চিমারা বিশ্বাস করে যে, রাশিয়া তাদের প্রভাব বিস্তার করতে এবং ইউক্রেন সংঘাত সম্পর্কে নিজস্ব চিন্তাধারা প্রচার করতেই এই ব্রিকসের জন্ম দিয়েছে। তারা ব্রিকসের কার্যক্রমকে বরাবরই সন্দেহের চোখে দেখে থাকে এবং এখনো করে যাচ্ছে। তবে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উদ্বেগ।
লেখক : যুক্তরাজ্য প্রবাসী গবেষক 

[email protected]

×