ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত রক্ষা জরুরি

ড. মো. আইনুল ইসলাম

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত রক্ষা জরুরি

বাংলাদেশের ব্যাংক খাত অনেক আগে থেকেই রেকর্ড খেলাপি ঋণে জর্জরিত

বাংলাদেশের ব্যাংক খাত অনেক আগে থেকেই রেকর্ড খেলাপি ঋণে জর্জরিত। রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া লোকজনের লুটপাটের কেন্দ্রভূমিতে পরিণত হওয়া ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থার মধ্যে দেশের অর্থনীতির জন্য আরেকটি উদ্বেগজনক খবর হলো এবার ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (নন ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল-এনবিএফআই) রেকর্ড খেলাপি ঋণে পড়া। অনিয়ম-দুর্নীতি আর সুশাসন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে  আমানত রাখতে গ্রাহকদের মধ্যে বর্তমানে চরম অনীহা দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এনবিএফআই সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এ বছরের মাত্র তিন মাসে (এপ্রিল-জুন প্রান্তিক) এসব প্রতিষ্ঠান ৪৭ হাজার আমানতকারী হারিয়েছে। একই সঙ্গে ২০২৩ সাল শেষে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৩৮ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ২৩ হাজার ২০৮ কোটি ৭০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই খাতের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৭৩ হাজার ৫৬০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিতরণ করা ঋণের ৩২ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। বিশ্লেষকরা আর্থিক খাতের ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণ ও করপোরেট সুশাসনের অভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ জানালেও লুটপাটকারী নীতি-নির্ধারকদের কারণে সম্ভাবনাময়  ও গুরুত্বপূর্ণ এই আর্থিক খাতটি প্রায় অকার্যকর ও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তদারকি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এই খাতটি পুরোপুরি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। 
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বা এনবিএফআইর সমস্যা ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণের আগে বলে নেওয়া ভালো যে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এমন এক ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান যারা সম্পূর্ণ ব্যাংকিং লাইসেন্স পায় না বা কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় না। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ মূলত মেয়াদি আমানত সংগ্রহ করে বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ বা বিনিয়োগ সেবা প্রদানের মাধ্যমে কার্যক্রম চালায়। কিন্তু ব্যাংকের মতো করে চাহিদা আমানত সংগ্রহ করতে পারে না এবং চাহিবামাত্র আমানতের অর্থ গ্রাহককে ফেরত দিতে পারে না।

কারণ এখানে ক্যাশ বা নগদ কাউন্টার সুবিধা থাকে না। তাই এরা মেয়াদপূর্তি ও নির্দিষ্ট সময় পরে আমানত পরিশোধ করে। দেশে বর্তমানে এ ধরনের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৫টি। এর মধ্যে ৩টি সরকারি। সব মিলিয়ে দেশের দুই-তিনটি ছাড়া সব এনবিএফআইর অবস্থাই  খুব নাজুক। আমানতকারীদের কষ্টার্জিত অর্থ নিয়ে অপকর্মে জড়িত হওয়ায় আস্থা কমে যাওয়াই এদের মূল সমস্যা, যা সামগ্রিকভাবে প্রচুর সম্ভাবনাময় এই আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা, বৃদ্ধি ও দক্ষতাকে প্রভাবিত করছে।

আমানতকারীদের আস্থা কমায় ভূমিকা রেখেছে ক্রমবর্ধমান ও উচ্চ খেলাপি ঋণ বা নন পারফর্মিং লোন (এনপিএল)। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ক্রমবর্ধমান এনপিএল  মুনাফা হ্রাস ও ঝুঁকি বৃদ্ধি করায় এনবিএফআইগুলোর আরও ঋণ দেওয়ার ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। এ কারণে দেশের বেশিরভাগ এনবিএফআই অপর্যাপ্ত তহবিল উৎসের কারণে ভয়ানক তারল্য সংকটে রয়েছে, যা স্বল্পমেয়াদি বাধ্যবাধকতা পূরণে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে।

ফলে সাধারণ ব্যাংকের তুলনায় পর্যাপ্ত আমানত সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তঃব্যাংক বাজার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ সুদের হারের ঋণের ওপর নির্ভর করে চলছে। অভ্যন্তরীণ সুশাসন, ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উদাসীনতা এনবিএফআই খাতের সংকট ঘনীভূত করায় মূল ভূমিকা রাখছে। কিছু প্রতিষ্ঠান অব্যবস্থাপনা, জালিয়াতি এবং স্বার্থের সংঘাতে পড়ে বিনিয়োগকারী ও জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করে ফেলেছে। রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্বল পরিচালনা পর্ষদ এবং স্বচ্ছতার অভাব সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিএফআই-এর নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে, কিন্তু রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে করে এসব প্রতিষ্ঠান অবশ্যম্ভাবী ফল হিসেবে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার সালিশকারীর ভূমিকা নেওয়া জনগণের আস্থা নষ্ট করার অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন বা বড় আকারের শিল্প ঋণের মতো প্রকল্পগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পেতে লড়াই করতে হওয়ায় এনবিএফআই খাতের সম্প্রসারণ কঠিন হয়ে পড়ছে। এতে করে এনবিএফআইগুলো অধিক হারে ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া দৈনন্দিন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেও অনেকে আমানত ভাঙছেন।

এমনিতেই নানা অনিয়মের কারণে সাধারণ মানুষ এখন আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের মতো আমানত রাখতে ভরসা পাচ্ছেন না, তার ওপর জীবনমানের ক্রমবর্ধমান ব্যয় এনবিএফআইর সুযোগ ও সম্ভাবনা নষ্ট করে ফেলেছে। এ কারণে ২০২২ সাল থেকেই ধারাবাহিকভাবে কমছে আমানতকারীর সংখ্যা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ শেষে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৪১ জন। আর জুন শেষে অর্থাৎ তিন মাস পর আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৭ জন।

সেই হিসাবে তিন মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা কমেছে ৪৭ হাজার ৬০৪ জন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি- মার্চ) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা কমেছিল ৩ হাজার ৮৮০ জন। এর আগে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা কমেছিল ২৫ হাজার ৭৮২ জন। এর আগের তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) এ সংখ্যা কমেছিল ১৮ হাজার ৪৯৩ জন। এ ছাড়া ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এ সংখ্যা কমেছিল ৩৫ হাজার ৫ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জুন প্রান্তিকে এসব প্রতিষ্ঠানে আমানত বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

অপরদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন) শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা। আর প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ছিল ৪৪ হাজার ৩০৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেই হিসেবে তিন মাসে আমানত বেড়েছে ৮ হাজার ১১৩ কোটি ৯ লাখ টাকা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বিতরণের স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৫২৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর তিন মাস পর (এপ্রিল-জুন) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৯১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

আলোচ্য এই প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি আমানত কমেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। চলতি বছরের মার্চ শেষে এ বিভাগে আমানত ছিল ২১ হাজার ৭৩৫ কোটি ২ লাখ টাকা। আর জুন শেষে এ বিভাগের আমানত দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। আর আমানত কমার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিভাগ। এ বিভাগে জুন শেষে আমানত দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৮ লাখ টাকা। আর মার্চ শেষে এ বিভাগে আমানত ছিল ৩ হাজার ৫৪০ কোটি ৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে তিন মাসে খুলনা বিভাগে আমানত কমেছে ৬৮৯ কোটি টাকা। অপরদিকে ঢাকা বিভাগে আমানত বেড়েছে ২ দশমিক ২০২ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে বেড়েছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ, সিলেটে বেড়েছে ১ দশমিক ১২ শতাংশ এবং রংপুর বিভাগে বেড়েছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। 
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেন খারাপ হচ্ছে, তা সবাই কম-বেশি জানে। কিন্তু সমস্যা সমাধান দুর্ভেদ্য এক অচলায়তনে বাধা পড়েছে। কারণ এসবের মালিকানা সবই রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট। রাজনীতিবিদরা এগুলো পরিচালনা করলে সমস্যা নেই। কিন্তু পচে যাওয়া রাজনীতি ব্যবস্থায় জড়িত রাজনীতিবিদদের রক্ষক হয়ে ভক্ষকের রূপ ধারণ করা গ্রহণযোগ্য নয়। রাজনীতিবিদ মালিকরা আমানতকারীদের সঞ্চিত অর্থ নিজের বাপ-দাদার ধন হিসাবে জ্ঞান করে যাচ্ছেতাই করছেন। আর এতে সহায়কের ভূমিকা রেখেছে আমলা পরিচালিত পরাধীন বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত বহুমাত্রিক পদক্ষেপ নিতে হবে। রেকর্ড খেলাপি ঋণ, তারল্য সীমাবদ্ধতা, শাসন-পরিচালনা সংক্রান্ত সমস্যা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য প্রথমেই উন্নত নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরি করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে তত্ত্বাবধান বাড়াতে হবে এবং ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, ঋণ শ্রেণিকরণ ও বিধিবিধানের জন্য কঠোর নির্দেশিকা প্রণয়ন করতে হবে, যাতে করে উন্নত করপোরেট সুশাসন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নত করা যায়।

স্বাধীন ও যোগ্য পরিচালনা পর্ষদ বাধ্যতামূলক করা উচিত। অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির জন্য কঠোর জরিমানা আরোপসহ বিধিবিধান লঙ্ঘনকারী এনবিএফআইর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এর ফলে যত্রতত্র ঋণ বিতরণ ও খেলাপি প্রবণতা অবশ্যই কমে আসবে। আর ঋণ পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারের জন্য কঠোর নীতি প্রবর্তন করতে হবে। ঋণগ্রহীতাদের ছাড়সহ পরিশোধের সুযোগ দিয়ে ঋণের বোঝা কমিয়ে তা ইক্যুইটিতে রূপান্তর করতে হবে। পাশাপাশি দক্ষ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার জন্য আইনি কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এনবিএফআইগুলোর তারল্য সমস্যা সমাধানে এসএমই এবং অবকাঠামো খাতে অগ্রাধিকার হিসাবে ঋণ দেওয়ার সুযোগ করে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সহজ হবে। করতে পারে। একই সঙ্গে এনবিএফআইগুলোকে সর্বাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণ করতে উৎসাহিত করতে হবে। এতে করে খরচ কমানো ও গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করা সম্ভব হবে। সার্বিকভাবে তহবিলের ঘাটতি ও দুর্বৃত্তায়ন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে হবে। একটি কমিশন গঠন করে এই খাতের সংস্কার করা দরকার।

প্রয়োজনে এগুলোর সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। এই খাতের কমিশন গঠন হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি একটি পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে যে সংস্কার কার্যক্রম দরকার, তা নিরূপণ করতে হবে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের শিকার ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতকে ধ্বংসের হাত থেকে উদ্ধার করতে হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
 
লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি

×