ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

শিলং ॥ পাহাড়ি উপত্যকার প্রেমে

সুমন্ত গুপ্ত

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

শিলং ॥ পাহাড়ি উপত্যকার প্রেমে

পাহাড়ি উপত্যকার প্রেমে

কনকনে শীত হোক কিংবা প্রবল গরম- ছুটি পেলেই বাঙালির মন নেচে ওঠে বেড়াতে যাওয়ার জন্য। বাঙালি যেমন উৎসবপ্রিয়, তেমন ভ্রমণবিলাসীও। পায়ের তলায় শর্ষে, তাই সুযোগ পেলেই পাড়ি দেয় অজানা কোনো গন্তব্যে। অফিস বাসা অফিস একঘেয়ে জীবন থেকে নিস্তার পেতে বছরের শুরুতেই মনে মনে ভাবছিলাম, এবার গরমের সময় প্রাণে শীতল হাওয়ার স্পর্শ পেতে পাড়ি দেব মেঘালয়ের শৈলশহর শিলংয়ে। যদিও এর আগেও একাধিকবার যাওয়া হয়েছে শিলংয়ে। তবে আমার এবারের ভ্রমণসঙ্গী সানন্দার প্রথম যাত্রা হবে মেঘের রাজ্যে। 
মেঘালয় হচ্ছে মেঘেদের বাড়ি। কবিদের অনুপ্রেরণা ও চিত্রকরদের ক্যানভাস। বেড়ানোর জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গা। ২১ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে রাজ্য হিসেবে ঘোষিত হয়। মেঘালয় ছবির মতো সুন্দর একটি রাজ্য; সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ মেঘের সমাবেশ। জীবনের কিছু রঙিন মুহূর্ত কাটানোর জন্য উপযুক্ত জায়গা। মেঘালয় সেভেন সিস্টারসখ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অন্যতম একটি সুন্দর রাজ্য। মেঘালয় পাঁচটি প্রশাসনিক জেলায় ভাগ হয়েছে- জয়িন্তা পাহাড়, পূর্ব এবং পশ্চিম গারো পাহাড়, পূর্ব এবং পশ্চিম খাসি পাহাড়।

পরিকল্পনা মতো আগের থেকেই শিলংয়ে যাওয়ার নিমিত্তে ভিসা লাগিয়ে রেখেছিলাম।  এবারে  অফিস থেকে ছুটির ব্যবস্থা করে নিলাম বেশ ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে। শুক্রবার ঘড়ির কাঁটায় সকাল আটটায় আমরা বেরিয়ে পড়লাম তামাবিল বর্ডার পানে। শরতের আকাশে মেঘের আনাগোনা প্রকৃতি সেজেছে তার আপন মাধুরী দিয়ে। আমাদের চার চাকার বাহন এগিয়ে চলছে পিচ ঢালা সড়ক দিয়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা এসে পৌঁছলাম তামাবিল বর্ডারে। এসে দেখি শিলং যাওয়ার জন্য দীর্ঘ মানুষের লাইন।

এর মাঝে ডাউকি বর্ডার থেকে যুথিস দাদার ফোন আমরা তামাবিল বর্ডারে এসেছি কিনা? উনি ওপারে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ করে আমরা রওনা দিলাম ডাউকি পানে। সেখানে আবার এত সময় লাগেনি। খুব দ্রুত আমাদের ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ হয়ে গেল। ঘড়ির কাঁটায় তখন একটা বেজে ত্রিশ মিনিট, আমরা চেপে বসলাম যুথিস দার বাহনে।

পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে আমরা এগিয়ে যেতে লাগলাম। আমার ভ্রমণসঙ্গীর প্রথমবার শিলং ভ্রমণ, তাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিল বাহির পানে। চলতি পথে উমাগট নদীর স্বচ্ছ জলের ওপর ভেসে বেড়ানো পর্যটকবাহী ডিঙ্গি নৌকা দেখে আপনার মন চাইবে ভেসে বেড়াতে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার জন্য আমরা শুধু ছবি তুলেই মনের আশা পূর্ণ করলাম। তবে যেদিন ফিরব দেশের পানে, সেদিন উমাগট নদীর জলে ভেসে বেড়ানোর চেষ্টা নিশ্চয়ই করব। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু.. সিলেট থেকে শিলং ঘুরতে আর দেখতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভবত কবিগুরুর এ কথাটি একেবারেই সত্যি।

বাংলাদেশ শুধু নয়, সিলেটেও এমন লোকের সংখ্যা হাতে গোনা মাত্র তিন ঘণ্টার দূরত্বের পথ শিলং গেছেন। বাংলাদেশে যেমন ঝরনা খুঁজে বের করে দেখতে যেতে হয় মেঘালয়ে, এখানে এর পুরোটাই বিপরীত। চলার পথে আপনার মনে হতেই পারে, ঝরনাই আপনাকে দেখতে এসেছে। ছোট-বড় মিলিয়ে এখানে যে কত ঝরনা রয়েছে, তার হিসাব হয়তো কারও কাছেই নেই। ঝকঝকে রোদ, হঠাৎ অন্ধকার, ঝুমবৃষ্টি। এরপর এক পশলা মেঘ এসে আপনাকে ভিজিয়ে যেতেই পারে। মেঘালয়ের প্রকৃতিটাই যেন এমন। আগের থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম শিলং যাওয়ার পথে আমরা কয়েকটি স্পট দেখে যাব।

যেই ভাবা সেই কাজ, আমরা চলে এলাম লিভিং রুট ব্রিজ দেখতে। দর্শনের মূল্য প্রদান করে প্রবেশ করলাম । সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগলাম আমরা। চলতি পথে প্রবহমান জলধারার শব্দ যাত্রাপথের সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দিল। লিভিং রুট ব্রিজে আমরা ছবি তুললাম। এরপরে আমরা গেলাম এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলাইনংয়ে। মাওলাইনং ডাউকি ৩৫ কিলোমিটার। এই গ্রামের প্রতিটি ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং বেশ গোছানো আর শিক্ষার হার শতভাগ। পরবর্তী গন্তব্য বরা হিল ঝরনার পানে।

বিশাল বড় ঝরনা। তীব্র গতিতে পানি বেয়ে নামছে। অসম্ভব সুন্দর না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। পাহাড়ি উপত্যকায় সূর্যদেব পাটে যান খানিক আগেই। তাই আমরা আর নতুন কোনো গন্তব্য পানে না গিয়ে শিলং পানে যাত্রা শুরু করলাম। গাড়িতে বাজছে পুরনো হিন্দিগান আর বাইরে সবুজ পাহাড় ঝরনা সব মিলিয়ে অসাধারণ পরিবেশ, কিছুক্ষণ পরেই আমরা হারিয়ে গেলাম মেঘের রাজ্যে। পথে ছবি তোলার সুযোগ আর ছাড়লাম না। শিলংয়ে যাওয়ার রাস্তা অসাধারণ সুন্দর, আঁকাবাঁকা। ভারতের সময় রাত আটটায় আমরা পুলিশ বাজার পৌঁছে যাই। আগে থেকেই হোটেল ঠিক করা ছিল।

তাই হোটেল খোঁজাখুঁজির জন্য বেগ পেতে হয়নি। দ্রুত রিফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম পেট পূজার নিমিত্তে। সেই সকালে পেটে দানা পানি পড়েছে। হেঁটে হেঁটে চলে এলাম খানিক দূরত্বে পুলিশ বাজারে। ঢুকে পড়লাম খাবারের দোকানে। সাদা ভাত, তড়কার ডাল (তড়কা ডাল একটি সাধারণ মাপের খাবার হলেও এর স্বাদ কিন্তু স্বর্গীয়। যা মুগ এবং মসুর বা বিউলির একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয়) , সবজি, ছানার তরকারি দিয়ে পেট পূজা সেরে নিলাম। অসাধারণ  খাবারের স্বাদ। আজ মেঘালয় ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন সকালবেলা পুলিশ বাজারে দিল্লি সুইটস এ প্রাতরাশ শেষ করে বেরিয়ে পড়লাম।

প্রথমে গেলাম হায়দ্রা পার্ক এ  এটি আসামের গভর্নরের স্ত্রী লেডি হায়দ্রার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এখানে একটি মিনি চিড়িয়াখানা আছে। এরপর গেলাম চার্চে। আসাধারণ শিল্প নৈপুণ্য ভেতরে ও বাইরে। এটিই এশিয়ার সর্ববৃহৎ চার্চ। চার্চের ভেতরে বসে প্রার্থনা করবার অনুভূতিটাই অসাধারণ। ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ। এরপর গেলাম ওয়ার্ডস লেকে। চারিপাশে বাগান দিয়ে ঘেরা কৃত্রিম লেক। লেকে ফুটে আছে অসংখ্যা শাপলা ফুল, ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজহাঁসের দল, দেখলে মন ভরে যায়। লেকে বোটে ঘুরার ব্যবস্থাও আছে, আমরা ভেবেছিলাম বোটে ঘুরতে কিন্তু আরও অন্তত দুটো স্পট ঘুরে দেখার কথা, তাই আর বোটে ওঠা হলো না।

এরপর গেলাম শিলং গলফ কোর্সে। যা ৫২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এবং এতে ২২টি হোল আছে। সবুজে ঘেরা মাঠ দেখলে যেন মনে হয় ঘাসের ওপর বসে দিনপার করে দেই কিন্তু এখনো আমাদের আরও একটি স্পটের যেতে হবে, তাহলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেখানে বসে তার শেষের কবিতা লেখেন, সেই বাড়িতে ১৯১৯ সালে অক্টোবর মাসে কবি আসেন। বাড়িটি আবার মেঘালয় গভরমেন্টের ব্যবস্থাপনায়। প্রথমে ঢুকতেই রবীন্দ্রনাথের বিশাল প্রতিকৃতি স্বাগত জানায়। কিন্তু বিধিবাম, যেতে যেতে রবীন্দ্রনাথ আর্ট গ্যালারিটি বন্ধ হয়ে গেছে, অগত্যা আমরা বাইরে কিছু ছবি তুলে ফিরে এলাম হোটেলে।

হোটেলে এসে ধরা পড়ল ক্ষুদা পেয়েছে, ঘুরার আনন্দে ক্ষুদা উধাও হয়ে গিয়েছিল। পরে হোটেলে রুমের খাবার শেষ করে হোটেল রুম থেকে রাস্তার দিকে তাকিয়ে বসেছিলাম। মজার বিষয় হলো যে, শিলংয়ের রাস্তায় কোনো রিকশা নেই। টাটা সুমোই একমাত্র ভরসা। এরপর দুই ঘণ্টার মতো বিশ্রাম নিয়ে আবার রাত সাতটার দিকে বেরিয়ে পরলাম শহরে ঘুরতে। এখানে শহর বলতে পুলিশ বাজার এরিয়াটাই, ছোট বড় শপিং মলে ঘুরে বেড়ালাম। কিন্তু কাপড় চোপড়ের দাম একটিু বেশি, রাত আটটার মধ্যেই সব দোকানপাঠ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আমরা একটিমাত্র বাঙালি হোটেল সুরুচি খুঁজে বের করি। সুরুচি ছোট্ট হোটেল কিন্তু মানুষের দীর্ঘ লাইন।

আমরা লাইন দিয়ে বসে বাঙালি খাবার চানার ডাল, বেগুন ভাজা, লাবরা আর খাসির মাংস খেলাম। এরপর আবার হোটেলে এসেই শুয়ে পড়লাম। কারণ, বিভিন্ন স্পট দেখতে গিয়ে অনেক ক্লান্তির কারণে চোখে ঘুম ছিল। এক ঘুমে ভোর ছয়টায় উঠি, যদিও ঘড়িতে এলার্ম দেওয়া ছিল। তা না হলে ওঠা সম্ভব হতো না। সকাল হতেই যুথিস দাদা এসে হাজিরÑ গন্তব্য চেরাপুঞ্জি। এখানে আকাশ সব সময় মেঘাচ্ছন্ন। কখনো ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। যেকোনো সময় বৃষ্টি হয়। ১৯৪৭ সালে এখানে ২৪৫৫.৩ মি.মি বৃষ্টি হয় যা কোনো এলাকাতে এক বছরে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত।

১৯৫৫ সালে ১৬ জুন এখানে ২৪ ঘণ্টা ১৫৬৩ মি.মি বৃষ্টি হয়েছিল। চেরাপুঞ্জির যাওয়ার রাস্তাটা অসাধারণ। আঁকাবাঁকা রাস্তা, কোথায় মেঘে ঢাকা, কোথাও আলো। আমরা চেরাপুঞ্জিতে প্রবেশ দ্বারে এসে পৌঁছলাম। এখানে প্রথমে আমরা ব্রিজ থেকে মেঘের ভেলা দেখলাম। অসাধারণ মেঘ যেন আমাদের ছুঁয়ে যাচ্ছিল। দেখা পেলাম পাহাড়ি কন্যা দোকানে পসরা সাজিয়ে বসেছে। চা , কফি, গরম গরম নুডুলস, পাহাড়ি ফল। আমরা নুডলস নিলাম, হিম শীতল পরিবেশে গরম গরম নুডলস। পরবর্তীতে আমরা গেলাম গার্ডেন অব কেইভে।

এই স্থানে গেলে একসঙ্গে ১২টি স্পট এক সঙ্গে দেখতে পারবেন। আমরা গার্ডেন অব কেইভে দেখানো নির্দেশনা মতে এগিয়ে চললাম। প্রথমে পাথরের নিচ দিয়ে প্রবেশ করলাম। একদিকে প্রবহমান জলের ধারার শব্দ, অন্যদিকে পথর ছুঁয়ে জল পড়ার দৃশ্যপট আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য ভুবনে। আমরা এগিয়ে যেতে লাগলাম। চারপাশে আবার ঘন বন-এর মাঝ দিয়ে চলার রাস্তা। আমরা এবার এসে প্রবেশ করলাম গুহার ভেতর। এ এক অন্য রকম অনুভূতি। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলাম আমরা।

আলো-আঁধারের খেলার ভেতর আমরা এগিয়ে চলছি। উঁচুনিচু পথ পেরিয়ে আমরা আকাশের দেখা পেলাম। এবার আমরা এগিয়ে চললাম দূর থেকে ঝরনা ধারার শব্দ ভেসে আসছিল কানে। যত এগিয়ে যেতে লাগলাম শব্দ আরও কাছে মনে হলো। এবার দেখা পেলাম ঝরনা ধারার। শত ফুট উচ্চতর থেকে ঝরনার জল বেয়ে পড়ছে। আমরা এগিয়ে গেলাম ঝরনার পানে। ছুঁয়ে দেখলাম ঝরনার প্রবহমান ধারা।

এভাবে আমরা উপভোগ করলাম আরও কয়েকটি ঝরনা ধারা। কিভাবে যে সময় এগিয়ে যাচ্ছিল, টেরই পেলাম না।  এরপরে  যুথিস দা বলল তাড়াতাড়ি যেতে হবে সেভেন সিস্টারস ফল দেখতে হলে। কারণ, এ ফল প্রায় সময় মেঘে ঢাকা থাকে। কপাল ভালো থাকলে দেখা মেলে। আমরা এলাম সেই কাক্সিক্ষত সেভেন সিস্টার ফল এ। অসাধারণ দৃশ্য, যেন কেউ তুলির পরশ দিয়ে একে গেছে। যুথিস দা’কে জিজ্ঞেস করলাম, এই সেভেন সিস্টার ফলস্ কেন বলা হয়, দাদা বললেন; প্রচলিত আছে যে ৭টি রাজ্য নিয়ে এই মেঘালয় আর প্রদেশ প্রতিটিতেই নারী প্রধান। তাই একে সেভেন সিস্টার ফলস বলে। এরপর গেলাম ইকো পার্কে। এখান থেকেই সেভেন সিস্টার ফলসের পানি বেয়ে নামে। 
এরপর আমরা গেলাম মাওসমাই গুহায়। ছোট একটি গুহা। ভেতরে সুড়ঙ্গের মতো রাস্তা। এখানে পর্যটকদের চলাচলের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা আছে। গুহাটা অসাধারণ এবং কিছুটা ভয়ংকর। ভেজা, কাদা মাখা পথ, কিছু জায়গায় গুহাটি এত সরু যে, আমাদের প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়েছিল। তবে গুহাটিতে বয়স্ক মানুষ নিয়ে না ঢোকাই ভালো। এরপর গেলাম রামকৃষ্ণ মিশন চেরাপুঞ্জিতে। যা ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে আদিবাসীর হাতে তৈরি জিনিস বিক্রি হয়।

সঙ্গে আছে মিউজিয়াম, আদিবাসীদের ঐতিহ্যের অনেক নিদর্শন আছে মিউজিয়ামটিতে। আর মিশনের পরিবেশও বেশ নিরিবিলি। এখানে ২২০০ ছাত্র পড়াশোনা করে আদিবাসী ও বাঙালি মিলে। ঘড়ির কাঁটায় তখন চারটা বেজে চল্লিশ মিনিট, সূর্য দেবের অস্তে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। এদিকে আমাদের পেটে চলছে রাম-রাবণের যুদ্ধ। ঢুকে পড়লাম  অরেঞ্জ রেস্টুরেন্টে। এ রেস্টুরেন্টের বৈশিষ্ট্য হলো এখানে ৩৬০/- রুপি দিয়ে ৯টি আইটেম, সঙ্গে পাপড়, রুটি, ভাত যেকোনো কিছু যত খুশি তত খেতে পারবেন। আর পরিবেশন পদ্ধতিও বেশ চমৎকার। চেরাপুঞ্জিতে ঘুরে বেড়ানোর সুবিধা হলো সব ঝরনা গাড়িতে বসে ঘুরে দেখা যায়। সব মিলিয়ে শিলং অপরূপ, আকর্ষণীয় ও মনোরম।
লেখক : ব্যাংক কর্মকর্তা ও সংস্কৃতিকর্মী

×