ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকার দিনরাত

ঢাকার বেশিরভাগ ফুটপাত অবৈধ দখলে, যে কারণে সড়ক দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হন পথচারীরা

চার-চারটা দিন ছুটি পাওয়া কম কথা নয়। আসলে নির্ধারিত একদিনের ছুটির সঙ্গে দুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন আগে থেকেই নির্দিষ্ট ছিল; শুধু তার সঙ্গে তিন দিনের ছুটি শুরু হওয়ার আগের দিনটি বাড়তি ছুটি যোগ হয়ে বেশ লম্বা একটা ছুটি পাওয়া গিয়েছিল। এটি সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরেরা পেয়েছেন, আমরা যারা গণমাধ্যমকর্মী তাদের জন্য একটি দিনও ছুটি বরাদ্দ ছিল না। তবে মানতেই হবে যে, যানজট-গায়ে গা লাগা মানুষের চাপ এবং ধুলো- ধোঁয়ায় নাকাল ঢাকা শহর অনেকটাই সুনসান ও স্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল ওই চারদিনের ছুটির কল্যাণে।
এ জাতীয় ঘটনা নতুন নয়, তবে নতুন সময়ে এমন ঘটনা ঢাকাবাসীকে শঙ্কিত করে তোলে। মোহাম্মদপুরে ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ডাকাতি হওয়া সাত লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক  বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য। বাকি তিনজন সাধারণ মানুষ।

পথিকের ঝুঁকি
প্রায় দুই কোটি মানুষের শহর ঢাকায় প্রতিদিন পথ হাঁটেন কতজন? তার কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও দিনভর ঢাকার যে কোনো প্রধান সড়কের দিকে তাকালেই একটা ধারণা পাওয়া যায়। গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে তথ্য পাওয়া গেল পথচারীদের জন্য দেশে সবচেয়ে বিপজ্জনক শহর এখন ঢাকা। সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা শহরে বছরে যত মানুষ নিহত হন, তার চার ভাগের এক ভাগই পথচারী। গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে ঢাকায় দুর্ঘটনা ও মৃত্যু দুটোই আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। যার বড় শিকার সাধারণ পথচারীরা। 
ঢাকায় প্রয়োজনের তুলনায় সড়ক এমনিতেই কম। মোট সড়কের তুলনায় হাঁটার রাস্তা বা ফুটপাত আরও কম। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ২ হাজার কিলোমিটারের কিছু বেশি। এর বিপরীতে ফুটপাত রয়েছে মাত্র ৬০০ কিলোমিটারের মতো। আবার যে ফুটপাত রয়েছে, তার বেশিরভাগই চলাচলের অনুপযোগী। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার সড়কগুলো একেবারেই পথচারীবান্ধব নয়। বেশিরভাগ ফুটপাতও অবৈধ দখলে, যে কারণে অনেক ক্ষেত্রে মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হন পথচারীরা। আবার পথচারীদের মধ্যেও অসচেতনতা রয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সড়কে আধুনিক সংকেতব্যবস্থা না থাকায় সড়কের প্রতিটি মোড় ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় পথচারীদের। ফলে ঢাকায় দুর্ঘটনায় পথচারীদের মৃত্যু বেশি।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞরা ঢাকার সড়কে পথচারীদের মৃত্যু কেন বেশি, তার কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ বের করেছেন। তাঁদের মতে, প্রথমত, সড়কের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলগুলোতে যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকতে হয়। ফলে সিগন্যাল ছাড়লে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। পথচারীদের পারাপারে আলাদা কোনো সংকেতব্যবস্থা না থাকায় অনেকে ওই সময় সড়ক পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, যাত্রী ওঠানো নিয়ে দুই বাসের রেষারেষির সময় সড়কে দাঁড়ানো পথচারী দুর্ঘটনার শিকার হন। তৃতীয়ত, ফুটপাতগুলো পথচারী চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় অনেকে সড়কে হাঁটতে বাধ্য হন। এতেও দুর্ঘটনা ঘটছে। চতুর্থত, রাতে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন ঢাকায় বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। এটিও পথচারীদের মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করছে।
শুধু পথচারীদের সড়ক পারাপারে নয়, আদতে ঢাকায় এখন পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় কোনো সংকেতব্যবস্থাই চালু করা সম্ভব হয়নি। পুরো শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের হাতের ইশারায়। ঢাকায় আধুনিক ট্রাফিক সংকেতের জন্য দুই দশকে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও যানজটের শহরে সড়ক নিরাপদ হয়নি।

পূজাদর্শন
ঢাকায় এবার বিচ্ছিন্ন দুয়েকটি ঘটনা ছাড়া পূজাপর্ব যে সুন্দরভাবেই কাটল, সেটি মানবেন নিশ্চয়ই ইতিবাচক দৃষ্টিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারীরা। শুক্রবার আমি অফিসে, এক বন্ধু (নারী) টেক্সট করে জানালেন তিনি ইস্কাটনেই এসেছেন এখানকার পূজাম-পে তার বান্ধবীর সঙ্গে। সেখানে আরও কয়েকজন নারী (মুসলিম ও হিন্দু) এসে উৎসবে যোগ দেবেন। সত্যি বলতে কি ঢাকায় বিষয়টা এমনই, এমনকি যে সব মুসলিম তাদের হিন্দু বন্ধুদের আমন্ত্রণ পান না, তারাও সময় সুযোগ করে একবার না একবার কোনো না কোনো পূজাম-পে ঢুঁ মারবেনই। 
আমার এক কবিবন্ধু কামরুল হাসান এবারে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন। তার অংশবিশেষ এখানে তুলে দিলাম। তিনি লিখেছেন: ‘এবার দুর্গা এসেছিলেন দোলায় চড়ে, ফিরে যাবেন ঘোড়ায় চড়ে।  আমি যখন বনানী পূজামণ্ডপে পৌঁছলাম তখন রাত নয়টা, উত্তুঙ্গ সময় সেটা। ঢাকা শহরের সবচেয়ে ধনী এলাকা বনানী-গুলশান। এখানকার পূজা কমিটির আয়োজনটিও সবচেয়ে দামি, সবচেয়ে বনেদি না হলেও সবচেয়ে বর্ণাঢ্য। এবার অবশ্য বর্ণাঢ্য না বলে ধনাঢ্য বলাই ভালো, কারণ পূজামণ্ডপে গিয়ে দেখলাম মা দুর্গা ও তার চার সন্তানের প্রতিমার রং শুভ্র সাদা। বিভিন্ন বর্ণের আলো পড়ে সেই শুভ্রতা রঙিন হয়ে উঠছে। 
আগে বনানী মাঠ ছিল আয়তকার, এখন বৃত্তাকার। ওই বৃত্তের মাঝে প্যান্ডেলটি কিন্তু আয়তকারই। একেক বছর তার চেহারা একেক প্রকার, যেমন প্রতিবছরই প্রতিমার রূপ ও গড়ন আলাদা। আমি দেখলাম প্রতিমা দেখতে দলে দলে ‘প্রতিমারা’ ঢুকছেন মণ্ডপে। তাদের রূপ, নবমীর রাতে চাঁদ যখন আকাশে নিঃসঙ্গ, বনানীর উঁচুমাথা দালানগুলো পাথর হয়ে যাওয়া ডাইনোসর, তখন অপরূপ। রূপচ্ছটা চকমকি পাথর হয়ে চমকাচ্ছে। তবে পূজামণ্ডপে ঢুকে দেখলাম সবচেয়ে নিখুঁতরূপ দেবী দুর্গার আর তার দুই কন্যা- লক্ষ্মী ও সরস্বতীর। চার সন্তান নিয়ে দেবী অধিষ্ঠিত, তাঁর মাথার উপরে স্বামী শিবের ছবি।

একটি পঞ্চম বিগ্রহ দেখা গেল সমুখভাগে সেটা মা কালীর, দুর্গারই আরেকটি রূপের। দুর্গতিনাশিনী দুজনেই (আসলে একজনই), তবে কালীর রূপ যেখানে রুদ্র, দুর্গা সেখানে মমতাময়ী। মমতাময়ীর দশ হাতে দশ অস্ত্র, যার প্রধানটি ত্রিফলা বর্শা হয়ে বিদ্ধ করেছে অশুভের প্রতীক অসুরের বুক। যারা হিন্দু নন তাদের বেশিরভাগ কিন্তু পূজার দর্শন অভিজ্ঞানটুকু বোঝেন না, তারা কেবল মাটির মূর্তি দেখেন আর ভুল ব্যাখ্যা দেন।
প্যান্ডেলের বামপাশে একটি মঞ্চ, সেখানে গান করছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা, তার মুখশ্রীও দেবীর মতোই। বাদ্যযন্ত্রের বাজনা দিয়ে সেই সুমধুর গানকে আরও শ্রুতিমধুর করে তুলছিলেন চার বাদ্যযন্ত্রী। ফেরদৌস আরার প্রথম গানটি ছিল নজরুলগীতি ‘তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম/ আমারি মতন দিবস-নিশি জপিতে শ্যাম-নাম’। অপূর্ব তার গায়কী। দ্বিতীয় গানটি কঠিন, কীর্ত্তনে তার গলা চড়ল সপ্তমে। ভাবি শ্যামাসংগীত বলি আর কীর্তন বলি, পূজার অসামান্য গানগুলো লিখেছেন কাজী নজরুল ইসলাম। কতটা অসাম্প্রদায়িক হলে এটা সম্ভবÑতাই ভাবি। আবার সেরা হামদ, সেরা নাত, ঈদের গান, রোজার গানগুলোও তাঁরই লেখা। অসামান্য প্রতিভাবান হলে যা হয়।

রেলিঙের এপাশে দাঁড়িয়ে দেবী দুর্গার উপরে দোলায়িত আলোর চক্রাকার খেলা দেখি আর শুনি ফেরদৌস আরার গান। ফেরদৌস আরা একটি  জনপ্রিয় সিনেমার চটুল গান ঠোঁটে তুলে নিলে আমি পূজামণ্ডপ থেকে বেরিয়ে আসি। মনে হলো এ ভক্তিনিবেদনের ভাবগম্ভীর পরিবেশে অমন গান বেমানান। বাইরে এসে আমি কিছুক্ষণ পূজামণ্ডপটির স্থাপত্যসৌন্দর্য দেখতে থাকি।’

রাজধানীর সড়কনামা
মোহাম্মদপুর এলাকায় গিয়েছিলাম গত সপ্তাহে। প্রত্যেকটি সড়ক ও পাশর্^সড়কে একাধিক স্থানে রাস্তা কেটে রাখায় রিক্সার ঝাঁকুনিতে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। জানলাম সেখানে বেশিরভাগ সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু হয় এ বছরের শুরুতে। বিভিন্ন সড়কের নিচ দিয়ে নালা নির্মাণের জন্য পাইপ বসাচ্ছে সিটি করপোরেশন। আবার কিছু সড়কে ঢাকা ওয়াসা পানির পাইপ বসাচ্ছে। আবার কিছু সড়ক কাটা হয়েছে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের লাইন বসাতে। ফলে পুরো মোহাম্মদপুর এলাকার বেশিরভাগ সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ। সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য সিটি করপোরেশন প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা খরচ করে।

তাহলে সড়ক টেকসই হয় না কেন? এর কারণ, বরাদ্দ হওয়া টাকার পুরোটা সড়ক সংস্কারে খরচ হয় না। কাজ শুরুর আগেই কমিশন ও ভাগাভাগিতে বরাদ্দের বড় অংশ প্রভাবশালীর পকেটে চলে যায়। রাজনৈতিক বিবেচনায় ঠিকাদার নিয়োগ হয় এবং নিম্নমানের নির্মাণ উপকরণ ব্যবহৃত হয়। ফলে সড়ক টেকসই হয় না। এই সংস্কৃতি এখন পাল্টাতে হবে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দের ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ অর্থ লোপাট হয়েছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৯ হাজার কোটি টাকা থেকে ৫১ হাজার কোটি টাকা। সোজা হিসেবে মহাদুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই হিসাব তুলে ধরেছে। তারা বলেছে, ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের মাধ্যমে এই দুর্নীতি হয়েছে। পক্ষগুলো হলো মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী রাজনীতিক; আমলা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ঠিকাদার।
সড়ক ও সেতুতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের দুর্নীতি হয়েছে সেটির জন্য সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রীকে পুরোই কৃতিত্ব দিতে হবে। দলের অত্যন্ত দায়িত্বশীল পদে থেকে তার দায়িত্বজ্ঞানহীন কার্যকলাপ এবং দুর্নীতির রাক্ষস হয়ে ওঠায় স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে, রাজনীতি ও ক্ষমতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তিনি দেশের কত বড় ক্ষতিসাধন করেছেন। 
আসা যাক পুরনো ঢাকার কথায়। জুরাইন রেলগেট থেকে দয়াগঞ্জ মোড় পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটারের কিছুটা বেশি। গেন্ডারিয়া নতুন রাস্তা হিসেবে পরিচিত এ সড়কের প্রায় পুরোটাই উঁচু-নিচু। কোথাও বড় গর্ত, কোথাও পিচ উঠে গেছে, কোথাও দেবে গেছে। দুই বছর ধরে এ অবস্থা। শুষ্ক মৌসুমে এই সড়কে কেউ রিকশা বা লেগুনায় চলাচল করলে ঝাঁকুনিতে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। আর বৃষ্টির সময় আতঙ্কে থাকতে হয়, এই বুঝি গাড়ি উল্টে গেল! এছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন অনেক এলাকার সড়ক ও অলিগলি খোঁড়াখুঁড়ি-কাটাকাটি কিংবা খানাখন্দের কারণে এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

বাবুদের খেলার জন্য বাবুল্যান্ড 
ঢাকায় উন্মুক্ত খেলার মাঠের সংখ্যা একদমই কম। বড়দের অনেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঠে খেলাধুলার সুযোগ পেলেও ছোটদের খেলাধুলার জায়গা নেই বললেই চলে। ফলে ঢাকার শিশুদের শৈশব থাকছে খেলাধুলাবঞ্চিত। এ সমস্যা সমাধানে ইনডোর প্লে গ্রাউন্ড কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাইভেট সেক্টরে ‘বাবুল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠা তারই ফল, যেটি ইতোমধ্যেই ব্যবসাসফল হয়েছে। বর্তমানে ঢাকায় বাবুল্যান্ডের যে চার শাখা রয়েছে, সেগুলোর আয়তন পাঁচ হাজার থেকে আট হাজার বর্গফুট। এসব খেলার জায়গায় বা প্লেগ্রাউন্ডে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাবুল্যান্ডে ৪০০ টাকার বিনিময়ে ২ ঘণ্টার জন্য খেলাধুলার সুযোগ পায় একটি শিশু।

সঙ্গে অভিভাবক থাকলে তার জন্য বাড়তি গুনতে হয় দেড় শ’ টাকা। তবে ২ ঘণ্টা খেলাধুলার জন্য ৪০০ টাকা খরচ নেওয়াকে একটু বেশিই বলে মনে করেন বাবুল্যান্ডের একাধিক গ্রাহক। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেন, টাকার পরিমাণ সেবার তুলনায় বেশি নয়। গ্রাহকরা একবার ফাস্ট ফুডের দোকানে গেলে সাধারণত এর চেয়ে বেশি টাকা খরচ করেন। যাহোক, বাবুল্যান্ডে শিশুদের জন্মদিনের অনুষ্ঠান করারও সুযোগ আছে। শিশুদের জন্মদিনে শিশুরা আসবে এবং কেক কেটে নানা ধরনের রাইডে চড়ে ও অংশ নিয়ে খেলবে, মজা পাবে। এই সুবিধার জন্যেও বাবুল্যান্ড শিশুদের অভিভাবকদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে। 

১৩ অক্টোবর, ২০২৪

[email protected]

×