ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

চাল-গম আমদানির প্রয়োজন কেন

ড. মিহির কুমার রায়

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

চাল-গম আমদানির প্রয়োজন কেন

দুই লাখ টন চাল ও ৪ লাখ টন গম আমদানি

দুই লাখ টন চাল ও ৪ লাখ টন গম আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনীতি বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।  গত ১৮ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে উপদেষ্টা বলেন, খাদ্য ও সারের কোনো ঘাটতি নেই, আগামীতে যাতে সংকট না হয় এ জন্য আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটিতে যে চাল ও গম আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন সেখানে নিদিষ্ট কোনো দাম উল্লেখ করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই মূল্য আছে। মূল্য না থাকলে কীভাবে হবে।

তবে প্রত্যাশিত চাহিদা দিলে তারা জিটুজি বা সরকারের সঙ্গে সরকারের আলোচনা সাপেক্ষে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চাল ও গম আমদানির সময়সীমা ১৫ দিন নির্ধারণ করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগে এ সময়সীমা ছিল ৪২ দিন। অর্থাৎ, দরপত্রের বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের মধ্যে চাল বা গম সরবরাহ করার বাধ্যবাধকতা ছিল। সেই সময় কমিয়ে ১৫ দিন করা হলো।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সাড়ে তিন লাখ টন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১৯ দশমিক ২৩ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৭ লাখ টন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বাজেটের খাদ্য হিসাবের সংক্ষিপ্তসার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সাড়ে তিন লাখ টন চাল ও ৭ লাখ  টন গম অর্থাৎ, সাড়ে ১০ লাখ টন চাল-গম আমদানির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। এ অর্থবছরে মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ১১ লাখ মেট্রিক টন।

এতে মোট ব্যয় হয়েছিল চার হাজার ২১৫ কোটি টাকা। আমদানির বিপরীতে চলতি অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১৯ লাখ ২৩ হাজার টন চাল সংগ্রহ করা হবে। এর পাশাপাশি গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার মেট্রিক টন। অভ্যন্তরীণ এ সংগ্রহে সরকারের খরচ হবে ৮ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ছিল ৯ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩-এ বলা হয়েছে, ‘২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.১৭ শতাংশ, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৩.০৫ শতাংশে। সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ২.৬১ শতাংশে।’ কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হ্রাসের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শস্য উপখাতের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফসল এবং আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য ধান তথা চাল এবং দ্বিতীয় খাদ্যশস্য গমের ওপর। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মোতাবেক ২০১৯-২০ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত চাল উৎপাদনের গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১ শতাংশ।

গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) দেশে চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো ১ শতাংশ বা এর আশপাশে থাকবে বলেই ধারণা করা যায়। এদিকে ২০২০ ও ২০২১ সালে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ১.৩৭ ও ১.৩ শতাংশ (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২ ও ২০২৩)। এর অর্থ দাঁড়ায়, চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে কম। এতে চাহিদার তুলনায় চালের ঘাটতি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় খাদ্যশস্য গমের উৎপাদন ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের ১৯ লাখ টনের তুলনায় সাম্প্রতিককালে ১১ লাখ থেকে ১২ লাখ টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

দেশে গমের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার জন্য যেসব বিষয়কে দায়ী করা হয় সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেÑ ক. গম উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ ও তীব্র শীত, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যা কমেছে; খ. ব্লাস্ট ও অন্যান্য রোগে গমের ফলন হ্রাস; গ. গমের তুলনায় ভুট্টা, আলু এবং অন্যান্য স্বল্পমেয়াদি ফসল চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় চাষিরা এসব ফসলের দিকে ঝুঁকছেন। ফলে হ্রাস পাচ্ছে গম চাষের জমি। শুধু খাদ্যশস্য (চাল, গম) নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে অন্যান্য খাদ্যপণ্য যেমন– ডাল, ভোজ্যতেল, দুধ, চিনি, ফল, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, আদা ইত্যাদি।

চাহিদার তুলনায় এগুলোর উৎপাদন অনেক কম। প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, বছরে ২৫-২৬ লাখ টন ডালের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ৮-৯ লাখ টন। বছরে চিনির ১৪-১৫ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন কম-বেশি ১ লাখ টন। পেঁয়াজের বার্ষিক ২২ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন কম-বেশি ১৯ লাখ টন। বছরে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টন আদার চাহিদার বিপরীতে উৎপাদনের পরিমাণ কম-বেশি ২ থেকে আড়াই লাখ টন।
খাদ্য লভ্যতার আর একটি উৎস হলো আমদানি। চাহিদার তুলনায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কম হওয়ায় বাংলাদেশকে খাদ্যশস্যসহ (ধান, গম) বিভিন্ন খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয় প্রতি বছর। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার, ৯ লাখ ৮৭ হাজার এবং ১০ লাখ ৫৫ হাজার টন চাল আমদানি করতে হয়েছে। গত মৌসুমে বোরোর আশানুরূপ উৎপাদন এবং চলতি আমন মৌসুমে ভালো ফলনের আশায় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল আমদানি না করার সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত কোনো চাল আমদানি করা হয়নি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে, এবার আমন উৎপাদন দাঁড়াবে ১ কোটি ৭৫ লাখ টনে, যা লক্ষ্যমাত্রার (১ কোটি ৭২ লাখ টন) চেয়ে ৩ লাখ টন বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিতব্য হিসাবে জানা যাবে এ বছর আমন উৎপাদনের প্রকৃত পরিমাণ। তবে অতীতের উদাহরণ থেকে অনেকটা জোর দিয়ে বলা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবের সঙ্গে বিবিএসএর হিসাবের তারতম্য ঘটবে। অর্থাৎ, বিবিএসের হিসাবে আমনের উৎপাদন হ্রাস পাবে। দেশে গমের চাহিদার (কম-বেশি ৭০ লাখ টন) প্রায় ৮৫ শতাংশ আমদানির মাধ্যমে মেটাতে হয়।

এদিকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দামের যে ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়, তা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। আর মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কম-বেশি ২৫ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় দেশে গমের দামে উল্লম্ফন ঘটেছে। ২০২১ সালের প্রথমদিকে বাজারে এক কেজি আটার দাম ছিল ৩০-৩২ টাকা, যা এখন বিক্রি হছ ৬০ টাকার ওপরে।
স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩ বছরের বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সম্মানজনক অবস্থানে থাকলেও (যেমন– চাল  উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম, সবজি উৎপাদনেও বিশ্বে তৃতীয়, মুক্ত জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে তৃতীয় আর চাষ করা জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানে, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে   বিশ্বে ১১তম) গম, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ফল, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বিভিন্ন ধরনের মসলা আমদানিনির্ভর। ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভরতার কাছাকাছি পৌঁছলেও তরল দুধ উৎপাদনে পিছিয়ে রয়েছে দেশ।

উপাত্ত বলছে, ১৯৭২-৭৩ সালে দেশে মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ১ কোটি ১০ লাখ টন, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টনে। এ সময় খাদ্যশস্যের উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ হারে। এতে উদ্বৃত্ত থাকার কথা অনেক খাদ্যশস্যের। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা অন্যরকম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংন্থা (এফএও) তথ্যানুসারে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ বছরে গড়ে ১৪৯.৮ কেজি খাদ্যশস্য গ্রহণ করে থাকে। বাংলাদেশে যদি এর পরিমাণ ১৮২.৫ কেজি ধরা হয় এবং শতকরা ২৫ ভাগ বীজ, পশুখাদ্য ও অপচয় ধরা হয়, তা হলে মোট খাদ্য চাহিদা দাঁড়ায় সর্বোচ ৩ কোটি ৬০ লাখ টন। এর চেয়ে অনেক বেশি চাল ও মোট খাদ্যশস্য প্রতি বছর আমরা উৎপাদন করছি। তারপরও কম-বেশি প্রায় ১ কোটি টন চাল, গম ও ভুট্টা প্রতি বছর আমদানি করতে হচ্ছে।

যা ক্রমাগতই বেড়ে যাচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে চাল ও গম আমদানি  হয়েছে ৬৭.০২ লাখ মেট্রিক টন, আর ভুট্টা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। উল্লেখ্য, গত ১৫ বছরে কৃষি খাতে উৎপাদন বেড়েছে গড়ে প্রায় ৪ শতাংশ হারে। তা সত্ত্বেও  কৃষিপণ্যের আমদানি হ্রাস  হয়নি। চাল আমদানিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয়, ডাল আমদানিতে ৫০ শতাংশ, তেলের প্রায় ৯০ শতাংশ, চিনির ক্ষেত্রে প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। আমাদের  কৃষিজাত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নির্ভরতা যখন এত বেশি, তখন বৈশ্বিক মূল্য অস্থিরতা ও ঘাটতি অভ্যন্তরীণ বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পর্যাপ্ত উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ স্বয়ম্ভরতা অর্জন করা ছাড়া এ সংকট এড়ানোর বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হলেও খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়। তাই আমদানিনির্ভরতা কমাতে ব্যাংকগুলোকে কৃষিঋণ বিতরণ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় উৎপাদনশীলতা কম। যে হারে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে, সে হারে উৎপাদন বাড়ছে না। কৃষি জমির পরিমাণও বাড়ছে না, বরং কমছে। তাই কৃষি খাতে গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন বীজ উদ্ভাবন ও যান্ত্রিক সহায়তা নিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গভর্নর আরও বলেন, কৃষিকাজ করে তেমন মুনাফা হয় না।

তাই এ খাতে নতুন করে মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছে না। এই খাতে কর্মসংস্থানও বাড়ছে না। কিন্তু এখনো বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। কৃষিতে যেন মানুষ আকৃষ্ট হয়, সে বিষয়টা সরকারকে দেখতে হবে। প্রতি বছরই আমাদের কৃষিঋণ বিতরণ বাড়ছে। আমরা একটি স্টাডি শুরু করেছি। যার মাধ্যমে দেখা হবে প্রকৃত কৃষকরা ঋণ পাচ্ছেন কি না। কৃষিতে সম্ভাবনা অনেক। কিন্তু আমরা কাজে লাগাতে পারছি না। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের ৩৮ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রাকে বিশাল বলে আখ্যায়িত করেছেন গভর্নর। দেশের কৃষিঋণের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ব্যাংকগুলোর জন্য এই লক্ষ্য অর্জন করা তেমন কিছু না। খাদ্যে সম্পর্ণ হতে কৃষিঋণ আরও অনেক গুণ বাড়াতে হবে।
সরকারের নানা প্রচেষ্টার ফলে  দেশের পক্ষে খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে যদি প্রকৃতি সহায়ক হয়। তারপরও দেখা যাছ আমন ধানের ফলন ভালো হবে। সামনে বোরো ধানের আবাদ রয়েছে। যা থেকে সরকারের ব্যবস্থাগুলো চাষে প্রত্যক্ষ অবদান রাখবে। তবে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন টন রেকর্ড পরিমাণ বৈশ্বিক উৎপাদন সত্ত্বে¡ও ২০২৩ সালে শস্যের দাম অনেক বেশি দ্রুত হারে বেড়েছে। এ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শস্য উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়।

গত বছরের নভেম্বরে এফএও তাদের এক হিসাবে দেখিয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্য আমদানির ব্যয় ছিল সবচেয়ে বেশি, যা প্রায় ১. ৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার। যা ২০২০ সালের চেয়ে ১৪ শতাংশ এবং এফএওর অনুমানের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি সেই সঙ্গে নি¤œ আয়ের অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক। তবে বড় ধরনের অস্থিরতা সত্ত্বে¡ও ২০২১ সালে প্রধান প্রধান খাদ্যপণ্যের বাজারগুলো ছিল ইতিবাচক। তবে সরকার দেশের বাজার ব্যবস্থাকে যতদিন না সংস্কার ঘটাবে, খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ততদিন পর্যন্ত দরিদ্র গোষ্ঠীকে বেশি ভোগান্তিতে ফেলবে, যা প্রত্যাশিত নয়।

    লেখক : গবেষক ও অর্থনীতিবিদ

×