ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১

মব জাস্টিজ ও সামাজিক-রাজনৈতিক দায়

ইফতেখার নাজিম

প্রকাশিত: ২০:৪২, ৩ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ১০:৪৬, ৪ অক্টোবর ২০২৪

মব জাস্টিজ ও সামাজিক-রাজনৈতিক দায়

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে মব জাস্টিজ বা জনতার বিচারের এক ধরনের উন্মাদনা

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে মব জাস্টিজ বা জনতার বিচারের এক ধরনের উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি যে সামগ্রিক কোনো কারণ বা প্রেক্ষাপটে বিকশিত হয়েছে, বিষয়টি তেমন নয়। মানবসভ্যতার বিকাশ ধারায় সামাজিক ন্যায়বিচার, ব্যক্তির মতবাদ প্রকাশে অবাধ স্বাধীনতা, বৈষম্যহীন জীবনব্যবস্থা, পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ, ধর্মীয় বিশ্বাস চর্চা, মৌলিক জীবন কাঠামো প্রাপ্তির প্রাসঙ্গিক গুরুত্ব রয়েছে।

নানান কারণে এসব কাক্সিক্ষত প্রাপ্তির ন্যায্যতা বাধাগ্রস্ত হলে সমাজ-রাষ্ট্রে এক ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি বা মানুষের মাঝে জঙ্গি উন্মাদনার জন্ম নেয়। রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার চর্চা মানুষের জন্মগত অধিকার। দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণের মানসিকতার অভ্যস্ত এ জনপদের জনগোষ্ঠীর মাঝে সেই অধিকার চর্চার ক্ষেত্রগুলো মসৃণ হয়ে ওঠেনি। বরং শ্রেণি স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্বে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় প্রভাব জীবনাচরণকে প্রভাবিত করছে। 

বিচারহীনতা, শোষণ, দমন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মিথ্যাচার, দলদাসত্ব, গোষ্ঠীপ্রীতি, শ্রেণিস্বার্থ দ্বন্দ্ব মানুষের মাঝে নাগরিক দায়বোধ যেমন সৃষ্টি হয়নি, তেমনি জাগ্রত হয়নি দেশপ্রেম। এক ধরনের অস্থির ও অপ্রকৃতিগ্রস্ত জীবনাচারণে অভ্যস্ত নাগরিকসমাজ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এসেও তার স্বাধীন সত্তা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদের বিষয়ে বিভক্ত, যা অপ্রত্যাশিত ও হতাশাজনক। এ ধরনের বিভক্ত জাতীয় চরিত্রে ভর করে এখানে নানান ধরনের সুবিধাবাদী চক্র সক্রিয়। মূলত এই দুষ্টচক্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে সমাজ রাষ্ট্রে যে ধরনের অস্থিরতা বিরাজমান, তার বহির্প্রকাশ মব জাস্টিজ বা আইনবহির্ভূত জনতার বিচার। 
প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে নিজস্ব মতবাদ ও আমিত্বের শ্রেণিদ্বন্দ্বে জড়িয়েছে মানুষ। এই দ্বন্দ্ব উত্তরণের তাগাদা থেকে রাষ্ট্রতত্ত্বের সৃষ্টি। তবে মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রিক সংস্কৃতিতে এলেও সামাজিক ও রাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষমতার বণ্টনের অসমতায় নাগরিকদের মাঝে নানান ব্যাধির সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্র ধারণা পরিধি বৃদ্ধির পাশাপাশি এর নিয়ম প্রয়োগ ও আচরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এই নিয়ম প্রয়োগ ও আচরণ নিয়ন্ত্রণে যখন ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, তখন সমাজ রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে।

এর উত্তরণে রাষ্ট্রকে উদার গণতান্ত্রিক ও ন্যায্যতাকে অগ্রাধিকার দিতে হয়। ফরাসি ইতিহাসবিদ ও দার্শনিক মিশেল ফুকোর যুক্তি এটি সমাজের একটি স্বাভাবিকীকরণ হতে পারে, যেখানে বিচ্যুতিকে শাস্তি দেওয়া হয় এবং সামঞ্জস্যকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ধরনের রাষ্ট্র সমাজ কাঠামোতে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা আইন মেনে চলার চাপ অনুভব করে এবং অতিমাত্রায় আদেশের দিকে জনগোষ্ঠীকে পরিচালিত করে, যা অন্তর্নিহিত উত্তেজনাকে প্রশমন করে সমাজ রাষ্ট্রীয় জীবনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক।

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সামাজিক রাষ্ট্রের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যার জন্য রাষ্ট্রের অপরিহার্য অঙ্গসমূহের পদ্ধতিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করে দার্শনিক মার্থা নুসবাউম বলেছেন, কেবলমাত্র মৌলিক চাহিদাগুলো সরবরাহ করার পরিবর্তে, সামাজিক রাষ্ট্রের উচিত ব্যক্তিদের তাদের সম্প্রদায় গঠনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেওয়া।
স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্ন থেকে রাজনীতি চর্চায় পরমতসহিষ্ণুতার অভাব, উদার গণতন্ত্র চর্চার অনুপস্থিতি, রাজনীতিতে ধর্মীয় মতাদর্শের প্রভাব, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, বিজ্ঞান চর্চায় অনীহা, জাতীয় অর্জন সমষ্টির অর্জনে রূপদানে ব্যর্থতা, জবাবদিহিতার অনুপস্থিতিজনিত অন্যায্য প্রাপ্তির তাগাদা, ভোগবাদ তাড়িত দুর্নীতি অনিয়ম, শ্রেণিদ্বন্দ্ব, বহুধা বিভক্ত শিক্ষাব্যবস্থা, শক্তি যার সবই তার ধ্যানধারণা, আঞ্চলিকতার প্রভাব, দুর্নীতির বিস্তার, সমাজ রাষ্ট্রে কালো টাকার অবাধ প্রভাব ইত্যাদি কারণে দেশের মানুষের মাঝে এক ধরনের উগ্র মনস্তাত্ত্বিক ধারণার জন্ম নিয়েছে। এই উগ্রতা দমনে প্রচলিত বিচার বিভাগের ব্যর্থতায় যখন সন্ত্রাস মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তখন সন্ত্রাস দমনের কৌশল হিসেবে রাষ্ট্র ২০০৩ সালে ক্রসফায়ার সংস্কৃতি চালু করে। এটি ছিল আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় মব জাস্টিজ। 
দেশের করপোরেট শ্রেণি, আইনপ্রণেতা, মন্ত্রী, আমলাতন্ত্র, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও অপেক্ষাকৃত সুবিধাভোগী শ্রেণি যখন অন্যায্যভাবে এই মব জাস্টিজের অপব্যবহার ও সুবিধা নিতে থাকে, তখন সাধারণ মানুষ আইনের শাসনের প্রতি আস্থা হারায়। অধিকতর ক্ষমতাবান শ্রেণি স্বীয় শক্তিবলয় সৃষ্টির জন্য বিকাশমান কিশোরদের হাতে মাদক, অস্ত্র তুলে দিয়ে কিশোর গ্যাং তৈরি করে মব জাস্টিজের ব্যাপকতায় নতুন মাত্রা যুক্ত করে।

এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক নীতি আদর্শহীন ছাত্র সংগঠনগুলোর পীড়ননীতির আধিপত্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটায়। বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী সনি, আবরার, বিশ্বজিৎ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনী, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন, মেজর সিনহাসহ অসংখ্য গুম-খুন ইত্যাদি বিচারবহির্ভূত হত্যা মানুষের মাঝে মব জাস্টিজ ধারণাকে উস্কে দিয়েছে। পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জুলাই বিপ্লবে এবং সর্বশেষ ভবঘুরে তোফাজ্জলের মর্মান্তিক মৃত্যু বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। এ ধরনের মব জাস্টিজের ক্ষেত্রে সামাজিক ও রাজনৈতিক দায় রয়েছে। যা উত্তরণে রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন। 

সাম্প্রতিক সময়ে বিপ্লবের নামে দেশে রাজনৈতিক ও সামজিক উত্তেজনায় জনগণের বিভিন্ন অংশের দ্বারা সহিংস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা- ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও স্থাপত্য স্থানগুলো ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ অনিয়ন্ত্রিত জনতার আচরণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের অসন্তোষ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এটি আইনের শাসন ও উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য সমর্থনযোগ্য নয়।

এ ধরনের কাজ কেবল জনসাধারণের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে না বরং আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকেও অস্থিতিশীল করে তুলবে এবং চূড়ান্তভাবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে। যার দায় রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলো এড়াতে পারবে না। ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ ও উপযোগিতাবাদের প্রবক্তা জন স্টুয়ার্ট মিল বলেছেন, রাজনৈতিক দায়িত্ব সর্বাধিক সংখ্যার জন্য সর্বাধিক সুখের প্রচারের সঙ্গে জড়িত। তিনি ব্যক্তি স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেন এবং সেইসঙ্গে দায়িত্ব স্বীকার করে ব্যক্তিদের তাদের রাজনৈতিক পছন্দগুলোতে অন্যদের মঙ্গল বিবেচনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অন্যদিকে জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট নৈতিক দায়িত্ব ও রাজনৈতিক দায়িত্বে স্বায়ত্তশাসনের ধারণার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন ব্যক্তিদের অবশ্যই নীতি অনুসারে কাজ করতে হবে, যা সর্বজনীনভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে। তিনি নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে যৌক্তিকতার ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
সামাজিক রাষ্ট্রের ধারণা প্রায়ই কল্যাণ রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত এবং এর শাসন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সামাজিক শৃঙ্খলা সম্পর্কে সমালোচনামূলক প্রশ্ন উত্থাপন করে। দার্শনিকরা দীর্ঘকাল ধরে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ ও ব্যক্তিগত স্বায়ত্তশাসনের মধ্যে ভারসাম্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তারা ধারণা পোষণ করেছেন একটি সামাজিক রাষ্ট্র উভয়ই স্থিতিশীলতাকে যেমন উন্নত করতে পারে, তেমনি অসাবধানবশত ব্যাধিতে অবদান রাখতে পারে। নানান আচরণে সামাজিক রাষ্ট্র তার নাগরিকদের নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

দার্শনিক হার্বার্ট মার্কস তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, রাষ্ট্র যখন প্রদানকারীর ভূমিকা গ্রহণ করে, তখন নাগরিকরা তাদের সমাজের কাঠামো থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করেন। এই বিচ্ছিন্নতা বিরক্তি ও ক্ষমতাহীনতার বোধকে লালন করতে পারে, যা সামাজিক ব্যাধি-বিক্ষোভ, নাগরিক অস্থিরতা বা নাগরিক দায়িত্ব থেকে বিচ্ছিন্নতা হিসেবে প্রকাশ করতে পারে। এই বিচ্ছিন্নতা ও ব্যাধি বিক্ষোভ, নাগরিক অস্থিরতা দূরীকরণে সামাজিক রাষ্ট্রের লক্ষ্য হওয়া উচিত তার নাগরিকদের কল্যাণ নিশ্চিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক পরিষেবাগুলোতে অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা। 
নানান কারণে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমাদের রাজনৈতিক চর্চায় পরিশুদ্ধতা আসেনি। এই রাজনৈতিক বৃত্তবলয় কেন্দ্র করে যে ধরনের দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে, সেটিই জাতীয় জীবনের সকল অনাচারে মুখ্য ভূমিকা রাখছে। এ দেশের মানুষ পরিবর্তনের জন্য বারবার মূল্যবান জীবন দিয়েছেন। কিন্তু সেই জীবনের মূল্যে অর্জিত ফল কখনো সর্বজনীন রূপ পায়নি। বরং ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও শ্রেণিস্বার্থে অর্জিত ফসলকে ব্যবহার করা হয়েছে।

সুশাসনের অপরিহার্যতা অনুভব না করে শাসক ও শাসক প্রত্যাশী দলগুলো এবং তাদের মদতপুষ্ট সমর্থক শ্রেণি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায়ে জোর যার-মল্লুক তার নজির স্থাপন করে যাচ্ছে। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়কে যেখানে গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা উচিত ছিল, সেখানে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক-ছাত্র নোংরা রাজনীতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যারা এই বৃত্তবলয়ের বাইরে থেকে আধুনিক বিশ্বের নাগরিক হবার চেষ্টা করেছে, তাদের জন্য শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি দলদাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গণরুম সংস্কৃতি টর্চার সেল রুম হিসেবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন অতিষ্ঠ করলেও প্রশাসন ও শাসক গোষ্ঠী নির্বিকার থেকেছে। যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। হাল আমলে শিক্ষার্থীদের বেপরোয়া আচরণ ও জীবনহরণে উৎসাহবোধের পেছনে দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও ক্ষোভ বহুলাংশে দায়ী। অনুরূপভাবে প্রশাসনের প্রতিটি স্তর, বিচার বিভাগ, পেশাজীবী শ্রেণির সুবিধাবাদী ভোগবাদ চরিত্র মূলত রাষ্ট্রের কোন প্রতিষ্ঠানকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারেনি। বরং এদের ধারাবাহিক অনাচার সমাজ রাষ্ট্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
মব জাস্টিজ বা জনতার বিচার উত্থানকে মোকাবিলার জন্য বহুমুখী পদ্ধতির প্রয়োজন। প্রথমত, মামলার সময়মতো ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের সক্ষমতা ও স্বাধীনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। দ্বিতীয়ত, জনতার সহিংসতা প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। তৃতীয়ত, জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান ও সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে জনগণকে মব জাস্টিজের দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।

চতুর্থত, বিদ্যমান আইনি ব্যবস্থা যে গভীরভাবে ত্রুটিযুক্ত, যা আইনের শাসনকে ক্ষুণœ করে এবং জনগণকে প্রতিশোধপরায়ণ হতে উৎসাহ দেয়Ñ বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনি কাঠামোতে ব্যাপক সংস্কার আনতে হবে। এ ছাড়াও আইনি সংস্কারে অবশ্যই অন্তর্নিহিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্যের সমাধান করতে হবে, যা জনতাকে ন্যায়বিচারের পথে উৎসাহ জোগাবে। যেখানে সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তির বিশেষ দায় রয়েছে, যা তারা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
লেখক : সমাজকর্মী

×