ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:৪২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকার দিনরাত

উত্তরার কিংফিশার রেস্টুরেন্টের সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল বিদেশী মদ-বিয়ার

ট্রাফিক শৃঙ্খলা একটু একটু করে বাড়ছে মহানগরীতে। স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ উত্তম, তবে ঢাকার রাস্তার বড় সমস্যা হলো বেপরোয়া মোটরসাইকেল। সিগন্যাল বাতির রং বদল হলেও তারা মরিয়া হয়ে ছোটে। তা ছাড়া এখন রাজধানীতে পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত রিক্সার দাপট কমানো সম্ভব হয়নি। 

ছিনতাইকারীর ছুরি
ছিনতাই ঢাকার নিয়মিত ঘটনা। সভ্য সমাজে ছিনিয়ে নেওয়ার এমন পেশা চলতেই পারে না। অথচ বিষয়টি বেশ পেশাদার আকারই ধারণ করেছে ঢাকায়। এ নিয়ে আমরা এই কলামে বছরে দুবারের বেশি লিখতে চাই না। অন্তত মাসে দুই কিংবা একবার কঠোর অভিযান চালানো হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তা না হলে ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাতে মানুষের মৃত্যু ঘটতেই থাকবে। রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকায় গত মঙ্গলবার ভোরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মুনতাকিম আলিফ (২৭) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি নিকুঞ্জ এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মুনতাকিমের অফিস নিকুঞ্জ-১ এলাকায়। কাজ শেষে বাসায় ফেরার জন্য ভোর সাড়ে চারটার দিকে অন্য এক সহকর্মীর সঙ্গে তিনি অফিস থেকে বের হন। অফিস থেকে বের হয়ে নিককুঞ্জ-১ গেট দিয়ে মূল সড়কে ওঠার পরই তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ছিনতাইয়ে বাধা দিলে একজন মুনতাকিমের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
খুব কম ব্যক্তিই আছেন যারা দীর্ঘদিনের ঢাকাবাসে একবারের জন্য হলেও নিজে ছিনতাইকারীর পাল্লায় পড়েননি, কিংবা ছিনতাই হতে দেখেননি। আমরা বারবার বলছি অভিনব পদ্ধতিতে ছিনতাই, সেটিও সময়ের ব্যবধানে ‘ডাল-ভাত’ হয়ে গেছে। নতুন নতুন অভিনবত্ব দিয়ে ছিনতাইকারীরা ঢাকাবাসীকে ‘বিস্ময়াভিভূত’ করে রাখছে। এই তো সেদিনও একদল ছিনতাইকারী রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মাইক্রোবাস বা প্রাইভেটকার নিয়ে ছিনতাই করত।

অফিস ছুটির পর বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষমাণ ব্যক্তিকে টার্গেট করে তারা গাড়িতে তুলে নিত, আর গণপরিবহনের স্বল্পতা ও নৈরাজ্যের এই শহরে মানুষ উপয়ান্তর না দেখে বিশ্বাসবশতই উঠে পড়ত সেসব গাড়িতে। যাতে ঝামেলাহীনভাবে নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। আগে থেকেই ছিনতাইকারীদের সহযোগীরা গাড়িতে থাকত। পরে নির্জন কোনো স্থানে নিয়ে যাত্রীকে চোখ-মুখ বেঁধে মারধর করে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, এটিএম কার্ড ও নগদ টাকা-পয়সা কেড়ে নেওয়ার অপকর্ম সারত। 

সেপটিক ট্যাঙ্কে বিদেশী ড্রিঙ্কস
রাজধানীতে লাইসেন্স নিয়ে বার ব্যবসা নতুন নয়। এমনকি অবৈধ উপায়ে ড্রিঙ্কস সংগ্রহও চলে দেদার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করেই অবৈধ লেনদেন চলে। তবে ক্ষমতার পালাবদল হলে কিংবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পোস্টিং হলে সংশ্লিষ্ট থানার বারগুলোয় অভিযান চালানো হয়। যদিও এসব অভিযানের পর গণমাধ্যমকে বলা হয় যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযান পরিচালনা। মজার ব্যাপার হচ্ছে বার কর্তৃপক্ষ কতটা চতুরতার সঙ্গে অবৈধ পানীয় লুকিয়ে রাখতে পারে সেটি।

এবার উত্তরার কিংফিশার রেস্টুরেন্টের সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল বিদেশী মদ-বিয়ার। বলা হচ্ছে সেপটিক ট্যাঙ্ক, মানে মলমূত্রের ভা-ার, আসলে গোপন কক্ষ। মেঝের নিচের এমন গোপন কক্ষ থেকে বের করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিয়ার ও বিদেশী মদ। উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাতালেই থাকে সেপটিক ট্যাঙ্ক। মৃত্যুভয়ে মানুষ পাতালে লুকাতে পারে। কিন্তু মদ লুকোতে সেপটিক ট্যাঙ্ক! অবৈধ দ্রব্য লুকোতে বানোয়াট সেপটিক ট্যাঙ্কের ব্যবহার এর আগে দেখেনি ঢাকাবাসী। মুনাফার জন্য অপরাধ সংঘটনের বিচিত্র ফন্দি আবিষ্কারে এক শ্রেণির বাঙালির সৃজনশীলতা চমকে দেয়ার মতোই। 
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভবনের নিচ তলার সাবস্টেশন সংলগ্ন একটি বৃহৎ আকারের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ বিয়ার ও বিদেশী মদ জব্দ করা হয়।
কিংফিশার রেস্টুরেন্টের অপরাধী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় বেপরোয়াভাবে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। এ ছাড়া তারা উত্তরা এলাকায় সামাজিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিষিয়ে তুলেছে বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ অপরাধ চক্রটিকে গ্রেপ্তার করায় আনন্দ উল্লাস করেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ওই বারে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার মদ জব্দ করে ডিবি উত্তরা জোনাল টিম। ওই মামলায় ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার এবং বারটির সাবেক ম্যানেজার আবু সালেহকে তিন দিনের রিমান্ডেও নিয়েছিল ডিবি পুলিশ। পরবর্তীকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত জব্দকৃত মদগুলো বারকে ফেরত দিতে নির্দেশ দেন।

বড় থেকে ছোট বাসা
পরিচিতদের মধ্যে কেউ কেউ বাসা বদল করছেন আজ ১ অক্টোবর থেকে। আয়-রোজগার কমে যাওয়ায়, কিংবা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় বড় বাসার বদলে ছোট বাসায় চলে যাচ্ছেন তারা। করোনার সময়ে আমরা একবার এমনটি দেখেছিলাম। তবে বাসা বদল যারা করেন, আরও স্পষ্ট করে বললে কয়েক বছর পর পরই যাদের বাধ্য হয়ে নতুন ভাড়া বাসা খুঁজতে হয়, তারা জানেন এ কত বিড়ম্বনার এবং শারীরিক পরিশ্রমের, মানসিক পীড়নের। স্কয়ার ফিট হিসাবের মহানগরীর ফ্ল্যাটগুলোর মালিকদের অধিকাংশেরই মনমানসিকতা ওই স্কয়ার ফিটের মতো কোনো না কোনো সীমাবদ্ধতার ভেতরেই আটকে পড়া। ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারেও কি একই কথা বলা যাবে না? নিশ্চয়ই যাবে। 
এখন ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানই রয়েছে যারা আপনার বাসার মালামাল সব প্যাক করে গুছিয়ে ট্রাকে তুলে নতুন বাসায় পৌঁছে দেবে। তবে কোনো গৃহিণীই চান না তার ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিসপত্রে অন্যের হাত লাগুক। যা হোক, সংসারের সব কিছু ভাঁজ করে গুটিয়ে নিয়ে নতুন আবাসস্থলে গিয়ে সব কিছু আবার আনলোড করা। অনেক কষ্টের কাজ। কিন্তু এর পরের কাজটি মানে নতুন ঘরে নতুন করে সবকিছু সাজানোর কাজটি আনন্দময় হলেও পরিশ্রমের, অনেকটা সময়ও লেগে যায়।

নতুন আসবাবপত্র বানানোর প্রয়োজন পড়ে। বিদ্যুতের সংযোগ, টিউব লাইট নতুন করে লাগানো, গ্যাসের চুলা যথাযথভাবে লাগানো, ইন্টারনেটের লাইন টানা। কম্পিউটার ইনস্টল করা, অজস্র কাজ। কাজ শেষে এসি এবং বিদ্যুৎকর্মীদের ছুটি দেওয়ার পর যদি দেখা যায় একটি সিলিং ফ্যান শব্দ করে থেমে গেল, কোথাও পোড়া গন্ধ নাকে এসে লাগছে, তা হলে একটা আতঙ্কও কাজ করে। কেননা এই বাসায় আপনি একেবারে আগন্তুক। প্রথম রাতযাপন করছেন। গভীর রাতে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে ওঠে। চোখে প্রচ- ঘুম, কিন্তু বাইরে গাড়ির শব্দে ঘুম হারাম হয়ে গেল।

আগের বাসায় তো এমন দশা ছিল না! ধীরে ধীরে আপনি বুঝবেন ভালো-মন্দের হিসাব। ফ্ল্যাট বাড়িতে কাপড় শুকানোর জায়গাটিও বুঝেশুনে নির্ধারণ করা লাগে। ফুলের টব কোথায় বসবে, কমোডের শেপ কি সাবেক ধরনের নাকি আধুনিক! বসে অস্বস্তি বোধ হয় কি না। এক শ’ একটা সমস্যা সামনে এসে দাঁড়াবে, প্রতিটির সমাধান না করে নতুন বাসায় আপনি থিতু হতে পারবেন না। বাসা বদল মানে শুধু এই বদলিজনিত বিশেষ ব্যয় রয়েছে। সেটিও কিন্তু একবারে কম নয়। সব মিলিয়ে মানুষকে বাসা পাল্টাতে হয়। আর যারা দেশ ছেড়েই চলে যান তাদের মনের অবস্থা একটু অনুমান করুন তো! 

জুঁই ও জাফরিনের যুগলবন্দি
শিল্পী মাসুদা খাতুন জুঁই ও জাফরিন গুলশানের শিল্পকর্ম নিয়ে লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্রে শুরু হয়েছে ‘আলিঙ্গনে মিলছুট’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী। চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।  ভাবনা, উপলব্ধি, সংবেদনশীলতা ও সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে নিজ নিজ পরিবেশে যে উপাদানগুলো মননে ধরা দেয়, ভাবায়, চিন্তা করতে শেখায় ও জীবনবোধ তৈরি করে, সেসব উপাদান নিয়ে জুঁই ও জাফরিন নিজের মতো করে শিল্প নির্মাণ করেছেন। এটা তাদের মিলের জায়গা। কিন্তু দুজনের প্রকাশের ধরন স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন। 
একজন চিত্র সমালোচক বলছেন: জাফরিন গুলশান শিল্পে যখন নারীত্ব, মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা তুলে আনেন, তখন তা শুধু তার একান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থাকে না। পারিপার্শ্বিকতা, সমাজ, রাজনীতি সবকিছুর মধ্য দিয়ে জারিত হয়ে তার ভাবনা সুসংবদ্ধ হয় এবং একটি বৃহত্তর পরিসরকে উপস্থাপন করে। অন্যদিকে মাসুদা খাতুন জুঁইয়ের ভাবনা শুরু হয়েছে তার পারিপার্শ্বিক জীবনকে কেন্দ্র করে। তিনি প্রতি দিনের চলার পথে যে মানুষ ও বস্তু দেখেন, তাদের অবয়বের মাঝে খুঁজে ফেরেন অস্তিত্ব নির্বাহের আখ্যান। জুঁইয়ের ক্ষেত্রে সমষ্টি ব্যক্তিগত সংকট নিয়ে ভাবনার উদ্রেক করেছে। দুই মাত্রার চিত্রকর্মের পাশাপাশি তিনি স্থাপনা শিল্প করেছেন। 

জেনেভা ক্যাম্পের ৩৫ অপরাধী
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে র‌্যাব-২ ও যৌথবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৩৫ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় দুটি পিস্তল, ২০টি গুলি, দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। রবিবার র‌্যাব সদর দপ্তর এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানায়। র‌্যাব বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার ‘জেনেভা ক্যাম্প’ নিয়ে পত্রপত্রিকায় যেসব স্টোরি হতো আগে সেগুলোয় থাকত আঁটোসাটো জায়গায় হাজারে হাজার বিহারির মানবেতর জীবন ও জীবন সংগ্রাম। এখন খবর হয় মাদক বিক্রির কারণে। মাদকের ‘হটস্পট’ হিসেবে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে জেনেভা ক্যাম্পের। বছরের পর বছর এখানে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালালেও পরিস্থিতি তেমন বদলায় না। দিন দিন পরিস্থিতির অনেক অবনতি হয়েছে। এখন রীতিমতো লাইন ধরে মাদক কেনে আসক্তরা।

রমরমা এই কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধও চরমে। সক্রিয় অন্তত ৯টি মাদক কারবারি চক্রের মধ্যে দুটি বারবার সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। তাদের মদত দিচ্ছে আরও দুটি চক্র। মাত্র তিন মাস আগে ঢাকার একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল এই এলাকার হালফিল চিত্র। তাতে বলা হয়েছিল ‘জেনেভা ক্যাম্পে রয়েছে অনেকগুলো চক্র। মাহমুদ ইয়াবার ‘হোম ডেলিভারি’র জন্য মাদকসেবীদের কাছে সুপরিচিত। সে ক্যাম্প চেয়ারম্যানের ভাতিজা। আন্ডা আলমগীর নিজেই চোলাই মদ তৈরি ও বিক্রি করে। হঠাৎ দেখে মনে হতে পারে, সুলভ মূল্যে নিত্যপণ্য কেনার জন্য সবাই লাইনে দাঁড়িয়েছে। আসল ঘটনা হলো, তারা মাদক কেনার অপেক্ষায়। এটি জেনেভা ক্যাম্পের নিত্যদিনের চিত্র।’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের খোলা চিঠি
শিক্ষকদের উপলব্ধি গুরুত্বের সঙ্গেই নিতে হয়। অনেক সময় তাঁরা জাতির বিবেকের ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের ‘অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক এবং নৈরাজ্যবাদী জমায়েত ও হামলা’ দেখে উদ্বিগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের এ সংগঠন অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে স্পষ্ট বার্তা চেয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের নির্মোহ ভূমিকা ও আশু পদক্ষেপ আশা করেছে তারা।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে শিক্ষক নেটওয়ার্ক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর লেখা একটি খোলা চিঠি পড়ে শোনান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন। ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে চিঠিতে বলা হয়, ‘পরিতাপের বিষয়, অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও নৈরাজ্যবাদী জমায়েত আমরা লক্ষ্য করছি। সে সব জমায়েত থেকে অপছন্দের গোষ্ঠী ও দলের বিরুদ্ধে শুধু হিংসাত্মক কথাবার্তাই বলা হচ্ছে না, ক্ষেত্রবিশেষে হামলাও চালানো হচ্ছে।

চলতি পথে
ফেসবুকে ছবিসহ নিচের লেখাটি পোস্ট করেছেন একজন। ভাবনা জাগানোর মতোই।
‘কি নিশ্চিন্ত রোজগার! ঘুমায়া থাকলেও টাকা আসতে থাকে। কোনো টেনশন নেই। কোমর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত লক্ষ্য করেন। আয়োজনটাও কত সুন্দর। গামলা তিনটা, কেন জানেন? টাকা বাড়লেই প্রথমটার নিচে চালান হয়ে যায়। আরও বাড়লে দ্বিতীয়টার নিচে। বাংলামোটর সিগন্যালে কয়েকজন ফকির আছে যাদের টার্গেট ১০০০ টাকা। রংপুরে একজনকে চিনি যিনি নির্দিষ্ট একটা বিকাশের দোকান থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা বাড়িতে পাঠান। কি তামাশা।
পোস্টের মন্তব্য এসেছে : ১. এটা হলো বিনা পুঁজির লাভজনক ব্যবসা। ২. সব ভ-ামি। সেদিন দেখলাম ভালো পা ব্যান্ডেজ করে রেখেছে। ৩. তেমনটা খারাপ কি? যারা ধর্মকে পুঁজি করে, রাজনীতিকে পুঁজি করে নিজের পজিশনকে পুঁজি করে বিভিন্ন অসৎ ধান্দাবাজি করে মাল কামায় তাদের চাইতেও? বোধকরি নিশ্চয়ই নয়, কারণ মানুষজন তো দেখতেই পাচ্ছে ও কি করছে, কিন্তু উপরে যাদের কথা বললাম ওরা করে সব গোপনে।’

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

[email protected]

×