ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

শব্দদূষণমুক্ত নীরব শহরের প্রত্যাশা

ওবায়দুল কবির

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শব্দদূষণমুক্ত নীরব শহরের প্রত্যাশা

শব্দদূষণ রাজধানী ঢাকার একটি মারাত্মক সমস্যা

শব্দদূষণ রাজধানী ঢাকার একটি মারাত্মক সমস্যা। এই শব্দের মূল উৎস গাড়ির হর্ন। শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশই এই শব্দদূষণে আক্রান্ত। অকারণে হর্ন বাজানো আমাদের গাড়ি চালকদের একটি সংস্কৃতি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। বিশ্বের কোথাও গাড়ির হর্ন শোনা যায় না। বাংলাদেশে কি কারণে এই সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল তা গবেষণা করে দেখার বিষয়। শব্দদূষণে কানে কম শোনাসহ নানা মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নগরবাসী। পরিবেশবাদীরা হর্ন বাজানো বন্ধে গাড়ির চালকদের সচেতন করার নানা প্রকার কর্মসূচি পালন করেছেন। সরকারিভাবে আইন করে গাড়ির হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। ফল কিছুই হয়নি। মনে হয় প্রশাসন এখন হাল ছেড়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মাথাও ঘামাচ্ছে না কেউ। 
পেশাগত কারণে বিশে^র কিছু শহর পরিদর্শনের সুযোগ হয়েছে। ১৯৯৬ সালে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে গিয়ে বুঝেছিলাম গাড়ির হর্ন বাজানো মানে সামনের গাড়ি চালককে গালি দেওয়া। পরে আরও অনেক শহরে ঘুরে খেয়াল করেছি, বাধ্য না হলে কেউ গাড়ির হর্ন বাজায় না। সিঙ্গাপুরে এক ট্যাক্সি চালককে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন হর্ন বাজায় না। চালকের স্পষ্ট জবাব, ‘প্রয়োজন হয় না’। সে আমাকে বলেছে, বিগত এক মাসে সে একবার মাত্র হর্ন বাজিয়েছিল।

সামনের একটি গাড়ি এমন আচরণ করছিল যে, তার হর্ন বাজানো ছাড়া উপায় ছিল না। হর্ন শুনে সামনের ড্রাইভার তার কাছে সরিও বলেছে। তার কথা শুনে আমি অবাক হয়েছি। আমাদের দেশে তা হলে কি হচ্ছে? সকল ড্রাইভার তা হলে প্রতিনিয়ত কাউকে না কাউকে গালি দিয়েই চলেছে? বিশে^র সকল নগর-মহানগর, হাইওয়ে এমনকি প্রতিবেশী ভারতে গাড়ির হর্ন শোনা যায় না। চীনের শহরগুলোতে বিনা কারণে হর্ন বাজানো অপরাধ। হর্ন বাজানোর জন্য অনেক ক্ষেত্রে ড্রাইভাইরদের জবাবদিহি করতে হয়। আমাদের দেশেও বিনা কারণে হর্ন বাজানো অপরাধ, তবে এটি কেউ জানে না বা মানে না। 
বিদেশে শহরগুলোতে গাড়ি চালকের সঙ্গে কথা বললে অনেক মজার মজার তথ্য পাওয়া যায়। ব্যাঙ্ককে এক গাড়ি চালকের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে বন্ধুত্বই হয়ে যায়। তার নাম পং। খুবই মজার লোক সে। তার সঙ্গে পরে আমি ফেসবুকেও যুক্ত হয়েছিলাম। করোনাকালে থাইল্যান্ডে শুধু গাড়ি চালক নয়, পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত পেশার মানুষের অর্থনৈতিক দুর্গতির কথা তার কাছ থেকে নিয়মিত জেনেছি। তার কাছে একদিন জানতে চেয়েছিলাম থাইল্যান্ডে গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ কি না।

জবাবে পং জানাল, ‘নিষিদ্ধ কি না জানি না, তবে বিনা কারণে কেউ হর্ন বাজায় না।’ ড্রাইভারদের এই ধারণা কিভাবে হয়েছে জানতে চাইলে পং জানায়, থাইল্যান্ডে ড্রাইভিং শেখার সময় ট্রাফিক নিয়মকানুন শিক্ষার পাশাপাশি গাড়ির হর্ন কখন বাজাতে হবে, কখন হবে না এটিও শেখানো হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার পরীক্ষায় হর্ন বাজানোর বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। সঠিক উত্তর না দিতে পারলে আবার ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। শুধু থাইল্যান্ড নয়; বিশে^র সকল দেশেই ড্রাইভিং শিক্ষা কোর্সে হর্ন বাজানোর নিয়মকানুন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাদের দেশে একজন ড্রাইভারও বলতে পারবে না তাকে হর্ন বাজানোর বিষয়ে কে শিক্ষা দিয়েছেন।
নানা কারণে প্রতিবেশী পশ্চিমবাংলার কলকাতা শহরের সঙ্গে ঢাকার তুলনা হয়। এর মূল কারণ, দুটিই বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা। আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক পরিচ্ছদ, আচার-আচরণ অনেকটাই এক। আজ থেকে তিন দশক আগেও কলকাতা শহরের অবস্থা ছিল ঢাকার চেয়ে অনেক নাজুক। কয়লা দিয়ে রান্নার কারণে শহরের বায়ুদূষণ ছিল মারাত্মক। দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎহীন থাকত। কলকাতার ট্রাফিক জ্যাম ছিল বিশ^বিখ্যাত।

এই কলকাতা এখন অনেকটাই  গোছানো শহর। অটো সিগন্যালে চলে যানবাহন। ট্রাফিক আইন ভাঙতে খুব একটা দেখা যায় না। গত দুই বছর আগে কলকাতা সফরে আমি লক্ষ্য করেছি, ওখানেও অকারণে ড্রাইভারদের হর্ন বাজানো কমে গেছে। এক ট্যাক্সি ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বিষয়টি। ড্রাইভার জানিয়েছে, ওখানে বিনা কারণে হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগ থেকে এটি নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কলকাতা ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে আধুনিক শহরের কাতারে। তাহলে আমাদের ঢাকার অবস্থা কি?
মনে পড়ে ছোট্টবেলার পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যার কথা। আমাদের গ্রামে পহেলা বৈশাখে একটি মেলা হতো। আমরা বলতাম পঞ্চবটির মেলা। এখন অবশ্য মেলাটি আর বসে না। সারাবছরের প্রস্তুতি ছিল মেলায় যাওয়ার। জমানো টাকায় মেলা থেকে জিলাপি, মুড়কি, ঘুড়ি, আম কাটার চাকু, খেলনা বন্দুক এবং নানা ধরনের বাঁশি ছিল কেনাকাটার তালিকায়। মেলা থেকে বাড়িতে ফেরার সময় সবাইকে জানান দেওয়ার জন্য বাঁশি বাজাতাম। নানা ধরনের সুরের বাঁশি। বাঁশিতে কে কত বেশি আওয়াজ তুলতে পারে এমন এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হতো।

পহেলা বৈশাখে সারা গ্রামে শুধু বিভিন্ন সুরের বাঁশির আওয়াজই পাওয়া যেত। রাত গভীর না হওয়া পর্যন্ত চলত বাঁশি বাজানো। বেসুরো বাঁশির আওয়াজ থাকত কয়েকদিন, যতদিন না এই বাঁশিগুলো অকেজো হয়ে যায়। ঢাকার যে কোনো রাস্তার পাশে দাঁড়ালে সেই ছোট্টবেলার পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যার মতো নানা ধরনের বাঁশির শব্দ পাওয়া যায়। কোনোটা বিকট-কর্কশ, আবার কোনোটা সরু-তীক্ষè। বাস-ট্রাকের হর্ন এক রকম, আবার ছোট প্রাইভেট কারের হর্ন আরেক রকম। মোটরসাইকেলের হর্ন আরও ক্ষীণ, কিন্তু অসহনীয়Ñতীক্ষè, তীব্র। সব মিলিয়ে এলোপাতাড়ি বাঁশির শব্দ। পার্থক্য হচ্ছে ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখের এই বাঁশির শব্দে ছিল উৎসবের আমেজ। এখন রাজধানীতে দাঁড়িয়ে এই বাঁশির শব্দে কানে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিচ্ছে প্রতিনিয়ত; যাকে বলা হয় শব্দদূষণ।           
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি ইউএনইপির প্রকাশ করা বৈশ্বিক প্রতিবেদনে প্রায়ই শব্দদূষণে বিশ্বের শীর্ষ স্থান পায় ঢাকা। প্রতিবেদনে শব্দদূষণ কীভাবে মানুষের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি করছে, সে বিষয়েও তুলে ধরা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী মানুষের জন্য ঘরের ভেতর শব্দের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ৫৫ ডেসিবেল। আর ঘরের বাইরে বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবেল। অথচ ঢাকায় এই মাত্রা ১১৯ ডেসিবেল। শব্দদূষণের প্রধান উৎস হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন। এ ছাড়া উড়োজাহাজ,  ট্রেন, শিল্পকারখানা ও বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডেও শব্দদূষণ তৈরি হয়। মানমাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনগুলোতে। 

মানুষের কান যে কোনো শব্দের বিষয়ে যথেষ্ট সংবেদী। তীব্র শব্দ কানের পর্দাতে বেশ জোরে ধাক্কা দেয়। বিকট শব্দ কানের পর্দাকেও নষ্ট করে দিতে পারে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের ধারণা মতে, শব্দের মাত্রা ৮৫ ডেসিবেল বা তার বেশি হলে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকতে থাকতে একজন মানুষের শ্রবণশক্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উচ্চ শব্দ মানুষের ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।

শব্দদূষণে মানুষের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও উদ্বেগজনিত সমস্যাসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সব বয়সের মানুষ। এর মধ্যে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে শিশুরা। দিনের পর দিন শব্দদূষণের শিকার শিশুদের মনোযোগ দেওয়া ও কিছু পড়ার ক্ষমতা লোপ পেতে পারে। এ ছাড়া শব্দের ক্ষতিকর প্রভাব শিশুদের ওপর সুদূরপ্রসারী। শিশু বয়সে শব্দের আধিক্যে বৃদ্ধ বয়সেও তাদের কানের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। যেসব এলাকায় শব্দদূষণ বেশি, সেখানে মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। আচরণে অস্বাভাবিকতা ও মানসিক উত্তেজনা দেখা যায়। মানুষকে ক্লান্ত ও  মানসিক অবসাদগ্রস্ত করে ফেলে। কাজে অমনোযোগী করে তোলে। বয়স্ক মানুষের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়, এমনকি বধির হওয়ার মতো খবরও পাওয়া যায়।
সারাদেশে শব্দদূষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিনা কারণে ড্রাইভাররা গাড়ির হর্ন বাজাচ্ছে। যানজট বাঁধলেই চারপাশ থেকে হর্ন বাজানো শুরু হয়। মনে হয়, শুধু হর্ন বাজালেই যানজট কেটে যাবে। জটে আটকে থাকা মানুষের কান ঝালাপালা হয়ে যায়। বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনার নির্মাণ কাজ, উচ্চৈঃস্বরে মাইক বাজানো, কোনো উৎসব অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে গান বা মিউজিক বাজানোতেও শব্দদূষণ ভূমিকা রাখছে। উন্নত বিশে^র মতো আমাদের দেশেও শব্দদূষণের বিরুদ্ধে আইন রয়েছে।

২০০৬ সালে জারি করা বিধিমালায় শব্দদূষণের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আছে। এই আইন অনুযায়ী যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন থাকলেও এর প্রয়োগ নেই। ট্রাক-বাসে অবলীলায় চলছে হাইড্রোলিক হর্ন। আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ সচেতন নয়। এ জন্যই সচিবালয়, হাসপাতাল কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আলাদা করে ‘হর্ন বাজানো নিষেধ’ সাইন বোর্ড টানাতে হয়। এখন আর এসব সাইন বোর্ড টাঙানোর যুগ নেই।

শুধু নির্দিষ্ট স্থান নয়, সব এলাকায় শব্দদূষণ ঠেকাতে হবে। প্রয়োজনে আইন আরও কঠিন করতে হবে। আইনের প্রয়োগ করতে হবে শতভাগ। অনুষ্ঠান হলেই প্রতিবেশীর ঘুম হারাম করে উচ্চ ভলিয়মে ড্রাম বাজাতে দেওয়া যাবে না। নির্মাণ কাজের শব্দদূষণরোধে নিয়মকানুন কঠোরভাবে মানতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে শব্দদূষণ সম্পর্কে। ড্রাইভিং শেখানোর সময় ট্রাফিক আইন শেখানোর পাশাপাশি চালককে শিক্ষা দিতে হবে হর্ন বাজানোর নিয়ম। ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যুর আগে গ্রহণ করা পরীক্ষায় হর্ন বাজানো সম্পর্কে চালক কতটুকু অবহিত তা জানতে হবে। শব্দদূষণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চালাতে হবে ব্যাপক প্রচার। সর্বোপরি শব্দদূষণে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দূষণমুক্ত পরিবেশে বাঁচতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পরিবেশ উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন পরিবেশ কর্মী সৈয়দা রিজওয়না হাসান। সারাজীবন তিনি পরিবেশ নিয়েই কাজ করেছেন। তার এই দায়িত্বপ্রাপ্তিতে পরিবেশ সচেতন মানুষ আশাবাদী হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে তিনি পরিবেশের জন্য কাজ শুরু করেছেন। পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ পলিথিন ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে গ্রহণ করা হয়েছে নতুন উদ্যোগ। পর্যায়ক্রমে তিনি পলিথিনের ব্যবহার সীমিত করে আনবেন।

শব্দদূষণে গাড়ির হর্ন বাজানো নিরুৎসাহিত করার কাজও শুরু হয়েছে। এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় শব্দদূষণরোধে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) মতবিনিময় করেছে। সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, বেবিচক, বিআরটিএ, ঢাকা ট্রাফিক পুলিশ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

মতবিনিময় সভায় যোগদানকারী প্রতিনিধিরা সংস্থার গৃহীত পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরেন এবং অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে মতামত নেন, যাতে সঠিক পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ‘নীরব এলাকা’ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা যায়। বেবিচক চেয়ারম্যান এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য গণমাধ্যমের সক্রিয় ভূমিকা ও সহযোগিতা কামনা করেন। নীরব এলাকা তৈরির জন্য গাড়ির চালকদের সচেতন করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। পরীক্ষামূলকভাবে একটি এলাকা পরিপূর্ণভাবে শব্দদূষণমুক্ত করতে পারলে ক্রমশ তা গোটা শহরেও করা সম্ভব হবে। এরই ধারাবাহিকতায় একদিন আমরা শুধু নীরব বিমানবন্দর নয়, একটি পরিপূর্ণ ‘নীরব শহর’ অর্জন করতে পারব। 
লেখক :  নির্বাহী সম্পাদক, জনকণ্ঠ

×