ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সাগরের গর্জন হাওড়ের শোভা

ফারজানা ইয়াসমীন

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাগরের গর্জন হাওড়ের শোভা

বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্পের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পর্যটন শিল্প

বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্পের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পর্যটন শিল্প। দেশের মোট জিডিপির শতকরা ৪.৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। এই শিল্পকে উন্নত করে দেশের বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করা সম্ভব। কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা, সঠিক পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়নের অভাবসহ আরও নানা কারণে এর কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না দেশের পর্যটন শিল্প।

সাগরের গর্জন, পাহাড়ের নীরবতা, হাওড়ের সৌন্দর্য কোথাও আবার প্রাচীন প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনের মাঝে হেঁটে চলা সব মিলিয়ে ৭০০ থেকে ৮০০ দর্শনীয় স্থান নিয়ে  বৈচিত্র্যময় আমাদের এই দেশ। রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। তবে এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সম্মুখীন হতে হচ্ছে নানারকম প্রতিকূলতার। অবকাঠামো, মানসম্মত রাস্তা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পর্যটন শিল্পের সমন্বয়হীনতা, দক্ষ জনবলের অভাব, বাজেটের ঘাটতিসহ রয়েছে আরও অনেক সমস্যা।

বিদেশী পর্যটকরা আমাদের পর্যটন শিল্পের প্রতি আকর্ষিত তো হচ্ছেই না বরং আমাদের দেশের পর্যটকরা অবসর সময় কাটাতে চলে যাচ্ছে বিদেশে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ২০২৫ সাল নাগাদ এই সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬০ কোটি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে এই বিপুল সংখ্যার ৭৩ শতাংশই আবার ভ্রমণ করবে এশিয়ার দেশগুলোতে।

বাংলাদেশ যদি এই বিশাল বাজার ধরতে পারে তবে পর্যটনের হাত ধরেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বাংলাদেশের প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ পর্যটক দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করে থাকে। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল সবচেয়ে বেশি। যার ফলে ১৪০টি দেশের মধ্যে ১২৫তম স্থান থেকে ১২০ এ গিয়ে পৌঁছেছি আমরা।

আপাতদৃষ্টিতে পর্যটন শিল্পের উন্নতি মনে হলেও ব্যাপারটা আসলে সে রকম না। এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে শুধু পাকিস্তানই বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে। আবার পর্যটন আয়ের বেশিরভাগই আসছে দেশীয় উৎস থেকে। এটি প্রমাণ করে যে বিদেশী পর্যটকের কাছে আমাদের পর্যটন শিল্পের জনপ্রিয়তা এখনো অনেক কম। পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করছে থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ, ভারত ও নেপালের মতো দেশ। পর্যটন আকর্ষণে পিছিয়ে নেই দুবাই, কাতার, সৌদি আরব, মিসরসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও। আমরা কেন পারছি না?

যশোর থেকে

×