ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ

ড. আলা উদ্দিন

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ

(গত সোমবারের সম্পাদকীয় পাতার পর)

ড. ইউনূস ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় 

ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৭২-৭৫ অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৫-৮৯ পর্যন্ত অর্থনীতি বিভাগের গ্রামীণ অর্থনীতি কর্মসূচির পরিচালক ছিলেন। তাঁর শিক্ষকতার সময়েই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রামে ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির সূচনা করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে পুরোদমে গ্রামীণ ব্যাংকে মনোনিবেশ করেন।

২০০৬ সালে তিনি যখন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান, তার সম্ভবত দুই দিন পর তিনি তাঁর পুরান ঠিকানা অর্থনীতি বিভাগে এসেছিলেন। ক্লাস বন্ধ থাকলেও আমি সেদিন ফ্যাকাল্টিতে উপস্থিত ছিলাম। তাঁর আসার খবর পেয়ে তাঁকে একনজর দেখার জন্য অর্থনীতি বিভাগে ছুটে যাই। যতজন শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন, তার চেয়ে বেশি উপস্থিত ছিলেন ফটোগ্রাফার-সাংবাদিক।

সেদিন তাঁকে দেখলাম দুহাত মুখের দুই দিকে চেপে বসেছিলেন সভাপতির চেয়ারে, যে চেয়ার একদিন তিনি বহু পূর্বে অলংকৃত করেছিলেন। সেদিন প্রথম একসঙ্গে শত শত ফটো-ক্লিকের শব্দ দেখতে-শুনতে পেয়েছিলাম। বুঝলাম, আমরা কত সৌভাগ্যবান। নোবেল বিজয়ের অল্প কয়েকদিনের মাথায় তাঁর সম্মানে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নামকরণ করা হলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভবন। আমি সে ভবনের ছাত্র ছিলাম। এখন দুই দশকের বেশি সময় ধরে সেই ভবনেই অধ্যাপনা করছি। এতেই আমি গৌরবান্বিত। 
নোবেল প্রাপ্তির অল্প কয়েক মাস পর, দেশের একটি বিশেষ লগ্নে, ১/১১ পরিস্থিতিতে দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে ড. ইউনূস ২০০৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ‘নাগরিক শক্তি’ নামক একটি রাজনৈতিক দল গঠনের আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর নিকট খোলা চিঠি দিয়েছিলেন। চেয়েছিলেন মতামত। আমরা কয়েকজন বন্ধু তাঁর এই উদ্যোগে আশান্বিত হয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে ৩ মে দল গঠনের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসেন। 
রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে দেশ সেবার বাসনা তাঁর আগেও ছিল। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে নিউজলেটার প্রকাশনায় যুক্ত থেকে নানামুখী সাংগঠনিক কর্মকা- পরিচালনা করেছিলেন। তিনি এসব কথা খুব একটা প্রচার করেন না। নীরবে কাজ করে যান। যেমনটা এবারকার বন্যার সময় ফান্ড গঠন এবং আরব আমিরাতে বন্দিদের মুক্তির জন্য করেছেন। নীরবে কাজ করতে ভালোবাসেন বলেই তাঁর বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি।     
তাঁর ওপর আগেকার সরকারের প্রতিহিংসামূলক কর্মকা- ও হয়রানিমূলক মামলায় আমরা বিরক্ত ছিলাম। সরাসরি সরকারের ইউনূসবিরোধী কর্মকা-ের সমালোচনা করার পরিস্থিতি বিরাজ না করায়, পরোক্ষভাবে যতটা সম্ভব তাঁর পক্ষাবলম্বন করেছি  জ্ঞান-বিজ্ঞান ও নীতির প্রশ্নে ।

যেমন- ২০২০ সাল থেকে তাঁর নামে পরিচালিত একটা ফেসবুক ফ্যানগ্রুপের সঙ্গে আমি যুক্ত। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি যখন তাঁর বিরুদ্ধে ৬ মাসের কারাদ-ের রায় দেওয়া হয়েছিল, ফেসবুকে একাউন্টে পোস্ট দিয়েছিলাম- ‘বছরের প্রথম দিনের বিচার!’ তাঁকে ভালোবাসেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে হয়রানিকে অপছন্দ করতেন অনেকে, সেই পোস্টে লাইক/কমেন্ট করেছেন। 
শুধু তাই নয়, আমার মতো অনেকেই ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিকতা অনুভব করে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের এবং বিশেষ করে পুলিশ বাহিনী ও সরকারি দলের আক্রমণের বিপক্ষে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অর্থাৎ, বর্তমান ড. ইউনূস সরকার যেহেতু সেই আন্দোলনের ফসল, সে হিসেবে বলা যায় বর্তমান সরকারের ওপর দেশের অধিকাংশ মানুষের আস্থা ও সমর্থন রয়েছে। ড. ইউনূসের মাধ্যমে যদি দেশ বৈষম্যমুক্ত হয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় অগ্রসর হয়, এর চেয়ে বেশি কিছু কীই বা চাওয়া-পাওয়ার আছে!

একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা
বাংলাদেশ যখন এই সংকটময় সময় অতিক্রম করছে, গোটা জাতির মনে আজ আশার সঞ্চার করেছে। ড. ইউনূস শুধু একজন বৈশ্বিক আইকন হিসেবেই আবির্ভূত হননি, বরং একটি প্রত্যাশিত বাংলাদেশের কা-ারি হিসেবেও আবির্ভূত হয়েছেনÑ একটি সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ এবং অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার মিশনে। তাঁর নির্দেশনায় বাংলাদেশের তরুণরা, সঠিক শিক্ষা ও মূল্যবোধে বলীয়ান হয়ে জাতিকে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
বিশ্ব সম্প্রদায়ও ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে প্রত্যাশার সঙ্গে দেখছে। বারাক ওবামার মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বসহ ৯২ জন নোবেল বিজয়ী এবং বিশ্বের উল্লেখযোগ্য প্রায় সকল নেতা (১০৬+) ড. ইউনূসকে ইতোমধ্যে অভিনন্দন ও সমর্থন জানিয়েছেন। এই অভূতপূর্ব স্বীকৃতিতে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গর্বের সঞ্চার হয়েছে। যারা এখন নতুন করে আস্থা ও আশাবাদ নিয়ে তাদের নেতার দিকে তাকিয়ে আছেন।

শুধু তাই নয়, দেশের অধিকাংশ মানুষ শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের ওপর আস্থাশীল, তিনি দেশে শান্তি স্থাপন করতে পারবেন। সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যম, খেটে খাওয়া মানুষ, হিন্দু, মুসলিম, নারী, আদিবাসী সবার সমর্থন রয়েছে তাঁর ওপর। তিস্তার পানি বণ্টন ও সীমান্ত নিয়ে তাঁর যে দৃঢ় অবস্থান, তাতে স্বাধীন দেশের মানুষ শিহরিত। নীরবে তিনি বন্যার্তদের জন্য হাজার কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করেছেন।

যোগ্যতা বা নিরেপেক্ষতার মাপকাঠি 
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাফল্যের মধ্য দিয়ে গঠিত ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন রাষ্ট্র সংস্কারের মহাযজ্ঞে নামতে হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনসহ মাঠপর্যায়ে অনেক জায়গায় এখনো স্থিতিশীলতা আসেনি। একসঙ্গে অনেক জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিতে হচ্ছে বিধায় যাচাই-বাছাইয়ে কিছু সমস্যা দেখা গেছে। তবে কতক নিয়োগ এত ভালো হয়েছে যে, মনে হয় অন্তর্বর্তী সরকার না হলে এগুলো কখনোই সম্ভব হতো না।

এমন প্রতিভাবান মানুষ কাজ ছাড়া কখনো কোনো পদের কথা ভাবেননি। তথাপি যোগ্য ও নিরপেক্ষ হওয়ার শর্ত যদি আওয়ামী লীগবিরোধী হওয়া বা না করা হয়, তাহলে তা সমস্যাজনক। প্রসঙ্গত, একটি কথা উল্লেখ না করলেই নয়। আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অধিকাংশ মানুষ যেমন চুপ থাকতে বাধ্য ছিলেন, অন্য দলের অধিকাংশ মানুষজনও তাই নিশ্চুপ ছিলেন। ফলে, তাদের কেবল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের দোসর বলা সুবিচার হবে না।  
তাছাড়া ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর শেখ হাসিনার দলান্ধ আওয়ামী লীগ এক নয়। অন্য অনেকের মতো আমিও বিশ্বাস করি, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ প্রায় সবার জানাশোনা বহু নিবেদিত ব্যক্তি রয়েছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন বলেই বিগত সরকারের নানা অগণতান্ত্রিক ও অপকর্মের বিরোধিতা করেছেন- প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। তাদের আর যাই হোক ফ্যাসিবাদের দোসর বিবেচনা করা সমীচীন নয়।  
যারা আওয়ামী প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল, জনবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের দোসর বা অপরাধী বলা যায়। আওয়ামী লীগের সমর্থক সবাইকে খারাপ বিবেচনা করা সঠিক নয়। আর বাকি সবাই যদি ভালোই হতেন, আগের শাসন আমলগুলো যদি ভালোই হতো, জোর করেও আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির পরেও এতদিন ক্ষমতা দখল করে রাখা সম্ভব হতো না।

জুলাইয়ের আগে পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ মানুষের চুপ থাকা (চুপ থাকার বাধ্যবাধকতার কারণে) এবং ভালো বিকল্পের অভাবও এর জন্য দায়ী। আশা করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে একাধিক ভালো বিকল্প সৃষ্ট হবে। 
যা হোক, আন্দোলন অব্যবহিত পরিস্থিতিতে অনেক আবেগজনিত বাহাস ও ভ্রান্তি হয়ে থাকে। দলগত রাজনীতির এই দেশে নিরপেক্ষ ও যোগ্য মানুষ পাওয়া কঠিন হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অবশ্যই যোগ্যতমদের নিয়োগ পাওয়া কাম্য।

অযোগ্য লোক আনুগত্যের জন্য ভালো, তবে পরিণাম কারও জন্যই ভালো হয় নাÑ বিগত আমল এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আবার কিছু কিছু চিহ্নিত অপরাধী, যেমনÑ ৯৬ মামলার আসামি যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত করোনাভাইরাস জালিয়াত সাহেদের জামিনে মানুষের মনে অস্বস্তি জেগেছে। তবে দ্রুতই স্থানীয় পর্যায়ে শান্তি, শৃঙ্খলা ও প্রশাসনে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা আশাবাদী, ড. ইউনূস সবার হাল ধরবেন, সামলে নেবেন এবং সামনের দিকে শান্তির পথে অগ্রসরমান থাকবেন।   

কাক্সিক্ষত পথযাত্রা
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সুযোগ সম্পর্কে যেমনটি ড. ইউনূস তাঁর সাম্প্রতিক বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশের জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত এই সুযোগ আর আসে নাই। এবার বিফল হলে বাংলাদেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না।’ যুক্তরাষ্ট্রসহ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশ্বের বিবেচনায় ড. ইউনূসের মতো গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব বিশ্বে বিরল। আর বাংলাদেশের ভাগ্য তিনি এই দেশের মানুষ। এখন সুযোগ এই মহান ব্যক্তির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়া।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পথচলা একটি অপ্রতিরোধ্য সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের মিশ্রণ। তাঁর প্রবর্তিত সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্র ঋণ মডেল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাঁর সাফল্য কেবল তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফল নয়, বরং এটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত সহযোগিতার সম্মিলন। এক্ষেত্রে তাঁর অবস্থান বেশ পাকাপোক্ত এবং ইতিবাচক।

বর্তমান প্রজন্ম, বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী জি প্রজন্ম ও আগামীর আলফা প্রজন্ম, এই পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং উদ্যম জাতির উন্নয়নের ধারা বজায় রাখবে এবং তারা ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও সাম্যের মূল্যবোধ ধারণ করে একটি সুষ্ঠু ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। জাতি আশান্বিত যে, তারা ড. ইউনূসের মতই পরিবর্তনের প্রেরণা হবে এবং দেশের জন্য একটি উন্নত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে পথপ্রদর্শক হবে।

আগামী বছরগুলোতে, বাংলাদেশ একটি নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাবে, যেখানে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি, সাম্য এবং অগ্রগতির প্রতিশ্রুতি থাকবে। ড. ইউনূসের অনুপ্রেরণায়, বাংলাদেশের মডেল আন্তর্জাতিক স্তরে একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে। 
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের দরিদ্রতম অঙ্গরাজ্য আরকানসাস থেকে শুরু করে সারাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তাঁর ক্ষুদ্র ঋণের মডেল সাফল্যের সঙ্গে কার্যকর হয়েছে এবং উন্নতির পথে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ড. ইউনূসের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং প্রভাব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, সংস্কারপরবর্তী বাংলাদেশ মডেল একদিন বিশ্বব্যাপী অনুসৃত হবে এবং তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হবে।       (সমাপ্ত)

লেখক : অধ্যাপক ও প্রাক্তন সভাপতি, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

×