ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

মাধ্যমিকের শিখনকালীন মূল্যায়ন

প্রকাশিত: ২০:০৯, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাধ্যমিকের শিখনকালীন মূল্যায়ন

.

মাধ্যমিক শিক্ষার ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন বার্ষিক পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, প্রশ্নের ধারা মানবণ্টন সংশোধন পরিমার্জন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), যা গত ১১ সেপ্টেম্বর২০২৪ সালের শিখনকালীন মূল্যায়ন বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশিকাজারির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী- সাধারণ, মাদরাসা কারিগরি শিক্ষা ধারার মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন এবং বার্ষিক পরীক্ষা পরিমার্জিত মূল্যায়ন নির্দেশনার আলোকে অনুষ্ঠিত হবে।

তবে মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষার বিশেষায়িত বিষয়সমূহের এবং দশম শ্রেণির মূল্যায়ন কার্যক্রম পূর্বের ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে দুটি ভাগে এবং তা সম্পন্ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১-এর আলোকে প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে। ফলে, চলতি বছরেই মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিন ঘণ্টার বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রমের মোট নম্বর হবে ১০০। এর মধ্যে শিখনকালীন মূল্যায়নের গুরুত্ব হবে ৩০ শতাংশ পরীক্ষার গুরুত্ব হবে ৭০ শতাংশ। এই নির্দেশিকার মাধ্যমে ৫০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবক তাদের সন্তানদের শিক্ষা ভবিষ্যতের একটি রূপ রেখা পেলেন।

নির্দেশিকা জারির পাশাপাশি এনসিটিবি চারটি শ্রেণির পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসও প্রকাশ করেছে, যেগুলো এনসিটিবির ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তাছাড়া বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক জিপি বা গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এক্ষেত্রে আবারও +, , -, বি, সি ডি অনুযায়ী ফল প্রকাশিত হবে। একটি বিষয়ে সর্বনিম্ন ডি গ্রেড পেলে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ বলে বিবেচনা করা হবে। তিন বা ততোধিক বিষয়ে কোনো শিক্ষার্থী ডি গ্রেড পেলে সে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না। তবে বিষয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিশেষ বিবেচনায় তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের সুযোগ দিতে পারেন। বিশেষ বিবেচনার বিষয়টি শুধু ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য হবে।

শিক্ষা জাতির মেরুদ- প্রবাদটি শিক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে স্লোগান হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। জাতির মেরুদ-কে সোজা করার গুরুত্বের দিক থেকে প্রাথমিক মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা হওয়া চাই যুগোপযোগী, কার্যকর বাস্তবভিত্তিক। দেশের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন যোগ্য নয় বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। তাই পুরোনো শিক্ষাক্রমেই ফিরে যেতে হচ্ছে, যা আগামী বছর কিছু সংযোজন বিয়োজনও করা হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন হলে নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের সাধারণত কিছুটা বেগ পেতে হয়। তারপরও ভুলত্রুটি থাকলে সেসব সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে অহেতুক পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতন থাকা চাই। পরিশেষে সাম্প্রতিক মাধ্যমিকের শিখনকালীন মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আবারও পড়ালেখার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরুকÑ এই প্রত্যাশা।

×