ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য সম্পর্ক

ড. মো. আইনুল ইসলাম

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য সম্পর্ক

বাংলাদেশে বর্তমানে ভারতবিরোধী মনোভাব বিরাজ করছে

বাংলাদেশে বর্তমানে ভারতবিরোধী মনোভাব বিরাজ করছে। বিগত দেড়-দু’দশকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারতের আর্থিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এতটাই একপেশে ছিল যে, অনেকে বাংলাদেশকে ভারতের ‘ভেসেল স্টেট বা স্যাটেলাইট’ আখ্যায়িত করত। কিন্তু ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশের সঙ্গে এমন অসম সম্পর্ক যে কোনো কাজেই আসেনি, তা বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও জনগণের একাংশের ভারতবিদ্বেষী মনোভাব থেকেই স্পষ্ট।

এমন এক অবস্থায়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং আগামীদিনের পরিচালকদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন, মেরামত ও তা উন্নত করতে ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এই দৌড়ঝাঁপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি কেড়েছে পাকিস্তান। ভারতবিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগাতে দেশটি ইতোমধ্যেই বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

যেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশীদের বিনা ভিসায় পাকিস্তান সফরের ঘোষণা, ভারতের ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যায় আক্রান্তদের জরুরি সহায়তা ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব এবং বাংলাদেশে অত্যন্ত অভিজ্ঞ একজন নারী কূটনীতিককে নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ। তবে ধর্মীয় নৈকট্য থাকলেও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ১৯৪৭ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের সমাজ-অর্থনীতি-রাজনীতি ও সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও জটিল একটি বিষয়।

উপরন্তু ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বৈষম্যমূলক শাসন থেকে মুক্ত হয়েই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানিসহ বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা দেশের মানুষের মনে গভীর দাগ কেটে আছে। তবে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক রাজনীতির দ্রুত পালাবদলের এই সময়ে সার্কভুক্ত অন্যতম দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাভাবিক সম্পর্ক, বিশেষত অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা ও বাধাসমূহ পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। 
২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের সামগ্রিক রপ্তানি ৫৫.৫৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৬.২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। তবে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও সার্কভুক্ত দেশে রপ্তানি হয়েছে কম। দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে ভারত ছাড়া আর সব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য এই সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। বাংলাদেশের সরকারি হিসাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে কিংবা লুকিয়েছাপিয়ে তথ্য প্রকাশের দুর্নাম বহুদিনের।

এখানে মনে রাখা প্রয়োজন, মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ বাড়িয়ে প্রকাশ করা বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়েছে। তাই নির্মোহ পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বাংলাদেশের পতিত সরকারের আমলে ভারতের বাংলাদেশ থেকে বার্ষিক আর্থিক সুবিধার পরিমাণ নিদেনপক্ষে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের মতো হবে। বিনিময়ে বাংলাদেশ বড়জোর ২০ বিলিয়ন ডলার।

সম্পর্কের এই যখন অবস্থা, তখনই সবচেয়ে পরীক্ষিত ও প্রিয় সুহৃদ বাংলাদেশের পতিত একনায়ক ও তার দলের অস্তিত্ব সংকট ভারতকে রাজনৈতিক-বাণিজ্যিকভাবে চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করবে, তা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের একনায়কতান্ত্রিক একটি সরকারব্যবস্থাকে নিঃশর্ত সমর্থন দেওয়ায় ভারতের পর্যটন, চিকিৎসা, রেমিটেন্স ও আন্তঃপ্রদেশ যোগাযোগ এখন বেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যেই ভারতের কয়েকটি খাত বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

ভূরাজনৈতিক অঙ্গনে ভারতের এই বেকায়দায় পড়ে যাওয়ায় দেশটির চরম শত্রু পাকিস্তান স্বভাবতই বেশ উৎফুল্ল হয়েছে। যার প্রমাণ পাওয়া যায় সে দেশের সরকার, গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের কিছু পদক্ষেপ ও আলাপ-আলোচনায়। 
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমদ মারুফ বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, ‘আমরা ১৯৭১ এর প্রশ্নটিকে সমাধান করতে চাই।

কিন্তু গত সরকার আমাদের আলোচনার কোনো সুযোগ দেয়নি এবং ইচ্ছে করেই ’৭১ ইস্যুটাকে জিইয়ে রাখত। চাইলে বহু আগেই এটির সমাধান করা যেত। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী।’ পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ওই সাক্ষাতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী অন্যতম সরকারি নীতিনির্ধারক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘... আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে ’৭১-এর প্রশ্নটির সমাধান করতে চাই।... আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখে যে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী।’

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের মধ্যগগনে থাকা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধির পাকিস্তানসম্পর্কিত এই মনোভাব অত্যন্ত সময়োপযোগী, বাস্তবোচিত এবং তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, তথাকথিত মুক্তবাজার বিশ্বব্যবস্থায় বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত রাজনৈতিক সুসম্পর্ক এবং ভারসাম্যপূর্ণ অর্থ-বাণিজ্যিক কার্যক্রমই পারস্পরিক রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী দেশ পাকিস্তান বাংলাদেশের জন্য বড় উপায় হতে পারে।

তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান অতীত সম্পর্কের অমীমাংসিত অনেক বিষয় রয়েছে, যা বাণিজ্য ও আর্থিক সম্প্রসারণের পথে মূল প্রতিবন্ধক, যার কিছু ইঙ্গিত বাংলাদেশের তরুণদের প্রতিনিধি একজন উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই দিয়েছেন। এ নিয়ে আলোচনার আগে এই দুই দেশ ছাড়াও সার্কভুক্ত অঞ্চলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের দিকে কিছুটা দৃষ্টি দেওয়া যাক। 
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওভেন ও নিট পোশাক, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য, চামড়াজাত পাদুকা, কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্য। অন্যদিকে, পাকিস্তানের বাণিজ্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য বেশি আমদানি করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে পোশাক খাতের কাঁচামাল তুলা ও সুতা ছাড়াও কাপড়, গম, কেমিক্যাল, প্লাস্টিক উপকরণ, ফল, চামড়া, মূলধনী যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক পাখা, চাল, মসলা, মাছ, পেট্রোলিয়াম পণ্য, পোশাক ও আসবাব।

এ ছাড়াও পাকিস্তানি শিশুখাদ্য, জুস, কাটলারি ও অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামেরও বড় বাজার রয়েছে বাংলাদেশে। বিবির গত জুনের প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২২ অর্থবছরে দেশটি থেকে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৮৯ মিলিয়ন ডলারের, যা ২০২৩ অর্থবছরে ৮৩ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। অর্থাৎ উল্লিখিত সময়ে পাকিস্তানে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ৭.০৭ শতাংশ।

সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে আমদানির ৯২ শতাংশই হয় ভারত থেকে। এরপর ৭ শতাংশ হয় পাকিস্তান থেকে এবং অবশিষ্ট ১ শতাংশ হয় সার্কভুক্ত বাকি ৫ দেশ থেকে। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতকে ৯.৪৯ বিলিয়ন ডলার আমদানি মূল্য পরিশোধ করেছে, যা ২০২২ অর্থবছরে ছিল ১৩.৯৪ বিলিয়ন ডলার। অপরদিকে, পাকিস্তানে সামগ্রিক আমদানি মূল্য পরিশোধ ২০২২ অর্থবছরের ৮০২ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২০২৩ অর্থবছরে ৬৯৯ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। একমাত্র ভারত ছাড়া সার্কভুক্ত অন্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির সামর্থ্য ও সম্ভাবনা থাকলেও কেন হয়নি, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। 
বিশ্লেষকরা মনে করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সামগ্রিকভাবে সম্পর্কন্নোয়ন কৌশলগত কারণে বাংলাদেশের জন্য জরুরি। কিন্তু এই দুই দেশের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের কারণে আর্থিক ও সম্পদ বণ্টন বিষয়ক বেশকিছু জটিলতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পথে বড় অন্তরায়। স্বাধীনতাপরবর্তী পাঁচ দশকে এই দুই দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উভয় দেশ সফর এবং বিভিন্ন বৈঠকে সম্পদ বণ্টনের বিষয়টি আলোচনায় থাকলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

উভয় দেশ সম্পর্কে বিপুল সাফল্য পত্র-পত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রচার করা হলেও কোনো টেকসই সমাধানের লক্ষণ দেখা যায়নি। নামমাত্র একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠিত হলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বরে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন সময় ও পর্যায়ে তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও ওয়ার্কিং গ্রুপের কোনো সভাই অনুষ্ঠিত হয়নি পাকিস্তানের এড়িয়ে যাওয়ার মনোভাবের কারণে।

অথচ এই সময় ভারত অমীমাংসিত বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার নামে বহুমুখী অনেক উদ্যোগ নিয়েছে এবং বিভিন্ন সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের ভারতপন্থি বিগত পতিত সরকার জাতিসংঘ, জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন, কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন সংস্থায় ভারতের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র সোচ্চার না হলেও পাকিস্তানের ব্যাপারে বাংলাদেশের কোনো সরকার বা বুদ্ধিজীবী পর্যায়েই তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা বা সচেতনতা দেখা যায়নি। এর ফলে বাংলাদেশের সব সম্পর্ক ভারতকেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

অথচ সরকার ও জনগণপর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব। এখানে বলে রাখা ভালো, ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের আর্থিক দাবির পরিমাণ ছিল ৪০০০ মিলিয়ন ডলার, যখন ডলারের মূল্যমান ছিল ৮ টাকা, এখন যা ১২০ টাকা ছাড়িয়েছে। সে হিসাবে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের বর্তমানে পাওনা দাঁড়ায় ৪৮০০০০ মিলিয়ন বা ৪৮০ বিলিয়ন ডলার।

ধরে নিলাম, আইনি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নানা কারণে বাংলাদেশের পক্ষে এই অর্থ পাওয়া বাস্তবসম্মত নয়। কিন্তু অবস্থার প্রয়োজনে বাংলাদেশ অন্যভাবে পাকিস্তানের কাছ থেকে কিছু সুবিধা তো চাইতেই পারে, যার মধ্যে প্রযুক্তিগত সুবিধা অন্যতম। সামরিকভাবে শক্তিধর পাকিস্তান বাংলাদেশের সমর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তিগত সুবিধা দিতে পারে।

তবে এখানে মনে রাখতে হবে, পাকিস্তান ১৯৭১ সালে তার কর্মকা-ের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো বাংলাদেশের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেনি, যা দেশটির এখন ভেবে দেখা প্রয়োজন জরুরি ভিত্তিতে। কারণ, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়ত অর্থ দিয়ে কিংবা দুটো মিষ্টি কথা বলেও পূরণ করা সম্ভব, কিন্তু আত্মিক সম্পর্ক আত্মার ঐকমত্যের মাধ্যমেই স্থাপিত হয়।
 
লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি

×