ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

টাইগারদের নতুন ইতিহাস

ওবায়দুল কবির

প্রকাশিত: ২০:৪০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টাইগারদের নতুন ইতিহাস

টাইগারদের নতুন ইতিহাস

এমন বিজয় বাংলাদেশের মানুষের মনকে উৎফুল্ল করে, আবেগে নাড়া দেয়। ঝড়-ঝঞ্ঝা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বন্যা-খরা কোনো কিছুই এই সম্মিলিত আনন্দে বাদ সাধতে পারে না। গলা ছেড়ে চিৎকার করতে ইচ্ছে করে। ঘরে ঘরে বয়ে যায় আনন্দের ফোয়ারা। বলছি ক্রিকেট পাগল বাঙালির কথা। সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তান দলকে হোয়াইটওয়াশ করে টেস্ট ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস রচনা করেছে বাংলার দামাল ছেলেরা।

টাইগারদের এই সিরিজ বিজয় শুধু ঐতিহাসিক নয়, বিশ^ ক্রিকেটে জ¦লজ¦ল করবে বহুদিন। বাঙালির গর্ব করার কয়েকটি অর্জনের মধ্যে ক্রিকেট একটি। ক্রিকেট আমাদের অনেক দিয়েছে। আমাদের আনন্দ দিয়েছে, গর্ব করার বিষয় যুগিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিশ্বে এনে দিয়েছে খ্যাতি। শান্ত-মিরাজরা আজ বিশ্ব আসরে গৌরবের সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এই ক্রিকেট আমাদের কখনো হাসায়, কখনো কাঁদায়। ক্রিকেট আমাদের আবেগ। টাইগারদের বিজয়ে আমরা উৎসব করি। পরাজয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ি, ব্যাকুল হয়ে যাই। পরাজয় বাজেভাবে হলে ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ঘটে তীর্যক বাক্যবাণে।  
২০২১ সালের টি-২০ বিশ^কাপের কথা সবার স্মরণ থাকার কথা। টাইগারদের ব্যর্থতা নিয়ে কত না আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। খেলোয়াড়,  কোচ, সিলেক্টর, ক্রিকেট বোর্ড কেউ বাদ যায়নি আহত দর্শকদের তীর্যক বাক্যবাণ থেকে। আলোচনা হয়েছে ক্রিকেটবোদ্ধা মহলেও। কি কারণে এমন ফল হলো, ভুল কোথায় ছিল, কি করা উচিত ছিল ইত্যাদি।

প্রতিদিন আলোচনা হয়েছে টেলিভিশনে। লেখালেখি হয়েছে পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, আবার কেউ গালাগাল। সেদিন আমি লিখেছিলামÑ ক্রিকেট নিয়ে এই উন্মাদনা, এত আলোচনা নেতিবাচক কিছু নয়। যাদের ওপর চলছে তীর্যক বাক্যবাণ তারা হয়তো এখন আহত হচ্ছেন। তবে এটি সাময়িক। বাংলাদেশের মানুষ মনেপ্রাণে ক্রিকেট ভালোবাসে, ক্রিকেটারদের ভালোবাসে।

তাই ক্ষোভ-হতাশা থেকেই এমন আলোচনা, এমন আক্রমণ। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আজ যারা এমন বেসামাল আক্রমণ চালাচ্ছেন তারাই একদিন এসব লোককে মাথায় তুলে নাচবেন। এই জাতির ক্রিকেট পাগলামি অনেকবার দেখেছি। কোনো টুর্নামেন্ট নয়, বড় কোনো দলকে হারাতে পারলেই হাজার হাজার মানুষ সারারাত রাজপথে উৎসব করেছে। একবার নয়, একাধিকবার। গত ৩ সেপ্টেম্বর আবারও সেই দিনটি এনে দিয়েছিলেন তারা। টাইগারদের এই ঐতিহাসিক বিজয়ে প্রাণঢালা অভিনন্দন।  
চারের মার দিয়ে সাকিবের ব্যাটে টাইগারদের বিজয় ঘোষিত হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে চোখের সামনে ভেসে ওঠে দুই দশক আগে ২০০৩ সালে মুলতানে টাইগার ক্যাপ্টেন খালেদ মাহমুদ সুজনের কান্নাভেজা মুখটা। জয়ের খুব কাছে গিয়েও শুধু পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইনজামাম-উল হকের কাছে হেরে গিয়েছিল টাইগাররা। কি দারুণ উত্তেজনা ছিল সেদিন। গোটা বাংলাদেশ অপেক্ষা করছিল একটি ঐতিহাসিক জয়ের। অপেক্ষায় ছিল উদ্যাপনের। অষ্টম উইকেট জুটিতে ওমর গুলকে সঙ্গে নিয়ে একাই লড়ে গেছেন ইনজামাম।

দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬১ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নামে পাকিস্তান। চার নম্বরে নেমে টিমের হাল ধরেন তিনি। ১৩২ রানে সর্বশেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান রশিদ লতিফের উকেট হারিয়ে প্রচ- চাপে পড়ে পাকিস্তান। টাইগারদের জয় যেন সময়ের ব্যাপার। সাকলাইন মোস্তাককে নিয়ে ইনজামাম স্কোরবোর্ডে যোগ করেন আরও ৩২ রান। এর মধ্যে সাকলাইনের অবদান ৫১ বলে ১১ রান। সুজনের বলে সাকলাইন আউট হলে ক্রিজে আসেন আরেক বোলার সাব্বির। ২৫ বলে ১৩ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান।

অষ্টম উইকেট চলে যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন  পেসার ওমর গুল। তিনিও ভালোভাবেই সঙ্গ দেন ইনজামামকে। ৫০ বলে মাত্র ৫ রান করে গুল আউট হলেও ততক্ষণে প্রায় জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছেন ইনজামাম। শেষ উইকেটে ক্রিজে আসন ইয়াসির আলী। ৪ বলে এক রান করে স্ট্রাইক দেন ইনজামামকে। শেষ বলে চার মেরে টাইগারদের কাঁদিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ইনজামাম করেছিলেন ১৩২ বলে অপরাজিত ১৩৮ রান।
সত্যি কথা বলতে এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই সিরিজে পাকিস্তানের মাটিতে টাইগারদের কাছে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না আমাদের। বাংলাদেশ টিম ওয়ান ডে’র মতো টেস্ট ক্রিকেটে  তেমন এগোতে পারেনি। পাকিস্তানসহ বড় দলগুলোর সঙ্গে অতীতের রেকর্ড সুখকর নয়। সম্মানজনক একটি ফল পেলেই খুশি ছিলেন বাংলাদেশী দর্শকরা।

পাকিস্তানও ছিল ওভার কনফিডেন্ট। প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪৪৮ রান করে ডিক্লেয়ার করে পাকিস্তান। তারা ভাবতে পারেনি বাংলাদেশ এতটা এগোতে পারবে। মুশফিকুর রহিমের ১৯১ এবং সাদমান, মমিনুল, লিটন ও মিরাজের হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৫৬৫ রান তুলে ১১৭ রানের লিড নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজ-সাকিবের দৃঢ়তায় খুব একটা এগোতে পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ২৯ রানের লিড নিয়ে গুঁড়িয়ে যায় ১৪৬ রানে। ৩০ রানের টার্গেট নিয়ে সহজে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

জয় তুলে নেয় ১০ উইকেটের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। জয় পেলেও প্রতিপক্ষ সেভাবে কৃতিত্ব দিতে চায়নি টাইগারদের। বলার চেষ্টা করা হয়েছে উইকেটের বিরূপ আচরণ সফরকারীদের জন্য সহায়ক হয়ে উঠেছিল। প্রতিপক্ষ যাই বলুক বিজয়ে উজ্জীবিত হয়েছে টাইগাররা। ফিরে পেয়েছিল প্রবল আত্মবিশ^াস।
তুলনামূলক কঠিন উইকেটে দ্বিতীয় টেস্টে শুরুতে ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংস ২৭৪ রানে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দিতে পারলেও নিজেদের ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হিমশিম খেতে শুরু করে টাইগাররা। লিটন-মিরাজের দৃঢ়তায় এবং রেকর্ড ১৬৫ রানে জুটিতে পরিস্থিতি সামাল দেয় তারা। ১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করে পাকিস্তান। টাইগার পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। ১৭২ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস।

১৮৫ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে টি-২০ স্টাইলে ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা। বিশেষ করে মারমুখী হয়ে উঠেন জাকির। চতুর্থ দিন মাত্র ৭ ওভার ব্যাটিংয়ে ৪২ রান তুলে নেয় ওপেনিং জুটি। আলোর স্বল্পতার জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা আগেই চতুর্থ দিনের খেলায় সমাপ্তি টানা হয়। পঞ্চম দিন জিততে আরও ১৪৩ রানের প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। নানা শঙ্কা কাটিয়ে চার উইকেট হারিয়ে টাইগাররা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।

এত কম রানে ৬ উইকেট হারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে এমন জয় দেখা গেল ১৩৭ বছর পর। ১৮৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েও ম্যাচ জিতেছিল ইংল্যান্ড। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি চক্রে এখন ৪ নম্বর অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ ২০২১ সাল পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচ খেলেছে এ পর্যন্ত ১৩টি। এর মধ্যে একটিতে ড্র এবং বাকি ১২টিতে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা। মুলতান টেস্টের আগেও বাংলাদেশ ৫টি টেস্ট খেলে পরাজিত হয়। মুলতানে ছিল ৬ষ্ঠ টেস্ট। পাকিস্তানের সঙ্গে সপ্তম ও অষ্টম টেস্টেও বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল। দেশের মাটিতে নবম টেস্টে প্রথম ড্র করতে পেরেছিল টাইগাররা। ২০১৫ সালে খুলনা টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৩৩২ রান। জবাবে পাকিস্তান করেছিল ৬২৮ রান। মোহাম্মদ হাফিজ করেছিলেন ২২৪ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা।

তামিম ইকবালের দ্বি-শতকে (২০৬) ইমরুল কায়েসের ১৫০ রানে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ৫৫৫। তামিম-ইমরুলের ওপেনিং জুটি করেছিল  রেকর্ড ৩১২ রান। দীর্ঘ রানের পাহাড়ে খেলা গড়ায় অনিবার্য ড্র-এর দিকে। এবার ৭০ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজ দেশে পাকিস্তান দলের হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ঘটনা এটি দ্বিতীয়। এর আগে ২২ সালে ইংল্যান্ডের কাছে তিন ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তারা।  
২০০০ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ দশম দল এবং টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে আইসিসির সদস্যপদ লাভ করে। গত ২৪ বছরে টাইগাররা মোট টেস্ট খেলেছে ১৪৪টি। এর মধ্যে জয় পেয়েছে ২১টি, পরাজিত হয়েছে ১০৫টি এবং ড্র করেছে ১৮টি। আইসিসির সদস্যপদ পাওয়ার পর টাইগাররা প্রথম টেস্ট খেলেছিল দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে। এই টেস্টে ভারত জয়লাভ করেছিল ৯ উইকেটে। ঢাকা টেস্টের শুরুটা হয়েছিল দারুণ।

আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ১৪৫ রানের সেঞ্চুরি এবং হাবিবুল বাশার সুমনের ৭১ রানের ওপর ভর করে বাংলাদেশ করেছিল ৪০০ রান। ভারতের অলরাউন্ডার সুনীল জোসি নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। জবাবে সুনীল জোসির ৯৩, অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর ৮৪ এবং সদাগোপান রমেশের ৫৮ রানের উপর ভর করে ভারত করেছিল ৪২৯ রান। অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা।

মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে গেলে খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি তারা। সেই ভারতের সঙ্গে এখন পর্যন্ত আরও ১০টি ম্যাচ খেললেও জয় পায়নি। দুটি ম্যাচ ড্র করতে পেরেছে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৪টি ম্যাচ খেললেও এখন পর্যন্ত জিততে পারেনি, ড্র করতে পেরেছে ২টিতে। অন্যান্য দলের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬ ম্যাচে ৫টিতে পরাজয় এবং একটিতে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। ড্র নেই একটিও। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০ ম্যাচে পরাজিত ৯টি এবং দেশের মাটিতে একটি জয়।

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টাইগাররা ম্যাচ খেলেছে ১৭টি। জয় একটি এবং ড্র ৩টি। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২২টি। পরাজিত হয়েছে ১৭টি, জয় একটি এবং ড্র ৪টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০টি ম্যাচ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। পরাজয় ১৪টি, জয় ৪টি এবং ড্র ২টি। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেছে ১৮টি। জয় পেয়েছে ৮টি, পরাজিত ৭টি এবং ড্র ৩টি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচে একটি জয় এবং একটিতে পরাজয়। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।            
বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে যতটা এগিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে ঠিক ততটা এগোতে পারেনি। এই ফর্মেটে আমাদের সাফল্য হাতেগোনা। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, আমাদের দেশে লঙ্গার ভার্সনে ক্রিকেট খেলা হয় কম। তিন বা চারদিনের ক্রিকেটে টুর্নামেন্ট হাতেগোনা। দু’একটা টুর্নামেন্টের আয়োজন হলেও জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা এতে অংশগ্রহণ করেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্টগুলো আকর্ষণীয় হয় না। এর প্রভাব পড়ে টেস্ট ক্রিকেটে। বিষয়টি নিয়ে এক সময় ক্রিকেটাররা আন্দোলনও করেছিলেন। তাদের দাবি ছিল, ঘরোয়া ক্রিকেটে নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার রাখতে এবং সেভাবেই চলবে ঘরোয়া ক্রিকেট। বিসিবি সেদিকে খুব একটা নজর দেয়নি। ম্যাচ বাড়ানো তো পরের কথা, বরং ম্যাচ কমিয়ে দিয়েছিল। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এখনো খুব দেরি হয়ে যায়নি।

খেলোয়াড়রা যদি বছরে ১২ থেকে ১৪টা টেস্ট ম্যাচ এবং আরও ১২/১৪টা লঙ্গার ভার্সন প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় তবে অবশ্যই লাল বলে  খেলায় অনেক উন্নতি হবে। লাল বলে ভালো করতে পারলে অন্য ফরম্যাটগুলোও ভালো হবে। এজন্য ভারতের রঞ্জি ট্রফির মতো এক আকর্ষণীয় টুর্নামেন্টের আয়োজন করা যেতে পারে।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ  দুটির প্রথমটি হবে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ২৭ সেপ্টেম্বর কানপুরে। টাইগারদের ভারত সফরে রয়েছে তিনটি টি-২০ ম্যাচ। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ দল এখন দারুণ চাঙ্গা।

আসন্ন ভারত সফরে এর প্রভাব থাকবে বলে আশা করছেন সবাই। ভারত খুবই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। টাইগারদের পেস বোলিং এখন আন্তর্জাতিকমানের। ব্যাটিং লাইনআপ একটু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারলে ভালো কিছু হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।      

লেখক :  নির্বাহী সম্পাদক, জনকণ্ঠ

×