ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১

সংঘাত সদা পরিত্যাজ্য

মান্নান নূর

প্রকাশিত: ২১:০২, ১৪ আগস্ট ২০২৪

সংঘাত সদা পরিত্যাজ্য

৫ আগস্ট বিজয় অর্জিত হলো

৫ আগস্ট বিজয় অর্জিত হলো। আর এ বিজয়ে যে উল্লাস সারাদেশে বিরাজমান ছিল, কোটি কোটি মানুষ যে বিজয় উল্লাস দেখেছে সেটা কোনো বিজয় উল্লাসের মধ্যে পড়ে না। বরং বিজয়ের নামে লুটপাট, অরাজকতা, প্রতিহিংসা প্রকাশ পেয়েছে। আমরা যাদের সংখ্যালঘু বলি ও রকম এক হিন্দু কবি ও শিক্ষক আমাকে বলেছেন, তার স্কুলের সহকর্মীরা তাকে যা তা বলছে, কটূক্তি করছে।

মানুষ গড়ার কারিগরদের থেকেও শান্তিতে নেই এ কবির। অনেক হিন্দুবাড়ি ও মন্দির পাহারা দিতে দেখা গেছে। এর দ্বারা কী প্রমাণ হয়? কোনো একটা ভুলের কারণে দেশের গুণীজনদের অপমান করা যাবে না। নির্দিষ্ট একটি দল সে জামায়াত, বিএনপি বা যে কোনো দলই হোক না তারা ফায়দা লুটেছে দলগত। বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে লাথি মারা, জুতাপেটা করা, জুতার মালা পরানো এটা কোনো সুবোধ মানুষের কাজ নয়। চাই সে শিক্ষিত বা অশিক্ষিত হোক, ছাত্র বা অছাত্র  হোক।

এর ফলে এ দেশের জনগণ এ বিজয়ে আমাদের অস্তিত্বকে কলঙ্কিত করেছে। প্রশ্ন উঠছে এ জনতা কি স্বাধীনতা বুঝে? এদেশ মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে কোন সময়টাতে শান্তিতে ছিল? কী এমন সরকার পেয়েছে যে সরকার এ দেশকে সোনার দেশে পরিণত করেছে? এ নৈরাজ্য, লুটপাট তারই প্রমাণ। অর্থাৎ আমরা দেশের মঙ্গলের নামে নিজে বা দলকে লাভবান করছি দেশকে নয়। বিজয়কে ঘিরে ভাঙচুর, ব্যক্তিবিশেষের ঘরে আগুন দেওয়া এটা কী প্রমাণ করে না যে তারাও স্বৈরাচার? 
সংঘাত সদা পরিত্যাজ্য। ‘যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ’ কথাটা এ বাঙালির জন্য শতভাগ সহীহ। যে সরকারই এসে যে পরিবর্তনগুলোই করে নিজেদের দলের নামে, যেন লোকেরা বলে এ দলের আমলে এটা হয়েছে, ওটা হয়েছে এতে করে কার ক্ষতি হচ্ছে? জনগণের। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি নির্মাণে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তনসহ নানা কর্মকা-ে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, কাঙালি ভোজের নামে কোটি টাকা খরচ হয়েছে, এ টাকাতো জনগণেরই!

পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা পাঠ্যবইয়ে রেখে দেশ চালালে আর যাই হোক কোনো পক্ষেরই উপকার হয় না। সর্বোপরি আমরা চাই একটি সুন্দর শান্তিময় দেশ, প্রতিহিংসার রাজনীতির দেশ নয়। একই ফ্লাটফর্মে থেকে সকল দল মিলে এ দেশের উন্নয়ন চাই।

কিশোরগঞ্জ থেকে

×