ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১

মানুষের মুক্তির ক্যানভাস

মিলু শামস

প্রকাশিত: ২০:৪১, ১৩ আগস্ট ২০২৪

মানুষের মুক্তির ক্যানভাস

তারেক মাসুদ

ক্যাথরিন ছিলেন তার কাজের যোগ্য সঙ্গী। প্রতিটি ছবি দুজনে মিলে করেছেন। সমসাময়িক সময়কে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক আঁতলামী প্রশ্রয় পায়নি। আবার স্রোতে গা ভাসিয়েও দেননি। তাঁর মাপের বা তাঁর চেয়ে বড় প্রতিভাধরদের অনেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে বাণিজ্যিকীকরণের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাজার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্তই হয়েছেন শুধু। তারেক বাণিজ্যকে একটুও উপেক্ষা না করে দেশের অধিকাংশ মানুষের কণ্ঠস্বর ধরার চেষ্টা করেছেন। নিজস্ব সংস্কৃতির মূল স্রোতকে মেশাতে চেয়েছেন বিশ্ব প্রেক্ষাপটে

এদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের শুরু ১৯৬৩ সালে। ষাট দশকে শুরু হয়ে সত্তর পঁচাত্তর পেরিয়ে আশি সালে ‘চলচ্চিত্র সংসদ রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮০’ নামে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বিধির মুখোমুখি হয়। সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র বিকাশের গলা টিপে ধরেছিল এ আইন। তবু  থেমে থাকেনি। সচেতন তরুণরাই ছিল এর মূল শক্তি, সংগঠক ও দর্শক। তাই সব বাধা পেরিয়ে আন্দোলন এগিয়েছে।

অনেক প্রতিভার ভিড়ে একজন তারেক মাসুদের জন্ম হয়েছে। পরিশীলিত দর্শক তৈরিতে চলচ্চিত্র সংসদগুলো অনন্য ভূমিকা রেখেছিল নব্বই দশকের শুরু পর্যন্ত। পৃথিবীখ্যাত ক্ল্যাসিক ছবি দেখার দুর্লভ সুযোগ করে দিয়েছিল। সিনেমা দেখা, শো শেষে আড্ডা ও তর্কে কাপের কাপ চা ধ্বংস করে নতুন আইডিয়া নিয়ে ঘরে ফেরা। ভীষণ চলচ্চিত্রময় সে সময়ে একদিন গ্যেটে ইনস্টিটিউট দেখাল ‘আদম সুরত’।

পনেরো মিনিটের তথ্য চিত্র। পরিচালক তারেক মাসুদ। নির্মাণকাল উনিশ শ’ ঊননব্বই। তরুণদের মনে নামটি এক অন্যরকম ছাপ রাখল। কোথায় কিছু একটু যেন আলাদা এ সিনেমা। ক্যামেরা, এডিটিং সবকিছুতে আধুনিকতার ছোঁয়া। সাক্ষাৎকারভিত্তিক ছোট একটি চলচ্চিত্র অথচ কি অসাধারণ প্রাণ প্রাচুর্যে ভরা। আগামীর সম্ভাবনা প্রকাশ পেয়েছিল

প্রথম কাজেই। অনেক ধর্ণা দিয়েও সরকারি প্রচার যন্ত্রে দেখাতে পারেননি। বৈরী পরিবেশেই এগিয়েছেন। সবশেষ ‘রানওয়ে’ নিয়েও ঘুরেছেন সারা দেশ। প্রজেকশন করেছেন সাধারণ দর্শকের সামনে। তথাকথিত ‘আর্ট ফিল্ম’-এর তকমা এঁটে ড্রয়িং রুম-বদ্ধ রাখতে চাননি নিজের সৃষ্টি। এ নিয়ে তাঁর মত ছিল স্পষ্ট। আমি ‘রানওয়ে’ ছবিটাকে কখনই ‘মাটির ময়না’ হতে দিতে চাইনি।

কারণ, ‘মাটির ময়না’ নিয়ে আমাদের দেশের আরবান দর্শকদের ভেতর অনেক উচ্চাশা থাকলেও আমার কাছে মোটেও এর প্রাপ্তি প্রত্যাশার ধারে কাছেও নেই। ‘মাটির ময়না’ ছবিটিতে আমি যে মেসেজ দিতে চেয়েছি তা গ্রাম-বাংলার মানুষদের জানার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটিকে আমাদের সুশীল সমাজের দর্শকরা একটা টাইপ্্ড ছবির ভেতরে ফেলে দিয়েছে। এ ব্যর্থতা আমার, আমি ছবি বানাই হলে প্রদর্শনের জন্য।

সব শ্রেণির দর্শকদের উপভোগের জন্য (ইত্তেফাক ১৮ আগস্ট, ২০১১)।
তারেক মাসুদ হঠাৎ করে আবির্ভূত হননি। ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেছিলেন। কথা হয়েছে মাঝে মাঝে। ছোটখাটো নানা বিষয়ে মত চাইলে কিংবা চলচ্চিত্র বিষয়ে কোনো জিজ্ঞাসার জবাব দিতেন কোনো ধরনের ভণিতা ছাড়াই। ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি এ রকম হয়েছে কম। কখনো রিসিভ করতে না পারলে পরে ব্যাক করেছেন।

ভরাট গলায় দৃঢ়স্বরে গুছিয়ে বলার ক্ষমতা ছিল তার। সম্ভবত নব্বই দশকের শুরুর দিকে গ্যেটে ইনস্টিটিউটে তানভীর মোকাম্মেলরা ফিল্ম এ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্সের আয়োজন করেছিলেন। বিদেশী বিভিন্ন ছবির নির্মাণশৈলী নিয়ে ক্লাস নিয়েছেন তানভীর মোকাম্মেল, মানজারে হাসিনরা। বিশেষজ্ঞ হিসেবে এসেছিলেন ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক চিদানন্দ দাশগুপ্ত। পশ্চিম বাংলায় তাঁর মেয়ে অপর্ণা সেনের ‘পরমা’ নিয়ে তখন সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আমাদের এখানেও।

চিদানন্দ দাশগুপ্তকে আমরা অনেকেই ঘিরে ধরেছিলাম। বাবা হিসেবে নয়, সমালোচক হিসেবে...।’ বিরক্তি এড়িয়ে যথেষ্ট শান্তভাবে চলচ্চিত্রে শ্লীল-অশ্লীলের সীমারেখা বুঝিয়েছিলেন তিনি। আমাদের এখানে তখন আরেক ছবি জনপ্রিয়তার কারণ নিয়ে আলোচনার তুঙ্গে। নাম ‘বেদের মেয়ে জোছ্না’। নানাভাবে ডিসেকশন চলছে। এফডিসির বড় পর্দায় দেখাতে নেওয়া হলো আমাদের। চিদানন্দ দাশগুপ্ত বলবেন ওই সিনেমা নিয়ে।

সম্ভবত এফডিসির মূল গেট পেরিয়ে সামনে এগোতে চোখে পড়ে তারেক মাসুদ দাঁড়িয়ে। একটি পিলারে হেলান দিয়ে সামনে তাকিয়ে আছেন। হাত দুটো বুকে ভাঁজ করা। মুখে পরিচিত সেই স্নিগ্ধ হাসি। তাঁর শারীরিক উচ্চতা প্রায়ই সত্যজিৎ রায়কে মনে পড়িয়ে দিত, একই জগতের মানুষ বলে হয়তো। কে না জানে সত্যজিৎ পথেঘাটে মানুষের মুখ পর্যবেক্ষণ করতেন। নিজের ছবির জন্য কোনো মুখ পছন্দ হলে সঙ্গে সঙ্গে স্কেচ করে রাখতেন।

তারপর তাকে খুঁজে বার করতেন। তারেক মাসুদও কি তেমন কিছু করছেন? তার দৃষ্টির প্রসারতায় সে সময় তেমনই মনে হয়েছিল। এ দেখা সাধারণ নয়। সাধারণের মধ্যে অসাধারণ কিছু খুঁজে নেওয়ার দেখা। 
‘মুক্তির গান’ নিঃসন্দেহে অসাধারণ কাজ। কিন্তু তারেক মাসুদ শুধু এর মধ্যেই সীমিত নন। তাঁর বিশেষত্ব আধুনিক মনস্কতায়। শুধু কাজে নয়, ব্যক্তি জীবনেও। ব্যক্তি জীবন আর কর্মজীবন আলাদা ছিল না তাঁর কাছে।

ক’জন পুরুষ স্ত্রীকে কাজের সঙ্গী ভাবতে পারেন? ক্যাথরিন ছিলেন তার কাজের যোগ্য সঙ্গী। প্রতিটি ছবি দুজনে মিলে করেছেন। সমসাময়িক সময়কে ধরার চেষ্টা করেছেন সবসময়। অহেতুক আঁতলামী প্রশ্রয় পায়নি। আবার স্রোতে গা ভাসিয়েও দেননি। তাঁর মাপের বা তাঁর চেয়ে বড় প্রতিভাধরদের অনেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে বাণিজ্যিকীকরণের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাজার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্তই হয়েছেন শুধু।

তারেক বাণিজ্যকে একটুও উপেক্ষা না করে দেশের অধিকাংশ মানুষের কণ্ঠস্বর ধরার চেষ্টা করেছেন। নিজস্ব সংস্কৃতির মূল স্রোতকে মেশাতে চেয়েছেন বিশ্ব প্রেক্ষাপটে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত বড় মাপের কাজ করেছেন, কিন্তু এ নিয়ে ভাবালুতা ছিল না মোটেই। মতামত ছিল স্পষ্ট। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে এক লেখায় বলেছেন- ‘যুদ্ধ মানেই পক্ষ-বিপক্ষ। মুক্তিযুদ্ধও এর ব্যতিক্রম নয়। শুধু মুক্তিযোদ্ধারাই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, এটা যেমন ঠিক নয়, তেমনি আমরা সবাই মুক্তিযুদ্ধে শামিল হয়েছি, এটাও ঠিক নয়। আমাদের নিজেদের সঙ্গে নিজেদের একটা যুদ্ধও ছিল। যুদ্ধটা আমরা করতে চাইনি। পাঞ্জাবি ঔপনিবেশিক শক্তি তা আমাদের ওপর চাপিয়েছিল।

আমাদের একটি অংশ তাদের পক্ষ অবলম্বন করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ বিতর্কিত বিষয় নয়। তাতে মুক্তিযুদ্ধের মহিমা লাঘব হয়েছে, এমন নয়। আর এ কারণেই যুদ্ধের যেমন ভিন্ন ভিন্ন ন্যারেটিভ বা আখ্যান-উপাখ্যান থাকবে, তেমনি মুক্তিযুদ্ধেরও বিভিন্ন বয়ান থাকবে, যারা বিপক্ষে ছিল বা পরে পক্ষ বদল করেছে তাদের আখ্যান ছিল এবং আছে। এই বয়ান সৃষ্টিতে চলচ্চিত্র বড় ভূমিকা রেখেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭১ সালে বাস্তবে কী ঘটেছে, তার থেকে পারসেপশন বা দৃষ্টিকোণ অনেক গুরুত্ব বহন করে।

এই দৃষ্টিকোণ তৈরি হয় আসলে এসব আখ্যান দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান আখ্যান যতটা না স্মৃতিকথাভিত্তিক, যতটা না লিখিত ভাষ্যে এসেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি এসেছে জনপ্রিয় মাধ্যম সিনেমার মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে উপাখ্যানটি  তৈরি হয়েছে তার মধ্যে ভাবাবেগ বেশি এসেছে, এসেছে একরৈখিকতা। এটাই স্বাভাবিক। মুক্তিযুদ্ধের মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনা, দ্যোতনার দিকটা, এর ধূসর ভূমির অংশটি, মুক্তির দিকটি না এসে যুদ্ধের দিকটি এসেছে।

প্রায় সব ছবিতে যুদ্ধটা যত না গভীর, তত বেশি গ্রাফিকভাবে এসেছে। আমরা যেন সামরিকভাবে পাঞ্জাবিদের চেয়ে শ্রেয় ছিলাম বলেই যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিÑ এ রকম আত্মশ্লাঘার ব্যাপারটি বেশি এসেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বড় দিকটি শ্লাঘা নয়, গণহত্যার। সেই ব্যাপকতা এবং বিস্তৃৃতির দিকটি আসেনি, সংকীর্ণ অর্থে এসেছে। গুলি করে মারা হয়েছে, ধর্ষণ করা হয়েছে ইত্যাদি। আমাদের অনেকের হাতেই রক্ত আছে।

যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি নানাভাবে আসতে পারত, কিন্তু আসেনি। নিরস্ত্র নিরীহ জনগণের ওপর যখন কোনো সামরিক শক্তি ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন যুদ্ধাপরাধের দায়ভার তাদের ওপরই বর্তায়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করিনি, আমরা প্রতিরোধ সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছি।... স্থানীয় দোসরদের যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি হানাদার বাহিনী এবং তার দোসরদের গণহত্যার প্রধান শিকার ছিল একটি ধর্মীয় জনগোষ্ঠী- এ ব্যাপারটিও আমাদের চলচ্চিত্র আখ্যানে সুস্পষ্টভাবে উঠে আসেনি।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি প্রধান অংশ হলো, মানুষ মানুষকে মেরেছে। কিন্তু এটাও পরম সত্য, একাত্তরে মানুষ মানুষকে বাঁচিয়েছে। একজন বিহারীকে বাঙালি বাঁচিয়েছে, একজন বাঙালিকে বিহারি বাঁচিয়েছে। একজন বাঙালি একজন নিরস্ত্র বন্দি পাকিস্তানি সৈন্যকে বাঁচিয়েছে। একজন পাকিস্তানি একজন বাঙালিকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। এই বহুমাত্রিক দিকটি কিন্তু সাধারণত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রে প্রথম পর্যায়ে খুব একটা দেখি না।...আজকের বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই কথা।

মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে একাধিক আখ্যান থাকবে এবং পরস্পরবিরোধী বয়ান থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। মুক্তিযুদ্ধ মানেই যে ফর্মুলা, যে এভাবেই দেখতে হবে, অন্যভাবে বলার বা দেখার কোনো অধিকার কোনো শিল্পীর নেই, এটা ঠিক নয়।...এই ক্রিটিক্যাল লুক এ্যাট মুক্তিযুদ্ধ, যেখানে সব পক্ষকে সমালোচনা করেও ছবি বানানো যেতে পারে। তবে নির্মাতার নিজের উদ্দেশ্য কি? মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তার গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নটি। ছবির মধ্যে এটা অনেক সময় বোঝা যায়, আবার নির্মাতার ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেও বোঝা যায়।’ (কালের কণ্ঠ, ১৪ আগস্ট, ২০১১)
যে উচ্চতায় ডি ডব্লিউ গ্রিফিথ, সের্গেই আইজেনস্টাইন, জাঁ রেনোয়া, আকিরা কুরোশাওয়া বা সত্যজিৎ রায়ের নাম উচ্চারিত হয় চলচ্চিত্র জগতে তারেক মাসুদ নামটি হয়তো সে উচ্চতা ছোঁয়নি, তবে নিজের কাজে জানান দিচ্ছিলেন ও-পথেই হাঁটছেন তিনি। একদিন হযতো বুক উঁচিয়ে আমরা বলতে পারতাম আমাদের সত্যজিৎ রায় আছেন আরও কাছের একজন তারেক মাসুদও আছেন।
আমেরিকায় গৃহযুদ্ধের বিশাল ক্যানভাসে ‘বার্থ অব এ নেশন’ তৈরি করে গ্রিফিথ আলোড়ন তুলেছিলেন। আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র বানিয়ে এদেশের দর্শক কাঁপিয়েছিলেন তারেক মাসুদ। তবু গ্রিফিথ আর তারেক এক নন। বিশাল ক্যানভাসের ‘বার্থ অব এ নেশন’-এ কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি অতিক্রম করতে পারেননি গ্রিফিথ। তারেক মাসুদের দৃষ্টি ছিল প্রসারিত। সংকীর্ণতার বিরুদ্ধেই ছিল লড়াই।

পরিচিত ঘটনাকে উল্টেপাল্টে ভিন্ন চোখে দেখতে পারার অসাধারণ ক্ষমতা নিয়ে দর্শককে দুদ- ভাবতে বাধ্য করেছেন। এখানেই আলাদা তিনি অন্যদের থেকে। তাঁর আগে কেউ ভাবেনি মাদরাসা জীবন, অভিবাসী মনের দহন কিংবা ইসলামি জঙ্গিবাদকে বিষয়ের কেন্দ্রে নিয়ে ছবি বানানোর কথা। এই ভিন্ন চোখে দেখা এবং দেখতে শেখানোর দায় কাঁধে নিয়ে ঘুরেছেন সারা দেশ। তবে তা মাস্টারের মতো নয় মোটেই, শৈল্পিক কিন্তু সরলভাবে। তারেক মাসুদ আমাদের ভাবনা ও দ্বন্দ্বের জায়গাগুলো কি করে যেন সাদামাটাভাবে গুছিয়ে বলে ফেলেছেন।

×