ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সয়াবিন চাষ

ড. মো. জামাল উদ্দিন

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ৬ আগস্ট ২০২৪

ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সয়াবিন চাষ

সয়াবিন তেলজাতীয় ফসল হিসেবে সারা বিশ্বে বেশ সমাদৃত

সয়াবিন চাষের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্যবহারে কৃষকদের আরও উদ্বুদ্ধ করা গেলে সামগ্রিক সয়াবিন উৎপাদন বাড়বে। তাতে শিল্পের কাঁচামালের জোগান বাড়বে, বহুমুখীপণ্য তৈরির সুযোগ বাড়বে, পশু ও মাছের খাবার তৈরির উপকরণ সহজলভ্য ও খরচ-সাশ্রয় হবে, মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়বে, পতিত ভূমির সুষ্ঠু ব্যবহার হবে এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধির সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে ত্বরান্বিত

সয়াবিন তেলজাতীয় ফসল হিসেবে সারা বিশ্বে বেশ সমাদৃত। সয়াবিন বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বহু গুণসম্পন্ন একটি ফসল। এতে ৪০-৪৫% প্রোটিন এবং ১৮-২২% তৈল থাকে। অন্যান্য ডাল ও শুটি জাতীয় শস্যের তুলনায় সয়াবিন দ্বিগুণ আমিষসম্পন্ন। তাই দেশের জাতীয় আমিষের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে সয়াবিন চাষ এবং এর বহুবিধ ব্যবহার বেশ গুরুত্ব বহন করে।

দেশে সয়াবিন উৎপাদন হলেও এই তেল পুরোটাই আমদানিনির্ভর। পশু ও মাছের খাদ্য হিসেবে ও শিল্পজাত কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রতিবছর বিদেশ থেকে প্রচুর সয়াবিন আমদানি করতে হয়। তাতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। আমদানি খরচ মেটাতে গিয়ে দেশের রিজার্ভের ওপরও টান পড়ে। তাই উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানিনির্ভরতা কমাতে সরকারের তরফ থেকে  জোর তাগিদ রয়েছে। 
কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে, মৌসুমি পতিত ভূমি ব্যবহারে, জমির উর্বরতা শক্তি বাড়াতে, বর্ধিষ্ণু জনগোষ্ঠীর পুষ্টি নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান সৃজনে সয়াবিনের গুরুত্ব অত্যধিক। কৃষিনির্ভর দেশের অর্থনীতিকে আরও চাঙা করতে ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে ভ্যালু এডেড খাদ্য পণ্য তৈরি ও সৃষ্ট বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উন্নয়নকে আরও টেকসই করা যায়।

বর্তমানে দেশে সয়াবিন উৎপাদনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে নিঃসন্দেহে। সয়াবিনের ভ্যালু এডেড খাদ্যপণ্য তৈরির সুযোগ রয়েছে। 
খাদ্যাভাস পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। উদাহরণস্বরুপÑ সয়াবিন হতে মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য যেমনÑসয়াআটা দিয়ে সয়াপরাটা বা রুটি, কেক ও নিমকি, সয়াডাল ভর্তা, সয়াডাল, সয়া ঘুগনী, সয়াবিনের চটপটি, ছোলা বা মটরের মতো সয়াবিন ভাজা, মাছে বা সবজির সঙ্গে সবজি হিসেবে সয়াবিন, সয়াদুধ, সয়াদুধের দধি ও পুডিং, সয়াপিঁয়াজু, সয়াহালুয়া, সয়াছানা, সয়ামাংস, সয়াসিঙ্গাড়া, সয়াবিস্কুট, সয়াকেক ইত্যাদি খুব সহজেই তৈরি করা যায়।

বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর আমিষ ও ক্যালরির ঘাটতি পূরণ এবং অপুষ্টি দূরীকরণে সয়াবিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সয়াবিন থেকে খাদ্যপণ্য তৈরি ছাড়াও গ্লিসারিন, রং, সাবান, প্লাস্টিক, মুদ্রণের কালি ইত্যাদি দ্রব্য উৎপাদনের ক্ষেত্রেও সয়াবিন একটি অপরিহার্য উপাদান। সয়াবিনে থাকা অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য নিরাপদ। এটি অপুষ্টিজনিত রোগে কার্যকর ভূমিকা  রাখে। 
দেশে সয়াবিনের উৎপাদন বেড়েই চলেছে। সরকারের কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ-২০২২ (প্রকাশকাল মে, ২০২৩) এর তথ্যমতে, দেশে ২০২০-২১ সালে সয়াবিনের মোট উৎপাদন ৯৮,৬৪৬.০৬ মেট্রিক টন, যার আবাদ এলাকা ১,৪৪,৭১২.৭৭৫ একর। তারমধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে মোট উৎপাদন ৮৭,২২৭.৩৪ মেট্রিক টন এবং উৎপাদন এলাকা ১,৩১,৪৮২.৫০ একর। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে সয়াবিনের সর্বোচ্চ উৎপাদন লক্ষ্মীপুর জেলায় ৭৪ হাজার ৪৯৭ মেট্রিক টন এবং উৎপাদন এলাকা ১ লক্ষ ৭ হাজার ৬৫৪।

উক্ত বছরে নোয়াখালী জেলায় ৯ হাজার ৭০৮ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন সয়াবিন উৎপাদন হয়েছিল। যার উৎপাদন এলাকা ছিল ২০ হাজার ২১৯ একর। চাঁদপুর জেলায় ৩ হাজার ৬০৫ দশমিক ৫০ একর জমিতে সয়াবিনের মোট উৎপাদন হয়েছিল ৩ হাজার ২০ দশমিক ৫১ মেট্রিক টন। অন্যদিকে, বরিশাল বিভাগে ১৩ হাজার ২১৮ একর জমিতে মোট সয়াবিন উৎপাদন হয়েছিল ১১ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন। যার মধ্যে সর্বোচ্চ উৎপাদন ভোলা জেলায়, যা ৭ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন।

এর উৎপাদন এলাকা ছিল ৮ হাজার ৩৫৪ একর। বরিশাল জেলায় উক্ত বছরে সয়াবিনের মোট উৎপাদন হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮০ মেট্রিক টন। যার উৎপাদন এলাকা ছিল ৪ হাজার ৮৬৪ একর। নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের বিস্তৃত এলাকা সয়াবিন চাষের জন্য বেশ সমাদৃত। 
সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া কৃষিখাতের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ‘পার্টনার প্রোগ্রাম’ এর মাধ্যমে সয়াবিন চাষের নতুন নতুন এলাকা আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়। তাছাড়াও তৈল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বারির (ঊচঙঈ) নামক প্রকল্প চলমান রয়েছে।

দেশব্যাপী এসব প্রকল্পসমূহের বদৌলতে সয়াবিনের আবাদ বাড়ছে। বারির তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসী বেগম জানান, সয়াবিন চাষ বাড়াতে, উন্নত জাত উদ্ভাবন এবং সয়াবিনভিত্তিক উন্নত ফসলধারা প্রবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এর সফলতাও চোখে পড়ার মতো। সয়াবিন থেকে স্থানীয় ঘানি বা দেশে প্রচলিত এক্সপেলার মেশিনে তেল নিষ্কাশন করা যায় না।

অত্যাধুনিক মেশিনে বীজ হতে তেল এক্সট্রাক্ট করা যায়, যা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, ব্রাজিলসহ সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশে ব্যবহৃত হয়। জাতীয় দৈনিকে প্রচারিত সংবাদ মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে সিটি, মেঘনা ও যমুনা গ্রুপ সয়াবিন হতে তেল আহরণের জন্য সীমিতভাবে আধুনিক মেশিন ব্যবহার করছে এবং প্রয়োজনীয় সয়াবিন বিদেশ হতে আমদানি করছে।

পর্যাপ্ত সয়াবিনের জোগানের নিশ্চয়তা পেলে বেসরকারি শিল্প উদ্যোক্তারা অধিকতর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তেল আহরণ মেশিন আমদানি করতে উদ্বুদ্ধ হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার দরকার রয়েছে। কৃষকদের দক্ষ করে তোলার জন্য ব্যাপক কার্যকর প্রশিক্ষণ প্রদান জরুরি। সয়াবিন চাষ লাভজনক বিধায় সয়াবিন চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। 
রোপা আমন-সয়াবিন-আউশ শস্যবিন্যাস প্রবর্তনের মাধ্যমে সয়াবিন অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে মাটির স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটবে। তাতে পরবর্তী আউশ ও আমন ধান চাষে রাসায়নিক সার কম প্রয়োগ করতে হবে। এ ব্যাপারে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক প্রদর্শনী স্থাপন, প্রশিক্ষণ প্রদান ও মাঠ দিবসের আয়োজন করা গেলে সুফল মিলবে বেশি।

বিনার কুমিল্লা অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. আশিকুর রহমান জানান, বিনা এ যাবত সাতটি উচ্চ ফলনশীল সয়াবিনের জাত উদ্ভাবন করেছে। জাতসমূহ মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যে চাঁদপুরের হাইমচরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিনা সয়াবিন-৩, বিনা সয়াবিন-৪ ও বিনা সয়াবিন-৫ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সহায়তার মাধ্যমে এটির আবাদ বাড়ানো ও বীজ উৎপাদনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তাঁর মতে, এলাকার কৃষক মৌসুমি পতিত ভূমিতে রবি ও খরিপ মৌসুমে সয়াবিন চাষ করে থাকে। প্রথমবার তারা কৃষকদের বীজ সহায়তা দিচ্ছে এবং বীজ সংরক্ষণের ব্যাপারে চাষিদের কমিউনিটিভিত্তিক উদ্বুদ্ধ করে বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিক্রির মাধ্যমে বীজ উদ্যোক্তা সৃজনে উৎসাহ জোগাচ্ছ। আর সে সুবাদে কৃষক পরবর্তী মৌসুমে নিজের সংরক্ষিত বীজ ব্যবহার করে সয়াবিন চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছে বলেও তিনি জানান। 

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকার জানান, গত মৌসুমে হাইমচর এলাকায় ১৫০৮০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তাঁর মতে, নতুন নতুন চর জাগার কারণে সয়াবিন চাষের সম্ভাবনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাতে কৃষকও লাভবান হচ্ছে। বারি ও বিনা উদ্ভাবিত সয়াবিন জাত ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষকরা স্থানীয় জাতও করেন বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এ যাবৎ সয়াবিনের সাতটি জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে। তারমধ্যে বারি সয়াবিন-৫, বারি সয়াবিন-৬ ও বারি সয়াবিন-৭ চাঁদপুরের হাইমচর, হানারচর, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর বিস্তৃত এলাকায় ব্যাপকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বারির সরেজমিন গবেষণা বিভাগ সয়াবিনের চাষ বাড়ানোর জন্য কৃষকদের উপকরণ সহায়তা, নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

পার্টনার প্রোগ্রামের আওতায় সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, কুমিল্লা গত রবি/খরিপ-১ মৌসুমে চাঁদপুরের বাখরপুর ও হানারচরে কমিউনিটিভিত্তিক প্রায় ৪৬ বিঘা জমিতে বারি সয়াবিন চাষ বাড়াতে বিনামূল্যে উপকরণ সহায়তা প্রদান করেছে এবং কৃষক সফলভাবে ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সয়াবিনের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান হানারচরের বয়োবৃদ্ধ কৃষক হানিফ মিজি।

তিনি বলেন, এবার সয়াবিনের বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় তারা বেশ খুশি। এতে তাদের আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে ন্যায্যমূল্যে তাদের উৎপাদিত সয়াবিন নিয়ে যাওয়ায় বাজারজাতকরণে তেমন সমস্যা হয় না বলেও তিনি জানান। 
হানারচর এলাকায় কৃষক একসময় সয়াবিনের স্থানীয় জাত ব্যবহার করতো। বর্তমানে সেখানে উচ্চ ফলনশীল জাত বারি সয়াবিন-৫, বারি সয়াবিন-৭, বিনা সয়াবিন ব্যবহারে কৃষকের ফলনও বাড়ছে বেশ। চাষাবাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহারের বিকল্প নেই। তাই কৃষি বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত জাত উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কুমিল্লা সয়াবিন এর নতুন জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে হানারচরে সয়াবিন এর বিভিন্ন অগ্রগামী লাইন-এর এডাপটিভ ট্রায়াল চলমান রয়েছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর সয়াবিনের একটি নতুন উচ্চফলনশীল (ইনব্রিড) জাত বিইউ সয়াবিন৫ নামে অবমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, জাতটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে, এটি বোল্ড সিডেড, যা ১০০০ বীজের ওজন ২৮৫ গ্রাম, প্রোটিন ৩৮%, তৈল ১৯% এবং ওমেগা ৩-১২.৬ মি.গ্রা/গ্রাম। এটি সাত দিন পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সহনশীল, জীবনকাল ৭০-৮০ দিন এবং এটির ফলন প্রতি হেক্টরে ৩.৪ টন। জাতটি সারা দেশে চাষ উপযোগী। 

সয়াবিন চাষের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্যবহারে কৃষকদের আরও উদ্বুদ্ধ করা গেলে সামগ্রিক সয়াবিন উৎপাদন বাড়বে। তাতে শিল্পের কাঁচামালের জোগান বাড়বে, বহুমুখীপণ্য তৈরির সুযোগ বাড়বে, পশু ও মাছের খাবার তৈরির উপকরণ সহজলভ্য ও খরচ-সাশ্রয় হবে, মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়বে, পতিত ভূমির সুষ্ঠু ব্যবহার হবে এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধির সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে ত্বরান্বিত।

লেখক : প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বারি, সাবেক ন্যাশনাল কনসালটেন্ট, এফএও, জাতিসংঘ

[email protected]

×