ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

যান চলাচল স্বাভাবিক

-

প্রকাশিত: ২০:৩২, ২৭ জুলাই ২০২৪

যান চলাচল স্বাভাবিক

সম্পাদকীয়

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকদিন আগে থেকেই জারি করা হয়েছে কার্ফু। বর্তমানে কার্ফু শিথিল করায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই চলাচল করছে বাস ও লঞ্চসহ বিভিন্ন গণপরিবহন। ইতোমধ্যে ঢাকা নদীবন্দর থেকে স্বল্প দূরত্বে শুরু হয়েছে নৌযান চলাচল। চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ রুটে লঞ্চ আসা-যাওয়া শুরু করেছে। যাত্রী কম হওয়া এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচল এখনো শুরু হয়নি।

একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকা থেকে বিভিন্ন মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসও ছেড়ে যেতে শুরু করেছে। তবে ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টদের মতে, ট্রেন চালানোর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মন্ত্রী, সচিব ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে কবে থেকে ট্রেন চলাচল করবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
কার্ফু শিথিলের সময় সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত। গত কয়েকদিন ধরে গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে রয়েছে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক। এছাড়াও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ব্যাটারিচালিত রিকশা বেশি দেখা গেছে। রাজধানীর মহাখালী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, গুলিস্তান এলাকায় কর্মদিবসগুলোতে যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে।

অফিসের সময় সড়কে যানবাহনের চাপ থাকছে বেশি। বিভিন্ন সড়কে দেখা দিচ্ছে তীব্র যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। রাজধানীতে সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচল করলেও যাত্রী সংকটের কারণে বাসের সংখ্যা তুলনামূলক কম। অতি জরুরি কাজ ছাড়া এখনো বাসার বাইরে খুব কম মানুষ বের হচ্ছেন।  
বর্তমানে বিভিন্ন মহাসড়কে প্রায় দ্বিগুণ গাড়ি চলাচল করছে। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গত কয়েকদিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাকের পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহন ও গণপরিবহন বৃদ্ধি পেয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়গুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশকে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর চিত্রও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এমন অবস্থা চলমান থাকলে অচিরেই বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক পুরোপুরি ব্যস্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কার্ফু শিথিল এবং সড়ক ও নৌপথে যান চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব রুটে এখন গণপরিবহন চলছে। ব্যাংক, বিমা, অফিস, আদালতের কার্যক্রমও অনেকটাই স্বাভাবিক। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় প্রয়োজনীয় কাজে বের হতে পেরে সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করছেন। তারা ভবিষ্যতে দেশে আর কোনো অস্থির বা অস্থিতিশীল পরিবেশ চান না। বর্তমান অনাকাক্সিক্ষত প্রেক্ষাপটের আর পুনরাবৃত্তি না হোক, দেশের স্থিতিশীলতা সর্বদা অটুট থাকুক- এই প্রত্যাশা।

×