ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

ছাত্রশক্তি রূপান্তর হোক দেশপ্রেমে

ড. মো. আবদুর রহিম

প্রকাশিত: ২০:৪০, ২৫ জুলাই ২০২৪

ছাত্রশক্তি রূপান্তর হোক দেশপ্রেমে

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে দেশে ভয়াবহ

আক্রমণের নিখুঁত পরিকল্পনা এবং অব্যর্থ নিশানাই বলে দেয় এরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা ছাত্রদের ব্যানার ব্যবহার করেছে। তাদের হিংসার বহির্প্রকাশ ছিল উন্নয়নের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল আধুনিক বাংলাদেশের প্রতীকসমূহ। মেট্রোরেল, উড়ালসড়ক, তথ্যযোগাযোগ হাব, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম, ব্যক্তিগত জানমাল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ কেপিআই স্থাপনায় আক্রমণের মাধ্যমে তারা জানিয়ে দিয়েছে এই বাংলাদেশ তারা পছন্দ করে না। তারা পছন্দ করে একটি দারিদ্র্যপীড়িত ও অনগ্রসর বাংলাদেশ, যাকে শোষণ করা যায়। উন্নয়নবিরোধী এ শক্তি অতীতেও একই কাজ করেছে

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে দেশে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেছে। অনেক মূল্যবান প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে অনেকে। কয়েকদিনের ঘটনায় ব্যক্তিগত ও জাতীয় অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ অবর্ণনীয়। ধ্বংসযজ্ঞের এমন নৃশংসরূপ বর্তমান প্রজন্ম আগে কখনো দেখেনি। শেষ পর্যন্ত জানমাল রক্ষায় দেশে কার্ফু জারি ও সেনা মোতায়েনের পর ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। জনজীবনে আবারও হয়তো একদিন স্বাভাকিতা ফিরে আসবে।

কিন্তু অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষেত্রে যে ক্ষত সৃষ্টি হলো তা অপূরণীয়। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে শুরু হওয়া কোটা সংস্কারের অরাজনৈতিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়ে গেল। রাষ্ট্র কী শিক্ষার্থীদের আবেগকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে? অন্যদিকে কারা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আবেগ নিয়ে খেলা করল? আমরা জানি শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষোভ আছে, দুঃখ আছে, বেদনা আছে, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ফারাক আছে। অনেক অপ্রকাশিত প্রতিবাদ আছে।

সে প্রতিবাদ প্রকাশ করার অধিকার আছে। প্রতিবাদের ভাষা আছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করার অনেক দৃষ্টান্তও আছে। তবে অরাজনৈতিক আন্দোলনে প্রতিবাদের ভাষা যেন এমন হয় যার সঙ্গে পুরো জাতি একাত্ম হতে পারে। দৃষ্টান্ত যেন এমন হয় যা হয় বীরোচিত কিংবা মর্যাদার প্রতীক। জাতি যাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল তাদের ভাষা কখনো প্রতিবাদের ভাষা হওয়া উচিত নয়। মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় প্রবহমান ধারা এই বাংলায় একবার নয়Ñ বারবার পরাজিত হয়েছে।

সেই পরাজিত শক্তি কোনো না কোনো পরিচয়ে এখনো এদেশে টিকে রয়েছে। সুযোগ পেলেই এরা স্বরূপ উন্মোচন করে। অনুকূল পরিবেশে এরা প্রকাশ্যে আসে, আর প্রতিকূল সময়ে অন্যের ওপর ভর করে চলে। এরা জিততে চায় যে কোনো মূল্যে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ হুমকিতে পড়লে এরা মুচকি হাসি হাসে। কষ্ট পায় শহীদদের আত্মা। মূল্যহীন হয়ে পড়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগ। 
তিন মিলিয়ন মানুষ অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে বাঙালিকে বিজয়ী করার জন্য। স্বাধীনতা-উত্তর প্রজন্ম শহীদের উত্তরসূরি। পরাজিত শক্তির হিং¯্রতা আর ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে এ জাতি যেমন জয়লাভ করেছিল মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর প্রজন্মের জয়ও যেন অনুরূপ হয়। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে তাদের যে বিজয় সেই বিজয় আমরা প্রত্যাশা করি। বাবা-মা হিসেবে, অভিভাবক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে বারবার আমরা সন্তানদের কাছে পরাজিত হতে চাই।

যে পরাজয় আমাদের ছাপিয়ে তাদের কীর্তিমান করে সেই পরাজয় আমাদের গর্বিত করে। কোনো কোনো বিজয় পরাজয়সম আবার কোনো পরাজয় বিজয়কে আলিঙ্গন করে। যে স্লোগানের মাধ্যমে বাঙালি পৃথিবীর ইতিহাসে বিজয়ী জাতির গৌরব অর্জন করেছিল সেই স্লোগানই বর্তমান প্রজন্মের স্লোগান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উর্বর ভূমিতে বিজয়ের স্লোগানের জন্ম হয়েছিল, যা একটি নিরস্ত্র জাতিকে বিজয়ী করেছিল। সেই স্লোগানের উত্তরসূরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অমীয় সম্ভাবনাময় বর্তমান প্রজন্ম যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণা করতে ব্যর্থ হয় তবে রাষ্ট্র ফিরে যাবে পাকিস্তানি ধারায়। স্বাধীনতার অহঙ্কার হবে ভূলুণ্ঠিত।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অধিকার আদায়ের স্লোগান সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা দিয়েছে সেটা গ্রহণ করতে হবে। বিশাল মিছিলের মধ্যে অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারে। তার দায় তারা গ্রহণ করেনি সেটাই বড় কথা। আন্দোলনের পরবর্তী পরিক্রমা বলে দেয় সেখানে কী ঘটেছিল। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে ভর করে যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তার দায় অনুপ্রবেশকারীদেরই। কেননা, শিক্ষার্থীরা তাদের প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ‘ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের সঙ্গে কোটা আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।’

শিক্ষার্থীদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে যারা ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল তাদের বোঝা উচিত এই বাংলার শিক্ষার্থীরা অপশক্তির হাতের ক্রীড়নক নয়। যারা তাদের ভুল বুঝেছেন তারাও শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীলতার জায়গাটা অনুধাবন করুক। কেননা, এত বড় একটা প্রজন্মকে দূরে ঠেলে দিয়ে জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। 
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যতক্ষণ নিজেদের গ-িতে ততক্ষণ আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। তারা কোটার যুক্তিসঙ্গত সংস্কার চেয়েছিল; বাতিল চায়নি– যা বুদ্ধিমত্তা এবং ন্যায্যতার পরিচায়ক। রাষ্ট্র এগিয়েছে। বৈষম্য অনেক ক্ষেত্রে কমে এসেছে। এ সকল বিবেচনায় কোটা সংস্কার শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি ছিল তা কেউ অস্বীকার করেনি। রাষ্ট্রও সে বিষয়ে নির্লিপ্ত ছিল না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারের ভেতরে ভেতরে কিছু আলোচনাও চলছিল। তবে তাতে অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। সময়ের প্রশ্নে রাষ্ট্রের কাছে অনেক যুক্তি থাকতে পারে। কিন্তু মধ্যবর্তী সময়ের এই সুযোগ অন্যেরা নিয়েছে।

তলে তলে সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী সংগঠিত হয়ে তাদের প্রস্তুতির কাজ সেরে নিয়েছে তা হয়তো বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীদেরও এ ধরনের কূটকৌশল বুঝতে পারার কথা নয়। আক্রমণের নিখুঁত পরিকল্পনা এবং অব্যর্থ নিশানাই বলে দেয় এরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা ছাত্রদের ব্যানার ব্যবহার করেছে। তাদের হিংসার বহির্প্রকাশ ছিল উন্নয়নের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল আধুনিক বাংলাদেশের প্রতীকসমূহ।

মেট্রোরেল, উড়ালসড়ক, তথ্যযোগাযোগ হাব, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম, ব্যক্তিগত জানমাল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ কেপিআই স্থাপনায় আক্রমণের মাধ্যমে তারা জানিয়ে দিয়েছে এই বাংলাদেশ তারা পছন্দ করে না। তারা পছন্দ করে একটি দারিদ্র্যপীড়িত ও অনগ্রসর বাংলাদেশ, যাকে শোষণ করা যায়। উন্নয়নবিরোধী এ শক্তি অতীতেও একই কাজ করেছে। এরা চিহ্নিত অপশক্তি। এসব সন্ত্রাসী এবং ধ্বংসাত্মক কাজের ভয়বহতা শিক্ষার্থীদের হতভম্ব করে। তাই তারা এক পর্যায়ে এসব ধ্বংসাত্মক কাজে শিক্ষার্থীদের  সম্পর্ক নেই ঘোষণা দেয়, যা দায়িত্বশীল নাগরিকের পরিচায়ক।

প্রসঙ্গত বলা দরকার- কোটা সংস্কার আন্দোলন ভাবনার কয়েকটি দিক উন্মোচন করেছে। আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের মিছিলে নিয়মিত অংশ নিয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে মিছিল করতে তারা বাধ্য হয়েছেন। ছাত্রলীগের ওপরতলার নেতৃত্ব থেকে শুরু করে অন্য যারা কোটা আন্দোলনে যুক্ত হননি তারাও মনে করতেন কোটার যৌক্তিক সংস্কার প্রয়োজন। কোটা সুবিধা যারা পেতে পারে তারাও কেউ কেউ এর সংস্কার চেয়ে মিডিয়ায় কথা বলেছেন, যেমন– নারী শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি।

সরকারি দলও দাবি অস্বীকার করেনি। আবার কোটার সুবিধাপ্রাপ্ত অনেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যে আদর্শের ভিত্তিতে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে চাকরি পেয়েছেন সেই আদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি, তারও কিছু দৃষ্টান্ত আছে। কোটার প্রশ্নে সবাই যখন মোটামুটি একমত ছিল, তাহলে সমস্যাটা কোথায়? এ বিষয়টি নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। আমরা মনে করি সমস্যা হলো একে অপরকে বোঝাবুঝির। পক্ষগুলো সরাসরি আলোচনার টেবিলে বসতে পারলে হয়তো এ দূরত্ব ঘুচে যেত। ঘটনা এতদূর গড়াত না। হয়তো মূল্যবান জীবন ও সম্পদহানি এড়ানো যেতে পারত।

আগেই বলেছি, দুপক্ষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মধ্যে যে ফারাক ছিল তা পূরণ করেছে সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী। এরাই হয়তোবা দূরত্ব আরও বৃদ্ধি করেছে। এই সুযোগে মাঠে নেমেছিল প্রশিক্ষিত খেলোয়াড়রা। খেলার মাঠ কখনো খালি থাকে না। ছাত্রদের একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর ভর করে ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে। তার প্রকৃতি উনিশ একাত্তর এবং দুই হাজার তেরো-চৌদ্দর ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আর জানমালের ওপর আক্রমণ চলাকালে ঘটনার আকস্মিকতায় আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেছেন, অগ্নিসংযোগ আর ধ্বংসাত্মক কাজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জড়িত নয়। মিডিয়ার তথ্যেও উঠে এসেছে ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িতরা শিক্ষার্থীদের বয়সসীমার ওপরে। সরকার বলেছে, এ আন্দোলন আন্দোলনকারী ছাত্রদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। এটা ঠিক যে, সরকারের বৈধ হাত সময়মতো সঠিক কাজটি করতে না পারায় এ আন্দোলনে মুখোশধারী সুযোগসন্ধানীরা তাদের কালো হাত সক্রিয় করে তুলেছে। এটা তো স্বতঃসিদ্ধ কথা- কেউ না কেউ তোমার পাশে থাকবে।

ভিন্ন শক্তি পাশে ছিল তার অনেক আলামত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলেছে। অনেক আগন্তুকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে ক্যাম্পাসে। অনেকের মুখে কালো কাপড় বা গামছা বাঁধা ছিল, হাতে লাঠি, পিঠে ব্যাগ, যাদের আগে কখনো দেখা যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের নির্দেশনা মেনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে হল প্রভোস্ট এবং আবাসিক শিক্ষকগণ ঘটনার দুদিন রাতভর হলে অবস্থান করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা অনেকটা ট্রমাটাইজ অবস্থার মধ্যে ছিল। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন সব আচরণ করা হয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের গ-ি ছাড়িয়ে গেছে। 
অনেক চেনা মানুষকে সেদিন অচেনা মনে হয়েছে। অনেকের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আমরা পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তারা তখন প্রশংসা করেছিল। ঘটনার দিন তাদের জিজ্ঞেস করলাম, ‘একদিনের মধ্যে কী এমন হলো যাতে এত খারাপ হয়ে গেলাম’। তখন তারা বলেছে, আপনারা ‘ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দেন’। তাদের বললাম, ‘ছাত্রলীগের মিছিল তো তোমরাই করেছো। অনেকেই ছাত্রলীগের হয়ে আমাদের চাপ সৃষ্টি করেছে।

ছাত্রলীগের কোনো কিছু যদি খারাপ হয়ে থাকে তার দায়ভার এড়াবে কী করে’? তারা বলেছে তারা নিরুপায় হয়ে ছাত্রলীগ করেছে। তার মানে দাঁড়ালো ছাত্রলীগের একাংশ ‘নিরুপায় হয়ে ছাত্রলীগ করেছে,’ আরেকটি অংশ সুযোগসন্ধানী ছাত্রলীগ, যারা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন সব আচরণ করেছে, যা শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্ধ করেছে। তাহলে ছাত্রলীগের আদর্শিক রাজনীতি কোথায় ছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা দরকার।
দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ঘটেছে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। এ ঘটনাকে একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করা সকলের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ছাত্রশক্তির এই সম্মিলিত রূপকে দেশপ্রেমে রূপান্তর করতে হবে। ছাত্রদের প্রতিপক্ষ ভেবে দূরে ঠেলে না দিয়ে তাদের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে চিহ্নিত সমস্যার সমাধান করতে হবে।

নতুন করে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে তখন তারা যেন শিক্ষার সুন্দর একটি পরিবেশ পায়, যা হবে তার ন্যূনতম প্রত্যাশার কাছাকাছি। ছাত্রদের জীবনমানের উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক জাগরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। একে অপরকে দোষারোপ না করে সোনালি দিনের প্রত্যাশায় সামনে তাকানো উচিত সকলের।  


লেখক :   অধ্যাপক, প্রাধ্যক্ষ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

×