ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

অজ্ঞান পার্টির আতঙ্ক

জাহাঙ্গীর ডালিম

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ২৪ জুলাই ২০২৪

অজ্ঞান পার্টির আতঙ্ক

দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে

বর্তমানে নতুন একটি পন্থা  দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ পন্থায় একজন প্রতারক কিংবা ছিনতাইকারী ভুক্তভোগীকে চাইলেই কাবু করে নিজের ইশারায় নাচাতে পারেন। হুঁশ ফেরার পর একে একে তার মনে পড়তে থাকে আগের ঘটে যাওয়া সব দৃশ্য। তবে ততক্ষণে সব শেষ। আর এ অপরাধ সংঘটিত করতে ব্যবহার করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর নেশা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ বা স্কোপোলামিন। শয়তানের নিঃশ্বাস একটি হেলুসিনেটিক ড্রাগ। রাসায়নিকভাবে এটি স্কোপোলামিন নামে পরিচিত।

স্কোপোলামিন একটি প্রাকৃতিক বা কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত ট্রোপেন অ্যালকালয়েড এবং অ্যান্টিকোলিনার্জিক ড্রাগ। এটি মস্তিষ্কের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। দুর্বৃত্তরা লোকজনকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নিতে এটি ব্যবহার করে। বর্তমানে এটি মাদক হিসেবে বা হেলুসিনেটিক ড্রাগ হিসেবে খুব ব্যবহৃত হচ্ছে। নানাভাবে ও নানা কৌশলে এটি প্রয়োগ করা হয়। যেমন, হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে, ঘ্রাণের মাধ্যমে, খাবারের সঙ্গে, চিরকুটের মাধ্যমে, কোমল পানীয়র সঙ্গে, বাতাসে ফুঁ দিয়ে। স্কোপোলামিন তরল ও শুকনো দুই ফরমেটেই পাওয়া যায়।

এ ড্রাগটি ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি দূরত্ব থেকে শ্বাসের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে, যার প্রতিক্রিয়া থাকে ২০ থেকে ৬০ মিনিট। এর প্রভাবে শরীরে কোনো প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না বা বাইরের কোনো আক্রমণে শরীর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানোর মতো অবস্থায়ও থাকে না।
এ অবস্থায় ভুক্তভোগীর আচরণ হয়ে যায় বশীভূত বা সুতায় বাঁধা পুতুলের মতো। তীব্র হেলুসিনেশন শুরু“ হয়। অন্যের দেওয়া আদেশকে যান্ত্রিকভাবে অনুসরণ করতে বাধ্য করে। মানে আপনি নিজে কিছু করতে পারবেন না, শুধু সামনের লোক যা বলবে তাই করবেন রোবটের মতো। ছিনতাইকারী প্রতিরোধ করতে হলে সকলকে এবং প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।  পথচারীদের সামনেই করছে কেউ এগিয়ে প্রতিরোধ করছে না।

কে আগে ভিডিও করে কার আগে কে ফেসবুকে পোস্ট দেবে এই নিয়ে  ব্যস্ত থাকে। যতক্ষণ ভিডিও ও ছবি তুলবে ততক্ষণে তারা ছিনতাইকারী কে ধরতে পারবে, আর একজন মানুষকে ছিনতাইকারীর হাত থেকে বাঁচাতে পারবে। তাই মানবিক হোন, সচেতন হোন।

আমলাপাড়া, নারায়ণগঞ্জ থেকে

×