ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

ছিনতাই রোধে করণীয়

আবদুর রহমান জামী

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২৪ জুলাই ২০২৪

ছিনতাই রোধে করণীয়

ছিনতাই শুধু নগরকেন্দ্রিক সমস্যা

ছিনতাই শুধু নগরকেন্দ্রিক সমস্যা নয়, উপশহর ও নগরসংলগ্ন এলাকায় এই সমস্যা প্রকটিত। বিশেষত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে ছিনতাই চক্র গড়ে উঠেছে। তারা নাগরিকদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ ওয়ালেট, ব্যাগ হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে একটি অপরাধ অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। বছরের দুই ঈদ মৌসুমকে কেন্দ্র করে ঈদ বাণিজ্যের আগে ও পরে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য তুলনামূলক বেড়ে যায়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা যায়, ঈদ শেষের ফাঁকা ঢাকায় প্রায় ৬ হাজার ছিনতাইকারী সক্রিয় ছিল। ঢাকায় অবস্থানকারী নাগরিকদের ভাষ্য মতে, পুলিশই তাদের ভরসা। পুলিশের অবিচল টহলের বিকল্প নেই-এমন অভিমত ঢাকা সিটির অধিবাসীদের। নাগরিকদের অর্থ, দ্রব্য ও নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র ছিনতাইকারীদের খপ্পর হতে রক্ষার জন্য ঈদ শেষের ফাঁকা ঢাকায় আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
এক. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর বিশেষ অভিযান:  সর্বাগ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও শিল্প পুলিশ) সদস্যদের বিশেষ অভিযান বাড়াতে হবে। বছরের অন্য সময়ে এই ছিনতাইবিরোধী অভিযান স্তিমিত করা উচিত হবে না।
দুই. ছিনতাই ঘটনাবহুল স্পট এড়িয়ে চলা : ঢাকা সিটি ও চট্টগ্রাম সিটির এমন কিছু স্পট রয়েছে, যা ছিনতাই কেন্দ্রিকতার বাইরে। ঈদ শেষের ফাঁকা ঢাকায় ছিনতাই বহুল স্পট এড়িয়ে চলার জন্য সরকার কর্তৃক বিশেষ নির্দেশনা জারি করা যেতে পারে।
তিন. ছিনতাইকে নিরুৎসাহিত করা: ছিনতাই পেশায় যাতে করে কর্মহীন যুবক বা অন্য বয়সের কেউ যুক্ত হতে না পারে, এ জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয়ের উদ্যেগে ‘নিরাপদ ঢাকা : ছিনতাইমুক্ত এলাকা’ ‘ছিনতাই কোন পেশা নয়’ এ ধরনের ক্যাম্পেইন চালানো যেতে পারে।
এমন উদ্যোগ হয়তো ছিনতাইমুক্ত সিটি ও ছিনতাইকারীদের পেশা পরিবর্তনের দ্বার উন্মোচিত করবে এবং একটি ছিনতাইমুক্ত নগর গড়ে উঠবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে

×