ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে ভোজ্যতেল উৎপাদন

ড. মিহির কুমার রায়

প্রকাশিত: ২১:১৬, ২৩ জুলাই ২০২৪

খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে ভোজ্যতেল উৎপাদন

খাদ্য নিরাপত্তায় ভোজ্যতেল এখন নতুনরূপে আবির্ভূত হয়েছে

মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মাথাপিছু দৈনিক ৪০ গ্রাম ধরে ২০৩০ সালে ভোজ্যতলের দেশীয় চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২৮ লাখ টন। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ভোজ্য তেল আমদানি করতে সরকারকে প্রতিবছর ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয় (২০২৩)। বর্তমানে ২৪ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে দেশে ভোজ্য তেল (সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী) স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র ৩ লাখ টন, যা চাহিদার মাত্র সাড়ে ১২ শতাংশ। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে মেটানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার

খাদ্য নিরাপত্তায় ভোজ্যতেল এখন নতুনরূপে আবির্ভূত হয়েছে বিশেষত পুষ্টির কথা বিবেচনায়। মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মাথাপিছু দৈনিক ৪০ গ্রাম ধরে ২০৩০ সালে ভোজ্যতলের দেশীয় চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২৮ লাখ টন। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ভোজ্যতেল আমদানি করতে সরকারকে প্রতিবছর ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয় (২০২৩)। বর্তমানে ২৪ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে দেশে ভোজ্যতেল (সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী) থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র ৩ লাখ টন, যা চাহিদার মাত্র সাড়ে ১২ শতাংশ। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে মেটানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

ভোজ্যতেল হিসেবে সরিষার গুরুত্ব
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ভোজ্যতেলের মধ্যে সরিষার তেলই প্রধান, যা মোট উৎপাদনের প্রায় ৩৬ শতাংশ। সয়াবিন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলবীজ, যা বছরে প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টন উৎপাদন হয়। তবে এর পুরো পরিমাণ নিষ্কাশন ছাড়াই পোলট্রি ফিড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উল্লেখ্য, ভোজ্যতেল হিসেবে সরিষার তেলে সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ ৩০ শতাংশের নিচে। অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ ৫০ শতাংশের ওপরে, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬-এর অনুপাত ১:২ বিদ্যমান, যা পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত।

ভোজ্যতেল হিসেবে সরিষার তেলের চাহিদা বৃদ্ধি, অনুকূল আবহাওয়া, সরিষা আবাদে কৃষকের সচেতনতা বৃদ্ধি ও উচ্চফলনশীল জাতের সরিষা কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ হওয়ায় চলতি অর্থবছরে সরিষার উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়েছে। কয়েক বছর আগেও মানুষ সরিষার তেল খাওয়া ভুলে গিয়েছিল। এখন প্রায় সবাই সরিষার তেল খাচ্ছে। কারণ, সয়াবিনের চেয়ে সরিষার তেলের উপকারিতা অনেক বেশি। উল্লেখ্য, তেলবীজ আবাদি জমির প্রায় ৬০ শতাংশ সরিষা এবং কমবেশি সব জেলাতেই সরিষার চাষ হয়। ডিএই সূত্রে জানা যায়, দেশে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৬ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদে উৎপাদিত সরিষার পরিমাণ ছিল ৭ দশমিক ৩৫ লাখ টন।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরিষার আওতায় জমির পরিমাণ বাড়ে প্রায় ২ লাখ হেক্টর। সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক ‘তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প’-এর আওতায় জুন ২০২৫ সালের মধ্যে প্রত্যাশার অনুকূলে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ শতাংশ দেশীয় উৎপাদন দিয়ে মেটানো সম্ভব হতে পারে। ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমাতে বাংলাদেশে তেল জাতীয় ফসল সরিষা চাষের আওতায় জমির পরিমাণ বৃদ্ধিসহ উচ্চফলনশীল জাতের সরিষা দ্রুত সম্প্রসারণ ও উৎপাদন কলাকৌশলে আধুনিক পদ্ধতির অনুসরণই একমাত্র উপায়।

সরিষার চাষে শস্যবিন্যাস
বাংলাদেশে সাধারণত আমন ধান চাষের পর জমি পতিত থাকে। এর পর সেই জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়। তেলের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজন আমন ধানের পর জমি পতিত না রেখে স্বল্পমেয়াদি সরিষার আবাদ করা। এজন্য দেশের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে স্বল্প জীবনকালের (১০০ থেকে ১২০ দিন) অথচ উচ্চফলনশীল আমন ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন, যেগুলো মূল জমিতে চারা রোপণের মাত্র ৮০ থেকে ৯৫ দিনের মধ্যেই ঘরে তোলা যায়। এর পর জমি পতিত না রেখে উন্নত জাতের সরিষা চাষ করা সম্ভব হচ্ছে।

যেগুলো ৮০-৮৫ দিনের মধ্যে পরিপক্ব হওয়ায় একই জমিতে আবারও বোরো ধান চাষ করে প্রচলিত দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলিতে রূপান্তর করা সম্ভব। বাংলাদেশে প্রায় ২২ লাখ হেক্টর জমি আমন-পতিত-বোরো শস্যবিন্যাসের অন্তর্ভুক্ত (সূত্র : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর)। বাংলাদেশে সরিষা বপন-পরবর্তী অগ্রহায়ণ (মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য ডিসেম্বর) মাসে নিম্নচাপজনিত বৃষ্টিপাতের কারণে জমিতে সাময়িক জলাবদ্ধতায় দেশী জাতের সরিষা টরি-৭সহ অন্যান্য উচ্চফলনশীল জাত নষ্ট হলেও বারি সরিষা-১৮ ও বারি সরিষা-১৯ জাত পাঁচদিন পর্যন্ত সাময়িক জলাবদ্ধতা/জলমগ্নতা সহিষ্ণু হওয়ায় কৃষকরা ফসলহানি থেকে রক্ষা পাচ্ছে। কাজেই উচ্চফলনশীল ও স্বল্পমেয়াদি বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭সহ বারি সরিষা-১৮ জাতের আবাদ নিশ্চিতকরণ; শস্যবিন্যাসে উল্লিখিত সরিষার জাতগুলোর অন্তর্ভুক্তিকরণসহ পতিত জমি ও চরাঞ্চলে সরিষার জাতগুলোর আবাদ সম্প্রসারণের মাধ্যমে ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব।

সরিষার আবাদ বাড়াতে প্রযুক্তি
সরিষার আবাদ বাড়াতে এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদি আমন আবাদের পর স্বল্পমেয়াদি সরিষার জাত আবাদে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জাত মাঠে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। এর ফলে আমন আবাদ শেষে সরিষা আবাদ করেও বোরো ধান চাষ করা সম্ভব। এতে কৃষক সরিষা আবাদে আরও বেশি আগ্রহী হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিবছরই বেড়েছে সরিষার আবাদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরিষা আবাদ হয়েছিল ৪ লাখ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে।

পরের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ লাখ ২১ হাজার হেক্টরে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার হেক্টর, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ লাখ ১০ হাজার হেক্টর এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল।
এদিকে ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২- এই পাঁচ অর্থবছরে সরিষার উৎপাদন যথাক্রমে ৬ লাখ, ৬ লাখ ৮৩ হাজার, ৭ লাখ ৫০ হাজার, ৭ লাখ ৮৭ হাজার ও ৮ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে সরিষার আবাদ হয় ৮ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয় ১১ লাখ ৬০ হাজার টন। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ লাখ ৯৮ হাজার হেক্টর, সমপরিমাণ জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ২৯ হাজার টন।

তথ্যমতে এবার ১০ লাখ ৯৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। সেই হিসাবে চলতি মৌসুমে ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ২ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষি গবষেণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীগণ পরিবর্তনশীল আবহাওয়া উপযোগী ও উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, যা তেলবীজ উৎপাদনে সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা (চাহিদার ৪০ শতাংশ) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বারি উদ্ভাবিত সরিষার জাতগুলোর বীজের সহজলভ্যতার জন্য প্রয়োজন সরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএডিসি এবং বেসরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উন্নত জাতের মানসম্পন্ন বীজ পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন।

একই সঙ্গে প্রয়োজন কৃষি সম্প্রসারণ ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মাধ্যমে সরিষা চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ, সরিষার সঠিক চাষাবাদ পদ্ধতি বিষয়ে কৃষকদের অবহিতকরণ, মাঠ পর্যায়ে মনিটর জোরদারকরণ এবং যথাসময়ে বীজ সরবরাহের নিশ্চয়তা প্রদান।

সরিষার আবাদে প্রকল্প গ্রহণ
দেশে তেলজাতীয় ফসলের আবাদ বাড়াতে ‘তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়। শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনে। প্রকল্পের ব্যয় ২২২ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত বছর ১৩ হাজার ৯৭৯টি প্রদর্শনী করা হয়। এসব প্রদর্শনীতে ৩ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। তবে এবার প্রদর্শনীর সংখ্যা কমেছে। চলতি বছর ১৩ হাজার ৫৭৪টি প্রদর্শনী করা হয়েছে। এসব প্রদর্শনীতে বীজ ও সার সবই বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘আমাদের যে টার্গেট সেই সঠিক ধারাতেই রয়েছি।

আমাদের লক্ষ্য ছিল ৩ বছরে ৪০ শতাংশ আমদানি কমিয়ে আনার। প্রথম বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। দ্বিতীয় বছরে যে লক্ষ্যমাত্রা আশা করি তাও পূরণ হবে। এ বছর তেলজাতীয় ফসলের আমদানি ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আগামী বছরের মধ্যেই আমরা আমদানি ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারব। তিনি আরও বলেন, এখন শুধু তেলের চাহিদাই বিবেচনা করা হচ্ছে না, পুষ্টির কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। যাতে সঠিক পুষ্টিটা মানুষ পায়।’ 
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে গত বছর ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোজ্যতেল আমদানি কমেছে। আশা করছি এ বছর ২৫ ভাগ আমদানি কমে আসবে। তথ্যমতে দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র ৩ লাখ টন, যা চাহিদার মাত্র ১২ শতাংশ। বাকি ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। এর মধ্যে আবাদ হয়েছে প্রায় ১১ লাখ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও গতবারের চেয়ে এবার প্রায় ৩ লাখ হেক্টর জমিতে আবাদ বেড়েছে।

সরিষার আবাদ বাড়াতে হেক্টর প্রতি সরিষার উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। সে লক্ষ্যে গতানুগতিক জাতের পরিবর্তে বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা-৪ ও বিনা-৯ জাতের সরিষা আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। দুটি ধান ফসলের মাঝখানে সরিষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রোপা আমনে স্বল্প জীবনকালের ধান ব্রি ধান-৭১, ব্রি ধান-৭৫, ব্রি ধান-৮৭, বিনা ধান-৭ ও বিনা ধান-১৭ এগুলো রোপণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। এরপর স্বল্পকালীন সরিষা বারি-১৪, বারি-১৭, বিনা-৪ ও বিনা-৯ জাতের সরিষা বপণ করা হয়। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে মেটাতে সরিষার আবাদ বাড়াতে কাজ করছে সরকার।

গত বছর ১০ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদে প্রণোদনা দেওয়া হয়। এ বছর তা বাড়িয়ে ১২ লাখ হেক্টরে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এতে উপকারভোগী হয়েছে ১২ লাখ পরিবার। প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের সরিষা বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এবারও বীজ ও সার পেয়েছেন কৃষকরা।
ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমাতে এবং সরিষার আবাদ বাড়াতে কৃষকদের সার-বীজ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অন্য ফসলের চেয়ে সরিষা সহজ ও অল্প খরচে চাষ করা যায়। একই সঙ্গে পাওয়া যায় পুষ্টিকর মধু। খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি একটি সুসংবাদ বলা যায়।

লেখক : অধ্যাপক ও ডিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা

×