ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

জনসেবায় সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ২১:০০, ২৩ জুলাই ২০২৪

জনসেবায় সেনাবাহিনী

সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রের যে কোনো প্রয়োজনে জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের  দুর্যোগ, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস বা মহামারিতে সেনা সদস্যদের ভূমিকা বরাবরই অগ্রগামী। সম্প্রতি কক্সবাজারে আটকে পড়া পর্যটকদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ৫০টি চেয়ার কোচ দেওয়া হয়েছে। এতে তিন হাজার পর্যটক নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করতে পারবেন। হোটেল-মোটেল ওনার্স- অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক করিমুল্লাহ করিম জানান, কক্সবাজারে অন্তত আট হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন।

তাদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে প্রশাসনের পাশাপাশি তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনীও। করোনাকালে লকডাউন কার্যকর করতেও  সেনাবাহিনীর অবদান ছিল প্রশংসনীয়। স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়াসহ যে কোনো প্রয়োজনে তারা ছিল পাশে। সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি সব রকমের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে সেনাবাহিনী। দুস্থ ও অসহায়দের দিয়েছে ত্রাণ সহায়তা। 
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে টানা কয়েকদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে অনেক। সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারাদেশে জারি করেছে কার্ফু। এখন পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই    সেনাবাহিনীর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে জনগণকে। অতীতেও তারা নানা কাজের মাধ্যমে হয়েছেন প্রশংসিত।
২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনে গঠিত কেয়ারটেকার সরকারকে সেনাবাহিনী পূর্ণ সহযোগিতা করায় ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে ২০০৮ সালে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছিল। দেশের প্রায় ৩০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত। এর মাধ্যমে প্রতি বছর দেশ অর্জন করছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। শান্তিরক্ষী  বাহিনীতে তারা বহুকাল যাবৎ কাজ করছেন অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে। সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলনে দেশে তৈরি হয়েছে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। সাধারণ ছাত্রদের সামনে রেখে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের সুবিধা আদায়ের অপচেষ্টা চালিয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার   সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। এরপরই দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি। বাজার ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে পণ্যবাহী ট্রাক আনা-নেওয়া কার্যক্রমেও করেছে সহযোগিতা। মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর অবদান ও আত্মত্যাগ অপরিসীম। দেশের যে কোনো জরুরি সেবায় সর্বপ্রথম এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী। জনগণের উচিত তাদের কর্তব্যকাজ সুষ্ঠভাবে সম্পাদনে সহায়তা করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের নিষ্ঠা ও কাজের মাধ্যমে সমুজ্জ্বল হয়েছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।

×