ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ৮ জুলাই ২০২৪

ঢাকার দিনরাত

ঢালাওভাবে কোটা প্রথা তুলে দেওয়ার পক্ষে নয় বহু জ্ঞানীগুণীজন

ঢালাওভাবে কোটা প্রথা তুলে দেওয়ার পক্ষে নয় বহু জ্ঞানীগুণীজন। তবে যারা শিক্ষার্থী, যারা ভবিষ্যতে হবে চাকরিপ্রার্থী, তাদের বেশিরভাগই কোটা বাতিলের পক্ষে। ক’দিন ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কে প্রচণ্ড যানজট হয় শিক্ষার্থীদের অবস্থান গ্রহণের কারণে। মানুষের চরম দুর্ভোগ হয়েছে।  রবিবার এ কলাম লেখা শুরু করার পর আবার চোখ বুলাই আমাদের জনকণ্ঠের প্রথম পাতায়। সবচেয়ে বড় ছবিটিতে দেখছি প্রচুর মানুষ। ক্যাপশনে লেখা কোটা বাতিলের দাবিতে শনিবার রাজধানীর শাহবাগ এলাকা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকায় এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া। মানুষের মৃত্যু অবধারিত। তবু কোনো কোনো মৃত্যু আমাদের নাড়া দিয়ে যায়। কিভাবে কখন মৃত্যু হলো, এসব বিষয় নিয়েও আমাদের কৌতূহল থাকে। ভিন্নরকম কিছু হলে অজান্তেই আমাদের কণ্ঠ দিয়ে ধ্বনি নিঃসৃত হয়ে ওঠে আহা! অশ্রুসজল হয়ে ওঠে চোখ। দেশের প্রতিভাবান দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের প্রস্থান যেন তেমনই। শুধু সতীর্থ ও নিকটজনই নয়, তাকে হারিয়ে কেঁদেছেন বহু মানুষ।

কেউ তাকে চিনতেন, কেউ চিনতেন না। একইসঙ্গে আশ্চর্যের ও পীড়াদায়ক বিষয় হচ্ছে, তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন তার জীবনের প্রিয়প্রাঙ্গণ, বলা যায় তার একান্ত নিজের স্থান দাবা খেলার মঞ্চেই। দাবা ছিল জিয়ার নেশা ও পেশা। মৃত্যুও হলো দাবা খেলতে খেলতেই! ৪৮তম জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা চলছিল পল্টনে দাবা  ফেডারেশনে। জিয়া ১২ রাউন্ডে লড়ছিলেন আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের সঙ্গে। দাবা খেলতে খেলতেই আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে তার।  

কোটা বাতিল ইস্যুতে নাগরিক ভোগান্তি
ঢালাওভাবে কোটা প্রথা তুলে দেওয়ার পক্ষে নয় বহু জ্ঞানীগুণীজন। তবে যারা শিক্ষার্থী, যারা ভবিষ্যতে হবে চাকরিপ্রার্থী, তাদের বেশিরভাগই কোটা বাতিলের পক্ষে। ক’দিন ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কে প্রচ- যানজট হয় শিক্ষার্থীদের অবস্থান গ্রহণের কারণে। মানুষের চরম দুর্ভোগ হয়েছে। রবিবার এ কলাম শুরু করার পর আবার চোখ বুলাই আমাদের জনকণ্ঠের প্রথম পাতায়। সবচেয়ে বড় ছবিটিতে দেখছি প্রচুর মানুষ।

ক্যাপশনে লেখা কোটা বাতিলের দাবিতে শনিবার রাজধানীর শাহবাগ এলাকা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রকাশিত সংবাদ থেকে খানিকটা তুলে দিচ্ছি। লেখা হয়েছে: “ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা কোটা বিরোধীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি আজ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সবকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবারও বিক্ষোভ করেছেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। এর পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, রংপুর, কুষ্টিয়া ও চট্টগ্রামে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রবিবার থেকে সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। খবর স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতার। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা ১ জুলাই থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করছেন।

ঢাবি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে শনিবার রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। এক ঘণ্টার মতো অবরোধ শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সেখান থেকে সরে দাঁড়ান তাঁরা। তবে অবরোধ প্রত্যাহারের আগে রবিবার বেলা তিনটা থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন থেকে মাঠপর্যায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।”

লেখক সম্মিলন লেখক সম্মাননা
ঢাকায় লেখকদের তেমন আড্ডা হয় না। বরং কোনো সাহিত্য অনুষ্ঠান হলে সেখানে লেখকরা আড্ডায় মিলিত হন। এক টেবিলের গালগল্প অন্য টেবিলেও বিস্তৃত হয়। এখন দুয়েকটি সংবাদপত্র লেখক পুরস্কার সভার আয়োজন করে। সেখানে লেখক সমাবেশ ঘটে। রোজার ঈদের আগে আমরা দেখি ঈদসংখ্যার প্রকাশ উপলক্ষে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন ইফতার পার্টির আয়োজন করে। এগুলোও প্রকৃতপক্ষে লেখক-আড্ডায় পরিণত হয়।
২০১১ সালে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার’ চালু করা হয়। সম্ভবত ২০১৩ সালে প্রথম যাই এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে। সেবার আমার প্রিয়ভাজন সাহিত্যিক-অনুবাদক মাসরুর আরেফিন পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতিটি আয়োজনেই গিয়েছি, মূলত লেখকদের সঙ্গে আড্ডা দিতেই।  গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হলো ২০২২ সালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে মিলিত হয়েছিলেন বরেণ্য কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা। এবার আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন বর্ষীয়াণ লেখক ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক।

সাহিত্যের সৃজনশীল শাখায় ‘অনিদ্রার কারুকার্য’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন কবি ময়ুখ চৌধুরী। প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ শাখায় ‘কবিতায় নান্দনিকতা : প্রাচীনকাল ও মধ্যযুগ’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন বেগম আকতার কামাল। তরুণ সাহিত্যিক শাখায় ‘অরিগামির গোলক ধাঁধায়’ গল্পগ্রন্থের জন্য পুরস্কার জিতেছেন মাহরীন ফেরদৌস। সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপসম্পাদক মাহবুব আজীজ।  
৯৫ বছর বয়সে স্বজনদের সহায়তায় অনুষ্ঠানে আসেন আহমদ রফিক। সম্মাননা গ্রহণ শেষে অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, যে কোনো পুরস্কার সবসময়ই ভালো কাজের প্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়। মনে হয়, আরও কিছুকাল বেঁচে থাকি, আরও কিছু কাজ করি। তবে আমার বড় দুর্ভাগ্য, এখন শরীরে অসুখ বেঁধেছে; চোখে ভালো দেখতে পাই না। কানেও ভালো শুনতে পারি না। আমার পক্ষে নতুন কিছু করা এখন অসম্ভব। তবু নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখি।

পুরস্কার গ্রহণ করে কবি ময়ুখ চৌধুরী বলেন, এখানে বহু জ্ঞানী-গুণীকে এক কক্ষে পেয়েছি। এতদিন তাদের অনেককে দূর থেকে চিনতাম। তাদের সাহচর্যে এসে ভালো লাগছে। ৭৪ বছর বয়সে এসে কবিতার জন্য স্বীকৃতি পেয়ে আমি আনন্দিত। জুরি বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। কবিতা লেখার আনন্দই আমার পুরস্কার। 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাহিত্যের প্রধান কাজ মানুষের মধ্যে সংযোগ ঘটানো। সাহিত্য মানুষকে আনন্দ দেয়, যেমন দেয় গান ও নৃত্য। সাহিত্যচর্চা যারা করছেন, তারা এ জন্যই আমাদের সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের পুরস্কার সাহিত্যচর্চাকে আরও উৎসাহিত করবে। তাদের সম্মানিত করে আমরা নিজেরা সম্মানিত হলাম। সাহিত্য মানুষকে সামাজিক করে। তাই সাহিত্যের যেমন পাঠক দরকার, তেমনি দরকার পৃষ্ঠপোষকতা। 
বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে এসেছিলেন অনেক লেখক। ক’জনের নাম আর বলব। নাসরীন জাহান, মোহিত কামাল, শিহাব সরকার, বিমল গুহ, কামরুল হাসান, টোকন ঠাকুর, মজিদ মাহমুদ, শোয়াইব জিবরান, ওবায়েদ আকাশ, অরবিন্দ চক্রবর্তী, মাহমুদ হাফিজ, কাজী রাফি, মুম রহমান, দ্বিতীয় সৈয়দ হক, আফসানা বেগম, মাহবুব ময়ূখ রিশাদ প্রমুখ। পুরস্কৃত লেখকদের ঘিরে প্রাণবন্ত আড্ডা দেন সতীর্থরা।

ফুটওভার-ব্রিজ ব্যবহারকারী ক’জন
যানবাহনের আধিক্যে ভরা অতিব্যস্ত মহানগরীতে রাস্তা পারাপারের জন্য পদচারী সেতু বা ফুটওভার-ব্রিজ খুবই কাজে দেয়। কিন্তু দেখা গেছে অধিকাংশ পথচারীই সিঁড়ি ভাঙার কষ্ট করতে চান না। এজন্য জরিমানার ব্যবস্থা করেও খুব একটা সফল হওয়া যায়নি। এটা ঠিক যে অসুস্থ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের খুবই কষ্ট হয় ব্রিজে উঠে রাস্তা পারাপারে। তারা ট্রাফিক সিগন্যালের অপেক্ষা করেন। গাড়ি থেমে গেলে তারা নিচ দিয়েই রাস্তা পার হন।

কিন্তু সুস্থ সবল ও অল্পবয়সীরা কেন ব্রিজ দিয়ে পার হবেন না? এ বিষয়ে কঠোরতার দরকার আছে। যাহোক, ঢাকায় আরও ৩৬টি ফুটওভার-ব্রিজ তৈরি হচ্ছে, যদিও কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৪টির। এখন প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে রামপুরা সেতুসংলগ্ন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের পদচারী সেতুর নির্মাণকাজ গত বছরের জুনে উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছে তার প্রতিশ্রুতি ছিল ছয় মাসের মধ্যে সেতুটি চালু করার। কিন্তু এক বছরের বেশি কেটে গেছে, সেতুটি চালু হয়নি।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের এ পদচারী সেতু ছাড়াও ‘ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়ন ও সড়ক নিরাপত্তা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আরও ৩৫টি পদচারী সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। প্রকল্পের ছয়টি প্যাকেজের আওতায় সেতুগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই।
গত রোববার (৩০ জুন) পর্যন্ত এই ৩৬ সেতুর মধ্যে মাত্র ৪টির শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুগুলো ব্যবহার করে পথচারীরা রাস্তা পারাপার হচ্ছে। এ ছাড়া একটি সেতু প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই নিজেদের টাকায় নির্মাণ করেছে সংস্থাটি। আর তিনটি সেতুর মূল কাঠামো (কলাম ও বিম) বসেছে। ১৮টি সেতু এখনো তৈরি করা যায়নি। এসব সেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি বলতে শুধু ভিত্তি (ফাউন্ডেশন) স্থাপন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়ন ও সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ৩১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৯৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয় পদচারী– সেতু নির্মাণ বাবদ। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে আর ছয় মাস। এদিকে প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর নানান জটিলতা ও বাধার মুখে ১০টি সেতুর নির্মাণ থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ।
নতুন সেতু নির্মাণ ভালো খবর। কিন্তু তার আগে দরকার ছিল সব প্রধান সড়কের ওপর নির্মিত সেতুগুলোয় পথচারী পারাপারের ব্যাপারে ফলপ্রসূ উদ্যোগ গ্রহণ। শুধু শোভাবর্ধনের জন্য ফুটওভার ব্রিজ বানানোর কোনো মানে হয় না। 

ব্যাংকের অফিস সময় ও গ্রাহকদের প্রতীক্ষা
যেসব অফিসে বেশি সংখ্যক জনসাধারণের বেশি করে যাওয়ার দরকার পড়ে তার ভেতর ব্যাংক হলো এক নম্বরে। তাই মানুষের সুবিধা অসুবিধা বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে। ১০ টা পর্যন্ত, আরও সঠিকভাবে বললে বলতে হবে ৯টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ব্যাংকের কোলাপসিবল গেট বন্ধ করে মানুষকে গেটের বাইরে রাখা কোনো কাজের কথা হতে পারে না। বুঝলাম ৯টায় ব্যাংক ‘খোলা’ হলেও ১০টা থেকে লেনদেন শুরু হওয়ার কথা। ব্যাংকের টাকা পয়সার ক্যাশ (বা চেক)  লেনদেন না হয় ১০টায় শুরু হোক, অন্য অফিশিয়াল কাজের সেবা তো ৯টার পর থেকে দেওয়া সম্ভব। সেটি কেন হবে না?  
উল্লেখ্য, কোরবানি ঈদের পর থেকে সরকারি সময়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেড় বছরের কিছু বেশি সময় পর সকাল ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখার সময়ে ফিরেছে ব্যাংক খাত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকে লেনদেন করা যাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বাকি দুই ঘণ্টা দাপ্তরিক প্রয়োজনে খোলা থাকবে। আগে ব্যাংকে লেনদেন করা যেত সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। আর বিকাল ৫টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকতো। ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর জ্বালানি সংকটের মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে দ্বিতীয়বারের সরকারি অফিস সূচিতে কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়। তখন থেকে সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে আসছিল।

৭ জুলাই ২০২৪

[email protected]

×